বাড়ি মাড়ি নামাযের পর সুন্নত মোতাবেক দুআ। ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত দুআ কি বিদআত? যে ক্ষেত্রে ফরয সালাতে বাধা দেওয়া জায়েয

মাড়ি

নামাযের পর সুন্নত মোতাবেক দুআ। ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত দুআ কি বিদআত? যে ক্ষেত্রে ফরয সালাতে বাধা দেওয়া জায়েয

بسم الله الرحمن الرحيم 1. একজন মুসলমান তার ঈমান কোথায় পায়? - কোরান ও সুন্নাহ থেকে। 2. আল্লাহ কোথায়? - সাত আসমানের উপরে, তোমার সিংহাসনের উপরে। 3. কোন প্রমাণ এটি ইঙ্গিত করে? - সর্বশক্তিমান বলেছেন: "দয়াময় সিংহাসনে আরোহণ করেছেন।" (20:5)। 4. "অধিকার" শব্দের অর্থ কী? - সে উঠেছে। 5. আল্লাহ কেন জিন ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন? - এই উদ্দেশ্যে যে তারা একমাত্র তাঁরই উপাসনা করে, শরীক না করে। 6. এর প্রমাণ কি? - সর্বশক্তিমান বলেছেন: "আমি জিন এবং মানুষকে শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।" (51:56)। 7. "উপাসিত" মানে কি? - অর্থাৎ, তারা আন্তরিকভাবে একেশ্বরবাদ দাবি করেছিল। 8. "আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোন মাবুদ নেই - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এই সাক্ষ্যের অর্থ কি? - আল্লাহ ছাড়া কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। 9. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কি? - তাওহিদ (একত্ববাদ)। 10. সবচেয়ে বড় পাপ কি? - শিরক (শিরক)। 11. তাওহিদ মানে কি? - অংশীদার হিসাবে কিছু না দিয়ে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। 12. শিরক মানে কি? - আল্লাহ ব্যতীত বা তাঁর সাথে অন্য কাউকে বা অন্য কিছুর ইবাদত করা। 13. তাওহিদ কয় প্রকার? - তিন. 14. কোনটি? - আধিপত্যে, উপাসনায় এবং নাম ও গুণাবলীর অধিকারে একেশ্বরবাদ। 15. আধিপত্যে একেশ্বরবাদ কি? - আল্লাহর কাজ, যেমন: সৃষ্টি, রিযিক ও রিজিক, পুনরুজ্জীবন ও মৃত্যু। 16. "উপাসনায় একেশ্বরবাদ" এর সংজ্ঞা কী? - এটি একমাত্র ঈশ্বরের জন্য মানুষের উপাসনা, উদাহরণস্বরূপ, প্রার্থনা, কুরবানী, সেজদা এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজগুলি তাঁর কাছে উত্সর্গ করা। 17. আল্লাহর কি নাম ও গুণাবলী আছে? - হ্যাঁ, অবশ্যই। 18. কিভাবে আমরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পারি? - কোরান ও সুন্নাহ থেকে। 19. আল্লাহর গুণাবলী কি আমাদের গুণাবলীর অনুরূপ? - না। 20. কোন আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহর গুণাবলী জীবের গুণাবলীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়? - "তাঁর সমতুল্য কেউ নেই, এবং তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" (42:11)। 21. কোরান - কার ভাষণ? -আল্লাহ। 22. প্রেরিত বা সৃষ্ট? - প্রকাশিত (আল্লাহর বাণী) 23. পুনরুত্থান মানে কি? - মানুষের মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করা। 24. কোন আয়াতটি পুনরুত্থান অস্বীকারকারীদের অবিশ্বাস নির্দেশ করে? - "কাফেররা বিশ্বাস করে যে তারা পুনরুত্থিত হবে না..." (64:7)। 25. কুরআন থেকে কি প্রমাণ পাওয়া যায় যে আল্লাহ আমাদের পুনরুত্থিত করবেন? - "বলুন: "বরঞ্চ, আমার প্রভুর কসম, তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে..." (64:7)। 26. ইসলামের স্তম্ভ কয়টি? - পাঁচ। 27. তাদের তালিকাভুক্ত করুন। - “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সনদ, নামাজ, যাকাত প্রদান, রমজান মাসে রোজা রাখা এবং সম্ভব হলে হজ। 28. ঈমানের স্তম্ভ কয়টি? - ছয়. 29. তাদের তালিকাভুক্ত করুন। - আল্লাহর প্রতি, ফেরেশতাদের প্রতি, ধর্মগ্রন্থে, রসূলের প্রতি, শেষ দিনে এবং ভাল-মন্দ উভয়ের পূর্বনির্ধারণের প্রতি বিশ্বাস। 30. ইবাদতে আন্তরিকতার স্তম্ভ কয়টি? - এক. 31. এর সারমর্ম কি? - তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো যেন তুমি তাকে দেখছ, কারণ তুমি তাকে না দেখলেও তিনি তোমাকে দেখতে পান। 32. সংক্ষেপে ইসলাম বলতে কী বোঝায়? - একত্ববাদ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ এবং আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য করা, সেইসাথে শিরক ও মুশরিকদের পরিত্যাগ করা। 33. ঈমানের অর্থ কি? - তা ধার্মিকতার কথা উচ্চারণে, অন্তরে সত্যিকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের মাধ্যমে এবং দেহের সাথে সৎকর্ম সম্পাদনে (নামাজ, উপবাস...) প্রকাশ করা হয়, প্রভুর আনুগত্যের কারণে বৃদ্ধি পায় এবং পাপের কারণে হ্রাস পায়। 34. কার জন্য আমরা বলির পশু জবাই করি এবং কার সামনে মাটিতে মাথা নত করি? - শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং শুধুমাত্র তাঁর সামনে, এতে অংশীদার না করে। 35. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করা কি সম্ভব এবং জীবের ইবাদত করা কি সম্ভব? - না, এটা নিষিদ্ধ। 36. এই ধরনের কর্মের অবস্থান কি? - এটা একটা বড় শিরক। 37. যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে শপথ করে না, যেমন বলে: "আমি নবীর শপথ করছি" বা "আপনার জীবনের শপথ করছি"... তার বিচার কি? - এটি একটি ছোট শিরকের মধ্যে প্রবাহিত হয়। 38. কোন আয়াতটি নির্দেশ করে যে একজন মুশরিক মারা গেলে এবং প্রথমে তওবা না করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না? - "নিশ্চয়ই, আল্লাহ ক্ষমা করেন না যখন তাঁর সাথে শরীক করা হয়..." (4:48)। 39. সূর্য ও চন্দ্রকে সেজদা করা কি জায়েজ? - না। 40. কোন আয়াতে তাদের ইবাদত করার নিষেধ নির্দেশ করা হয়েছে? - "সূর্য ও চন্দ্রকে সেজদা করো না, বরং সেজদা করো আল্লাহর সামনে, যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন..." (৪১:৩৭)। 41. কোন আয়াতটি একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার বাধ্যবাধকতা এবং শরীক করার নিষেধ নির্দেশ করে? - "তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না।" (৪:৩৬)। 42. শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া করার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে কুরআন থেকে কী প্রমাণ পাওয়া যায়? - “মসজিদ আল্লাহর। আল্লাহ ব্যতীত কারো কাছে আবেদন করো না।" (72:18)। 43. কোন হাদিসটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করার নিষেধ নির্দেশ করে? - "যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জন্য নয় একটি পশু যবেহ করেছে তাকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন।" 44. কখন কোন মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়া জায়েজ? - যখন একজন ব্যক্তি বেঁচে থাকে, আপনার কাছাকাছি থাকে এবং সাহায্য করতে সক্ষম হয়। 45. এবং কখন আপনি তাদের কাছে সাহায্য চাইতে পারেন না? - যদি ব্যক্তিটি মৃত বা অনুপস্থিত থাকে (অন্য জায়গায়...), বা সাহায্য করতে অক্ষম। 46. প্রথম বার্তাবাহক কে? -আচ্ছা তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। 47. শেষ রসূল কে? - মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 48. রাসূলগণের উদ্দেশ্য কি, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক? - তারা একেশ্বরবাদ এবং প্রভুর আনুগত্যের আহ্বান জানিয়েছিল, বহুদেবতাকে নিষিদ্ধ করেছিল এবং তাঁর আদেশ ও নিষেধের অবাধ্যতাকে নিষিদ্ধ করেছিল। 49. আদম সন্তানদের জন্য আল্লাহ শুরুতে কি আদেশ করেছিলেন? - তিনি তাকে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করতে এবং মিথ্যা দেবতাদের প্রত্যাখ্যান করার আদেশ দিয়েছিলেন। 50. ইহুদি কি মুসলমান? - না। 51. কেন? - কারণ তারা বলে যে উজাইর আল্লাহর পুত্র, এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সত্য নিয়ে এসেছিলেন তা গ্রহণ করেননি। 52. খ্রিস্টানরা কি মুসলমান? - না। 53. কেন? - কারণ তারা বলে: "মসীহ ঈসা ঈশ্বরের পুত্র" এবং তারা সেই সত্যের বিরোধিতা করেছিল যা নিয়ে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসেছিলেন। 54. আল্লাহর কি কোন পুত্র আছে? - না। 55. কোন আয়াত এটা প্রমাণ করে? "তিনি জন্ম দেননি বা জন্ম দেননি।" (112:3) এবং আরও অনেকে। 56. মাজুস কেন অবিশ্বাসী? কারণ তারা আগুনের পূজা করে।

মৃত্যুর থিম যে কোনো ধর্মের মূল বিষয়গুলির মধ্যে একটি। এবং এটি আশ্চর্যজনক নয়, কারণ এটি অবিকল অনন্ত জগতের অনিবার্য প্রস্থান সম্পর্কে চিন্তাভাবনা যা মূলত পার্থিব জীবনে বিশ্বাসীদের আচরণ নির্ধারণ করে।

ইসলামে মহান মনোযোগমৃত্যুর পরে একজন ব্যক্তি যাতে আরও ভালো ভাগ্য পান তা নিশ্চিত করার জন্য যত্ন নেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন, একটি নিয়ম হিসাবে, মৃত ব্যক্তির আত্মাকে ইডেন গার্ডেনে রাখার জন্য এবং তার পাপ ক্ষমা করার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করে। বিভিন্ন দুআ এই উদ্দেশ্যে কাজ করে, যার পাঠ্যগুলি নীচে দেওয়া হল। নিজেকে খুঁজে পাওয়া মৃতের পাশেএকজন ব্যক্তি হিসাবে, মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ হওয়ার মুহুর্তে, নিম্নলিখিত প্রার্থনার সাথে আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

"আল্লাহুম্মাযগফির (মৃত ব্যক্তির নাম বলুন) উয়ারফিয়াগ দিয়ারাজাতাহু ফিল-মাদিয়্যিন্যা উহলুফহু ফী আ’কিবিখি ফিল-গাবিরিনিয়া উগফিরিল্যানিয়া ওয়া লিয়াহু ইয়া রাব্বিয়াল আলামীন। ওয়াফসি লিয়াহু ফিহ কবরীখী উয়া নাউইর লিয়াহু ফিহ"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ! দুঃখিত (মৃত ব্যক্তির নাম), সঠিক পথে পরিচালিতদের মধ্যে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন, যারা তার পরে থাকবে তাদের জন্য তার উত্তরাধিকারী হয়ে উঠুন, আমাদের এবং তাকে ক্ষমা করুন, হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক! আর তার কবর তার জন্য প্রশস্ত করে দাও এবং তার জন্য আলোকিত করে দাও!”

অনেক মুসলমান এই বাক্যাংশটি জানেন যা বলা উচিত, কারো মৃত্যুর খবর শুনে

إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ

ইন্নিয়া লিল্লাহি, ওয়া ইন্নিয়া ইল্যাহি রাজিগুন

নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব!

সরাসরি দাফনের পরনিম্নলিখিত শব্দগুলির সাথে সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়:

"আল্লাহুম্মা-গফির লাহুল্লাহুম্মা সাব্বিথু"

অর্থের অনুবাদ:"হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ, তাকে শক্তিশালী করুন!”গ্রেস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস, মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সাধারণত দাফন শেষে, নবী (সাঃ) কবরে কয়েক মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং তারপরে সমবেতদের সম্বোধন করে বলেছিলেন: “প্রার্থনা করুন (তোমাদের কাছে) সৃষ্টিকর্তা) আপনার ভাইয়ের (বোন) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং (তাকে বা তাকে) শক্তিশালী করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, কারণ, এখন তাকে (তাকে) প্রশ্ন করা হচ্ছে" (আবু দাউদ এবং আল-বায়হাকি)। আরও, যারা অন্য জগতে চলে গেছে তাদের মনে পড়েভাই ও বোনেরা, মুসলমানেরা বিশেষ দুআ করেন- এগুলি পাঠ করা যেতে পারে মাতৃভাষা, এবং আরবিতে। এই ধরনের প্রার্থনার কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:

“আল্লাহুম্ম্যাগফির-ল্যাহু ওয়ারহ্যামহু উগাফিহি উয়াকফু আ'নহু ওয়া আকরিম নুজুল্ল্যাহু ওয়া ওয়াসি' মুদিয়ালাহু ওয়াগসিলহু বিল-ম্যা-ই ওয়াসসিলজি উয়াবিরাদি ওয়া নায়াক্কিহি মিনিয়াল-হাতায়া কাম্যা ন্য্যাক্কায়্যাল-মিনিয়াল-হাতায়া কাম্যা ন্য্যাক্কায়্যাল-ইয়ান্যাবইয়ান্যাবইয়ান্যাবদাইয়ান। দিয়ারিহি ওয়া আহলাল খাইরান মিন আখলিখি উয়াজইয়ান খাইরান মিন জিয়াউজিখি ওয়া-আদজিলখুল-জান্যাত্য উয়া আগিঞ্জু মিন আ'য্যাবিল-কাবরি ওয়া আ'য্যাবিন-নায়ার"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং তার প্রতি রহম করুন এবং তাকে উদ্ধার করুন এবং তাকে দয়া করুন। এবং তাকে দেখান ভাল স্বাগত, এবং তার প্রবেশদ্বার স্থান করুন(কবর মানে- প্রায়. ওয়েবসাইট )প্রশস্ত, এবং জল, তুষার এবং শিলাবৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন(অর্থাৎ, একটি রূপক অনুরোধ মৃত ব্যক্তিকে সমস্ত ধরণের অনুগ্রহ প্রদান করার জন্য এবং তার সমস্ত পাপ এবং বর্জনের জন্য তাকে ক্ষমা করার জন্য ব্যক্ত করা হয়েছে - প্রায়. ওয়েবসাইট )এবং তাকে গুনাহ থেকে পবিত্র কর যেভাবে তুমি একটি সাদা পোশাককে ময়লা থেকে পরিষ্কার করে দাও এবং তার বিনিময়ে তাকে তার ঘরের চেয়ে উত্তম একটি ঘর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার এবং তার স্ত্রীর চেয়ে উত্তম স্ত্রী দাও এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। এবং তাকে কবরের আযাব ও আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন!(মুসলিম কর্তৃক প্রেরিত হাদীসে দুয়ার এই পাঠটি দেওয়া হয়েছে)

“আল্লাহুম্মা-গফির লিহিইয়ান্যা উয়া মায়িতিন্যা উয়া শাখিদিনা উগা-ই-বিন্যা উয়া সাগ্যইরিন্যা উয়া ক্যবিরিন্যা উয়া জিয়াক্যরিনা উয়া আনসান্যা। আল্লাহুম্মা ময়ান আহ্ইয়াইত্যহু মিন্ন্যা ফায়া-আহিহি আ'লাল-ইসলাম ওয়া মায়ান তাউয়াফ্য়াইত্যাহু মিন্ন্যা ফায়া-আহিয়িহি আ'লাল-নাম। আল্লাহুম্মা লা তাহরীম্নিয়া আজরাহু ওয়া লা তুদলিয়্যা বাইয়াদিয়াহ"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, যুবক ও বৃদ্ধ, নর-নারীকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ, আমাদের মধ্যে যাদের আপনি জীবন দান করেন তারা যেন ইসলামের (নিয়ম) অনুযায়ী জীবন যাপন করেন এবং আমাদের মধ্যে যাদের আপনি বিশ্রাম দেন তাদের ঈমানে বিশ্রাম দিন! হে আল্লাহ, তার জন্য আমাদের প্রতিদান থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না(অর্থাৎ, পরীক্ষার সময় ধৈর্যের জন্য পুরস্কার - প্রায়. ওয়েবসাইট ) এবং তার পরে (অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর) আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না!”(ইবনে মাজাহ ও আহমদের হাদীসের সংগ্রহে পাওয়া যায়)।

“আল্লাহুম্মা ইন্না (মৃত ব্যক্তির নাম) ফী জিম্মিয়াতিক্যা হায়াবলি জ্যাভ্যারিকা ফাক্বীহি মিন ফিতনিয়াতিল-কাবরী উয়া আ’জাবিন-নিয়ারি উয়া আন্তা আহলুল-ব্যাফ্যা-ই ভ্যাল-হায়াক্ক। ফায়াগফিরল্যাহু ভারখ্যমহ্যু ইন্ন্যাক্যা অন্তাল-গাফুরুর-রাহিম"

অর্থের অনুবাদ:"হে আল্লাহ, সত্যিই (মৃত ব্যক্তির নাম)আপনার সুরক্ষা ও সুরক্ষার অধীনে রয়েছে, তাকে কবরের ফিতনা এবং আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। সর্বোপরি, আপনি প্রতিশ্রুতি রাখেন এবং ন্যায়বিচার দেখান! তাকে ক্ষমা করুন এবং তার প্রতি রহম করুন, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু!”(এই দুআটি ইবনে মাজাহ ও আবু দাউদ থেকে হাদীসে প্রদত্ত)।

"আল্লাহুম্মা আ'বদুক্যা ব্যবনু অমাত্যিক্যা ইখত্যাজ্যা ইলা রাহমায়িক্যা উয়া আন্ত্যা গনিয়ুন আ'ন আ'য্যাবিহি ইন কিন্যা মুহসিন ফাজিদ ফী হাইসায়ানাতিহি ওয়া ইন কান্যা মুসি-আন ফাতাজিয়াউজ আ'নখু"

অর্থের অনুবাদ:“হে আল্লাহ! আপনার দাস এবং আপনার বান্দার পুত্র আপনার দয়া প্রয়োজন, কিন্তু আপনি তার যন্ত্রণা প্রয়োজন নেই! যদি সে ভালো কাজ করে থাকে তবে সেগুলো তার সাথে যোগ কর এবং যদি সে খারাপ কাজ করে তবে তাকে শাস্তি দিও না!”(আল-হাকিম কর্তৃক প্রেরিত হাদিস অনুসারে দুয়ার পাঠ)।

এছাড়াও একটি পৃথক দুআ রয়েছে, যা মৃত ব্যক্তির স্বর্গোহণের পরিস্থিতিতে অবলম্বন করা হয়। মৃত সন্তানের জন্য প্রার্থনা:

"আল্লাহুম্মা-জা'লহু লানিয়া ফায়ারতান ওয়া সালাফিয়ান ওয়া আজরান"

অনুবাদ:"হে আল্লাহ, তাকে আমাদের (জান্নাতে) এগিয়ে রাখুন এবং আমাদের পূর্বসূরি হয়ে উঠুন এবং আমাদের জন্য পুরস্কার করুন!"

কবরস্থানে দোয়া

এটা জানা যায় যে মুসলমানরা নিয়মিত তাদের প্রিয়জন এবং পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করে। এটি প্রধান ইসলামী ছুটির দিনগুলি - ঈদুল আযহা (কুরবান বায়রাম) এবং ঈদুল ফিতর (ঈদ আল-ফিতর) পালনের ঐতিহ্যের অংশ।

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) বলেন যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায়ই আল-বাকী কবরস্থানে যেতেন এবং নিম্নলিখিতগুলি বলতেন পাঠ্য কবরস্থানে প্রবেশের সময় দুআঃ

"আসসালামু আলাইকুম! দারা কওমিন মুকমিনিনা, ওয়া আতাকুম মা তুয়াদুনা, গাদান মুয়াজ্জালিউনা, ওয়া ইন্নিয়া, ইনশাআল্লাহ, বিকুম লাহিকুন। আল্লাহুম-আগফিরলি আহলি বাকিল-গারকাদ" (মুসলিম থেকে হাদীস)

অর্থের অনুবাদ: "তোমাকে শান্তি! হে আপনি যারা বিশ্বস্তদের মঠে বাস করেন, প্রতিশ্রুত এসেছে, এবং আগামীকাল আমাদের পালা হবে, এবং, সত্যিই, যদি প্রভুর ইচ্ছা হয়, আমরা আপনার কাছে আসব। হে সর্বশক্তিমান! বাকীতে দাফনকারীদের গুনাহ মাফ করুন।"

উপরন্তু, মানুষের গণকবরের জায়গায় থাকার সময়, আপনি নিম্নলিখিত শব্দগুলি বলতে পারেন:

“আসসালামু আলাইকুম, ইয়া আহলিল-কুবুর। ইয়াগফিরুল্লাহু লা নাহুয়া লাকুম। আন-তুম সালাফুনা, ওয়া না-নু বিল-আসার" (তিরমিজি)

অর্থের অনুবাদ: “তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক যারা মাটির নিচে (কবরে)। মহান আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের উভয়কে ক্ষমা করুন। আপনি প্রথমে অন্য জগতে চলে গেলেন এবং আমরা পরে থাকব।

কিন্তু তাদের পক্ষে সম্পাদিত ভাল কাজগুলি - প্রার্থনা এবং ভিক্ষা - মৃত মানুষের জন্য কতটা কার্যকর হবে? এই প্রশ্নটি ইসলামিক পণ্ডিতদের মন দখল করে, যাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা জীবিত মানুষের দ্বারা মৃতদের সাহায্য করার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

যারা পক্ষে তাদের যুক্তি

প্রথমত, আপনাকে যুক্তি প্রদান করতে হবে যা আপনাকে উপরে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর ইতিবাচকভাবে দেওয়ার অনুমতি দেবে: 1. ইন পবিত্র কুরআনএখানে একটি আয়াত রয়েছে যা বর্ণনা করে যে কিভাবে মুসলমানদের নতুন প্রজন্ম তাদের মৃত পূর্বসূরিদের জন্য ক্ষমা চাইবে:

"এবং তাদের পরে যারা এসেছিল তারা বলে: "হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে এবং আমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে ক্ষমা করুন! যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি আমাদের অন্তরে ঘৃণা ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আপনিই পরম করুণাময়, দয়ালু"" (59:10)

এই আয়াতটি মুসলিমদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের জন্য যারা ইতিমধ্যেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে তাদের জন্য কীভাবে সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরে আসা উচিত তার একটি উদাহরণ। যদি এই কাজটি মৃতদের জন্য কোন বিশেষ উপকার না করে থাকে, তাহলে স্পষ্টতই, এই ধরনের আয়াত নাযিলের কোন মানে হবে না। 2. খুব প্রায়ই আপনি এমন একটি হাদিস খুঁজে পেতে পারেন যা এমন কাজের কথা বলে যা মৃত্যুর পরে একজন ব্যক্তির উপকার করে। "যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার নেক আমলের তালিকা বন্ধ হয়ে যায়।" [অর্থাৎ, এটি আর পূরণ করা যাবে না]তবে তিনটি আমল তাকে কবরে পুরস্কৃত করবে। এটি অন্যদের উপকারের জন্য প্রদত্ত একটি ভিক্ষা, যারা এটি থেকে উপকৃত হতে থাকে, জ্ঞানের উত্পাদন এবং একটি ভাল বংশবৃদ্ধিকারী সন্তান যে তার মৃত্যুর পরে তার পিতামাতার জন্য প্রার্থনা করবে" (মুসলিম)। 3. (অন্ত্যেষ্টির প্রার্থনা) মূলত, মৃত ব্যক্তির পাপের ক্ষমার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি অনুরোধ। উপরন্তু, সব শেষ করার পর হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রয়োজনীয় পদ্ধতিমৃত ব্যক্তিকে দাফনের জন্য প্রস্তুত করার সময়, তিনি তার সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত কথাগুলি বলেছিলেন: "আমাদের ভাইয়ের আত্মার পরিত্রাণের জন্য, তার দৃঢ়তা ও দৃঢ়তার প্রকাশের জন্য দুআ করুন, কারণ এই মুহূর্তে তাকে কবরে পরীক্ষা করা হচ্ছে" (আবু দাউদ)। আরেকটি হাদিস, যা ইমাম মুসলিমের সংগ্রহে উদ্ধৃত করা হয়েছে, এতে বলা হয়েছে যে, যারা জানাজার নামাজে আসবে তারা আসলে মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে। যদি এমন অন্তত একশত লোক থাকে তাহলে আল্লাহ তার পক্ষ থেকে তাদের সুপারিশ কবুল করবেন। 4. আয়েশা (রা.) কর্তৃক প্রেরিত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন এক ব্যক্তি সর্বশক্তিমান আল্লাহর চূড়ান্ত রসূল (সাঃ) এর কাছে ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: “আমার মা মারা গেছেন। এই সত্ত্বেও, আমি মনে করি যে তিনি বেঁচে থাকলে, তিনি অভাবীদের জন্য ভিক্ষা দিতেন। আমি কি এখন তার পরিবর্তে এই কাজ করতে পারি?" নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন (বুখারী ও মুসলিম উদ্ধৃত)। 5. মৃতদের আত্মার পরিত্রাণের জন্য প্রার্থনা করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আরেকটি যুক্তি হল ইসলামী আইনের আদর্শ, যা মৃত ব্যক্তির জন্য তীর্থযাত্রা (হজ) করার অনুমতি দেয়। ৬. মুহাম্মাদ (সাঃ) এর গ্রেস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস এর একটি হাদিসে নিম্নোক্ত পরিস্থিতি দেওয়া হয়েছে। তারা তাকে একটি ভেড়া এনেছিল, যা সে নিজেই জবাই করেছিল। এর পরে, রাসূল (সাঃ) বললেন: “সর্বশক্তিমানের সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ্ মহান! আমি এই কাজটি ব্যক্তিগতভাবে নিজের জন্য এবং আমার সম্প্রদায়ের সকল সদস্যদের জন্য করেছি যারা কুরবানী করতে অক্ষম ছিল” (আবু দাউদ, তিরমিযী)।

মৃতদের জন্য প্রার্থনা বিরোধীদের যুক্তি

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে নেক আমল করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে আরও অনেক যুক্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে মধ্যযুগের প্রতিনিধিরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আসুন আমরা তাদের কিছু যুক্তি তুলে ধরিঃ ১) মু'তাযিলীরা, যারা পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের সময় শুধুমাত্র যুক্তির উপর নির্ভর করার প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করেছিল, তারা নিম্নলিখিত আয়াতটি উদ্ধৃত করে:

"প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে তার জিম্মি" (74:38)

তারা যুক্তি দেয় যে একজন ব্যক্তি অন্য লোকেদের ব্যয়ে সাফল্যের উপর নির্ভর করতে পারে না। যাইহোক, মু'তাযিলীরা এই সত্যটিকে উপেক্ষা করে যে আয়াতটি কেবল পাপ কাজের সাথে সম্পর্কিত। আয়াতটি ভালো কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। 2) পবিত্র কুরআনের আরেকটি আয়াত ছিল মুতাযিলীদের হাতে ঘন ঘন হাতিয়ার:

"একজন ব্যক্তি কেবল সেই জিনিসটিই পাবে যার জন্য সে চেষ্টা করেছে" (53:39)

এ থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহর একজন বান্দা অন্য লোকের কৃত কর্মের উপর নির্ভর করতে পারে না। যাইহোক, মু'তাযিলীদের এই যুক্তির জবাব একসাথে একাধিক অবস্থান থেকে দেওয়া যেতে পারে। চলুন শুরু করা যাক যে উপরোক্ত আয়াত. এর আইনি উপাদানটি সূরা "পর্বত" এর একটি আয়াত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে:

"আমরা বিশ্বাসীদেরকে তাদের বংশধরদের সাথে পুনর্মিলন করব যারা বিশ্বাসে তাদের অনুসরণ করেছিল, এবং আমরা তাদের কাজকে সামান্যতমও হ্রাস করব না" (52:21)

ইসলাম ধর্মতত্ত্ববিদরা পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এই পাঠকে এই অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন যে বিচারের দিন, পিতামাতার ধার্মিক সন্তানেরা তাদের দাঁড়িপাল্লা ওজন করতে সক্ষম হবে, যেখানে ভাল কাজগুলি পাওয়া যাবে। উপরোক্ত হাদিসে তিনটি জিনিস সম্পর্কে একই কথা বলা হয়েছে যা মৃত্যুর পর একজন ব্যক্তির জন্য ঈশ্বরের পুরস্কার নিয়ে আসবে। আরও, এটি লক্ষণীয় যে মু'তাযিলীদের দ্বারা উদ্ধৃত আয়াতটি কাফেরদের এবং যারা মুনাফিকভাবে ইসলামের আড়ালে লুকিয়ে ছিল তাদের বোঝায়। কোনো কোনো রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, আয়াতে উল্লেখিত ব্যক্তি হচ্ছে আবু জাহল, যে প্রথম মুসলমানদের অনেক ক্ষতি করে এবং কুফরী অবস্থায় এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। সুতরাং, এই সমস্যাটির উপর মু'তাজিলি দৃষ্টিভঙ্গি মুসলিম পণ্ডিতদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের রব আদেশ করেছেন, “আমাকে ডাক, আমি তোমাদের দোয়া পূরণ করব।” . “প্রভুর সাথে নম্রভাবে এবং নম্রভাবে কথা বলুন। নিশ্চয়ই তিনি অজ্ঞদের ভালবাসেন না।"

"যখন আমার বান্দারা (হে মুহাম্মাদ) আপনার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, (তাদের জানাবেন) কারণ আমি কাছে আছি এবং যারা আমাকে ডাকলে তাদের ডাকে সাড়া দেই।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "দুআ হল ইবাদত (আল্লাহর)"

যদি ফরজ নামাযের পরে কোন সুন্নত না থাকে, যেমন, সুবহ্‌ ও আছর নামাযের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া।

أَسْتَغْفِرُ اللهَ

"আস্তাগফিরু-আল্লাহ" . 240

অর্থ: আমি সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তারপর তারা বলে:

اَلَّلهُمَّ اَنْتَ السَّلاَمُ ومِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالاْكْرَامِ

"আল্লাহুম্মা আনতাস-সালামু ওয়া মিনকাস-সালামু তাবারক্তা ইয়া জাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, তুমিই সেই ব্যক্তি যার কোন দোষ নেই, তোমার কাছ থেকে আসে শান্তি ও নিরাপত্তা। হে যিনি মহানুভবতা ও উদারতার অধিকারী।"

اَلَّلهُمَّ أعِنِي عَلَى ذَكْرِكَ و شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَتِكَ َ

"আল্লাহুম্মা 'আয়ন্নি 'আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিক্যা ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিক।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমাকে আপনাকে যথাযথভাবে স্মরণ করতে, আপনাকে যথাযথভাবে ধন্যবাদ জানাতে এবং সর্বোত্তম উপায়ে আপনার ইবাদত করতে সাহায্য করুন।"

সালাওয়াত ফরজ এবং সুন্নত নামাযের পরে উভয়ই পড়া হয়:

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى ألِ مُحَمَّدٍ

“আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা ক কিনা মুহাম্মদ।"

অর্থ: « হে আল্লাহ, আমাদের গুরু নবী মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারকে আরও মহিমা দান করুন।"

সালাওয়াতের পরে তারা পড়ে:

سُبْحَانَ اَللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ اِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيمِ

مَا شَاءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَم يَشَاءْ لَمْ يَكُنْ

“সুবহানাল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইলিয়া বিল্লাহিল ‘আলি-ইল-‘আযিম। মাশাআল্লাহু কায়ানা ওয়া মা লাম ইয়াশা লাম ইয়াকুন।”

অর্থ: « আল্লাহ অবিশ্বাসীদের দ্বারা তাঁর প্রতি আরোপিত ত্রুটিগুলি থেকে পবিত্র, আল্লাহর প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবার উপরে, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও সুরক্ষা নেই। আল্লাহ যা চান তাই হবে আর আল্লাহ যা চাননি তা হবে না।

এরপর "আয়াতুল কুরসি" পড়ুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হবে না।"

"আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শয়তানির-রাজিম বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম"

"আল্লাহু লা ইলাহা ক ইলিয়া হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা হুযুহু সিনাতু-ওয়ালা নাউম, লিয়াহু মা ফিস সামাউতি উয়া মা ফিল আরদ, মান জাল্ল্যাযী ইয়াশফা‘উ ইন্দাহু ইল্যা বি তাদের মধ্যে, ইয়া’লিয়ামু মা বায়না আইদিহিম ওয়া মা হাফহাহুম ওয়া লা শাবিমিমুনা। 'ইলমিহি ইলিয়া বিমা শা, ওয়াসিয়া কুরসিয়ুহু সামা-উআতি ওয়াল আরদ, ওয়া লা ইয়াউদুখু হিফজুখুমা ওয়া হুয়াল 'আলিয়ুল 'আযি-ইম।'

আউজু এর অর্থ: “আমি শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই, যে তার রহমত থেকে অনেক দূরে। আল্লাহর নামে, যিনি এই জগতের সকলের জন্য করুণাময় এবং বিশ্বের শেষ প্রান্তে শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য করুণাময়।"

আয়াতুল কুরসির অর্থ: "আল্লাহ - তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরজীবী, বিদ্যমান। তন্দ্রা বা নিদ্রা কোনটাই তাঁর উপর ক্ষমতা রাখে না। আসমানে যা কিছু আছে এবং যা পৃথিবীতে আছে সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া কে তাঁর সামনে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন মানুষের আগে কী ঘটেছিল এবং তাদের পরে কী ঘটবে। মানুষ তার জ্ঞান থেকে শুধু যা ইচ্ছা বুঝে। আকাশ ও পৃথিবী তাঁর অধীন। তাদের রক্ষা করা তাঁর জন্য বোঝা নয়; তিনি সর্বোত্তম।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যিনি প্রত্যেক নামাযের পর 33 বার “সুবহানা-আল্লাহ”, 33 বার “আলহামদুলিল্লাহ”, 33 বার “আল্লাহু আকবার” এবং একশত বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়া” বলে। লাহুউল হামদু ওয়া" হুয়া'কলা কুল্লি শায়ীন কাদির, "আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন, যদিও সমুদ্রের ফেনার পরিমাণও হয়।".

তারপরে নিম্নলিখিত 246 ধিকারগুলি পর্যায়ক্রমে পড়া হয়:

এর পরে তারা পড়ে:

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ.لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লিয়া, লাহুল মুলকু ওয়া লাহালুল হামদু ওয়া হুয়া" ক লা কুল্লি শায়িন কাদির।"

তারপর তারা তাদের হাত বুকের সমতল পর্যন্ত তুলবে, তালু আপ করবে এবং নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দুআ পড়েছেন বা অন্য কোন দুআ পড়ে যা শরিয়তের পরিপন্থী নয়।

ধর্ম এবং বিশ্বাস সম্পর্কে সব - "অনুরোধের সাথে দোয়া প্রার্থনা" সহ বিস্তারিত বিবরণএবং ফটোগ্রাফ।

“বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আল্লাহুমা ইয়া সানি উ কুল্লি মাসনু ইয়া জাবিরু কুল্লি কিয়াসিরিন ইয়া মুচনিসু কুল্লি ফাকিরিন ইয়া সাহিবু কুল্লি গারিবিন ইয়া শাফি কুল্লি মারিদিন ইয়া হাদিরু কুল্লি হাল্লিকিন ইয়া রাজিকু কুল্লি মারজিকিন ইয়া খালিকু কুল্লি মাখলিউকিন মাখলিউকিন মাখলিউকিন মাখলিউকিন ইয়া হাদিরু কুল্লি হাল্লিকিন। লিবু কুল্লি মাগলুবিন ইয়া মালিক কুল্লি মামলুকিন ইয়া শাহিদু কুল্লি মাশখুদিন ইয়া কাশিফু কুল্লি কারবিন ইজাল-লি মিনানরি, ফারজান ওয়া মাহরাজান ইকজিফ কালবি লার্জু আহাদান সিউয়াক। বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার-রাহিমিন”

হে আল্লাহ, সকল সৃষ্টির স্রষ্টা, হে সকল গরীবদের সান্ত্বনাদাতা, হে সকল বিচরণকারীর সঙ্গী, হে সকল রুগ্নকে আরোগ্যকারী, হে অভাবগ্রস্তকে আশীর্বাদদাতা, হে সকল কিছুর প্রকাশক, হে সকল কিছুর বিজয়ী। জয়ী, হে দৃশ্যমান সবকিছুর সাক্ষী, হে সকল দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তিদাতা! হে আল্লাহ, আমাকে প্রতিটি বিষয়ে সফল ফলাফল দান করুন, আমার হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করুন! আমি আপনার ছাড়া কারো উপর নির্ভর করি না এবং আপনার রহমতের উপর ভরসা করি, হে করুণাময়দের মধ্যে পরম করুণাময়! !

এই নামাজের 30টি ফজিলত রয়েছে:

1. কেউ যদি নিজেকে শত্রুদের মধ্যে দেখতে পায় এবং তাদের ক্ষতির আশঙ্কা করে, তবে তাকে অযু অবস্থায় আন্তরিকভাবে এটি 7 বার পাঠ করা উচিত। প্রার্থনা এবং আল্লাহতাকে রক্ষা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

2. কেউ যদি নিজেকে দারিদ্র্য ও দুর্দশার মধ্যে দেখতে পায়, তবে তাকে অবশ্যই সন্ধ্যায় 2 রাকাত পড়তে হবে, প্রতিটি রাকাতে "ফাতিহার" পরে সূরা "ইখলাস" পাঠ করতে হবে। নামাজের পরে, এই দোয়াটি পড়ুন এবং বলুন: "হে আল্লাহ! "তাজনামার" সম্মানের খাতিরে আমাকে দারিদ্র্য থেকে বাঁচাও! এবং তারপর আপনি যা চান তা জিজ্ঞাসা করুন এবং আপনার মুখের উপর আপনার হাতের তালু চালান ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ শীঘ্রই আপনার অনুরোধটি কবুল করবেন।

3. যে ব্যক্তি শিখরের (দুর্নীতি) দ্বারা পরাজিত হয় সে অবশ্যই এই দোয়াটি পানির উপর 7 বার পাঠ করবে, তারপর এই জলটি তার উপর ঢেলে দেবে এবং কিছুটা পান করবে, ইনশাআল্লাহ, শিখর থেকে মুক্তি পাবেন।

4. যদি কেউ এত বেশি খাওয়া হয় যে হৃদয়ে ব্যথা দেখা দেয়, তবে আপনাকে সাদা প্লেটে জাফরান দিয়ে এই প্রার্থনাটি লিখতে হবে, জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, পান করতে হবে, আপনার মুখ এবং চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

5. যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকে এবং কোন কিছুই তাকে সাহায্য করে না, তবে তাকে এই দোয়াটি 70 বার পড়তে হবে এবং বৃষ্টির পানিতে ফুঁ দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করাতে হবে, ইনশাআল্লাহ, সে শীঘ্রই উপশম পাবে।

6. যদি কেউ নিজেকে বড় দুর্ভাগ্য ও কষ্টের মধ্যে দেখতে পায়, তবে একজনকে অবশ্যই অযু অবস্থায় এই দোয়াটি 1000 বার পড়তে হবে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ সাহায্য করবেন।

7. যে কেউ তাদের বসের কাছ থেকে তাদের সমস্যার ইতিবাচক সমাধান পেতে চায় তার কাছে এই প্রার্থনাটি 7 বার পাঠ করা উচিত এবং, ইনশাআল্লাহ, তিনি যা চান তা অর্জন করবেন।

8. শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভুগলে এই দোয়াটি কানে ৩ বার পড়লে ইনশাআল্লাহ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

9. যে ব্যক্তি শুক্রবার সকালে 48 বার একটি দোয়া পড়বে, সবাই সেই ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করবে।

10. যদি একজন ব্যক্তি অন্যায়ের কারণে সমস্যায় পড়ে, তবে তার উচিত, প্রতিটি পরে সকালের প্রার্থনাএই দোয়াটি 40 বার পড়ুন এবং নিজের উপর ফুঁ দিন ইনশাআল্লাহ, আপনি কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

11. যদি কোন ব্যক্তি অলস থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমাতে পছন্দ করে, তাহলে তাকে শুক্রবারে জুমার নামাজের পর এই দোয়াটি 25 বার পড়তে হবে।

12.যার সন্তান নেই সে যেন শুক্রবার রাতে মোমের উপর ৭০ বার এই দোয়াটি পড়ে পানিতে ভিজিয়ে পান করে, ইনশাআল্লাহ সন্তান হবে।

14. যে তার শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়, সে যেন এই দোয়াটি 70 বার পাঠ করে।

15. যে কেউ একটি সফল ব্যবসা (বাণিজ্য) করতে চান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একবার এই দোয়াটি পাঠ করুন এবং এটি তার সাথে বহন করুন।

16. সফল দুনিয়া ও আখিরিতের জন্য, আপনাকে প্রতিদিন 3 বার পড়তে হবে এবং আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।

17. যদি আপনি একটি প্লেটে লিখে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করতে দেন তবে সে সুস্থ হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।

18. শত্রুদের অপবাদ বন্ধ করার জন্য, আপনাকে এটি 11 বার পড়তে হবে।

19.ভ্রমণ থেকে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য, আপনাকে এই দোয়াটি 10 বার পড়তে হবে।

21. যে ব্যক্তি নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফাআত পেতে চায়, তাকে প্রতিদিন 100 বার এই দোয়াটি পড়তে হবে।

22. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও বন্ধুত্ব না থাকলে, তারা যেন সাদা কাগজে জাফরানে এই দোয়াটি লিখে বিছানায় শোয়, তাদের সম্পর্কের উন্নতি হবে, ইনশাআল্লাহ, কোন সিহর তাদের নেবে না।

23. আল্লাহ একজন ব্যক্তির জন্য সুখের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য, একজনকে এই দোয়াটি 15 বার পড়তে হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

24. যদি এই প্রার্থনাটি একটি শিশুর সাথে সংযুক্ত থাকে তবে সে জিনদের ভয় এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

26. যদি একটি মেয়ে তার সাথে এই প্রার্থনা বহন করে, সবাই তাকে পছন্দ করবে।

28. সকালের নামাজের পরে দরকারী জ্ঞান অর্জনের জন্য, আপনাকে এই প্রার্থনাটি 70 বার পড়তে হবে।

29. যার অনেক বড় ঋণ আছে, ঋণ পরিশোধের নিয়তে এই দোয়াটি ৩০ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ সাহায্য করবেন।

30. যে কাউকে সাপে বা বিচ্ছু কামড়ালে এই দোয়াটি পড়ে কানে ফুঁ দিতে হবে, শীঘ্রই রোগী উপশম পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

দোয়া, দুআ

দুআ- একটি প্রার্থনা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে সরাসরি আবেদন, প্রার্থনার বিপরীতে, যে কোনও ভাষায় বিনামূল্যে উচ্চারণ করা হয়।

আরও দেখুন: কুরআনের দুআ (পিতা-মাতার জন্য দুআ, ইব্রাহিমের দুআ ইত্যাদি)

“যদি আমার বান্দারা আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে আমি কাছে আছি এবং যে ব্যক্তি আমাকে ডাকে তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকি। তারা আমাকে উত্তর দাও এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুক, সম্ভবত তারা সঠিক পথ অবলম্বন করবে।"(সূরা 2 "আল-বাকারা" / "গরু", আয়াত 186)

দুঃখের জন্য দুআ

لَا إلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظـيمُ الْحَلِـيمْ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ العَـرْشِ العَظِيـمِ، لَا إِلَـهَ إِلَّا اللَّهْ رَبُّ السَّمَـوّاتِ ورّبُّ الأَرْضِ ورَبُّ العَرْشِ الكَـريم

অর্থের অনুবাদ:মহান আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। নম্র, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, মহান আরশের রব, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের পালনকর্তা এবং মহান আরশের মালিক।

অনুবাদ:লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-ল-আযীমুল-হালিমু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, রাব্বুল-আরশি-ল-আযমী, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, রাব্বু-সামাবতী, ওয়া রাব্বুল-আরদি ওয়া রাব্বুল-আরশি- l-করিমী!

ছবিতে দুআ

বিষয়ের উপর প্রশ্ন

মুসলিম ক্যালেন্ডার

সবচেয়ে জনপ্রিয়

হালাল রেসিপি

আমাদের প্রকল্প

সাইটের উপকরণ ব্যবহার করার সময়, উৎসের একটি সক্রিয় লিঙ্ক প্রয়োজন

সাইটে পবিত্র কুরআন ই. কুলিয়েভ (2013) অনলাইন কুরআনের অনুবাদ থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে

দোয়া প্রার্থনার অনুরোধ

জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহুর্তের জন্য 8টি কুরআনের দুআ

দুআ, অর্থাৎ আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ইবাদতের অন্যতম প্রকার। নিখুঁত এবং সর্বশক্তিমান একজনের কাছে একটি অনুরোধ, একটি আবেদন, একটি অনুনয় যথেষ্ট প্রাকৃতিক পরিস্থিতিসীমিত শক্তি এবং ক্ষমতা সহ একজন ব্যক্তি। অতএব, একজন ব্যক্তি স্রষ্টার দিকে ফিরে যায় এবং তার কাছে এমন সব কিছু চায় যার উপর তার নিজের কোন ক্ষমতা নেই।

যাইহোক, প্রায়শই লোকেরা তাঁর দ্বারা প্রদর্শিত অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ হয় না, এবং যখন তারা অসুবিধা এবং পরীক্ষার মুহুর্তগুলির মুখোমুখি হয় তখন তাকে স্মরণ করে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতে বলেছেন:

“যদি একজন ব্যক্তির খারাপ কিছু ঘটে (কঠিন, বেদনাদায়ক; ঝামেলা, ক্ষতি, ক্ষতি), তিনি [সকল অবস্থানে] ঈশ্বরের দিকে ফিরে যান: শুয়ে, বসে এবং দাঁড়িয়ে [সাহায্যের জন্য প্রভুর কাছে অক্লান্ত প্রার্থনা]। যখন, সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে, তার সমস্যাগুলি দূর হয়ে যায় (সবকিছু সফলভাবে শেষ হয়), তখন তিনি চলে যান [তার চালিয়ে যান জীবনের পথ, সহজে এবং দ্রুত ঈশ্বর এবং তাকওয়া সম্পর্কে ভুলে যাওয়া] এবং এমন আচরণ করে যেন কিছুই ঘটেনি, যেন সে তার সাথে উদ্ভূত সমস্যার [সমাধান] চায়নি" (সূরা ইউনুস, আয়াত - 12)।

সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে সম্বোধন করা প্রার্থনাই হল মানুষের উপাসনার ভিত্তি, যেটির প্রতি মহান আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন: “দুআ হল ইবাদতের ভিত্তি, কারণ প্রভু নিজেই বলেছেন : "আমার সাথে যোগাযোগ করুন (প্রার্থনা সহ) যাতে আমি আপনার অনুরোধ পূরণ করতে পারি" (আবু দাউদ, বিতর23, নং. 1479)।

আজ আমরা আপনার নজরে আনছি কুরআনের দুআগুলির একটি সিরিজ যা নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান।

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

রাব্বানা আমান্না ফাগফির লানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর-রাহিমিন।

"প্রভু, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন, আপনি দয়াকারীদের মধ্যে সর্বোত্তম [এই ক্ষমতায় আপনার সাথে কেউ তুলনা করতে পারে না]" (সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত -109)।

رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ

রাব্বানা আগুযু বিক্যা মিন হুমাযাতিশ-শাইতিনি ওয়া আগুযু বিকা রাব্বি আন ইয়াহদজুরুন।

“[যখনই শয়তানের প্ররোচনা আপনার উপর আসে] বল [নিম্নলিখিত প্রার্থনা-দুআ বলুন]: “প্রভু, আমি আপনার কাছে শয়তান ও তার দোসরদের প্ররোচনা (প্ররোচনা) থেকে সুরক্ষা চাই [তারা যা কিছু বপন করে। মন এবং আত্মার মানুষ: খারাপ চিন্তা, প্রলোভন, আবেশ, অনুভূতির প্রতারণা]। আমাকে তাদের [হঠাৎ] উপস্থিতি থেকে [মন্দের সাথে, ঘৃণা, ক্রোধ, অসন্তোষ, অসহিষ্ণুতার অঙ্গার থেকে রক্ষা করুন। সর্বোপরি, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না]" (সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত - 97-98)।

فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِّن قَوْلِهَا وَقَالَ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ

ফাতাবাসামা জাহিকান মিন কাউলিহা রাব্বি আউজিনি আন আশকুরা নি'মাতিকাল-লাতি আন'আমতা 'আলাইয়া ওয়া' আলা বৈধয়া ওয়া আন আ'মাল্যা সালিখান তারদজাহু ওয়াদখিলনি বিরহমাতিকা ফী গায়বাদিকা সালীখিন।

“এর জবাবে, তিনি (সুলেমান) হেসেছিলেন, [এবং তারপর] হেসেছিলেন [যা ঘটছে তাতে আনন্দিত এবং ঈশ্বরের দেওয়া এমন অস্বাভাবিক সুযোগে অবাক হয়েছিলেন]। [অনুপ্রেরণায়] তিনি প্রার্থনা করেছিলেন: “প্রভু, আমাকে অনুপ্রাণিত করুন (আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে অনুপ্রাণিত করুন) আপনি আমাকে এবং আমার পিতামাতাকে যা দিয়েছেন তার জন্য আপনার প্রতি [এবং সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকতে]। আমাকে উত্সাহিত করুন [নিজেকে, আমার আকাঙ্ক্ষাগুলি, আমার ক্রিয়াকলাপগুলিকে বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিচালনা করতে অনুপ্রাণিত করুন] ভাল, সঠিক কাজগুলি করতে, আপনাকে খুশি করবে এমন কাজ করতে। আমাকে, তোমার রহমতে, ধার্মিক বান্দাদের সংখ্যায় আনুন (যারা অনন্তকালের জন্য স্বর্গীয় বাসস্থানের যোগ্য) [যাদের থেকে কোন ক্ষতি নেই; ধার্মিকদের মধ্যে, ভাল; স্থির না, কিন্তু পরিবর্তন এবং পরিবর্তন ভাল দিক]" (সূরা আল-নামল, আয়াত - 19)।

رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

রাব্বিবনি লি 'যিদাক্যা বায়াতিয়ান ফিল-জান্নাতি ওয়া নাজিনি মিন ফিরআওনা ওয়া আমালিহি ওয়া নাজিনি মিনাল-কাউমিজ-জালিমিন।

“প্রভু, আপনার স্বর্গীয় আবাসে আমার জন্য একটি ঘর (প্রাসাদ) তৈরি করুন [আমাকে অনন্তকালের জন্য জান্নাতে যেতে সাহায্য করুন] এবং আমাকে ফেরাউন এবং তার কাজ থেকে রক্ষা করুন। আমাকে অত্যাচারী লোকদের হাত থেকে রক্ষা কর” (সূরা আত-তাহরীম, আয়াত-১১)।

رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنُيَا وَالآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ

রাব্বি কাদ আতাইতানি মিনাল-মুলকি ওয়া 'আলাইমাতানি মিন তা'উইলিল আহাদিসি ফাতিরাস-সামাবতী ওয়াল-আরদযি আন্তা ওয়ালিয়া ফিদ-দুনিয়া ওয়াল-আখিরাতি তাওওয়াফ্ফানি মুসলিম ওয়া আল-হাইকনি বিস-সালিহীন।

"হে ভগবান! আপনি আমাকে ক্ষমতা দিয়েছেন এবং আমাকে কীভাবে বর্ণনা (পরিস্থিতি, পরিস্থিতি, শাস্ত্র, স্বপ্ন) ব্যাখ্যা করতে হয় তা শিখিয়েছেন। হে স্বর্গ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, আপনি পার্থিব ও অনন্ত আবাসে আমার পৃষ্ঠপোষক। আমাকে একজন মুসলিম (আপনার অনুগত) হিসেবে মৃত্যুবরণ করার সুযোগ দিন এবং আমাকে উত্তম [আপনার রসূলদের একজন, ন্যায়পরায়ণ] মধ্যে গণ্য করুন" (সূরা ইউসুফ, আয়াত - 101)।

فَقَالُواْ عَلَى اللّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

ফাকালিউ ‘আলা আল্লাহুতাউওয়াক্কিয়ালনা রব্বানা লা তাজ’আলনা ফিতনাতান লিল-কাউমিজ-যালিমিনা ওয়া নাজ্জানা বিরহমাতিকা মিনাল-কাউমিল-কাফিরিন।

“তারা উত্তর দিল: “আমরা আল্লাহর (আল্লাহর) উপর ভরসা করেছি। প্রভু, আমাদেরকে পাপী লোকদের দ্বারা টুকরো টুকরো হতে দেবেন না (আমাদের অপমান ও অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন; আমাদের এমন কঠিন পরীক্ষার অধীন করবেন না)! আপনার রহমতে, ধার্মিক লোকদের [আক্রমণ] থেকে আমাদের রক্ষা করুন" (সুরা ইউনুস, আয়াত 85-86)।

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ

রব্বানাগফিরল্যানা ওয়াল-ইখওয়ানিনাল-লিয়াযিনা সাবাকুনা বিল-ইমানি ওয়া লা তাজগাল ফী কুলুবিনা গাইল্লিয়ান লিলিয়াযীনা আমানু রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুন রাহীম।

"সৃষ্টিকর্তা! আমাদেরকে এবং আমাদের পূর্ববর্তী মুমিন ভাইদেরকে ক্ষমা করুন। এবং মুমিনদের প্রতি আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ (বিদ্বেষ) না থাকুক [যাদের মধ্যে অন্তত একটি কণা ঈমান আছে, যেমন অন্য কোনো মানুষের প্রতি কোনো বিদ্বেষ থাকবে না]। হে প্রভু, সত্যিই তুমি করুণাময় (দয়াময়, কোমল) এবং সর্ব-করুণাময়" (সূরা আল-হাশর, আয়াত-10)।

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

রাব্বানা তাকাব্বাল মিনা ইন্নাকা আনতাস-সামিউল-'আলিম।

“প্রভু, এটা আমাদের কাছ থেকে কবুল করুন [একটি ভাল কাজ এবং কাজ যা আমাদের আপনার কাছাকাছি নিয়ে আসে]। তুমি সবই শোন এবং সবই জানো" (সূরা আল-বাকারা, আয়াত – 127)।

আল্লাহর ক্ষমতা নিছকই মর্মান্তিক

আমি মনে করি প্রত্যেকের এই ভিডিওটি দেখা দরকার - এটি কেবল মর্মান্তিক। আমি দেখার পর আমি অন্যভাবে দোয়া পড়তে লাগলাম। না, আমি তখনও হানাফী ছিলাম, কিন্তু আমার নামাজে নম্রতা দেখা দেয়। এখন আমি বুঝতে শুরু করেছি কোন প্রভুর পূজা করি

এই সূরাটি মৃত্যু ছাড়া সকল রোগ থেকে মুক্তি দেয়

যে ব্যক্তি 2 রাকাত বিশিষ্ট নামাযের প্রতিটি রাকাতে 7 বার সূরা পাঠ করবে তার ইচ্ছা পূরণ হবে।

রমজান মাসে তৃষ্ণা নিবারণের উপায় কী?

সঠিক এবং স্বাস্থকর খাদ্যগ্রহনসর্বদা পূর্ণ জীবনের মূল দিকগুলির মধ্যে একটি। এই পোস্ট কোন ব্যতিক্রম নয়. পবিত্র মাসরমজান। সাধারণভাবে, রমজানে রোজা শরীরের কার্যকারিতার সাথে নিজস্ব সমন্বয় করে। তাই বিপাক নতুন খাদ্য এবং ঘুমের নিয়মের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

একজন মুমিন খারাপ স্বপ্ন দেখলে কি করবেন?

নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন যে স্বপ্ন একটি পাখির নখর মধ্যে, কারণ এটি সর্বশক্তিমান থেকে একটি গোপন এবং গোপন বার্তা, যা বলা ভুল হবে।

সব অনুষ্ঠানের জন্য ৩টি দুআ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তিনি বললেনঃ বিসমিল্লাহিল-লাযী।

৭টি ক্ষেত্রে ফরয সালাতে বাধা দেওয়া জায়েয

নিম্নোক্ত পরিস্থিতিতে, একজন ব্যক্তিকে তার নামাজে বাধা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, যদিও এই নামাজ ফরজ হয়:

নামাজ পড়ার সময় চোখ বন্ধ করা কি ঠিক?

নামাযের মাকরূহ (খুবই অবাঞ্ছিত কাজ) এর মধ্যে নিম্নলিখিত কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

যে এই শব্দগুলি ক্রমাগত উচ্চারণ করে সে দারিদ্র্য জানবে না এবং পার্থিব ঝামেলা থেকে রক্ষা পাবে

মহানবী (সাঃ) বলেছেন: “যদি কেউ “রাদিয়তু বিল্লাহি রাব্বেনে বিল ইসলামি দ্বীনে বি মুহাম্মাদী রাসুলেন ভেজেবেতেলেহুল জান্নাহ” এই বাক্যটি উচ্চারণ করে, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব (অর্থাৎ ওয়াজিব) হয়ে যাবে। এই বাক্যাংশের অর্থ: আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর শাসনে সন্তুষ্ট, তিনি ছাড়া আমার অন্য প্রভুর প্রয়োজন নেই।

নামাজের পর দুআ

নামাজের পর কি পড়বেন

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “তোমাদের রব আদেশ করেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের দুআ পূরণ করব। “প্রভুর সাথে নম্রভাবে এবং নম্রভাবে কথা বলুন। নিশ্চয়ই তিনি অজ্ঞদের ভালবাসেন না।"

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “দুআ হল ইবাদত (আল্লাহর)”।

অর্থ: আমি সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

اَلَّلهُمَّ اَنْتَ السَّلاَمُ ومِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالاْكْرَامِ

অর্থ: “হে আল্লাহ, তুমিই সেই ব্যক্তি যার কোন দোষ নেই, তোমার কাছ থেকেই আসে শান্তি ও নিরাপত্তা। হে যিনি মহানুভবতা ও উদারতার অধিকারী।"

اَلَّلهُمَّ أعِنِي عَلَى ذَكْرِكَ و شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَتِكَ َ

"আল্লাহুম্মা 'আয়ন্নি 'আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিক্যা ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিক।"

সালাওয়াত ফরজ এবং সুন্নত নামাযের পরে উভয়ই পড়া হয়:

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى ألِ مُحَمَّدٍ

"আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু নবী মুহাম্মদ ও তাঁর পরিবারকে আরো মহিমা দান করুন।"

সালাওয়াতের পরে তারা পড়ে:

سُبْحَانَ اَللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ اِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ

وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيمِ

مَا شَاءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَم يَشَاءْ لَمْ يَكُنْ

অর্থ: “আল্লাহ অবিশ্বাসীদের দ্বারা তাঁর প্রতি আরোপিত ত্রুটিগুলি থেকে পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবার উপরে, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও সুরক্ষা নেই। আল্লাহ যা চান তাই হবে আর আল্লাহ যা চাননি তা হবে না।

এরপর "আয়াতুল কুরসি" পড়ুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হবে না।

"আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শয়তানির-রাজিম বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম"

“আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা হুযুহু সিনাতু-ওয়ালা নাউম, লাহু মা ফিস সামাউতি ওয়া মা ফিল আরদ, মান জাল্ল্যাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বি উনাদের, ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা হাফআহুম ওয়া লা। বি শাইম-মিন 'ইলমিহি ইল্যা বিমা শা, ওয়াসিয়া কুরসিয়ুহু সামা-উতি ওয়াল আরদ, ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফজুখুমা ওয়া হুয়াল 'আলিয়ুল 'আযী-ইম।'

আউযুর অর্থ: “আমি শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই, যে তার রহমত থেকে দূরে। আল্লাহর নামে, যিনি এই জগতের সকলের জন্য করুণাময় এবং বিশ্বের শেষ প্রান্তে শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য করুণাময়।"

আয়াতুল কুরসীর অর্থ: “আল্লাহ – তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরজীবী, বিদ্যমান। তন্দ্রা বা নিদ্রা কোনটাই তাঁর উপর ক্ষমতা রাখে না। আসমানে যা কিছু আছে এবং যা পৃথিবীতে আছে সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া কে তাঁর সামনে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন মানুষের আগে কী ঘটেছিল এবং তাদের পরে কী ঘটবে। মানুষ তার জ্ঞান থেকে শুধু যা ইচ্ছা বুঝে। আকাশ ও পৃথিবী তাঁর অধীন। তাদের রক্ষা করা তাঁর জন্য বোঝা নয়; তিনি সর্বোত্তম।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রতি সালাতের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্লাহু আকবার’ এবং শততম বার ‘লা ইলাহা’ বলে। ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু "লা শারিকা লায়খ, লাহালুল মুলকু ওয়া লাহালুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ীন কাদির," আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন, যদিও সমুদ্রের ফেনার পরিমাণও হয়।"

তারপর নিম্নোক্ত যিকিরগুলো পর্যায়ক্রমে পাঠ করা হয় 246:

33 বার "সুবহানাল্লাহ";

33 বার "আলহামদুলিল্লাহ";

"আল্লাহু আকবার" ৩৩ বার।

এর পরে তারা পড়ে:

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ.لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ

وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, লাহালুল মুলকু ওয়া লাহালুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ীন কাদির।"

দুআ হল আল্লাহর সেবা

দুআ মহান আল্লাহর ইবাদতের অন্যতম রূপ। যখন একজন ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে অনুরোধ করে, তখন এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সে তার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে যে একমাত্র আল্লাহই একজন ব্যক্তিকে তার যা প্রয়োজন তা দিতে পারেন; তিনিই একমাত্র যার উপর নির্ভর করা উচিত এবং যার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা বিভিন্ন (শরিয়াহ অনুসারে অনুমোদিত) অনুরোধের সাথে যতবার সম্ভব তাঁর দিকে ফিরে যায়।

দু'আ হল একজন মুসলমানের অস্ত্র যা তাকে আল্লাহ প্রদত্ত। একবার নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন: "আপনি কি চান যে আমি আপনাকে এমন একটি প্রতিকার শিখিয়ে দিই যা আপনাকে দুর্ভাগ্য এবং সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে যেগুলি আপনার উপর পতিত হয়েছে?" "আমরা চাই," সঙ্গীরা উত্তর দিল। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেন: “যদি আপনি দু’আটি পড়েন “লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাক্য ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন২৪৭”, এবং যদি আপনি অনুপস্থিত বিশ্বাসী ভাইয়ের জন্য দুআটি পড়েন। মুহুর্তে, তাহলে দুআটি সর্বশক্তিমান দ্বারা কবুল হবে।" ফেরেশতারা দু'আ পাঠকারী ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে বলেন: "আমিন। আপনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটুক।"

দুআ হল আল্লাহ কর্তৃক পুরস্কৃত একটি ইবাদত এবং এর বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে:

দু'আটি আল্লাহর প্রশংসার শব্দ দিয়ে শুরু করা উচিত: "আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল 'আলামিন", তারপর আপনাকে নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাওয়াত পড়তে হবে: "আল্লাহুম্মা সাল্লি 'আলা আলি মুহাম্মাদিন ওয়া সাল্লাম", তাহলে আপনার পাপের জন্য তওবা করতে হবে: "আস্তাগফিরুল্লাহ"।

বর্ণিত আছে যে, ফাদাল বিন উবায়দ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: “(একদা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনলেন কিভাবে এক ব্যক্তি তার নামাযের সময় আল্লাহর প্রশংসা না করে আল্লাহর কাছে দুআ করতে শুরু করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য প্রার্থনা না করে তাঁর দিকে ফিরে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “এই (লোকটি) তাড়াহুড়ো করেছে!”, তারপর তিনি তাকে নিজের কাছে ডেকে বললেন/ অথবা: …অন্য কারো কাছে/:

“তোমাদের কেউ যখন প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে চায়, তখন সে যেন তার মহিমান্বিত প্রভুর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারপর সে যেন নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করে”, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারপর সে যা চায় তা জিজ্ঞাসা করে।"

খলিফা উমর (রাঃ) বলেছেন: “আমাদের প্রার্থনা “সামা” এবং “আরশা” নামক স্বর্গীয় গোলক পর্যন্ত পৌঁছায় এবং সেখানেই থাকে যতক্ষণ না আমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাম না বলি, এবং তার পরেই তারা পৌঁছায়। ঐশ্বরিক সিংহাসন।"

2. যদি দু'আতে গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ থাকে, তবে এটি শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই অযু করতে হবে এবং যদি এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনাকে অবশ্যই পুরো শরীরের অযু করতে হবে।

3. দু'আ পড়ার সময়, কিবলার দিকে মুখ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

4. হাত মুখের সামনে রাখা উচিত, তালু উপরে। দু'আ শেষ করার পর, আপনাকে আপনার মুখের উপর আপনার হাত চালাতে হবে যাতে প্রসারিত হাতগুলি যে বারাকাহ দিয়ে পূর্ণ হয় তা আপনার মুখকেও স্পর্শ করে। জীবিত, উদার, তাঁর বান্দাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না যদি সে প্রার্থনায় হাত তুলে"

আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে দুয়ার সময়রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু’হাত এত বেশি উঁচু করতেন যে তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেত”।

5. অনুরোধটি অবশ্যই শ্রদ্ধার সুরে করা উচিত, শান্তভাবে, যাতে অন্যরা শুনতে না পায় এবং কেউ যেন স্বর্গের দিকে দৃষ্টি না ফেরায়।

6. দু'আ শেষে, আপনাকে অবশ্যই শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালায়াতের শব্দ উচ্চারণ করতে হবে তারপর বলুন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ .

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ .وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

"সুবহানা রাব্বিক্যা রাব্বিল ইজাত্তি আম্মা ইয়াসিফুনা ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিনা ওয়াল-হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।"

আল্লাহ কখন প্রথম দুআ কবুল করেন?

নির্দিষ্ট সময়ে: রমজান মাস, লায়লাতুল কদরের রাত, শা'বানের 15 তারিখের রাত, ছুটির উভয় রাত (ঈদ-উল-আযহা এবং কুরবান বায়রাম), রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, শুক্রবারের রাত ও দিন, ফজরের শুরু থেকে সূর্যের আবির্ভাবের সময়, সূর্যাস্তের শুরু থেকে তার শেষ পর্যন্ত, আযান ও ইকামার মধ্যবর্তী সময়, ইমাম জুমার নামাজ শুরু করার সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত।

কিছু কাজের সময়: কোরান পাঠের পর, জমজমের পানি পান করার সময়, বৃষ্টির সময়, সাজদের সময়, যিকিরের সময়।

নির্দিষ্ট স্থানে: হজ্জের স্থানে (আরাফাত পর্বত, মিনা ও মুজদালিফ উপত্যকা, কাবার নিকটে, ইত্যাদি), জমজম বসন্তের পাশে, নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরের পাশে।

নামাজের পর দুআ

"সাইদুল-ইস্তিগফার" (তাওবার প্রার্থনার প্রভু)

اَللَّهُمَّ أنْتَ رَبِّي لاَاِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِي وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلىَ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ أعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْليِ فَاِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوبَ اِلاَّ اَنْتَ

“আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা ইলাহা ইলিয়া আনতা, হালিয়াকতানি ওয়া আনা আবদুক, ওয়া আনা আ’লা আ’খদিক ওয়া ওয়াদিকে মাস্তাতা’তু। আউযু বিক্যা মিন শাররি মা সানাতু, আবু লাক্য বি-নি’মেতিক্যা ‘আলেইয়া ওয়া আবু বিজানবি ফাগফির লি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইলিয়া আন্তে।”

অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু। তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার চাকর. এবং আমি আপনার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার শপথ রাখার জন্য আমার ক্ষমতার সর্বোত্তম চেষ্টা করি। আমি যে ভুল এবং পাপ করেছি তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি। আমি আপনার দেওয়া সমস্ত আশীর্বাদের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি আপনাকে আমার পাপ ক্ষমা করতে বলি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, কারণ তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী কেউ নেই।"

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا صَلاَتَنَا وَصِيَامَنَا وَقِيَامَنَا وَقِرَاءتَنَا وَرُكُو عَنَا وَسُجُودَنَا وَقُعُودَنَا وَتَسْبِيحَنَا وَتَهْلِيلَنَا وَتَخَشُعَنَا وَتَضَرَّعَنَا.

أللَّهُمَّ تَمِّمْ تَقْصِيرَنَا وَتَقَبَّلْ تَمَامَنَا وَ اسْتَجِبْ دُعَاءَنَا وَغْفِرْ أحْيَاءَنَا وَرْحَمْ مَوْ تَانَا يَا مَولاَنَا. أللَّهُمَّ احْفَظْنَا يَافَيَّاضْ مِنْ جَمِيعِ الْبَلاَيَا وَالأمْرَاضِ.

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا هَذِهِ الصَّلاَةَ الْفَرْضِ مَعَ السَّنَّةِ مَعَ جَمِيعِ نُقْصَانَاتِهَا, بِفَضْلِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَتَضْرِبْ بِهَا وُجُو هَنَا يَا الَهَ العَالَمِينَ وَيَا خَيْرَ النَّاصِرِينَ. تَوَقَّنَا مُسْلِمِينَ وَألْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ. وَصَلَّى اللهُ تَعَالَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَعَلَى الِهِ وَأصْحَابِهِ أجْمَعِين .

“আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না সালিয়াতানা ওয়া সায়মানা ওয়া ক্যমানা ওয়া কিরাতানা ওয়া রুকুয়ানা ওয়া সুজুদানা ওয়া কুউদানা ওয়া তাসবিহানা ওয়াতাহলিলিয়ানা ওয়া তাহাশশুআনা ওয়া তাদাররুআনা। আল্লাহুম্মা, তাম্মিম তাকসিরানা ওয়া তাকাব্বাল তামামানা ওয়াস্তাজিব দুআনা ওয়া গফির আইয়ানা ওয়া রাহাম মাওতানা ইয়া মাওলানা। আল্লাহুম্মা, খাফাজনা ইয়া ফাইয়াদ মিন জামিয়ি ল-বালায়া ওয়াল-আমরাদ।

আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না হাযিহি সালাতা আল-ফরদ মাআ সুন্নাতি মাআ জামিয়ি নুকসানাতিহা, বিফাদলিক্যা ওয়াক্যারামিক্যা ওয়া লা তাদরিব বিহা ভুজুহানা, ইয়া ইলাহা ল-আলামিনা ওয়া ইয়া খাইরা নাসিরিন। তাওয়াফ্ফানা মুসলিমিনা ওয়া আলখিকনা বিসালিহিন। ওয়াসাল্লাহু তা’আলা ‘আলা খাইরি খালকিহি মুখাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসখাবিহি আজমাইন’।

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাদের কাছ থেকে আমাদের নামায, আমাদের রোজা, আপনার সামনে আমাদের দাঁড়ানো এবং কোরান পাঠ কবুল করুন। কোমর থেকে নম, এবং মাটিতে নত হওয়া, এবং আপনার সামনে বসে থাকা, এবং আপনার প্রশংসা করা, এবং আপনাকে একমাত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া, এবং আমাদের নম্রতা এবং আমাদের সম্মান! হে আল্লাহ, আমাদের নামাজের ফাঁক পূরণ করুন, আমাদের কবুল করুন সঠিক কর্ম, আমাদের প্রার্থনার উত্তর দিন, জীবিতদের পাপ ক্ষমা করুন এবং মৃতের প্রতি রহম করুন, হে আমাদের প্রভু! হে আল্লাহ, হে পরম দয়ালু, আমাদেরকে সকল সমস্যা ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন।

হে আল্লাহ, আপনার করুণা ও উদারতা অনুসারে আমাদের ফরজ ও সুন্নাহ, আমাদের সকল বাদ দিয়ে দোয়া কবুল করুন, কিন্তু আমাদের প্রার্থনা আমাদের মুখে নিক্ষেপ করবেন না, হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা, হে সর্বোত্তম সাহায্যকারী! আমরা যেন মুসলিম হিসেবে বিশ্রাম নিতে পারি এবং আমাদেরকে ধার্মিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ, তাঁর আত্মীয়স্বজন এবং তাঁর সমস্ত সাহাবীদের প্রতি তাঁর সৃষ্টির সর্বোত্তম বরকত দান করুন।”

اللهُمَّ اِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ, وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ, وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ, وَمِنْ شَرِّفِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ

"আল্লাহুম্মা, ইন্না আউযু বি-ক্যা মিন "আযাবি-ল-কবরী, ওয়া মিন আযাবি জাহান্না-মা, ওয়া মিন ফিতনাতি-ল-মাখ্যা ওয়া-ল-মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতি-ল-মাসিহি-দ-দাজ্জালি !

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং আল-মাসিহ দ-দাজ্জালের (খ্রীষ্টবিরোধী) ফিতনা থেকে। "

اللهُمَّ اِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ, وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْنِ, وَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ اُرَدَّ اِلَى أَرْذَلِ الْعُمْرِ, وَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذابِ الْقَبْرِ

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-ক্যা মিন আল-বুখলি, ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন আল-জুবনি, ওয়া আউজু বি-ক্যা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরজালি-ল-দি ওয়া আউজু বি- কেয়া মিন ফিতনাতি-দ-দুনিয়া ওয়া আযাবি-ল-কবরী।"

অর্থ: “হে আল্লাহ, আমি কৃপণতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, কাপুরুষতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, অসহায় বার্ধক্য থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি এবং দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি। "

اللهُمَّ اغْفِرْ ليِ ذَنْبِي كُلَّهُ, دِقَّهُ و جِلَّهُ, وَأَوَّلَهُ وَاَخِرَهُ وَعَلاَ نِيَتَهُ وَسِرَّهُ

"আল্লাহুম্মা-গফির লি জানবি কুল্লা-হু, দিক্কা-হু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আভালিয়া-হু ওয়া আহিরা-হু, ওয়া 'আলানিয়াতা-হু ওয়া সিরা-হু!"

অর্থ হে আল্লাহ, আমার ছোট-বড়, প্রথম ও শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন সব গুনাহ মাফ করে দিন!

اللهُمَّ اِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ, وَبِمُعَا فَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَاُحْصِي ثَنَا ءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِك

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-রিদা-ক্যা মিন সাহাতি-ক্যা ওয়া বি-মুআফাতি-ক্যা মিন 'উকুবাতি-ক্যা ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন-কেয়া, লা উহসি সানান আলাই-কেয়া আনতা কেয়া- মা আসনাইতা আলা নফসি-ক্যা।

অর্থ হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি তোমার ক্রোধ থেকে তোমার অনুগ্রহে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি! আপনি যে সমস্ত প্রশংসার যোগ্য তা আমি গণনা করতে পারি না, কারণ শুধুমাত্র আপনিই যথেষ্ট পরিমাণে আপনার নিজের কাছেই দিয়েছেন।

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْلَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

"হাদীতান ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকারখমানান ইন্নাকা ইন্তেল-ওয়াহাব থেকে রাব্বানা লা তুজিগ কুলুবানা বাদা।"

অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! একবার আপনি আমাদের অন্তরকে সরল পথের দিকে পরিচালিত করলে, তাদেরকে (তা থেকে) ফিরিয়ে দিও না। আপনার কাছ থেকে আমাদের রহমত দান করুন, কারণ আপনিই দাতা।”

رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ

عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ

تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا

أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ .

“রাব্বানা লা তুখাইজনা ইন-নাসিনা আউ আখতানা, রাব্বানা ওয়া লা তাহমিল আলেইনা ইসরান কেমা হামালতাহু আলাল-লিয়াযিনা মিন কাবলিনা, রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মাল্যা তাকাতালানা বিহি ওয়া'ফু'আন্না উগফিরলিয়ানা ওয়ারহামনা, মাসুরীনুলনা কাবলিনা। "

অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! আমরা ভুলে গেলে বা ভুল করলে আমাদের শাস্তি দিও না। আমাদের প্রভু! আমাদের উপর সেই ভার অর্পণ করো না, যা তুমি পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর অর্পণ করেছিলে। আমাদের প্রভু! আমরা যা করতে পারি না তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না। দয়া করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন, আপনি আমাদের শাসক। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।"

আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার জন্য, আপনাকে মনে রাখতে হবে কী কী প্রার্থনা পড়তে হবে, কোন সময়ে, প্রার্থনা এবং আবেদনের ক্রম কী, সেইসাথে তারা কী এবং কেন পরিবেশন করে। অনেক মুসলিম দেয় না অত্যন্ত গুরুত্ববহদুআ, তবে সমস্ত নিয়ম অনুসারে আল্লাহর কাছে অন্য ধরণের আবেদন করা পছন্দ করে, তবে অনেক ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় পণ্ডিতরা বলেছেন, এটি এমন দুআ যা সর্বশক্তিমানের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবেদন হিসাবে বিবেচিত হয়। দুআকে ইবাদতের অন্যতম শ্রেষ্ট রূপ বলে মনে করা হয়। মুসলমানদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে দুয়ার মাধ্যমেই প্রভু ঈশ্বরের সাথে সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়। দুআ হল একজন ব্যক্তি এবং আল্লাহর মধ্যে দৃঢ় সংযোগ।

কোরান বলে যে আল্লাহ নিজেই ভুক্তভোগী সকলকে দোয়ার মাধ্যমে তাঁর দিকে ফিরে যেতে বলেছিলেন - "আমাকে ডাক, আমি আপনাকে উত্তর দেব।" দুআ কেবল একটি আবেদন নয় - এটি এক ধরণের উপাসনা, যা সর্বশক্তিমান বলেছেন। কীভাবে দুআ করতে হয় এবং কোন বৈশিষ্ট্যগুলি এই পদ্ধতিটিকে অন্যান্য মুসলিম প্রার্থনা থেকে আলাদা করে। দোয়ার মাধ্যমে সর্বশক্তিমানের কাছে আসা একটি প্রার্থনা সর্বদা তার উত্তর খুঁজে পায়। আল্লাহ সর্বদা তাদের সাথে থাকেন যারা তাঁর দিকে ফিরে যায়। দোয়ার সাহায্যে আল্লাহ তার বান্দাদের রক্ষা করেন। একজন ব্যক্তি দোয়ার মাধ্যমে সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরতে শুরু করার আগে, তাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে প্রভু তার কথা শুনেছেন এবং তার প্রার্থনার উত্তর দেবেন। আপনার আবেদনে আপনাকে উদ্দেশ্যমূলক হতে হবে, অন্যথায় সেগুলি পছন্দসই প্রভাব ফেলবে না।

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা আবশ্যক। একজন নবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে যারা দুর্দশার সময় শুনতে চায় তাদের সমৃদ্ধির সময়ে আরও বেশিবার ঈশ্বরের দিকে ফিরে আসা উচিত। দুআ পদ্ধতিরও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নামাযের সময় আওয়াজ ফিসফিস এবং উত্থিত কণ্ঠের মধ্যে হওয়া উচিত। শুরুতে, আল্লাহকে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসা করার জন্য, আপনাকে তাকে তার সমস্ত সুন্দর নাম দিয়ে ডাকতে হবে। দুআ শুরু করার আগে, আপনাকে সর্বশক্তিমানের প্রশংসা করতে হবে এবং মহান নবী মুহাম্মদকেও স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি তাকে আশীর্বাদ করেন এবং তাকে শান্তি পাঠান। দুআ করার সময়টি বিশেষ হওয়া উচিত - যখন দুআটি দ্রুত অনুভূত হয়। আপনি যদি ছড়া ছাড়া দুআ প্রকাশ করতে চান তবে অনুগ্রহ করে আয়াতে ঈশ্বরকে সম্বোধন করবেন না।

দোয়া করার সময় ওযু করে কিবলার দিকে মুখ করে দোয়া করা বাঞ্ছনীয়। হাতের তালু ভাঁজ করে আকাশের দিকে মুখ করে রাখতে হবে। দোয়ার সময়, দাসকে অবশ্যই বিনীতভাবে একটি প্রার্থনা বলতে হবে, সর্বশক্তিমানের সামনে তার নম্রতা এবং দুর্বলতা দেখিয়ে প্রভুকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিত কিভাবে নামাজের পর দুআ করতে হয়। সাধারণভাবে, নামাজের পরে দুআ করার রেওয়াজ নেই। এর জন্য আলাদা বিশেষ সময় রয়েছে। ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজের মধ্যে নামাজকে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি প্রভুর সাথে সংযোগ স্থাপন করে। প্রার্থনায়, একজন ব্যক্তি দেখায় যে সে কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসে, সে তার প্রতি কতটা কৃতজ্ঞ এবং কীভাবে সে তাকে সম্মান করে। বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়া আবশ্যক।

প্রথমত, পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে, একটি ছোট অযু যথেষ্ট। প্রয়োজনে বড় অযু বা বালি ওযু করতে পারেন। নামাযের প্রক্রিয়া অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে হতে হবে। সালাত আদায়কারীর পোশাক, স্থান ও শরীর নোংরা হতে হবে। নামায পড়ার সময় শরী‘আত নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গ ঢেকে রাখতে হবে। একজন ব্যক্তির ভঙ্গি এমন হওয়া উচিত যাতে তার মুখ পবিত্র কাবার দিকে থাকে। প্রার্থনা করার জন্য প্রধান জিনিস হল একজন ব্যক্তির মধ্যে আকাঙ্ক্ষা। কিছুই তাকে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়; তার চিন্তাভাবনা প্রার্থনায় কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত।

এছাড়াও অনেকগুলি কাজ এবং চিন্তা রয়েছে যা প্রার্থনাকে অবৈধ বা ভুল করে তোলে। এই ধরনের একটি প্রধান কাজ ধর্মত্যাগ বলে মনে করা হয়। ইসলামের বিধি-বিধানের পরিপন্থী ইবাদতকারীর বিভিন্ন ইচ্ছাকৃত কাজ ক্ষমার অযোগ্য এবং ভুল বলে বিবেচিত হয়। যেমন, কোনো বাধ্যবাধকতা পালনে ব্যর্থ হওয়া, অথবা নামাজের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কাজ করা, ভুল শব্দ বলা, শব্দ ও অক্ষর বিকৃত করা, খাওয়া বা পান করা। আপনি নামাজের সময় হাসতে পারবেন না, একমাত্র ব্যতিক্রম হল আল্লাহকে সম্বোধন করা একটি ছোট হাসি। আত্মায় এবং চিন্তায় ভুল কথা বলাকেও এমন কাজ বলে মনে করা হয় যা প্রার্থনার রীতির বিরোধিতা করে।

এমন জায়গাগুলির একটি তালিকাও রয়েছে যেখানে নামাজ পড়া অবাঞ্ছিত বা সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে অপবিত্র স্থান, কবরস্থান, যদি না এটি একটি জানাজা নামাজ, গোসল এবং টয়লেট, সেইসাথে যেখানে উট রাখা হয় এবং থামানো হয়। জমজমের পানি পান করার সময় এবং ফজরের ঠিক আগে দুআ বলা, অর্থাৎ আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া, আজান ও ইকামার মধ্যে সর্বোত্তম করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে আল্লাহর সাথে সংযোগ মহান এবং তিনি বান্দা শুনতে পারেন। সবচেয়ে সাধারণ প্রার্থনা হল যিকির। মুসলমানরা নামাজের সময় বা পরে দুআ করতে পছন্দ করে। এই দুআকে দুআ কুনুত বলে। এই প্রার্থনার সময়, একজন ব্যক্তিকে দাঁড়ানোর সময় তার সামনে তার হাত ধরতে হবে। সুজুদ করার সময়ও দুআ উচ্চারণ করা যায়।