لا اِلـهَ اِلاَّ اللهُ الْعَظيمُ الْحَليمُ لا اِلـهَ اِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَريمُ اَلْحَمْدُ للهِِ رَبِّ الْعالَمينَ اَللّـهُمَّ اِنّي أَسْأَلُكَ مُوجِباتِ رَحْمَتِكَ وَ عَزائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلامَةَ مِنْ كُلِّ اِثْم اَللّـهُمَّ لا تَدَعْ لي ذَنْباً اِلاّ غَفَرْتَهُ وَلا هَمّاً اِلاّ فَرَّجْتَهُ وَلا سُقْماً اِلاّ شَفَيْتَهُ وَلا عَيْباً اِلاّ سَتَرْتَهُ وَلا رِزْقاً اِلاّ بَسَطْتَهُ وَلا خَوْفاً اِلاّ امَنْتَهُ وَلا سُوءاً اِلاّ صَرَفْتَهُ وَلا حاجَةً هِيَ لَكَ رِضاً وَلِيَ فيها صَلاحٌ اِلاّ قَضَيْتَها يآ اَرْحَمَ الرّاحِمينَ أمينَ رَبَّ الْعالَمينَ

লা ইলাহা ইল্লাহু ল-আযিমু ল-হালিম, লা ইলাহা ইল্লাহু রব্বুল আরশি এল-করিম, আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বি আলামিন। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ওয়া আযাইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গনিমাত মিন কুল্লি বিরর ওয়া সালিয়ামা মিন কুল্লি ইসম। আল্লাহুম্মা লা তাদা লি জানবান ইল্লা গাফর্তা ওয়াল লা হাম্মান ইল্লা ফারাজতা ওয়া লা সুকমান ইল্লা শাফায়তা ওয়া লা আইবান ইল্লা সাতারতা ওয়াল লা রিজকান ইল্লা বাসাত্তা ওয়া লা হাউফান ইল্লা আমান্তা ওয়াল লা সুয়ান ইল্লা সারাফতা ওয়া লা হাজাতান হিয়া লাকা ফিয়াইয়াউন কাযাহাইত ওয়ালা। . ইয়া আরহামা রাহিমিন আমিনা রাব্বা লা-আলামিন।

"আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মহান, ধৈর্যশীল! মহান আরশের অধিপতি আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই! সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য! হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমতের কারণ, ক্ষমার কারণ এবং প্রতিটি কল্যাণ এবং প্রতিটি পাপ থেকে মঙ্গল কামনা করছি! হে আল্লাহ, আমাকে এমন পাপ ছেড়ে দিও না যা তুমি ক্ষমা করবে না, এমন বোঝা যা তুমি অপসারণ করবে না, এবং এমন একটি রোগ যা তুমি নিরাময় করবে না, এবং এমন পাপ যা তুমি লুকিয়ে রাখবে না, এবং এমন খাদ্য যা তুমি প্রসারিত করবে না, এবং ভয়, যা থেকে আপনি রক্ষা করবেন না, এবং মন্দ, যা আপনি এড়াতে পারবেন না, এবং এমন একটি প্রয়োজনও নেই, যার মধ্যে আপনার সন্তুষ্টি এবং আমার ভাল, যা আপনি সন্তুষ্ট করবেন না! হে পরম করুণাময়! আমিন, হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক!”

তারপরে 10 বার বলার পরামর্শ দেওয়া হয়:

بِاللهِ اعْتَصَمْتُ وَبِاللهِ اَثِقُ وَعَلَى اللهِ اَتَوَكَّلُ

বিল্লাহি আতসামতু ওয়া বিল্লাহি আসিকু ওয়া আলা ইল্লাহি আতাওয়াক্কাল।

"আমি আল্লাহকে আঁকড়ে ধরলাম, আল্লাহর উপর ভরসা করলাম এবং আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।"

তারপর বল:

اَللّـهُمَّ اِنْ عَظُمَتْ ذُنُوبي فَأَنْتَ اَعْظَمُ وَاِنْ كَبُرَ تَفْريطي فأَنْتَ اَكْبَرُ وَاِنْ دامَ بُخْلي فَأنْتَ اَجْوَدُ اَللّـهُمَّ اغْفِرْ لي عَظيمَ ذُنُوبي بِعَظيمِ عَفْوِكَ وَكَثيرَ تَفْريطي بِظاهِرِ كَرَمِكَ وَاقْمَعْ بُخْلى بِفَضْلِ جُودِكَ اَللّـهُمَّ ما بِنا مِنْ نِعْمَة فَمِنْكَ لا اِلـهَ اِلاّ اَنْتَ اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوبُ اِلَيْكَ

আল্লাহুম্মা ইন আজুমাত যুনুবি ওয়া আনতা আজম ওয়া ইন কাবুরা তাফরিথি ফা আনতা আকবর ওয়া ইন দামা বুহলি ফা আনতা আজওয়াদ। আল্লাহুম্মা গফির লি আজিমা জুনুবি বি আজিমি আফভিক ওয়া কাসিরা তাফরিতি বি জাহিরি কারমিকা ওয়া কামা বুজ বিফাজলি জুদিকা। আল্লাহুম্মা মা বিনা মিন নিআমাতি ফা মিঙ্ক। লা ইলাহা ইল্লা আন্ত আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলিক।

“হে আল্লাহ, আমার পাপ যদি বড় হয়ে থাকে, তবে তুমিই বড়! আমার সীমালঙ্ঘন যদি আরও বড় হয়ে থাকে, তবে আপনি আরও বড়! যদি আমার কৃপণতা টেনে নিয়ে যায়, তবে আপনি আরও উদার! হে আল্লাহ, আপনার ক্ষমার মহিমা অনুসারে আমার বড় গুনাহ এবং আপনার প্রকাশ্য রহমত অনুসারে আমার পাপকর্মের বহুগুণ ক্ষমা করুন এবং আপনার উদারতার মহত্ত্বে আমার কৃপণতা নিভিয়ে দিন! হে আল্লাহ, আপনি ছাড়া আমাদের কোন কল্যাণ নেই! তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই! আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকে ফিরে আসি!”

2. আসরের নামাযের পরে, এই দোয়াটি পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذي لا اِلـهَ اِلاّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ الرَّحْمنُ الرَّحيمُ ذُو الْجَلالِ وَالاِْكْرامِ وَأَسْأَلُهُ اَنْ يَتُوبَ عَلَيَّ تَوْبَةَ عَبْدٍٍِِ ذَليل خاضِع فَقير بائِس مِسْكين مُسْتَكين مُسْتَجير لا يَمْلِكُ لِنَفْسِهِ نَفْعاً وَلا ضَرّاً وَلا مَوْتاً وَلا حَياةً وَلا نُشُوراً . اَللّـهُمَّ اِنّي اَعُوذُ بِكَ مِنْ نَفْس لا تَشْبَعُ وَمِنْ قَلْب لا يَخْشَعُ وَمِنْ عِلْمٍ لا يَنْفَعُ وِ مِنْ صلاةٍ لا تُرْفَعُ وَمِنْ دُعآءٍ لا يُسْمَعُ اَللّـهُمَّ اِنّي أَسْأَلُكَ الْيُسْرَ بَعْدَ الْعُسْرِ وَالْفَرَجَ بَعْدَ الْكَرْبِ وَالرَّخاءَ بَعْدَ الشِّدَّةِ اَللّـهُمَّ ما بِنا مِنْ نِعْمَة فَمِنْكَ لا اِلـهَ اِلاّ اَنْتَ اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوبُ اَلِيْكَ

আস্তাগফিরু আল্লাহ লাযী লা ইলাহা ইলিয়া হুওয়া ল-হায়ু ল-কাইয়ুম আর-রহমানু ররহিম জুল জালালি ওয়াল ইকরাম ওয়া আসআলুহু আন ইয়াতুবা আলেয়া তাওবাতান আবদিন জালিল হাযীআইন ফকির বাইসিন মিসকিনিন মুস্তাকিন মুস্তাজির লা লা লাআন নাফ্‌ওয়ান মাওয়্যাম। হায়াতন ওয়া লা নুশুরান। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন নাফসিন লা তাশবা ওয়া মিন কালবিন লা তাখশা ওয়া মিন আইলমিন লা ইয়ানফা ওয়া মিন সালাতিন লা তরফা ওয়া মিন দুআইন লা ইউসমা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ল-ইউসরা বাআদাহ এল-আউসর ওয়াল ফারাজা বাআদাহ এল-কারব ওয়া রারাজা বাআদাহ শিদ্দা. আল্লাহুম্মা মা বিনা মিন নিআমাতি ফা মিঙ্ক। লা ইলাহা ইল্লা আন্ত আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলিক।

আমি সেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যাঁকে ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, যিনি জীবিত, চির-বিদ্যমান, দয়ালু, করুণাময়, মহত্ত্ব ও উদারতার অধিকারী, এবং আমি তাঁর কাছে আমার তওবা কবুল করতে চাই - একজন করুণ বান্দার অনুতাপ। , নম্র, দরিদ্র, তুচ্ছ, দরিদ্র, অনুগত, সাহায্য চাওয়া, নিজের জন্য ক্ষতি বা উপকার না জেনে, না মৃত্যু, না জীবন, না পুনরুত্থান! হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি এমন আত্মা থেকে যা তৃপ্ত হয় না, এমন হৃদয় থেকে যা ভয় পায় না, এমন জ্ঞান থেকে যা উপকার করে না, এমন প্রার্থনা থেকে যা কবুল হয় না, এমন দুআ থেকে যা শোনা যায় না! হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে কষ্টের পর মুক্তি, দুর্যোগের পর মুক্তি এবং কষ্টের পর মুক্তি চাই! হে আল্লাহ, আপনি ছাড়া আমাদের কোন কল্যাণ নেই! তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই! আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকে ফিরে আসি!”

3. মাগরিবের নামাযের পরে, এই দোয়াটি পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

প্রথমে সূরা "হোস্টস" এর 56 নং আয়াতটি পড়ুন:

اِنَّ اللهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّون عَلَى النَّبِيِّ يا اَيُّهَا الَّذينَ امَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْليماً

ইন্নাল্লাহ ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলিয়া নবী ইয়া আইয়ুহা ল্লাযীনা আমানু সল্লু আলেহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।

“নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন। হে ঈমানদারগণ! তাকে আশীর্বাদ করুন এবং তাকে শান্তিতে অভিবাদন করুন!

এবং তারপর বলুন:

اَللّـهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّد النَّبِيِّ وَعَلى ذُرِّيَّتِهِ وَعَلى اَهـْلِ بَـيْتِـهِ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলিয়া মুহাম্মাদিন আল-নবী ওয়া আলিয়া জুররিয়াতিহি ওয়া আলিয়া আহলি বেতিহি।

“হে আল্লাহ! বরকত বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধর এবং তাঁর ঘরের লোকদের উপর।"

তারপর 7 বার বলুন:

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحيمِ وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ اِلاّ بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظيمِ

বিসমিল্লাহি রহমানি রাহিম ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি আল-আলি আযিম।

“আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, দয়ালু! এবং মহান আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও ক্ষমতা নেই!”

তারপর 3 বার বলুন:

اَلْحَمْدُ للهِِ الَّذي يَفْعَلُ ما يَشاءُ وَلا يَفْعَلُ ما يَشاءُ غَيْرُهُ

আল-হামদু লিল্লাহি লাযী ইয়াফালু মা ইয়াশা ওয়া মা ইয়াফালু মা ইয়াশাউ গেইরু।

"সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি যা চান তাই করেন এবং তিনি ছাড়া আর কেউ যা ইচ্ছা করেন না।"

তারপর বল:

. سُبْحانَكَ لا اِلـهَ اِلاّ اَنْتَ اغْفِرْ لي ذُنُوبي كُلَّها جَميعاً فَاِنَّهُ لا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ كُلَّها جَميعاً اِلاّ اَنْتَ

সুবহানাকা লা ইলাহা ইলিয়া আনতা গফির লি যুনুউবি কুল্লা জামিআন। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরু জ্জুনুবা কুল্লা জামিআন ইলিয়া পিঁপড়া।

"আপনি সবচেয়ে পবিত্র, এবং আপনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আমার সমস্ত পাপ সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করুন, কারণ আপনি ছাড়া কেউ সমস্ত পাপ সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করতে পারে না।"

ফাতিহার পর প্রথম রাকাতে নবীদের সূরার ৮৭-৮৮ আয়াত পাঠ করা হয়:

و ذَا النُّونِ اِذْ ذَهَبَ مُغاضِباً فَظَنَّ اَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ فَنادى فِي الظُّلَماتِ اَنْ لا اِلـهَ اِلاّ اَنْتَ سُبْحانَكَ اِنّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمينَ فَاسْتَجَبْنا لَهُ وَنَجّيْناهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنينَ

"...এবং মাছের সাথে একজন, যখন সে রাগ করে চলে গেল এবং ভেবেছিল যে আমরা তার সাথে মানিয়ে নিতে পারব না। এবং সে অন্ধকারে চিৎকার করে বলেছিল: "তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তোমার প্রশংসা, নিশ্চয়ই আমি অধার্মিক ছিলাম!" এবং আমরা তাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে দুঃখ থেকে রক্ষা করেছি এবং তাই আমরা ঈমানদারদের রক্ষা করেছি।"

"ফাতিহার" পরে দ্বিতীয় রাকাতে সূরা "গবাদি পশু" এর 59তম আয়াতটি পাঠ করা হয়:

وَعِنْدَهُ مِفاتِحُ الْغَيْبِ لا يَعْلَمُها اِلاّ هُوَ وَيَعْلَمُ ما فِي الْبَّرِ وَالْبَحْرِ وَما تَسْقُطُ مِنْ وَرَقَة اِلاّ يَعْلَمُها وَلا حَبَّة في ظُلِماتِ الاَْرْضِ وَلا رَطْب وَلا يابِس اِلاّ فِي كِتاب مُبين

“তাঁর কাছে গোপন বিষয়ের চাবি রয়েছে; শুধুমাত্র তিনিই তাদের জানেন। স্থলে ও সমুদ্রে যা আছে তা তিনি জানেন; পাতাটি কেবল তাঁরই জ্ঞানে পড়ে, এবং পৃথিবীর অন্ধকারে এমন কোন শস্য নেই, এমন কোন তাজা বা শুকনো নেই, যা স্পষ্ট কিতাবে নেই।"

দ্বিতীয় রাকাতে, কুনুত বলে: "হে আল্লাহ, গোপন চাবিগুলির নামে, যা শুধুমাত্র আপনি জানেন, আমার অনুরোধটি পূরণ করুন" এবং তারপর আপনি অনুরোধটি জানান।

4. এশার নামাযের পর নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করা বাঞ্ছনীয়:

اَللّـهُمَّ اِنَّهُ لَيْسَ لي عِلْمٌ بِمَوْضِعِ رِزْقي وَاِنَّما اَطْلُبُهُ بِخَطَرات تَخْطُرُ عَلى قَلْبي فَاَجُولُ فى طَلَبِهِ الْبُلْدانَ فَاَنَا فيما اَنَا طالِبٌ كَالْحَيْرانِ لا اَدْري اَفى سَهْل هَوُ اَمْ في جَبَل اَمْ في اَرْض اَمْ في سَماء اَمْ في بَرٍّ اَمْ في بَحْر وَعَلى يَدَيْ مَنْ وَمِنْ قِبَلِ مَنْ وَقَدْ عَلِمْتُ اَنَّ عِلْمَهُ عِنْدَكَ وَاَسْبابَهُ بِيَدِكَ وَاَنْتَ الَّذي تَقْسِمُهُ بِلُطْفِكَ وَتُسَبِّبُهُ بِرَحْمَتِكَ اَللّـهُمَّ فَصَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ وَاجْعَلْ يا رَبِّ رِزْقَكَ لي واسِعاً وَمَطْلَبَهُ سَهْلاً وَمَأخَذَهُ قَريباً وَلا تُعَنِّني بِطَلَبِ ما لَمْ تُقَدِّرْ لي فيهِ رِزْقاً فَاِنَّكَ غَنِىٌّ عَنْ عَذابي وَاَنَا فَقيرٌ اِلى رَحْمَتِكَ فَصَلِّ عَلى مُحَمَّد وَآلِهِ وَجُدْ عَلى عَبْدِكَ بِفَضْلِكَ اِنَّكَ ذُو فَضْل عَظيم

আল্লাহুম্মা ইন্নাহু লিইসা লি আইলমুন বি মৌজিআই রিজকি ওয়া ইন্নামা আতলুবুহু বি হাতরাতি তাখতুরু আলিয়া কালবি ফা আজুলু ফী তালাবিহি বুলদান। ওয়া আনা ফিমা আনতালিবুন কাল হায়ারানী লা আদ্রি আ ফী সাহল হুওয়া আম ফী জাবাল আম ফি আরদ আম ফী সামা আম ফী বারিন আম ফী বাহরিন ওয়া আলিয়া ইয়াদেই মান ওয়া মিন কিবালি মান। ওয়া কাদ আলিমতু আন্না আইলমাহু আইনদাকা ওয়া আসবাবুহু বি ইয়াদিকা ওয়া আনতা লাযী ট্যাক্সিমুহু বি লুৎফিকা ওয়া তুসাব্বিবুহু বি রাহমাতিকা। আল্লাহুম্মা ফা সাল্লি আলিয়া মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহি ওয়া জাল ইয়া রাব্বি রিজকাকা লি ওয়াসিআন ওয়া মাতলাবাহু সাহলিয়ান ওয়া মাহাজাহু করিবান ওয়া লা তুআন্নিনি বি তালাবি মা লাম তুকাদির লি ফিহি রিজকান। ফা ইন্নাকা গানিয়ুন আন আজাবি ওয়া আনা ফকিরুন ইলা রাহমাতিক। ফা সাল্লি আলিয়া মুখাম্মাদিন ওয়া আলিহি ওয়া জুদ আলিয়া আব্দিকা বি ফাজলিকা। ইন্নাকা যু ফাজলিন আযিম।

হে আল্লাহ, আমার খাবার কোথা থেকে আসবে আমি জানি না ( রিজক) এবং আমি আমার ক্ষণস্থায়ী চিন্তায় এটিকে খুঁজে বেড়াই, এটির সন্ধানে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াই, কিন্তু তবুও আমি এটি সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছি: এটি স্টেপসে, পাহাড়ে, পৃথিবীতে বা আকাশে, ভূমিতে বা সমুদ্রে, এবং কার হাতে, এবং কার কাছ থেকে। এবং আমি জানি যে এর জ্ঞান আপনার কাছে রয়েছে এবং এর কারণগুলি আপনার ডান হাতে রয়েছে এবং আপনিই আপনার রহমত অনুসারে এটি বিতরণ করেন এবং আপনার দয়া অনুসারে এটি নির্ধারণ করেন। হে আল্লাহ, তাই মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর বরকত বর্ষণ করুন এবং হে আমার রব, আমার রিযিককে প্রাচুর্য করুন, তাঁর প্রাপ্তি সহজ করুন, তাঁর আমার নিকটবর্তী করুন এবং তাঁর জন্য যা আপনি নির্ধারণ করেননি, তাকে পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে পরিচালনা করবেন না। . কারণ তুমি আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ধনী, আর আমি তোমার করুণার জন্য দরিদ্র! সুতরাং মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের প্রতি বরকত করুন এবং আপনার অনুগ্রহ অনুসারে আপনার বান্দাকে পুরস্কৃত করুন! নিশ্চয়ই আপনি মহান উদারতার মালিক।"

মধ্যে বলেন পবিত্র কুরআন: “তোমাদের রব আদেশ করেছেন, “আমাকে ডাক, আমি তোমাদের দোয়া পূরণ করব।” . “প্রভুর সাথে নম্রভাবে এবং নম্রভাবে কথা বলুন। নিশ্চয়ই তিনি অজ্ঞদের ভালবাসেন না।"

"যখন আমার বান্দারা (হে মুহাম্মাদ) আপনার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, (তাদের জানাবেন) কারণ আমি কাছে আছি এবং যারা আমাকে ডাকলে তাদের ডাকে সাড়া দেই।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "দুআ হল ইবাদত (আল্লাহর)"

যদি ফরজ নামাযের পরে কোন সুন্নত না থাকে, যেমন, সুবহ্‌ ও আছর নামাযের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া।

أَسْتَغْفِرُ اللهَ

"আস্তাগফিরু-আল্লাহ" . 240

অর্থ: আমি সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তারপর তারা বলে:

اَلَّلهُمَّ اَنْتَ السَّلاَمُ ومِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالاْكْرَامِ

"আল্লাহুম্মা আনতাস-সালামু ওয়া মিনকাস-সালামু তাবারক্তা ইয়া জাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, তুমিই সেই ব্যক্তি যার কোন দোষ নেই, তোমার কাছ থেকে আসে শান্তি ও নিরাপত্তা। হে যিনি মহানুভবতা ও উদারতার অধিকারী।"

اَلَّلهُمَّ أعِنِي عَلَى ذَكْرِكَ و شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَتِكَ َ

"আল্লাহুম্মা 'আয়ন্নি 'আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিক্যা ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিক।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমাকে আপনাকে যথাযথভাবে স্মরণ করতে, আপনাকে যথাযথভাবে ধন্যবাদ জানাতে এবং সর্বোত্তম উপায়ে আপনার ইবাদত করতে সাহায্য করুন।"

সালাওয়াত ফরজ এবং সুন্নত নামাযের পরে উভয়ই পড়া হয়:

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى ألِ مُحَمَّدٍ

“আল্লাহুম্মা সহ অলি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা ক কিনা মুহাম্মদ।"

অর্থ: « হে আল্লাহ, আমাদের গুরু নবী মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারকে আরও মহিমা দান করুন।"

সালাওয়াতের পরে তারা পড়ে:

سُبْحَانَ اَللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ اِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيمِ

مَا شَاءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَم يَشَاءْ لَمْ يَكُنْ

“সুবহানাল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুভ ওয়াতা ইলিয়া বিল্লাহিল ‘আলি-ইল-‘আয ইম। মাশাআল্লাহু কায়ানা ওয়া মা লাম ইয়াশা লাম ইয়াকুন।”

অর্থ: « আল্লাহ অবিশ্বাসীদের দ্বারা তাঁর প্রতি আরোপিত ত্রুটিগুলি থেকে পবিত্র, আল্লাহর প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবার উপরে, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও সুরক্ষা নেই। আল্লাহ যা চান তাই হবে আর আল্লাহ যা চাননি তা হবে না।

এরপর "আয়াতুল কুরসি" পড়ুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হবে না।"

"আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শাইত আনির-রাজিম বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম"

"আল্লাহু লা ইলাহা ক ইলিয়া হুয়াল হাইয়্যুল কে আইয়ুম, লা তা এক্স উজুহু সিনাতু-ওয়ালা নাউম, লিয়াহু মা ফিস সামাউতি উয়া মা ফিল আরদ, মান জাল্ল্যাযী ইয়াশফা‘উ ইন্দাহু ইলিয়া বি তাদের মধ্যে, ইয়া’লামু মা বায়না আইদিহিম উয়া মা এক্স আলফাহুম ওয়া লা ইউলা বি শাইম-মিন 'ইলমিহি ইল্যা বিমা শা, ওয়াসিয়া কুরসিয়ুহু সামা-উতি ওয়াল আরদ, ওয়া লা ইয়াউদুখু হিফজ উখুমা ওয়া হুয়াল 'আলিয়ুল 'আয-ইম।'

আউজু এর অর্থ: “আমি শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই, যে তার রহমত থেকে অনেক দূরে। আল্লাহর নামে, যিনি এই জগতের সকলের জন্য করুণাময় এবং বিশ্বের শেষ প্রান্তে শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য করুণাময়।"

আয়াতুল কুরসির অর্থ : "আল্লাহ - তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরজীবী, বিদ্যমান। তন্দ্রা বা নিদ্রা কোনটাই তাঁর উপর ক্ষমতা রাখে না। আসমানে যা কিছু আছে এবং যা পৃথিবীতে আছে সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া কে তাঁর সামনে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন মানুষের আগে কী ঘটেছিল এবং তাদের পরে কী ঘটবে। মানুষ তার জ্ঞান থেকে শুধু যা ইচ্ছা বুঝে। আকাশ ও পৃথিবী তাঁর অধীন। তাদের রক্ষা করা তাঁর জন্য বোঝা নয়; তিনি সর্বোত্তম।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যিনি প্রত্যেক নামাযের পর 33 বার “সুবহানা-আল্লাহ”, 33 বার “আলহামদুলিল্লাহ”, 33 বার “আল্লাহু আকবার” এবং একশত বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়া” বলে। লাহুউল হামদু ওয়া" হুয়া'কলা কুল্লি শায়ীন কাদির, "আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন, যদিও সমুদ্রের ফেনার পরিমাণও হয়।".

তারপরে নিম্নলিখিত 246 ধিকারগুলি পর্যায়ক্রমে পড়া হয়:

এর পরে তারা পড়ে:

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ.لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লিয়া, লাহুল মুলকু ওয়া লাহালুল হামদু ওয়া হুয়া" ক লা কুল্লি শায়িন কাদির।"

তারপর তারা তাদের হাত বুকের সমতল পর্যন্ত তুলবে, তালু আপ করবে এবং নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দুআ পড়েছেন বা অন্য কোন দুআ পড়ে যা শরিয়তের পরিপন্থী নয়।

দুআ হল সেবাআল্লাহর কাছে

দুআ মহান আল্লাহর ইবাদতের অন্যতম রূপ। যখন একজন ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে অনুরোধ করে, তখন এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সে তার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে যে একমাত্র আল্লাহই একজন ব্যক্তিকে তার যা প্রয়োজন তা দিতে পারেন; তিনিই একমাত্র যার উপর নির্ভর করা উচিত এবং যার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা বিভিন্ন (শরিয়াহ অনুসারে অনুমোদিত) অনুরোধের সাথে যতবার সম্ভব তাঁর দিকে ফিরে যায়।

দু'আ হল একজন মুসলমানের অস্ত্র যা তাকে আল্লাহ প্রদত্ত। একবার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ "আপনি কি চান যে আমি আপনাকে এমন একটি প্রতিকার শেখাতে পারি যা আপনাকে দুর্ভাগ্য এবং সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে যা আপনার উপর পতিত হয়েছে?". "আমরা চাই," সঙ্গীরা উত্তর দিল। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেনঃ "লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাক্য ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন" দু'আ পড়লে 247 "এবং আপনি যদি সেই মুহুর্তে অনুপস্থিত বিশ্বাসী ভাইয়ের জন্য একটি দু'আ পড়েন, তবে সেই দু'টি সর্বশক্তিমান দ্বারা কবুল হবে।" ফেরেশতারা দু'আ পাঠকারী ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে বলেন: "আমিন। আপনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটুক।"

দুআ হল আল্লাহ কর্তৃক পুরস্কৃত একটি ইবাদত এবং এর বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে:

দুআ আল্লাহর প্রশংসার শব্দ দিয়ে শুরু করা উচিত: "আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন", তারপর আপনাকে নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাওয়াত পড়তে হবে: "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা আলি মুহাম্মাদিন ওয়া সাল্লাম", তাহলে আপনাকে আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে: "আস্তাগফিরুল্লাহ".

বর্ণিত আছে যে ফাদাল বিন উবায়দ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন: “(একবার) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনেছিলেন যে কিভাবে এক ব্যক্তি, তার নামাযের সময়, আল্লাহর তাসবীহ না করে এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য প্রার্থনা না করেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করে। ওয়া সাল্লাম ), এবং আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “এই (লোকটি) তাড়াহুড়ো করেছে!”, তারপর তিনি তাকে নিজের কাছে ডেকে বললেন/অথবা...অন্য কাউকে/:

“যখন তোমাদের মধ্যে কেউ আল্লাহর দিকে নামাযের সাথে ফিরে যেতে চায়, তখন সে যেন তার মহিমান্বিত প্রভুর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারপর সে যেন নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করে।” তারপর সে যা চায় তা জিজ্ঞাসা করে।"

খলিফা উমর (রা.) বলেন: "আমাদের প্রার্থনা "সামা" এবং "আরশা" নামক স্বর্গীয় গোলকগুলিতে পৌঁছে এবং সেখানেই থাকে যতক্ষণ না আমরা মুহাম্মদকে সালাওয়াত বলি।(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং এর পরেই তারা ঐশ্বরিক সিংহাসনে পৌঁছাবে।"

2. যদি দু'আতে গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ থাকে, তবে এটি শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই অযু করতে হবে এবং যদি এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনাকে অবশ্যই পুরো শরীরের অযু করতে হবে।

3. দু'আ পড়ার সময়, কিবলার দিকে মুখ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

4. হাত মুখের সামনে রাখা উচিত, তালু উপরে। দু'আ শেষ করার পর, আপনাকে আপনার মুখের উপর আপনার হাত চালাতে হবে যাতে প্রসারিত হাতগুলি আপনার মুখমণ্ডলকে স্পর্শ করে যাতে বারাকাহটি আপনার মুখকে স্পর্শ করে। নিঃসন্দেহে আপনার প্রতিপালক, জীবিত, দয়াময়, তাঁর বান্দা যদি দু'হাত তুলে প্রার্থনা করে তবে তাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।"

আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে দুআ সময়রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু’হাত এত বেশি উঁচু করতেন যে তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেত”।

5. অনুরোধটি অবশ্যই শ্রদ্ধার সুরে করা উচিত, শান্তভাবে, যাতে অন্যরা শুনতে না পায় এবং কেউ যেন স্বর্গের দিকে দৃষ্টি না ফেরায়।

6. দু'আ শেষে, আপনাকে অবশ্যই শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালায়াতের শব্দ উচ্চারণ করতে হবে তারপর বলুন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ .

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ .وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

"সুবহানা রাব্বিক্যা রাব্বিল ইজাত্তি আম্মা ইয়াসিফুনা ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিনা ওয়াল-হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন" .

কখন আল্লাহ কবুল করেন সবার আগে দুআ?

নির্দিষ্ট সময়ে:রমজান মাস, লায়লাতুল কদরের রাত, 15 শাবানের রাত, ছুটির উভয় রাত (ঈদ-উল-আযহা এবং কুরবান বায়রাম), রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, শুক্রবারের রাত ও দিন , ফজরের শুরু থেকে সূর্যের আবির্ভাব পর্যন্ত সময়, সূর্যাস্তের শুরু থেকে এবং তার সমাপ্তি পর্যন্ত, আজান এবং ইকামার মধ্যবর্তী সময়, ইমাম জুমার সালাত শুরু করার সময় এবং এর শেষ পর্যন্ত।

নির্দিষ্ট কর্মের জন্য:কোরান পড়ার পর, জমজমের পানি পান করার সময়, বৃষ্টির সময়, সাজদের সময়, যিকিরের সময়।

নির্দিষ্ট জায়গায়:হজ্জের স্থানগুলিতে (আরাফাত পর্বত, মিনা ও মুজদালিফ উপত্যকা, কাবার কাছে, ইত্যাদি), জমজম বসন্তের পাশে, নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরের পাশে।

নামাজের পর দুআ

"সাইদুল-ইস্তিগফার" (তাওবার প্রার্থনার প্রভু )

اَللَّهُمَّ أنْتَ رَبِّي لاَاِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِي وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلىَ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ أعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْليِ فَاِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوبَ اِلاَّ اَنْتَ

“আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা ইলাহা ইলিয়া আনতা, হালিয়াকতানি ওয়া আনা আবদুক, ওয়া আনা আ’লা আ’খদিক ওয়া ওয়াদিকে মাস্তাতা’তু। আউযু বিক্যা মিন শাররি মা সানাতু, আবু লাক্য বি-নি’মেতিক্যা ‘আলেইয়া ওয়া আবু বিজানবি ফাগফির লি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইলিয়া আন্তে।”

অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু। তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার চাকর. এবং আমি আপনার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার শপথ রাখার জন্য আমার ক্ষমতার সর্বোত্তম চেষ্টা করি। আমি যে ভুল এবং পাপ করেছি তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি। আমি আপনার দেওয়া সমস্ত আশীর্বাদের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি আপনাকে আমার পাপ ক্ষমা করতে বলি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, কারণ তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী কেউ নেই।"

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا صَلاَتَنَا وَصِيَامَنَا وَقِيَامَنَا وَقِرَاءتَنَا وَرُكُو عَنَا وَسُجُودَنَا وَقُعُودَنَا وَتَسْبِيحَنَا وَتَهْلِيلَنَا وَتَخَشُعَنَا وَتَضَرَّعَنَا.

أللَّهُمَّ تَمِّمْ تَقْصِيرَنَا وَتَقَبَّلْ تَمَامَنَا وَ اسْتَجِبْ دُعَاءَنَا وَغْفِرْ أحْيَاءَنَا وَرْحَمْ مَوْ تَانَا يَا مَولاَنَا. أللَّهُمَّ احْفَظْنَا يَافَيَّاضْ مِنْ جَمِيعِ الْبَلاَيَا وَالأمْرَاضِ.

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا هَذِهِ الصَّلاَةَ الْفَرْضِ مَعَ السَّنَّةِ مَعَ جَمِيعِ نُقْصَانَاتِهَا, بِفَضْلِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَتَضْرِبْ بِهَا وُجُو هَنَا يَا الَهَ العَالَمِينَ وَيَا خَيْرَ النَّاصِرِينَ. تَوَقَّنَا مُسْلِمِينَ وَألْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ. وَصَلَّى اللهُ تَعَالَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَعَلَى الِهِ وَأصْحَابِهِ أجْمَعِين .

“আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না সালিয়াতানা ওয়া সায়মানা ওয়া ক্যমানা ওয়া কিরাতানা ওয়া রুকুয়ানা ওয়া সুজুদানা ওয়া কুউদানা ওয়া তাসবিহানা ওয়াতাহলিলিয়ানা ওয়া তাহাশশুআনা ওয়া তাদাররুআনা। আল্লাহুম্মা, তাম্মিম তাকসিরানা ওয়া তাকাব্বাল তামামানা ওয়াস্তাজিব দুআনা ওয়া গফির আইয়ানা ওয়া রাহাম মাওতানা ইয়া মাওলানা। আল্লাহুম্মা, খাফাজনা ইয়া ফাইয়াদ মিন জামিয়ি ল-বালায়া ওয়াল-আমরাদ।

আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না হাযিহি সালাতা আল-ফরদ মাআ সুন্নাতি মাআ জামিয়ি নুকসানাতিহা, বিফাদলিক্যা ওয়াক্যারামিক্যা ওয়া লা তাদরিব বিহা ভুজুহানা, ইয়া ইলাহা ল-আলামিনা ওয়া ইয়া খাইরা নাসিরিন। তাওয়াফ্ফানা মুসলিমিনা ওয়া আলখিকনা বিসালিহিন। ওয়াসাল্লাহু তা’আলা ‘আলা খাইরি খালকিহি মুখাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসখাবিহি আজমাইন’।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাদের কাছ থেকে আমাদের প্রার্থনা, আমাদের রোজা, আপনার সামনে দাঁড়ানো, কোরান পাঠ করা, কোমর থেকে রুকু করা, মাটিতে মাথা নত করা এবং আপনার সামনে বসে থাকা এবং আপনার প্রশংসা করা এবং আপনাকে স্বীকৃতি দিন। একমাত্র, এবং আমাদের নম্রতা, এবং আমাদের সম্মান! হে আল্লাহ, আমাদের নামাজের ফাঁক পূরণ করুন, আমাদের কবুল করুন সঠিক কর্ম, আমাদের প্রার্থনার উত্তর দিন, জীবিতদের পাপ ক্ষমা করুন এবং মৃতের প্রতি রহম করুন, হে আমাদের প্রভু! হে আল্লাহ, হে পরম দয়ালু, আমাদেরকে সকল সমস্যা ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন।
হে আল্লাহ, আপনার করুণা ও উদারতা অনুসারে আমাদের ফরজ ও সুন্নাহ, আমাদের সকল বাদ দিয়ে দোয়া কবুল করুন, কিন্তু আমাদের প্রার্থনা আমাদের মুখে নিক্ষেপ করবেন না, হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা, হে সর্বোত্তম সাহায্যকারী! আমরা যেন মুসলিম হিসেবে বিশ্রাম নিতে পারি এবং আমাদেরকে ধার্মিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ, তাঁর আত্মীয়স্বজন এবং তাঁর সমস্ত সাহাবীদের প্রতি তাঁর সৃষ্টির সর্বোত্তম বরকত দান করুন।”

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-ক্যা মিন আল-বুখলি, ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন আল-জুবনি, ওয়া আউজু বি-ক্যা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরজালি-ল-দি ওয়া আউজু বি- কেয়া মিন ফিতনাতি-দ-দুনিয়া ওয়া আযাবি-ল-কবরী।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমি কৃপণতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, কাপুরুষতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, এবং অসহায় বার্ধক্য থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি এবং দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি।"

اللهُمَّ اغْفِرْ ليِ ذَنْبِي كُلَّهُ, دِقَّهُ و جِلَّهُ, وَأَوَّلَهُ وَاَخِرَهُ وَعَلاَ نِيَتَهُ وَسِرَّهُ

"আল্লাহুম্মা-গফির লি জানবি কুল্লা-হু, দিক্কা-হু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আভালিয়া-হু ওয়া আহিরা-হু, ওয়া 'আলানিয়াতা-হু ওয়া সিরা-হু!"

অর্থহে আল্লাহ, আমার ছোট-বড়, প্রথম ও শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন সব গুনাহ মাফ করে দাও!

اللهُمَّ اِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ, وَبِمُعَا فَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَاُحْصِي ثَنَا ءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِك

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-রিদা-ক্যা মিন সাহাতি-ক্যা ওয়া বি-মুআফাতি-ক্যা মিন 'উকুবাতি-ক্যা ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন-কেয়া, লা উহসি সানান আলাই-কেয়া আনতা কেয়া- মা আসনাইতা আলা নফসি-ক্যা।

অর্থহে আল্লাহ, আমি তোমার ক্রোধ থেকে তোমার অনুগ্রহে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি! আপনি যে সমস্ত প্রশংসার যোগ্য তা আমি গণনা করতে পারি না, কারণ শুধুমাত্র আপনিই যথেষ্ট পরিমাণে আপনার নিজের কাছেই দিয়েছেন।

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْلَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

"হাদীতান ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকারখমানান ইন্নাকা ইন্তেল-ওয়াহাব থেকে রাব্বানা লা তুজিগ কুলুবানা বাদা।"যিনা মিন কাবলিনা, রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মাল্যা তাকাতালানা বিখী ওয়া’ফু’আন্না উগফিরিলিয়ানা ওয়ারহামনা, আন্তে মাওলানা ফানসুরনা ‘আলাল কাউমিল কাফিরিন।

অর্থ: "আমাদের প্রভু! আমরা ভুলে গেলে বা ভুল করলে আমাদের শাস্তি দিও না। আমাদের প্রভু! আমাদের উপর সেই ভার অর্পণ করো না, যা তুমি পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর অর্পণ করেছিলে। আমাদের প্রভু! আমরা যা করতে পারি না তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না। দয়া করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন, আপনি আমাদের শাসক। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।"

পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, শান্তি ও বরকত বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁর সকল সাহাবীদের উপর!

এই ইস্যুতে আসলে মতভেদ আছে, এবং উপায় দ্বারা গ্রহণযোগ্য মতপার্থক্য।

"প্রার্থনা শেষে" (দুবুর আল-সালা) যে হাদিসগুলো দোয়া করার কথা বলে, এই শব্দগুলোর বোঝার ব্যাপারে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে আমরা সালামের পূর্বের সময়টির কথা বলছি, যখন একজন ব্যক্তি তাশাহহুদে বসে আল্লাহকে ডাকেন এবং এই মতামতটি শাইখ-উল-ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বেছে নিয়েছিলেন। যাইহোক, ফতহুল-বারীতে হাফিজ ইবনে হাজার বলেছেন যে শাইখ-উল-ইসলাম এই বিষয়ে ভুল করেছেন এবং "নামাযের সমাপ্তি" হল সালামের পরে।

এবং শাইখ-ইসলামকে শেখ ইবনে উসাইমিন তার মতে অনুসরণ করেছেন, বলেছেন যে নামাজের পরে সালাত (দুআ) থেকে যা এসেছে তা সালামের আগে তাশাহহুদ সম্পর্কে। আর আল্লাহর স্মরণ (জিকর) শব্দ থেকে যা এসেছে, আমরা সালামের পর আল্লাহকে স্মরণ করার কথা বলছি।

তাদের যুক্তি নিম্নরূপ:
ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যখন প্রতি দুই রাকাতের পর বসবে, তখন সে যেন “আত-তাহিয়্যাত” বলে, তারপর সে তার সবচেয়ে পছন্দের সালাত বেছে নিতে পারে!”আহমাদ 1/437, আন-নাসায়ী 1/174। হাদীসটি সহীহ। দেখুন “আল-সিলসিলা আল-সহীহা” নং ৮৭৮।

মহান আল্লাহ বলেন: "যখন তুমি তোমার নামায শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে।"(আন-নিসা 4:103)।

এই মতামত অবশ্যই খুব শক্তিশালী, কিন্তু দ্ব্যর্থহীন নয়, যেহেতু অনেক দোয়া আছে যেগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের পর বলেছেন!!!

উদাহরণস্বরূপ, সাউবান বলেছেন: “নামাজ শেষ করার পর, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা তিনবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং তারপর বলতেন: "হে আল্লাহ, আপনি শান্তি এবং আপনার কাছ থেকে শান্তি আসে, আপনি ধন্য, হে মহত্ত্ব ও উদারতার অধিকারী!"” মুসলিম ৫৯১।

আল-মুগীরা ইবনে শুবা বলেছেন: “নামায পড়া শেষ করে এবং তাসলীম বলার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, যার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, এবং প্রশংসা তাঁরই, এবং তিনি সব কিছু করতে পারেন! হে আল্লাহ, আপনি যা দিয়েছেন তা কেউ বঞ্চিত করবে না এবং আপনি যা বঞ্চিত করেছেন তা কেউ দেবে না এবং যার সম্পদ আছে তার সম্পদ আপনার সামনে অকেজো হয়ে যাবে।আল-বুখারী 844, মুসলিম 593।

আল-বারা ইবনে আজিব বলেছেন: “আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে নামায পড়তাম, তখন আমরা তাঁর ডানদিকে থাকতে পছন্দ করতাম, যাতে নামাযের পর তিনি প্রথমে আমাদের দিকে ফিরে আসেন। এবং আমি তাকে বলতে শুনেছি: "হে আমার প্রভু, আমাকে তোমার শাস্তি থেকে রক্ষা করো যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে।"” মুসলিম 709।

/রাব্বি, কিনি ‘আজাবাক ইয়াউমা তাব’আসু (তাজমা’উ) ‘ইবাদক/।

এ সব কি দুআ নয় এবং এ সবই কি সালামের পর নয়?!

পূর্ণ হওয়ার পর উম্মে সালামা রা সকালের প্রার্থনা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, একটি উত্তম নিয়ত এবং এমন একটি আমল চাই যা কবুল হবে!" আহমাদ 6/305, ইবন মাজাহ 925, ইবন আল-সুন্নি 54. শেখ আল-আলবানী হাদীসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আয়েশা বললেন: “এমন কোন বিষয় ছিল না যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বৈঠকে, কুরআন পাঠ করার সময় বা সালাত আদায় করার সময় এই শব্দের পরে বলেননি: “তুমি পবিত্র, হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসা হোক। তুমি ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে আমার তওবা করছি।"আহমাদ 6/77, আন-নাসায়ী “‘আমালিউল-ইয়াউমি ওয়া লায়লা” 273. হাফিজ ইবনে হাজার এবং শেখ আল-আলবানী হাদীসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দেখুন "আল-নুকত আলা ইবনে আল-সালিয়াহ" 2/733, "আল-সিলসিল্যা আস-সহিহা" 3164।

/সুবহানাকা-লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আস্তাগফিরুকা উয়া আতুবু ইলিক/।

যাইহোক, এই হাদিসটি কোরান পড়ার পরে সুন্নাহ দ্বারা বৈধ, আল্লাহর স্মরণের কিছু শব্দের উচ্চারণের জন্য একটি যুক্তি রয়েছে! ইমাম আন-নাসায়ী অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন যেটিতে তিনি এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন এভাবে: "কোরান পাঠ শেষ করা উচিত কিভাবে?"

কুরআন পড়ার পর ক্রমাগত “সদকা-ল্লাহুল-আযিম” বলার চেয়ে সুন্নাতে যা এসেছে তা গ্রহণ করা কি উত্তম নয়, যার ইসলামে কোনো ভিত্তি নেই এবং যাকে অনেক আলেম বিংশ শতাব্দীর বিদআত বলেছেন?!

সালাফগণ সত্য বলেছেন: "মানুষ বিদআত করলে সুন্নাত হারাবে!"

আলী ইবনে আবি তালিব থেকে বর্ণিত: “রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাতের পর সালাম দিলেন, তখন তিনি বললেন: “হে আল্লাহ, আমি আগে যা করেছি এবং যা এখনও করিনি, যা গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি, তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন। আমি কি সীমানা অতিক্রম করেছি। আপনিই একজন যিনি সামনের দিকে ঠেলে দেন এবং আপনিই যিনি পিছনে ঠেলে দেন!” "আত-তিরমিযী 3421, আবু দাউদ 760। ইমাম আত-তিরমিযী এবং শেখ আল-আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

/ আল্লাহুম্মা-গফিরলি মা কদ্দামতু, উয়া মা আখহার্তু, উয়া মা আসরার্তু, উয়া মা আ’লিয়ান্তু, উয়া মা আসরাফতু ওয়া মা আনতা আ’লামু বিহি মিন্নি। আন্তাল-মুআদ্দিম ওয়া আন্তাল-মুআখখির/

কিন্তু ইমাম মুসলিমের এই হাদীসের সংস্করণে বলা হয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশাহহুদে তাসলীমের আগে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করেছেন, তাই এগুলো আগে ও পরে উচ্চারণ করা যেতে পারে। এবং এটি শুধুমাত্র একটি ছোট অংশ যা নির্ভরযোগ্যভাবে হাদিস থেকে এসেছে, যা নামাজের পরে প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার বৈধতা নির্দেশ করে।

উল্লেখ্য যে, শাইখ ইবনুল কাইম "জাদুল-মাদ" গ্রন্থে বলেছেন: “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযের পর কাবার দিকে বসে দুআ করতেন এমনটি সুন্নাতে দেখা যায় নি।

সম্ভবত এই কথাগুলো থেকেই কিছু ভাই বুঝতে পেরেছিলেন যে, নামাজের পর দোয়া করে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া সুন্নাত নয়। যাইহোক, ইবনুল কাইম মানে কাবার দিকে সালাম করার পর বসে থাকা, পিছনে না ঘুরে এবং ঠিক এই অবস্থানে সালাত আদায় করা। দেখুন “তাহকীক নাইলুল-আওতার” ৪/৪৩৪। এছাড়াও দেখুন “তাসকিহ আদ-দুআ” 43-434, শেখ বকর আবু যায়েদ।

এবং উপসংহারে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজগতের পালনকর্তা!

"আস্তাগফিরু-লাহা (তিনবার)। আল-লাহুম্মা, আনতা-স-সালামু ওয়া মিন-কেয়া-স-সালামু, তাবারাকতা, ইয়া জা-ল-জালিয়ালি ওয়া-ল-ইকরামি!"

أَسْـتَغْفِرُ الله . (ثَلاثاً) اللّهُـمَّ أَنْـتَ السَّلامُ ، وَمِـنْكَ السَّلام ، تَبارَكْتَ يا ذا الجَـلالِ وَالإِكْـرام

অনুবাদ:"আমি আল্লাহর কাছে (তিনবার) প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ, তুমি শান্তি ("সালাম" আল্লাহর নামের একটি, যে কোনো ত্রুটি থেকে মুক্তি (সালাম) নির্দেশ করে।) এবং তোমার কাছ থেকে শান্তি (অর্থাৎ: তুমিই মুক্তি দাও) যেকোন সমস্যা থেকে এবং অ-), আপনি ধন্য, হে মহত্ত্বের অধিকারী এবং সম্মানিত!

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদা-হু লা শারিকা লা-হু, লা-হু-ল-মুলকু ওয়া লা-হু-ল-হামদু ওয়া হুয়া" আলা বাই শায়ীন কাদি-রান! আল্লাহুম্মা, লা মানি'আ লি-মা আ'তায়তা, ওয়া লা মু'ত্যা লি-মা মানা"-তা ওয়া লা ইয়ান-ফা'উ জাল-জাদ্দি মিন-কেয়া-ল-জাদ্দু।"

إلهَ إلاّ اللّهُ وحدَهُ لا شريكَ لهُ، لهُ المُـلْكُ ولهُ الحَمْد، وهوَ على كلّ شَيءٍ قَدير، اللّهُـمَّ لا مانِعَ لِما أَعْطَـيْت، وَلا مُعْطِـيَ لِما مَنَـعْت، وَلا يَنْفَـعُ ذا الجَـدِّ مِنْـكَ الجَـد

অনুবাদ:"একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যার কোন শরীক নেই। সার্বভৌমত্ব তাঁরই, তাঁরই প্রশংসা। তিনি সবকিছু করতে পারেন! হে আল্লাহ, আপনি যা দিয়েছেন তা কেউ বঞ্চিত করবে না এবং আপনি যা বঞ্চিত করেছেন তা কেউ দেবে না। , এবং আপনার কাছে যার ক্ষমতা আছে তার ক্ষমতা পাওয়ার আগে অকেজো।"

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদা-হু লা শারিকা লা-হু, লা-হু-ল-মুলকু, ওয়া লা-হু-ল-হামদু ওয়া হুয়া" আলা বাই শায়ীন কাদি-রান! লা হাওলা ওয়া লা কুবওয়াতা ইল্লা বি-ল্লাহি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা না "আমি ইলিয়া ইয়্যা-হু করব! লা-হু-ন-নি" মাতু, ওয়া লা-হু-ল-ফাদলিউ ওয়া লা-হু-স- সানউ-এল-হাসান! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসিনা লা-হু-দ-দিনা ওয়া লিউ করিখা-ল-কাফিরুনা।"

لا إلهَ إلاّ اللّه, وحدَهُ لا شريكَ لهُ، لهُ الملكُ ولهُ الحَمد، وهوَ على كلّ شيءٍ قدير، لا حَـوْلَ وَلا قـوَّةَ إِلاّ بِاللهِ، لا إلهَ إلاّ اللّـه، وَلا نَعْـبُـدُ إِلاّ إيّـاه, لَهُ النِّعْـمَةُ وَلَهُ الفَضْل وَلَهُ الثَّـناءُ الحَـسَن، لا إلهَ إلاّ اللّهُ مخْلِصـينَ لَـهُ الدِّينَ وَلَوْ كَـرِهَ الكـافِرون

অনুবাদ: "একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, যার কোন শরীক নেই। কর্তৃত্ব তাঁর, প্রশংসা তাঁরই, তিনি সবকিছু করতে পারেন! আল্লাহ ছাড়া কারো শক্তি ও শক্তি নেই, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করি না! তিনি সুবিধা প্রদান করেন, তাঁর গুণাবলী রয়েছে (অর্থাৎ সর্বোচ্চ, পরম গুণাবলী বা গুণাবলী।), এবং তিনি প্রশংসার যোগ্য! আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমরা তাঁর সামনে দ্বীনের ব্যাপারে আন্তরিক, যদিও কাফেররা তা পছন্দ না করে।"

"সুবহানা ল্লাহি, ওয়া-ল-হামদু লি-লি-লি-লি-লি-লি-লি-লি-য়াহি ওয়া আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইলিয়া আল্লাহ ওয়াহদা-হু লা শারিকা লা-হু, লা-হু-ল-মুলকু ওয়া লা-হু-ল-হামদু ওয়া হুয়া" আলা কুল- লি শায়িন কাদিরুন!"

سُـبْحانَ اللهِ، والحَمْـدُ لله ، واللهُ أكْـبَر . (ثلاثاً وثلاثين) لا إلهَ إلاّ اللّهُ وَحْـدَهُ لا شريكَ لهُ، لهُ الملكُ ولهُ الحَمْد، وهُوَ على كُلّ شَيءٍ قَـدير

অনুবাদ:“আল্লাহর মহিমা, আল্লাহর প্রশংসা, আল্লাহ মহান (এই বাক্যগুলির প্রতিটি তেত্রিশ বার পুনরাবৃত্তি করা উচিত), একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, যার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসা তাঁরই। সবকিছু করতে পারে!"

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

"বলুন: "তিনি আল্লাহ - এক, আল্লাহ চিরস্থায়ী, তিনি জন্ম দেননি এবং জন্মগ্রহণ করেননি এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না।"("আন্তরিকতা", 1 - 4।)

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

"বলুন: "আমি ভোরের প্রভুর কাছে আশ্রয় চাই তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা ঢেকে যায়, যারা গিঁটে ফুঁ দেয় তাদের অনিষ্ট থেকে (আমরা ডাইনিদের কথা বলছি। .) হিংসুকদের হিংসার অনিষ্ট থেকে।"("ভোর", 1 - 5।)

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ إِلَٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

"বলুন: আমি মানুষের প্রভুর কাছে আশ্রয় চাই, মানুষের রাজা, মানুষের ঈশ্বর, প্রলুব্ধকারীর অনিষ্ট থেকে, যে অদৃশ্য হয়ে যায়, (আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হলে অদৃশ্য হয়ে যায়।) যে মানুষের অন্তরকে প্রলুব্ধ করে, থেকে জিন ও মানুষের মধ্যে।"("লোক", 1 - 6।)

প্রত্যেক নামাযের পর নিম্নোক্ত আয়াতটি ("আয়াত আল-কুরসি") পড়তে হবে:

اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

"আল্লাহ - তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, চিরস্থায়ী; তন্দ্রা বা নিদ্রা তাকে গ্রাস করে না, যা কিছু নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে আছে তা তাঁরই। যিনি তাঁর কাছে সুপারিশ করবেন, তাঁর ছাড়া। অনুমতি? তিনি জানেন কি তাদের আগে ছিল এবং তাদের পরে কি হবে, এবং তারা তার জ্ঞান থেকে কেবল তিনি যা চান তা বুঝতে পারে। নিশ্চয়ই তিনি উচ্চ, মহান"("গরু", 255।)

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদা-হু লা শারিকা লা-হু, লা-হু-ল-মুলকু ওয়া লা-হু-ল-হামদু ইউখ্যি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল-লি শায়ীন কাদিরুন।"

অনুবাদ:"একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, যার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসা তাঁরই। তিনি জীবন দেন, তিনি হত্যা করেন এবং তিনি সবকিছু করতে পারেন।"(এই শব্দগুলি সকাল এবং সূর্যাস্তের নামাজের পরে দশবার পুনরাবৃত্তি করা উচিত)।

"আল্লাহুম্মা, ইন্নি আস" আলু-ক্যা "ইলমান নাফি"আন, ওয়া রিজকান তাইয়িবান ওয়া "আমালয়ান মুতাকাব্বালিয়ান।"

اللّهُـمَّ إِنِّـي أَسْأَلُـكَ عِلْمـاً نافِعـاً وَرِزْقـاً طَيِّـباً ، وَعَمَـلاً مُتَقَـبَّلاً

অনুবাদ:"হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী, ভালো ভাগ্য এবং কবুল করা আমল সম্পর্কে আপনার কাছে জ্ঞান চাই।"(সকালের নামাজ শেষে সালাম বলার পর এই শব্দগুলো বলতে হবে)।

পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, শান্তি ও বরকত বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁর সকল সাহাবীদের উপর!

যে হাদিসগুলোতে "নামাজ শেষে" (দুবুর আস-সালা) দোয়া করার কথা বলা হয়েছে, এই শব্দগুলোর বোঝার ব্যাপারে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে আমরা সালামের পূর্বের সময়টির কথা বলছি, যখন একজন ব্যক্তি তাশাহহুদে বসে আল্লাহকে ডাকেন এবং এই মতামতটি শাইখ-উল-ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বেছে নিয়েছিলেন। যাইহোক, ফতহুল-বারীতে হাফিজ ইবনে হাজার বলেছেন যে শাইখ-উল-ইসলাম এই বিষয়ে ভুল করেছেন এবং "নামাযের সমাপ্তি" হল সালামের পরে।
এবং শাইখ-ইসলামকে শেখ ইবনে উসাইমিন তার মতে অনুসরণ করেছেন, বলেছেন যে নামাজের পরে সালাত (দুআ) থেকে যা এসেছে তা সালামের আগে তাশাহহুদ সম্পর্কে। আর আল্লাহর স্মরণ (জিকর) শব্দ থেকে যা এসেছে, আমরা সালামের পর আল্লাহকে স্মরণ করার কথা বলছি।
তাদের যুক্তি নিম্নরূপ:
থেকে ইবনে মাসউদ রা বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “ যখন তোমাদের কেউ প্রতি দুই রাকাতের পর বসবে, তখন সে যেন "আত-তাহিয়্যাত" বলে, তারপর সে তার সবচেয়ে পছন্দের সালাত বেছে নিতে পারে!আহমাদ 1/437, আন-নাসায়ী 1/174। হাদীসটি সহীহ। দেখুন “আল-সিলসিলা আল-সহীহা” নং ৮৭৮।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন: " যখন তুমি তোমার নামায শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে!”(আন-নিসা 4:103)।
এই মতামত অবশ্যই খুব শক্তিশালী, কিন্তু দ্ব্যর্থহীন নয়, যেহেতু অনেক দোয়া আছে যেগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের পর বলেছেন!!!
উদাহরণস্বরূপ, সাউবান বলেছেন: " নামায পড়া শেষ করার পর, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা তিনবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং তারপর বলতেন: “হে আল্লাহ, আপনি শান্তি এবং আপনার কাছ থেকে শান্তি, আপনি বরকতময়, হে মালিক! মহত্ত্ব এবং উদারতা!"মুসলিম ৫৯১।
আল-মুগীরা ইবনে শুবা বলেছেন: “নামায পড়া শেষ করে এবং তাসলীম বলার পর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, যার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, এবং প্রশংসা তাঁরই, এবং তিনি সব কিছু করতে পারেন! হে আল্লাহ, আপনি যা দিয়েছেন তা কেউ বঞ্চিত করবে না এবং আপনি যা বঞ্চিত করেছেন তা কেউ দেবে না এবং যার সম্পদ আছে তার সম্পদ আপনার সামনে অকেজো হয়ে যাবে।" আল-বুখারী 844, মুসলিম 593।
আল-বারা ইবনে আজিব বলেছেন: " আমরা যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে নামায পড়তাম, তখন আমরা তাঁর ডানদিকে থাকতে পছন্দ করতাম, যাতে নামাযের পর তিনি প্রথমে আমাদের দিকে ফিরে আসেন। এবং আমি তাকে বলতে শুনেছি: "হে আমার প্রভু, আমাকে আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা করুন যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে উঠাবেন (বা: জড়ো করবেন)!»» মুসলিম 709। /রাব্বি, কিনি ‘আজাবাক ইয়াউমা তাব’আসু (তাজমা’উ) ‘ইবাদক/।
এ সব কি দুআ নয় এবং এ সবই কি সালামের পর নয়?!
উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, সকালের নামায শেষ করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, একটি উত্তম নিয়ত এবং এমন একটি আমল চাই যা কবুল হবে!"আহমাদ 6/305, ইবন মাজাহ 925, ইবন আল-সুন্নি 54. শেখ আল-আলবানী হাদীসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আয়েশাবলেছেন: " এমন কোন বিষয় ছিল না যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সভায়, কুরআন পাঠ বা সালাত আদায় করার সময় এই শব্দের পরে বলেননি: “ হে আল্লাহ তুমি পবিত্র এবং তোমার প্রশংসা। তুমি ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে আমার তওবা প্রার্থনা করছি»” . আহমাদ 6/77, আন-নাসায়ী “‘আমালিউল-ইয়াউমি ওয়া লায়লা” 273. হাফিজ ইবনে হাজার এবং শেখ আল-আলবানী হাদীসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দেখুন "আল-নুকত আলা ইবনে আল-সালিয়াহ" 2/733, "আল-সিলসিল্যা আস-সহিহা" 3164। /সুবহানাকা-লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আস্তাগফিরুকা উয়া আতুবু ইলিক/।
যাইহোক, এই হাদিসটি কোরান পড়ার পরে সুন্নাহ দ্বারা বৈধ, আল্লাহর স্মরণের কিছু শব্দের উচ্চারণের জন্য একটি যুক্তি রয়েছে! ইমাম আন-নাসায়ী অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন যেটিতে তিনি এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন এভাবে: "কোরান পাঠ শেষ করা উচিত কিভাবে?"
কুরআন পড়ার পর ক্রমাগত “সদকা-ল্লাহুল-আযিম” বলার চেয়ে সুন্নাতে যা এসেছে তা গ্রহণ করা কি উত্তম নয়, যার ইসলামে কোনো ভিত্তি নেই এবং যাকে অনেক আলেম বিংশ শতাব্দীর বিদআত বলেছেন?!
সালাফগণ সত্য বলেছেন : “মানুষ বিদআত করলে সুন্নাত হারাবে!»
আলী ইবনে আবি তালিব থেকে বর্ণিত হয়েছে: " নামাযের পর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম দিলেন, তখন তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ, আমি আগে যা করেছি এবং যা এখনও করিনি, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি, যা আমি সীমালঙ্ঘন করেছি এবং যা আপনি আমার চেয়ে ভাল জানেন তা আমাকে ক্ষমা করুন! আপনিই একজন যিনি এগিয়ে যান এবং আপনিই যিনি পিছনে ঠেলে দেন! » আত-তিরমিযী 3421, আবু দাউদ 760। ইমাম আত-তিরমিযী এবং শেখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। / আল্লাহুম্মা-গফিরলি মা কদ্দামতু, উয়া মা আখহার্তু, উয়া মা আসরার্তু, উয়া মা আ’লিয়ান্তু, উয়া মা আসরাফতু ওয়া মা আনতা আ’লামু বিহি মিন্নি। আন্তাল-মুআদ্দিম ওয়া আন্তাল-মুআখখির/
কিন্তু ইমাম মুসলিমের এই হাদীসের সংস্করণে বলা হয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশাহহুদে তাসলীমের আগে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করেছেন, তাই এগুলো আগে ও পরে উচ্চারণ করা যেতে পারে।
এবং এটি শুধুমাত্র একটি ছোট অংশ যা নির্ভরযোগ্যভাবে হাদিস থেকে এসেছে, যা নামাজের পরে প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার বৈধতা নির্দেশ করে।
এটা উল্লেখ করা উচিত যে শেখ ইবনুল কাইম রহ "জাদুল-মাআদ"-এ তিনি বলেছেন: " নামাযের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার দিকে বসে দুআ করতেন এমনটি সুন্নাতে দেখা যায় নি।
সম্ভবত এই কথাগুলো থেকে কিছু ভাই বুঝতে পেরেছিলেন যে, নামাজের পর দোয়া করে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া সুন্নাত নয়। যাইহোক, ইবনুল কাইম মানে কাবার দিকে সালাম করার পর বসে থাকা, ঘুরে না গিয়ে এবং ঠিক এই অবস্থানে সালাত আদায় করা। দেখুন “তাহকীক নাইলুল-আওতার” ৪/৪৩৪। আরও দেখুন “তাসকিহ আদ-দুআ” 43-434, শেখ বকর আবু যায়েদ।