ইসলামিক স্বপ্নের বই পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ গরু অনুযায়ী স্বপ্নের ব্যাখ্যা। কুরআনে স্বপ্ন কি? এটা কি আপনার স্বপ্ন বলা সম্ভব?

সমস্ত জাতি তাদের নিজস্ব যাদুকরী সরঞ্জাম তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে কিছু ধর্মীয় ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে। চলুন আলোচনা করা যাক ইচ্ছা পূরণের দুআ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। সবাই এটা পড়তে পারে? এটা কি সাহায্য করে? অর্থোডক্স ইসলাম? ইচ্ছা পূরণের জন্য দুআ মুসলিম বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে, অন্য ধর্মের প্রতিনিধিরা কি এটি প্রয়োগ করতে পারে?

ইচ্ছা পূরণের জন্য দুআ কি?

প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি বিশেষ প্রার্থনার নাম যা একজন মুমিন আল্লাহকে সম্বোধন করে। ইচ্ছা পূরণের দুআ কোরানে লেখা আছে। একে সংক্ষেপে সালাওয়াত বলা হয়। এটা অবশ্য কারো জন্য পড়া হারাম নয়, যে কোন নামাযের মত। কিন্তু ধর্মের দ্বারাই নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যার দিকে ঝুঁকছে তার উপর পবিত্র বইমুসলমানদের ঐতিহ্য অনুসারে, আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন যারা তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত। অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে অনেক বেশি আনুগত্য ও সম্মান রয়েছে। যখন ইচ্ছা পূরণের জন্য একটি দুআ পাঠ করা হয়, তখন আপনার ইচ্ছাকে "নির্দেশ" করা অগ্রহণযোগ্য উচ্চ ক্ষমতা. ইসলামে প্রার্থনা সর্বশক্তিমানের কাছে রহমতের জন্য বিনীত অনুরোধ। এটি অন্যান্য ধর্মের থেকে আলাদা। শৈশব থেকে, মুসলমানরা একটি ভিন্ন বিশ্বদর্শন দৃষ্টান্তে বড় হয়। পৃথিবীতে সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী হয়, তারা বিশ্বাস করে। এবং তার সিদ্ধান্ত কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করা উচিত। একজন মানুষ যা চায়, সে কেবল তা পাবে যা সর্বশক্তিমান তাকে দেয়। অতএব, ঘটনাগুলির পূর্বনির্ধারণের অর্থে দুআ উচ্চারণ করা হয়। একজন বিশ্বাসী প্রতিবাদ করতে পারে না, (মানসিকভাবে) জোর দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল. এটি দুআ এবং খ্রিস্টান প্রার্থনার মধ্যে দার্শনিক পার্থক্য।

পাঠ্য

অনেক লোক একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীন হয় যখন তারা একটি মুসলিম উপায়ে বানান করতে চায়। আসল কথা হলো, দুআ অবশ্যই লেখার ভাষায় অর্থাৎ আরবীতে পড়তে হবে। নইলে কোনো কাজ হবে না। বিশ্বাসীরা এই ভাষা আয়ত্ত করে, সঠিকভাবে পড়তে এবং শব্দের অর্থ বুঝতে শিখে। একজন সাধারণ মানুষের এমন দক্ষতা নেই। কি করো? আপনি, অবশ্যই, সিরিলিক ভাষায় লেখা প্রার্থনা পড়তে পারেন। এটি নিম্নরূপ: "ইনা লিল-লিয়াহিহি ওয়া ইনা ইলিয়াহি রাদজিয়ুন, আল্লাহুম্মা ইন্দায়াক্য আহ্তাসিবু মুসিবাতি ফাজুরনি ফীহে, ওয়া আবদিলনি বিহী হেয়ারান মিনহে।" একটা জিনিস খারাপ, তুমি কিছুই বুঝবে না। তাই অনুবাদের বিষয়টিও মাথায় রাখা বাঞ্ছনীয়। এটি নিম্নরূপ: “আমি সত্যিই বিশ্বজগতের একমাত্র প্রভু-আল্লাহর প্রশংসা করছি। আমি আপনার ক্ষমার কার্যকারিতা আমার কাছাকাছি আনতে, পরম করুণাময়, আপনাকে জিজ্ঞাসা করি। পাপ থেকে রক্ষা করুন, ন্যায়ের পথে পরিচালিত করুন। দয়া করে, আমাকে ভুলগুলি দেখান যাতে আমি আপনার অনুগ্রহে সেগুলি এড়াতে পারি। সমস্ত পাপ, চাহিদা এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি পান। জীবনে এমন কিছু না হোক যা আপনি আমার জন্য সঠিক মনে করেন না, পরম করুণাময় আল্লাহ!” এটা খুব শক্তিশালী দুআএকটি ইচ্ছা পূরণ করতে।

সমস্ত সম্ভাবনা আপনার আত্মায় আছে

এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার শুধুমাত্র তখনই প্রার্থনা করা উচিত যখন আপনি সম্পূর্ণরূপে মুসলিম বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেবেন। কৌশল এখানে সাহায্য করবে না. যেহেতু তারা আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তারা তাদের ভাগ্য ও ভবিষ্যত ঘটনাবলী সম্পর্কে তাঁর যেকোনো সিদ্ধান্তের সাথে একমত। কিন্তু ফলাফলের নিশ্চয়তা কেউ দেয় না। যে কোন মুসলমানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন। একজন বিশ্বাসী প্রশ্নটি বুঝতেও পারেন না। তাঁর দৃষ্টিতে, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছাকে প্রতিহত করার অধিকার একক ব্যক্তির নেই। অর্থাৎ, আপনি আপনার আত্মাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে আপনি এই প্রশ্নের সাথে একমত কিনা? যদি হ্যাঁ, তাহলে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি পড়ুন। তারা শুধুমাত্র অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের জন্য প্রযোজ্য।

কিভাবে দুআ ব্যবহার করবেন

ইসলামে ইচ্ছা পূরণের জন্য, আরবীতে প্রার্থনা করার প্রথা এখনও রয়েছে। এবং একটি নিয়মও রয়েছে: বংশের বয়স্ক সদস্যরা ছোটদের সাহায্য করে। সাধারণভাবে, মুসলমানরা মহান সমষ্টিবাদী। সম্প্রদায় দ্বারা পড়া দুআ দ্রুত এবং ভাল কাজ করে। যাই হোক না কেন, তারা অসুস্থদের জন্য এভাবেই প্রার্থনা করে। আর ক্ষয়ক্ষতি দূর করতে সারা এলাকার বয়স্ক মহিলারা ভিড় জমান। রাতে তারা ভুক্তভোগীর উপর সূরা পাঠ করে। অতএব, নিজেকে একজন মুসলিম শিক্ষক খুঁজে বের করার সুপারিশ করা হয়। প্রথমত, যোগাযোগের প্রক্রিয়ায়, এই ধর্মের দর্শনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়ত, এই ব্যক্তি আপনাকে সঠিকভাবে কথা বলতে সাহায্য করবে এবং কীভাবে এবং কী করতে হবে তা আপনাকে বলবে। প্রভাব অর্জনের জন্য একা বর্ণনা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া দোয়াটি লিখে রাখতে হবে। ইসলামে তাত্পর্যপূর্ণআরবি শব্দের সাথে সংযুক্ত। সূরাগুলি স্মৃতিচিহ্নগুলিতে চিত্রিত করা হয়েছে এবং দামী কাপড়ে লেখা হয়েছে। একটি কিনে বাড়িতে ঝুলিয়ে রাখলে তা তাবিজ বা তাবিজ হিসেবে কাজ করবে।

ইচ্ছা পূরণের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী দুআ

আপনি একজন ব্যক্তিকে যতই দেন না কেন, তা তার জন্য যথেষ্ট নয়। লোকেরা ভাবছে কীভাবে প্রার্থনা করবেন যাতে তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়। কোরানে অনেক সূরা আছে। ক্রমানুসারে সবকিছু পড়ুন। প্রথমটি দিয়ে শুরু করুন। একে বলা হয় "সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা"। তারপর উপরের দুআটি দেখুন। এর পরে অগত্যা সূরা 112 এবং 113। তারা বাইরে থেকে আসা এবং ভিতরের মন্দ থেকে রক্ষা করে। যাইহোক, এই ধরনের অসুবিধা অবলম্বন করা মোটেই প্রয়োজনীয় নয়। যদি অন্তরে অন্ধ ও অকৃত্রিম বিশ্বাস থাকে তবে একটি দোয়াই যথেষ্ট। ফলাফল সম্পর্কে ভুলে যান, যেমন একটি শিশু করে। আপনার উদ্দেশ্য প্রকাশ করুন এবং আন্তরিক আনন্দের সাথে কী ঘটবে তার জন্য অপেক্ষা করুন। ইমামগণ বলেন এভাবেই সব স্বপ্ন সত্যি হয়। এটা পড়া সূরা সংখ্যা সম্পর্কে নয়, কিন্তু সর্বশক্তিমান বিশ্বাস সম্পর্কে.

উপসংহার

ইচ্ছার ব্যাপারে কোন নিয়ম আছে কিনা তা আমরা স্পর্শ করিনি। প্রকৃতপক্ষে, মুসলমানরা সর্বশক্তিমানের কাছে একই জিনিস চায় যা অন্যান্য ধর্মের প্রতিনিধিরা চেষ্টা করে। আমাদের সকলের উন্নতি, সমৃদ্ধি, সুখ দরকার। পৃথিবীর প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে মূল্যবান সাধারণ জিনিসগুলির জন্য জিজ্ঞাসা করা যুক্তিযুক্ত। তবে নির্দিষ্ট বস্তুগত আকাঙ্ক্ষাগুলি নিজেই উপলব্ধি করা ভাল। আপনি যদি একটি নতুন গ্যাজেট চান, অর্থ উপার্জন করুন এবং এটি কিনুন। এত তুচ্ছ জিনিস নিয়ে কেন আল্লাহর দিকে ফিরে? তুমি কিভাবে চিন্তা করলে?

মৃত্যুর থিম যে কোনো ধর্মের মূল বিষয়গুলির মধ্যে একটি। এবং এটি আশ্চর্যজনক নয়, কারণ এটি অবিকল অনন্ত জগতের অনিবার্য প্রস্থান সম্পর্কে চিন্তাভাবনা যা মূলত পার্থিব জীবনে বিশ্বাসীদের আচরণ নির্ধারণ করে।

ইসলামে মহান মনোযোগমৃত্যুর পরে একজন ব্যক্তি যাতে আরও ভালো ভাগ্য পান তা নিশ্চিত করার জন্য যত্ন নেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন, একটি নিয়ম হিসাবে, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে ইডেন গার্ডেনে রাখার জন্য এবং তার পাপ ক্ষমা করার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করে। বিভিন্ন দুআ এই উদ্দেশ্যে কাজ করে, যার পাঠ্যগুলি নীচে দেওয়া হল। নিজেকে খুঁজে পাওয়া মৃতের পাশেএকজন ব্যক্তি হিসাবে, মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ হওয়ার মুহুর্তে, নিম্নলিখিত প্রার্থনার সাথে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

"আল্লাহুম্মাযগফির (মৃত ব্যক্তির নাম বলুন) উয়ারফিয়াগ দিয়ারাজাতাহু ফিল-মাদিয়্যিন্যা উহলুফহু ফী আ’কিবিখি ফিল-গাবিরিনিয়া উগফিরিল্যানিয়া ওয়া লিয়াহু ইয়া রাব্বিয়াল আলামীন। ওয়াফসি লিয়াহু ফিহ কবরীখী উয়া নাউইর লিয়াহু ফিহ"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ! দুঃখিত (মৃত ব্যক্তির নাম), সঠিক পথে পরিচালিতদের মধ্যে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন, যারা তার পরে থাকবে তাদের জন্য তার উত্তরাধিকারী হয়ে উঠুন, আমাদের এবং তাকে ক্ষমা করুন, হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক! আর তার কবর তার জন্য প্রশস্ত করে দাও এবং তার জন্য আলোকিত করে দাও!”

অনেক মুসলমান এই বাক্যাংশটি জানেন যা বলা উচিত, কারো মৃত্যুর খবর শুনে

إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ

ইন্নিয়া লিল্লাহি, ওয়া ইন্নিয়া ইল্যাহি রাজিগুন

নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব!

সরাসরি দাফনের পরনিম্নলিখিত শব্দগুলির সাথে সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

"আল্লাহুম্মা-গফির লাহুল্লাহুম্মা সাব্বিথু"

অর্থের অনুবাদ:"হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ, তাকে শক্তিশালী করুন!”গ্রেস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস, মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সাধারণত দাফন শেষে, নবী (সাঃ) কবরে কয়েক মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং তারপর সমবেত লোকদের সম্বোধন করতেন: “প্রার্থনা করুন (আপনার কাছে) সৃষ্টিকর্তা) আপনার ভাই (বোনের) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং (তাকে বা তাকে) শক্তিশালী করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, কারণ, এখন তাকে (তাকে) প্রশ্ন করা হচ্ছে" (আবু দাউদ এবং আল-বায়হাকি)। আরও, যারা অন্য জগতে চলে গেছে তাদের মনে পড়েভাই ও বোনেরা, মুসলমানেরা বিশেষ দুআ করেন- এগুলি পাঠ করা যেতে পারে মাতৃভাষা, এবং আরবিতে। এই ধরনের প্রার্থনার কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:

“আল্লাহুম্ম্যাগফির-ল্যাহু ওয়ারহ্যামহু উগাফিহি উয়াকফু আ'নহু ওয়া আকরিম নুজুল্ল্যাহু ওয়া ওয়াসি' মুদিয়ালাহু ওয়াগসিলহু বিল-ম্যা-ই ওয়াসসিলজি উয়াবিরাদি ওয়া নায়াক্কিহি মিনাল-হাতায়া কাম্যা ন্য্যাক্কায়্যাল-ন্যাখ্যাল-মিনাইয়ান্যাবইয়ান্যাব্ইয়ান্যাবদাইয়ান। দিয়ারিহি ওয়া আহলাল খাইরান মিন আখলিখি উয়াজইয়ান খাইরান মিন জিয়াউজিখি ওয়া-আদজিলখুল-জান্যাত্য উয়া আগিঞ্জু মিন আ'য্যাবিল-কাবরি ওয়া আ'য্যাবিন-নায়ার"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং তার প্রতি রহম করুন এবং তাকে উদ্ধার করুন এবং তাকে দয়া করুন। এবং তাকে দেখান ভাল স্বাগত, এবং তার প্রবেশদ্বার স্থান করুন(কবর মানে- প্রায়. ওয়েবসাইট )প্রশস্ত, এবং জল, তুষার এবং শিলাবৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন(অর্থাৎ, মৃত ব্যক্তিকে সব ধরনের অনুগ্রহ প্রদান করার জন্য একটি রূপক অনুরোধ প্রকাশ করা হয় এবং তাকে তার সমস্ত পাপ এবং বর্জনের জন্য ক্ষমা প্রদান করা হয় - প্রায়. ওয়েবসাইট )এবং তাকে গুনাহ থেকে পবিত্র কর যেভাবে তুমি একটি সাদা পোশাককে ময়লা থেকে পরিষ্কার করে দাও এবং তার বিনিময়ে তাকে তার ঘরের চেয়ে উত্তম একটি ঘর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার এবং তার স্ত্রীর চেয়ে উত্তম স্ত্রী দাও এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। এবং তাকে কবরের আযাব ও আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন!(মুসলিম কর্তৃক প্রেরিত হাদীসে দুয়ার এই পাঠটি দেওয়া হয়েছে)

“আল্লাহুম্মা-গফির লিহিইয়ান্যা উয়া মায়িতিন্যা উয়া শাখিদিনা উগা-ই-বিন্যা উয়া সাগ্যইরিন্যা উয়া ক্যবিরিন্যা উয়া জিয়াক্যরিনা উয়া আনসান্যা। আল্লাহুম্মা ময়ান আহ্ইয়াইত্যহু মিন্ন্যা ফায়া-আহিহি আ'লাল-ইসলাম ওয়া মায়ান তাউয়াফ্য়াইত্যাহু মিন্ন্যা ফায়া-আহিয়িহি আ'লাল-নাম। আল্লাহুম্মা লা তাহরীমনিয়া আজরাহু ওয়া লা তুদলিন্য ব্যয়াদিয়াহ"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, যুবক ও বৃদ্ধ, নর-নারীকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ, আমাদের মধ্যে যাদেরকে আপনি জীবন দান করেন তারা যেন ইসলামের (নিয়ম) অনুযায়ী জীবন যাপন করেন এবং আমাদের মধ্যে যাদের আপনি বিশ্রাম দেন তাদের ঈমানে বিশ্রাম দিন! হে আল্লাহ, তার জন্য আমাদের প্রতিদান থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না(অর্থাৎ, পরীক্ষার সময় ধৈর্যের জন্য পুরস্কার - প্রায়. ওয়েবসাইট ) এবং তার পরে (অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর) আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না!”(ইবনে মাজাহ ও আহমদের হাদীসের সংগ্রহে পাওয়া যায়)।

“আল্লাহুম্মা ইন্না (মৃত ব্যক্তির নাম) ফী জিম্মিয়াতিক্যা হায়াবলি জ্যাভ্যারিকা ফাক্বীহি মিন ফিতনিয়াতিল-কাবরী উয়া আ’জাবিন-নিয়ারি উয়া আন্তা আহলুল-ব্যাফ্যা-ই ভ্যাল-হায়াক্ক। ফায়াগফিরল্যাহু ভারখ্যমহ্যু ইন্ন্যাক্যা অন্তাল-গাফুরুর-রাহিম"

অর্থের অনুবাদ:"হে আল্লাহ, সত্যিই (মৃত ব্যক্তির নাম)আপনার সুরক্ষা ও সুরক্ষার অধীনে রয়েছে, তাকে কবরের ফিতনা এবং আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। সর্বোপরি, আপনি প্রতিশ্রুতি রাখেন এবং ন্যায়বিচার দেখান! তাকে ক্ষমা করুন এবং তার প্রতি রহম করুন, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু!”(এই দুআটি ইবনে মাজাহ ও আবু দাউদ থেকে হাদীসে প্রদত্ত)।

"আল্লাহুম্মা আ'বদুক্যা ব্যবনু অমাত্যিক্যা ইখত্যাজ্যা ইলা রাহমায়িক্যা উয়া আন্ত্যা গনিয়ুন আ'ন আ'য্যাবিহি ইন কিন্যা মুহসিন ফাজিদ ফী হাইসায়ানাতিহি ওয়া ইন কান্যা মুসি-আন ফাতাজিয়াউজ আ'নখু"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ! আপনার দাস এবং আপনার বান্দার পুত্র আপনার দয়া প্রয়োজন, কিন্তু আপনি তার যন্ত্রণা প্রয়োজন নেই! যদি সে ভালো কাজ করে থাকে তবে সেগুলো তার সাথে যোগ কর এবং যদি সে খারাপ কাজ করে তবে তাকে শাস্তি দিও না!”(আল-হাকিম কর্তৃক প্রেরিত হাদিস অনুসারে দুয়ার পাঠ)।

এছাড়াও একটি পৃথক দুআ রয়েছে, যা মৃত ব্যক্তির স্বর্গোহণের পরিস্থিতিতে অবলম্বন করা হয়। মৃত সন্তানের জন্য প্রার্থনা:

"আল্লাহুম্মা-জা'লহু লানিয়া ফায়ারতান ওয়া সালাফিয়ান ওয়া আজরান"

অনুবাদ:"হে আল্লাহ, তাকে আমাদের (জান্নাতে) এগিয়ে রাখুন এবং আমাদের পূর্বসূরি হয়ে উঠুন এবং আমাদের জন্য পুরস্কার করুন!"

কবরস্থানে দোয়া

এটা জানা যায় যে মুসলমানরা নিয়মিত তাদের প্রিয়জন এবং পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করে। এটি প্রধান ইসলামী ছুটির দিনগুলি - ঈদুল আযহা (কুরবান বায়রাম) এবং ঈদুল ফিতর (ঈদ আল-ফিতর) পালনের ঐতিহ্যের অংশ।

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) বলেন যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায়ই আল-বাকী কবরস্থানে যেতেন এবং নিম্নলিখিতগুলি বলতেন পাঠ্য কবরস্থানে প্রবেশের সময় দুআঃ

"আসসালামু আলাইকুম! দারা কওমিন মুকমিনিনা, ওয়া আতাকুম মা তুয়াদুনা, গাদান মুআজ্জালিউনা, ওয়া ইন্নিয়া, ইনশাআল্লাহ, বিকুম লাহিকুন। আল্লাহুম-আগফিরলি আহলি বাকিল-গারকাদ" (মুসলিম থেকে হাদীস)

অর্থের অনুবাদ: "তোমাকে শান্তি! হে আপনি যারা বিশ্বস্তদের মঠে বাস করেন, প্রতিশ্রুত এসেছে, এবং আগামীকাল আমাদের পালা হবে, এবং, সত্যিই, যদি প্রভুর ইচ্ছা হয়, আমরা আপনার কাছে আসব। হে সর্বশক্তিমান! বাকীতে দাফনকারীদের গুনাহ মাফ করুন।"

উপরন্তু, মানুষের গণকবরের জায়গায় থাকার সময়, আপনি নিম্নলিখিত শব্দগুলি বলতে পারেন:

“আসসালামু আলাইকুম, ইয়া আহলিল-কুবুর। ইয়াগফিরুল্লাহু লা নাহুয়া লাকুম। আন-তুম সালাফুনা, ওয়া না-নু বিল-আসার" (তিরমিজি)

অর্থের অনুবাদ: “তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক যারা মাটির নিচে (কবরে)। মহান আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের উভয়কে ক্ষমা করুন। আপনি প্রথমে অন্য জগতে চলে গেলেন এবং আমরা পরে থাকব।

কিন্তু তাদের পক্ষে সম্পাদিত ভাল কাজগুলি - প্রার্থনা এবং ভিক্ষা - মৃত মানুষের জন্য কতটা কার্যকর হবে? এই প্রশ্নটি ইসলামিক পণ্ডিতদের মন দখল করে, যাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা জীবিত মানুষের দ্বারা মৃতদের সাহায্য করার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

যারা পক্ষে তাদের যুক্তি

প্রথমত, এমন যুক্তি প্রদান করা প্রয়োজন যা আমাদের উপরে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর ইতিবাচকভাবে দেওয়ার অনুমতি দেবে: 1. পবিত্র কুরআনে একটি আয়াত রয়েছে যা বর্ণনা করে যে মুসলিমদের নতুন প্রজন্ম তাদের মৃত পূর্বসূরিদের জন্য কীভাবে ক্ষমা চাইবে:

"এবং যারা তাদের পরে এসেছে তারা বলে: "হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং আমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে ক্ষমা করুন! যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি আমাদের অন্তরে ঘৃণা ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনিই পরম করুণাময়, দয়ালু"" (59:10)

এই আয়াতটি মুসলিমদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের জন্য যারা ইতিমধ্যে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে তাদের জন্য কিভাবে সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরে আসা উচিত তার একটি উদাহরণ। যদি এই কাজটি মৃতদের জন্য কোন বিশেষ উপকার না করে তবে, স্পষ্টতই, এই ধরনের একটি আয়াত নাযিলের অর্থ হবে না। 2. খুব প্রায়ই আপনি এমন একটি হাদিস খুঁজে পেতে পারেন যা এমন কাজের কথা বলে যা মৃত্যুর পরে একজন ব্যক্তির উপকার করে। "যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার নেক আমলের তালিকা বন্ধ হয়ে যায়।" [অর্থাৎ, এটি আর পূরণ করা যাবে না]তবে তিনটি আমল তাকে কবরে পুরস্কৃত করবে। এটি অন্যদের উপকারের জন্য প্রদত্ত একটি ভিক্ষা, যারা এটি থেকে উপকৃত হতে থাকে, জ্ঞানের উত্পাদন এবং একটি ভাল বংশবৃদ্ধিকারী সন্তান যে তার মৃত্যুর পরে তার পিতামাতার জন্য প্রার্থনা করবে" (মুসলিম)। 3. (অন্ত্যেষ্টির প্রার্থনা) মূলত, মৃত ব্যক্তির পাপের ক্ষমার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি অনুরোধ। উপরন্তু, নবী মুহাম্মদ সা প্রয়োজনীয় পদ্ধতিমৃত ব্যক্তিকে দাফনের জন্য প্রস্তুত করার সময়, তিনি তার সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কথাগুলি বলেছিলেন: "আমাদের ভাইয়ের আত্মার পরিত্রাণের জন্য, তার দৃঢ়তা ও দৃঢ়তার প্রকাশের জন্য দুআ করুন, কারণ এই মুহূর্তে তাকে কবরে পরীক্ষা করা হচ্ছে" (আবু দাউদ)। আরেকটি হাদিস, যা ইমাম মুসলিমের সংগ্রহে উদ্ধৃত করা হয়েছে, এতে বলা হয়েছে যে, যারা জানাজার নামাজে আসবে তারা আসলে মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে। যদি এমন অন্তত একশত লোক থাকে তাহলে আল্লাহ তার পক্ষ থেকে তাদের সুপারিশ কবুল করবেন। 4. আয়েশা (রা.) কর্তৃক প্রেরিত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন এক ব্যক্তি সর্বশক্তিমান আল্লাহর চূড়ান্ত রসূল (সাঃ) এর কাছে ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: “আমার মা মারা গেছেন। এই সত্ত্বেও, আমি মনে করি যে তিনি বেঁচে থাকলে, তিনি অভাবীদের জন্য ভিক্ষা দিতেন। আমি কি এখন তার পরিবর্তে এই কাজ করতে পারি?" নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন (বুখারী ও মুসলিম উদ্ধৃত)। 5. মৃতদের আত্মার পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আরেকটি যুক্তি হল ইসলামী আইনের আদর্শ, যা মৃত ব্যক্তির জন্য তীর্থযাত্রা (হজ) করার অনুমতি দেয়। ৬. মুহাম্মাদ (সাঃ) এর গ্রেস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস এর একটি হাদিসে নিম্নোক্ত পরিস্থিতি দেওয়া হয়েছে। তারা তাকে একটি ভেড়া এনেছিল, যা সে নিজেই জবাই করেছিল। এর পরে, রাসূল (সাঃ) বললেন: “সর্বশক্তিমানের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ্ মহান! আমি এই কাজটি ব্যক্তিগতভাবে নিজের জন্য এবং আমার সম্প্রদায়ের সকল সদস্যদের জন্য করেছি যারা কুরবানী করতে অক্ষম ছিল” (আবু দাউদ, তিরমিযী)।

মৃতদের জন্য প্রার্থনা বিরোধীদের যুক্তি

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে নেক আমল করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আরও অনেক যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে মধ্যযুগের প্রতিনিধিরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আসুন আমরা তাদের কিছু যুক্তি তুলে ধরিঃ ১) মু'তাযিলীরা, যারা পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের সময় শুধুমাত্র যুক্তির উপর নির্ভর করার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করেছিল, তারা নিম্নলিখিত আয়াতটি উদ্ধৃত করে:

"প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে তার জিম্মি" (74:38)

তারা যুক্তি দেয় যে একজন ব্যক্তি অন্য লোকেদের ব্যয়ে সাফল্যের উপর নির্ভর করতে পারে না। যাইহোক, মু'তাযিলীরা এই সত্যটিকে উপেক্ষা করে যে আয়াতটি কেবল পাপ কাজের সাথে সম্পর্কিত। আয়াতটি ভালো কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। 2) পবিত্র কুরআনের আরেকটি আয়াত ছিল মুতাযিলীদের হাতে ঘন ঘন হাতিয়ার:

"একজন ব্যক্তি কেবল সেই জিনিসটিই পাবে যার জন্য সে চেষ্টা করেছে" (53:39)

এ থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহর একজন বান্দা অন্য লোকের কৃত কর্মের উপর নির্ভর করতে পারে না। যাইহোক, মু'তাযিলীদের এই যুক্তির জবাব একসাথে একাধিক অবস্থান থেকে দেওয়া যেতে পারে। চলুন শুরু করা যাক যে উপরোক্ত আয়াত. এর আইনি উপাদানটি সূরা "পর্বত" এর একটি আয়াত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে:

"আমরা বিশ্বাসীদেরকে তাদের বংশধরদের সাথে পুনর্মিলন করব যারা বিশ্বাসে তাদের অনুসরণ করেছিল, এবং আমরা তাদের কাজকে সামান্যতমও হ্রাস করব না" (52:21)

ইসলাম ধর্মতত্ত্ববিদরা পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এই পাঠকে এই অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন যে বিচারের দিন, পিতামাতার ধার্মিক সন্তানেরা তাদের দাঁড়িপাল্লা ওজন করতে সক্ষম হবে, যেখানে ভাল কাজগুলি পাওয়া যাবে। উপরোক্ত হাদিসে তিনটি জিনিস সম্পর্কে একই কথা বলা হয়েছে যা মৃত্যুর পর একজন ব্যক্তির জন্য ঈশ্বরের পুরস্কার নিয়ে আসবে। আরও, এটি লক্ষণীয় যে মু'তাযিলীদের দ্বারা উদ্ধৃত আয়াতটি কাফেরদের এবং যারা মুনাফিকভাবে ইসলামের আড়ালে লুকিয়ে ছিল তাদের বোঝায়। কোনো কোনো রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, আয়াতে উল্লেখিত ব্যক্তি হচ্ছে আবু জাহল, যে প্রথম মুসলমানদের অনেক ক্ষতি করে এবং কুফরী অবস্থায় এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। সুতরাং, এই সমস্যাটির উপর মু'তাজিলি দৃষ্টিভঙ্গি মুসলিম পণ্ডিতদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

1. রাতের নামাজের (ইশার) পরে 56 তম সূরা "পতন" পড়ুন।

2. সূরা "গুহা" এর 39 নং আয়াত পড়ুন:

مَا شَاء اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

মাশা আল্লাহ লা কুওয়াতা ইলিয়া বিল্যা

« আল্লাহ যা চেয়েছিলেন: আল্লাহ ছাড়া কোন ক্ষমতা নেই».

3. নিয়মিত সূরা ফজর পড়ুন

4. যে ব্যক্তি সকালে 308 বার "আর-রাজ্জাক" ("সর্ব-পালনকারী") বলবে সে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উত্তরাধিকার পাবে।

5. আর্থিক স্বাধীনতা লাভের জন্য, রাতের শেষ অংশে (ভোরের আগে) সূরা "তাহা" পড়ুন।

6. ইমাম বাকির (আ.) এর মতে, উত্তরাধিকার বৃদ্ধির জন্য একজনকে এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে:

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিজকান ওয়াসিআন তাইইবান মিন রিজকিক

"হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে তোমার উত্তরাধিকার থেকে ব্যাপক, উত্তম রিজিক চাই।"

7. আপনাকে দারিদ্র্য থেকে বাঁচাতে এবং আপনার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে মধ্যরাতে 1000 বার এই দুআটি পড়ুন:

সুবহানাকা মালিকি ল-হায়্যু ল-কাইয়্যুম আল্লাযী লা ইয়ামুত

"তুমি মহিমান্বিত, রাজা, জীবিত, চির-বিদ্যমান, যিনি মৃত্যুবরণ করবেন না।"

8. আপনার উত্তরাধিকার বাড়ানোর জন্য, সন্ধ্যা এবং রাতের নামাজের মধ্যে 1060 বার "ইয়া গণিয়া" ("i" অক্ষরের উপর জোর দেওয়া, যার অর্থ "হে ধনী") পাঠ করুন।

আল্লাহুম্মা রব্বা সাসামাওয়াতি সাবা ওয়া রাব্বা আল-আরশি এল-আযীম ইকদি আন্না দায়না ওয়া আগ্নিনা মিনা ল-ফক্‌র

"হে আল্লাহ, হে সাত আসমানের প্রভু এবং মহান আরশের প্রভু: আমাদের ঋণ পরিশোধ করুন এবং দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিন!"

10. প্রতিটি ফরজ নামাজের পর সালাওয়াতের সাথে এই দুআটি 7 বার পড়ুন:

রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলিয়্যা মিনা হেরিন ফকির

"হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ভালোর জন্য যা পাঠিয়েছেন তা আমার প্রয়োজন!"

11. সালাওয়াতের সাথে এই দুআটি 114 বার পড়ুন রাতের প্রার্থনা(ইশা) শুক্রবার থেকে শুরু করে ৭ দিনের জন্য:

ওয়া আইন্দাহু মাফাতিহু ল-গেইবি লা ইয়াআলামুহা ইল্লা হুওয়া ওয়া ইয়াআলামু মা ফী এল-বারি ওয়াল বাহরি ওয়া মা তাসকুতু মিন ভারকাতিন ইল্যা ইয়াআলামুহা ওয়া লা হাব্বাতিন ফী জুলুমাতি ল-আরদি ওয়া লা রত্ববিন ইয়্যাবিয়্যুম কাইয়্যুম হায়বিয়্যুম।

“তাঁর কাছে লুকানো চাবি রয়েছে, এবং সেগুলি সম্পর্কে কেবল তিনিই জানেন। স্থলে ও সমুদ্রে যা আছে তা তিনি জানেন। এমনকি একটি পাতাও কেবল তাঁর জ্ঞানেই পড়ে। পৃথিবীর অন্ধকারে একটি দানাও নেই, তাজাও নয়, শুকনোও নেই, তা স্পষ্ট শাস্ত্রে নেই! হে জীবন্ত, হে চির-বিদ্যমান!”

12. “কানযুল মাকনুন”-এ মহানবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে পরবর্তী দুআ, যদি 2 রাকাত নামাজের পরে পাঠ করা হয় তবে এটি রিজিক বৃদ্ধি করে:

ইয়া মাজিদ ইয়া ওয়াজিদ ইয়া আহাদু ইয়া করিম আতাওয়াজ্জাহু ইলেকা বি মুহাম্মাদিন নাবিয়িকা নবী রাহমাতি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইয়া রাসুউল্যাল্লাহি ইন্নি আতাওয়াজ্জাহু বিকা ইলাল্লাহি রাব্বিকা ওয়া রাব্বি ওয়া রাব্বি কুল্লি শায়। ফা আসআলুকা ইয়া রাব্বি আন তুসাল্লিয়্যা আলিয়া মুহাম্মাদিন ওয়া আহলি বেতিহি ওয়া আসআলুকা নাফকাতান করিমাতান মিন নাফকাতিকা ওয়া ফাথান ইয়াসিরান ওয়া রিজকান ওয়াসিআন আলুমু বিহি শাআসি ওয়া আকদি বিহি দাইয়ি ওয়া আস্তাইয়্যানুআলি

“ওহ, মহিমান্বিত! হে চিরস্থায়ী! ওহ, একমাত্র! হে মহান ব্যক্তি! আমি মুহাম্মাদ-এর মাধ্যমে আপনার দিকে ফিরে এসেছি - আপনার নবী, রহমতের নবী, তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর আল্লাহর সালাম বর্ষিত হোক! হে আল্লাহর রসূল, আমি আপনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করছি, যিনি আপনার প্রতিপালক এবং আমার প্রভু, সব কিছুর পালনকর্তা! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি, হে আমার প্রভু, আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর গৃহের লোকদের বরকত দান করুন এবং আমাকে উদার খাবার, একটি সহজ বিজয় এবং একটি ব্যাপক উত্তরাধিকার দান করুন যা দিয়ে আমি আমার মন খারাপের ব্যবস্থা করব, আমার ঋণ পরিশোধ করব এবং আমার পরিবারকে খাওয়াব!

13. শনিবার থেকে শুরু করে একটানা 5 সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতের নামাজের (ইশার) পরে সূরা "পতন" 3 বার পড়ুন। প্রতিদিন এই সূরাটি পড়ার আগে নিম্নোক্ত দুয়াটি পাঠ করুন:

আল্লাহুম্মা রজুকনি রিজকান ওয়াসিআন হালালান তৈয়্যবান মিন গেরি কাদ্দীন ওয়া স্তাজিব দাআওয়াতি মিন গেরি রাদ্দীন ওয়া আউজু বিকা মিন ফাযিহাতি বি ফকরিন ওয়া দায়িন ওয়া দফা আন্নি হাজেনি বি হাক্কি লি-সাইনি আল-সাইনি আল-সেইমায়িনি আল-সাইমায়িনি আল-সাইমায়িনি আল-সেইমাইনি। রহমতিকা ইয়া আরহামা আর রাখিমীন

“হে আল্লাহ, আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম ছাড়াই একটি বিশাল, বৈধ, উত্তম উত্তরাধিকার দান করুন এবং তা প্রত্যাখ্যান না করে আমার প্রার্থনার উত্তর দিন! দারিদ্র্য ও ঘৃণার অপমান থেকে আমি তোমার কাছে আশ্রয় নিই! সুতরাং দুই ইমাম- হাসান ও হুসাইন-এর নামে আমার থেকে এই দু’টি বিপর্যয় দূর করুন, তাদের উভয়ের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আপনার রহমতে, হে পরম করুণাময়!

14. যেমন "কানযু আল-মাকনুন"-এ বলা হয়েছে, একজনকে সূরা "দ্য কাউ" এর 186 নং আয়াতটি ওযু এবং উযুর মধ্যে পড়তে হবে। ফরজ নামাজঅনেক বাড়াতে.

16. ইমাম সাদিক (আ.) থেকে: রিজক বাড়ানোর জন্য, আপনাকে আপনার পকেটে বা মানিব্যাগে লিখিত সূরা "হিজর" রাখতে হবে।

ইয়া কাভিউ ইয়া গণিউ ইয়া ভালু ইয়া মালি

"ওহ, শক্তিশালী, ওহ, ধনী, ওহ, পৃষ্ঠপোষক, ওহ, দাতা!"

18. মুহসিন কাশানী বলেছেন যে এই (উপরের) দুআটি সন্ধ্যা ও রাতের নামাজের মধ্যে 1000 বার পড়তে হবে।

আস্তাগফিরু আল্লাহ লাজিয়া লা ইলাহা ইলিয়া হুওয়া রাহমানু রাহিমু ল-হাইয়্যুল কাইয়্যুমু বাদিআউ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ মিন জামিআই জুরমি ওয়া জুলমি ওয়া ইসরাফি আলিয়া নাফসি ওয়া আতুবু ইলি

"আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, যাঁকে ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই - করুণাময়, করুণাময়, জীবিত, চির-বিদ্যমান, আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা - আমার সমস্ত অপরাধ, নিপীড়ন এবং নিজের বিরুদ্ধে অবিচারের জন্য এবং আমি তার দিকে ফিরে যাই। তাকে!"