পরম করুণাময় ও করুণাময় আল্লাহর নামে!

আল্লাহর সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ এবং বিচার দিবস পর্যন্ত তাঁর অনুসরণকারী সকলের উপর!

অনেক অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা তাদের জীবনকে একজন ধার্মিক জীবনসঙ্গীর সাথে সংযুক্ত করতে চায় যারা তাদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাহায্য করবে এবং জান্নাতের চিরন্তন উদ্যানে চিরকালের সঙ্গী হবে। তবে যদি আমাদের সময়ে যুবকদের পক্ষে একজন ধার্মিক স্ত্রী খুঁজে পাওয়া সহজ হয়, তবে মেয়েদের প্রায়শই তাদের ভবিষ্যতের স্বামীর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। সবাই বিয়ে করতে চায় এবং তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চায়, যেমনটি তারা এক সময়ে বলে, কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে, সবাই সফল হয় না।

একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করুন

এর জন্য আল্লাহ আপনাকে আরও ভালো কিছু দিবেন। এবং যদি আপনি একটি সংযোগ খুঁজে না পান, এটি এখনও ভুল বন্ধুদের চার্জ করার চেয়ে ভাল. প্রতিটি ঘর শক্ত ভিত্তির উপর। মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য ভিত্তি হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ। আপনার ধর্ম সম্পর্কে জানুন এবং জানুন। আপনি কিছু জানতে বা জানতে না পারলে লজ্জা পাবেন না। হতে পারে আপনি একজন মুসলিম এবং আপনার ধর্মকে বিস্তারিতভাবে বোঝার সৌভাগ্য হয়নি। আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে দেরি হয় না।

মৌলিক নীতি সম্পর্কে জানুন: 5 স্তম্ভ কি কি? শুরুতে, ছোট এবং পাতলা বই পড়তে দরকারী, তাই প্রথম সাফল্যের গল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক বিষয়গুলিতে ফোকাস করা ভাল প্রাত্যহিক জীবন. শুরু করার জন্য একটি ভাল জায়গা উদাহরণস্বরূপ: সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনানতুনদের জন্য, যা অনেক অধ্যায়ে বিভক্ত। তাই আপনি একবারে একটি অধ্যায় নিতে পারেন, এটি সম্পর্কে চিন্তা করতে পারেন, এটি প্রয়োগ করতে পারেন এবং শিখতে ভালো বিভাগ পেতে পারেন।

এখানে অনেক কারণ আছে. জনসংখ্যা আছে, যেমন আপনি জানেন, নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা অনেক কম, এবং জাতীয় প্রশ্ন এবং অন্যান্য অনেক বিষয়। কিন্তু যদি এই কারণগুলি আমাদের উপর নির্ভর না করে এবং তাদের সাথে লড়াই করা অকেজো হয়, তবে এর একটি কারণ আমরা কথা বলতে পারবেনএই নিবন্ধে, আমরা এটা করতে পারেন. আমরা এটি মোকাবেলা করতে পারি এবং বিপরীত কারণ তৈরি করতে পারি - বিয়ে করার একটি উপায়, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, একজন ধার্মিক জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে।

আপনি যেভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এবং শিখবেন সেভাবে আপনাকে সবকিছু করতে হবে না, এমনকি আপনি যা ভাবেন তার চেয়ে দ্রুত শিখতে পারবেন। যাইহোক, আপনি যদি নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দিয়ে নিজেকে অবরুদ্ধ করেন তবে শেখা আরও কঠিন হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করুন এবং শেখার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করুন। আপনি কেন ইসলামে কিছু করছেন তা সর্বদা খুঁজে বের করা উচিত। এটি আপনার ভিত্তিকে শক্তিশালী করে এবং আপনার প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেয়। কখনও কখনও মুসলমানরা তাদের পিছনের অর্থ না জেনেই কিছু জিনিস অনুশীলন করে এবং প্রায়শই ক্রিয়াটিকে অর্থহীন বলে মনে করে। যদি একজন ব্যক্তি নামাজকে বিরক্তিকর কাজ বলে মনে করে, শব্দের অর্থ না জানে এবং একটি যন্ত্রের মতো কাজ করে, তবে এতে মজুরি এবং সুবিধা বিশেষভাবে বেশি হবে না।

একজন ধার্মিক স্বামী খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রায়ই মুসলিম মহিলারা মিস করেন এবং তারা তাকে অন্যায়ভাবে অবহেলা করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দুআ। হ্যাঁ, এটি এমন একটি প্রার্থনা যাতে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদের একজন ধার্মিক জীবনসঙ্গী দান করেন। এবং কেবল একটি প্রার্থনা নয়, যা শব্দের একটি সেট, যার অর্থ সর্বদা জানা যায় না, তবে উত্তরাধিকার এবং ধার্মিক বংশের দাতা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি নির্দেশিত একটি আন্তরিক দুআ।

সবচেয়ে খারাপ ক্ষেত্রে, এই দায়িত্বটি এমনকি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এটি আর ব্যবহার করতে চায় না। তবে নামায কিভাবে আদায় করতে হয়, বিভিন্ন অংশ কি বলে, আল্লাহর কাছে নামায কতটা উঁচু এবং এতে লাভ কি তা জানা থাকলে আপনিও আনন্দ ও গভীর ভক্তির সাথে নামায পড়বেন।

আপনি এখনও শুরুতে নড়বড়ে পায়ে থাকতে পারেন। ইসলামের বিভিন্ন মত ও আন্দোলন দেখে আপনি বিরক্ত। আপনি প্রায় আনন্দ এবং আগ্রহে কান্নায় ফেটে পড়েছেন, কিন্তু একরকম আপনি মনে করেন যে সবকিছু এখনও বেশ তাজা এবং নতুন। আপনি মেঘের মতো আংশিকভাবে ভাসছেন, তবে আপনি সম্মুখীন হতে পারেন বড় সমস্যা. কেননা তোমার ঈমান এখনো শক্ত হয়নি। কেন আমার নোংরা উক্তি অত্যন্ত প্রসারিত. এই অবস্থায় আপনি শয়তানের খাবার পাবেন। আপনি যদি নিশ্চিত হন যে আপনি সঠিক কাজটি করছেন এবং পরের মুহুর্তে আপনার মাথায় অদ্ভুত সন্দেহ দেখা দেয়, এটি একটি চিহ্ন যে শয়তান আপনাকে পথ থেকে বিরত করতে চায়।

বিশ্বজগতের প্রভু, মহান এবং মহিমান্বিত, তিনি প্রায়শই তাঁর বান্দাদের সম্বোধন করেন, তাদের তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন: “তোমাদের রব বলেছেন: “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের সাড়া দেব। নিঃসন্দেহে যারা নিজেদেরকে আমার ইবাদতের ঊর্ধ্বে তুলে ধরে তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহেন্নাতে প্রবেশ করবে" (সূরা "বিশ্বাসী", আয়াত ৬০)। আল্লাহ আরও বলেন: “যদি আমার বান্দারা আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তবে আমি নিকটে আছি এবং প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দিয়েছি যখন সে আমাকে ডাকে। তারা আমাকে উত্তর দেয় এবং আমার উপর বিশ্বাস করে, সম্ভবত তারা সঠিক পথ অনুসরণ করবে" (সূরা "গরু", আয়াত 186)। আপনি আল্লাহর বাণীকে অবহেলা করবেন না, "আমাকে ডাকুন, আমি আপনাকে সাড়া দেব," আপনার উচিৎ তার রহমত ও উদারতার আশায় তাকে আরও বেশি জিজ্ঞাসা করা।

আপনি যদি সবেমাত্র ভুডু গ্রহণ করেন এবং হঠাৎ আপনি জানেন না আপনি কখনও আপনার মুখ ধুয়েছেন কিনা, এবং সম্ভবত আপনি আপনার হাতও ভুলে গেছেন, এটি অগত্যা বিস্মৃতি নয়, কিন্তু তাই কি। এটি বেশ দ্রুত ধোয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং ওযুর প্রতি ঘৃণা করতে পারে, যা শয়তানের লক্ষ্য অর্জন করেছে।

আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা করবেন, ধৈর্য ধরুন

আপনাকে কি বিরক্ত করছে তা খুঁজে বের করুন। আপনার প্রার্থনা সঠিকভাবে গভীর করার চেষ্টা করুন এবং বিশ্বাসের সৌন্দর্য অনুভব করুন। আপনি যত বেশি অধ্যয়ন করবেন, প্রার্থনা করবেন এবং বিকাশ করবেন, আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক তত বাড়বে। আপনি যে রাজ্য থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যাবেন না, যদিও এটি কখনও কখনও কঠিন হয়। পরে, আপনি যখন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবেন, তখন আপনি আপনার আগের সন্দেহে হাসবেন। ধর্মান্তরকারী এবং বিশ্বস্ত মুসলমানরা প্রায়ই অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। আমি ভাবছিলাম কেন হঠাৎ করে সব সমস্যা একের পর এক আঘাত করে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: “হে আমার বান্দারা, তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত, আমি যাকে খাইয়েছি সে ছাড়া। তাই আমার কাছে খাবার চাও, আমি তোমাকে দেব। হে আমার বান্দারা, আমি যাদের পোশাক পরিধান করেছি তারা ছাড়া তোমরা সবাই উলঙ্গ। সুতরাং আমার কাছে পোশাক চাও, আমি তোমাকে সাজিয়ে দেব। হে আমার বান্দারা, আমি যাকে হেদায়েত করেছি সে ছাড়া তোমরা সবাই হারিয়েছ। সুতরাং আমার কাছে সরল পথের পথনির্দেশ চাও, আমি তোমাকে পথ দেখাব। হে আমার বান্দাগণ, সত্যিই তোমরা দিনরাত্রি ভুল কর এবং আমি সকল পাপ ক্ষমা করে দেই, তাই আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।"(মুসলিম বর্ণনা করেছেন)।

যদি রূপান্তর শুধুমাত্র সমস্যাযুক্ত নয়, তাহলে সম্ভবত অন্যান্য সমস্ত সমস্যা আপনার পথে আসবে। আপনি দ্রুত অনুভব করতে পারেন যে সবকিছু খুব বেশি। কিন্তু আপনি কি সত্যিই এটি সহজ হতে আশা করেছিলেন? আপনি কি ভেবে দেখেছেন যে আল্লাহ কুরআনে আমাদের সাথে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার সবই বৃথা? ইসলাম, অবশ্যই, সবচেয়ে সহজ উপায় নয়, কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর।

অনেকেই এই কাজটি সহজেই করেন। অনেক মতাদর্শের আবেদন তাদের সরলতার মধ্যে নিহিত। আপনার কিছু করার এবং গ্রহণ করার দরকার নেই মজুরি. এটি অনেক লোককে আটকে রাখে কারণ তারা সহজ উপায় নেয়। তারা এমন একজন ঈশ্বর চান যিনি তাদের কিছু না করেই সবকিছু দেন, অথবা যিনি তাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেন। কিন্তু ইসলাম ন্যায়ের পথ, প্রত্যেকে যা প্রাপ্য তা পায়। যদি আমাদের এই পরীক্ষা দিতে না হতো, তাহলে আমাদের এই অধার্মিক জগতে থাকতে হতো না।

এই এবং আরও অনেক অগণিত আয়াত এবং হাদিস বলে যে যে ব্যক্তি একটি প্রার্থনার সাথে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে সে অবশ্যই সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে একটি উত্তর পাবে।

যাইহোক, আল্লাহর রাসূলের সুন্নাতে এমন কোন দুআ আছে যা বিবাহ করতে ইচ্ছুক পুরুষের জন্য নাকি বিয়ে করতে ইচ্ছুক মহিলার জন্য? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রেরণ করা হবে এমন কোন নির্দিষ্ট প্রার্থনা নেই, তবে এমন একটি প্রার্থনা রয়েছে যার অর্থ একটি ধার্মিক জীবনসঙ্গী প্রদানের অনুরোধ অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই এই দোয়াটি পুনরাবৃত্তি করতেন:

আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তিনি পরীক্ষা করেন। আমাদের জীবনে আমরা যত বেশি পরীক্ষার সম্মুখীন হব, ততই আমাদের জন্য ভালো। কারণ আল্লাহ কুরআনে বলেছেন যে আমরা এই দুনিয়ায় যত দুঃখ-কষ্ট ভোগ করি তার জন্য আমরা দুনিয়াতে বা পরকালে ক্ষতিপূরণ পাব। তদুপরি, আমরা আরও বৃদ্ধি এবং বিকাশ করতে পারি। আমরা এমন শক্তি বিকাশ করি যা আমরা জানি না আমাদের মধ্যে ছিল। আপনি যদি আপনার জীবনে প্রায়শই অনুভব করেন এবং অনেক ভাগ্য থাকে তবে এর অর্থ হল আল্লাহ আপনাকে একটি বিশেষ আশীর্বাদ দেবেন। এটি আপনাকে অনেক পরিস্থিতিতে দেয় যেখানে আপনি উজ্জ্বল হতে পারেন।

এই জীবনে বোঝা কঠিন হতে পারে, তবে আপনি যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবেন, তত বেশি আপনি এর অর্থ জানতে পারবেন। আমাদের নবী এবং সাহাবাদের জীবনী অনুশীলন করুন এবং শিখুন কতবার এবং কত পরিমাণে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই ট্রায়ালগুলির বিরুদ্ধে, যার অর্থ প্রায়ই অনাহার, বিচ্ছিন্নতা এবং নির্যাতন, আমাদের বিচারগুলি হঠাৎ করে এত ছোট এবং ক্ষতিকারক বলে মনে হয়।

رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

রাব্বানা আতিনা ফী দ-দুনিয়া হাসানাতন ওয়া ফি-ল আহিরতি হাসানাতন ওয়া কিনা আজাবা ন-নার / হে আমাদের প্রভু, আমাদেরকে এই পৃথিবীতে কল্যাণ দান করুন, চিরন্তন জগতে (আখিরা) কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন!

আমাদের আরও মনে রাখা উচিত যে কিছু নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান রয়েছে যখন আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত উত্তর দেন। এই:

1. পূর্ব নির্ধারিত রজনী “লাইলাতুল কদর”।
2. রাতের নামায, যথা ফজরের পূর্বে।
3. ফরজ নামাজ শেষে।
4. আযান ও ইকামতের মাঝে।
5. যখন ফরয সালাতে ডাকা হয়।
6. যখন বৃষ্টি হয়.
7. শুক্রবার বিকেলে।
8. জম-জমের পানি পান করার সময়।
9. নামাযের পর "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনা জে-যালিমিন।"
10. সিজদার সময়।

যদি কোন মুসলিম মহিলা এই স্থানে বা সময়ে তাকে একজন ধার্মিক স্বামী দান করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তাহলে ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহর ইচ্ছায়, তিনি শীঘ্রই তার প্রার্থনার উত্তর দেবেন। এই প্রতিটি বিষয় উম্মাহর সাহাবী ও আলেমদের বাণী দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাসিদিম দ্বারা সমর্থিত।

আরেকটি হাদীসে আনন্দ করুন। বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে আল্লাহর কাছে এই কথা বলতে শুনেছেন:

اللهم إني أسألك بأني أشهد أنك أنت الله الذي لا إله إلا أنت الأحد الصمد الذي لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا أحد

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলিউকা বি-আন্নি আশহাদু আন্নাকা আনতা ল্লাহু ল-লিয়াযী লা ইলাহা ইল্লা আনতা আল-আহাদু স-সামাদু ল-লিয়াযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলিয়াদ ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদ / হে আমার পালনকর্তা, আমি আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করছি যে সাক্ষ্য দাও যে, তুমি আল্লাহ, যাঁকে ছাড়া উপাসনার যোগ্য আর কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি জন্ম দেননি, জন্ম নেননি এবং যার কোন সমকক্ষ নেই।

...তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি সেই সত্তার শপথ করছি যার হাতে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রাণ, তিনি আল্লাহর কাছে তাঁর মহান নামে চেয়েছিলেন। যখন তারা তাঁর কাছে চায়, তিনি দেন, এবং যখন তারা তাঁকে ডাকেন, তিনি উত্তর দেন!”

যাইহোক, আমাদের সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আমাদের দুআ কবুল হওয়ার শর্তগুলি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। কখনও কখনও একজন ব্যক্তি এমন কাজ করতে পারে যার কারণে আল্লাহ তার প্রার্থনার উত্তর দেন না। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে দোয়া কবুলের সকল শর্ত মেনে চলা আবশ্যক। এই:

1. যাতে কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহর সাথে কাউকে না চায়।
2. যাতে প্রার্থনা তার অর্থের মধ্যে পাপপূর্ণ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে না।
3. যাতে কোন ব্যক্তি পাপ কাজ না করে।
4. শুধু হালাল খাদ্য খাওয়া এবং হারাম খাদ্য পরিহার করা।
5. থেকে প্রার্থনা বিশুদ্ধ হৃদয়, আন্তরিকভাবে

দুর্ভাগ্যবশত, অনেক মুসলমান দোয়া করার জন্য এই সময় এবং স্থানগুলিকে অবহেলা করে এবং পূরণ করে না প্রয়োজনীয় শর্তাবলীএর গ্রহণযোগ্যতার জন্য। যদি এই সব সম্পন্ন হয়, তাহলে মহান আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে না ইনশাআল্লাহ।

উপসংহারে, আসুন আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর প্রশংসা করি, যিনি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি পছন্দ করেন এবং যখন তিনি ছাড়া অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি পছন্দ করেন না। আল্লাহর সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল এবং বিচার দিবস পর্যন্ত সকল মুমিনদের উপর!

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের রব আদেশ করেছেন, “আমাকে ডাক, আমি তোমাদের দোয়া পূরণ করব।” . “প্রভুর সাথে নম্রভাবে এবং নম্রভাবে কথা বলুন। নিশ্চয়ই তিনি অজ্ঞদের ভালবাসেন না।"

"যখন আমার বান্দারা (হে মুহাম্মাদ) আপনার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, (তাদের জানাবেন) কারণ আমি কাছে আছি এবং যারা আমাকে ডাকলে তাদের ডাকে সাড়া দেই।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "দুআ হল ইবাদত (আল্লাহর)"

যদি ফরজ নামাযের পরে কোন সুন্নত না থাকে, যেমন, সুবহ্‌ ও আছর নামাযের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া।

أَسْتَغْفِرُ اللهَ

"আস্তাগফিরু-আল্লাহ" . 240

অর্থ: আমি সর্বশক্তিমানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তারপর তারা বলে:

اَلَّلهُمَّ اَنْتَ السَّلاَمُ ومِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالاْكْرَامِ

"আল্লাহুম্মা আনতাস-সালামু ওয়া মিনকাস-সালামু তাবারক্তা ইয়া জাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, তুমিই সেই ব্যক্তি যার কোন দোষ নেই, তোমার কাছ থেকে আসে শান্তি ও নিরাপত্তা। হে যিনি মহানুভবতা ও উদারতার অধিকারী।"

اَلَّلهُمَّ أعِنِي عَلَى ذَكْرِكَ و شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَتِكَ َ

"আল্লাহুম্মা 'আয়ন্নি 'আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিক্যা ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিক।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমাকে আপনাকে যথাযথভাবে স্মরণ করতে, আপনাকে যথাযথভাবে ধন্যবাদ জানাতে এবং সর্বোত্তম উপায়ে আপনার ইবাদত করতে সাহায্য করুন।"

সালাওয়াত ফরজ এবং সুন্নত নামাযের পরে উভয়ই পড়া হয়:

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى ألِ مُحَمَّدٍ

“আল্লাহুম্মা সহ অলি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা ক কিনা মুহাম্মদ।"

অর্থ: « হে আল্লাহ, আমাদের গুরু নবী মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারকে আরও মহিমা দান করুন।"

সালাওয়াতের পরে তারা পড়ে:

سُبْحَانَ اَللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ اِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَ اللهُ اَكْبَرُ
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيمِ

مَا شَاءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَم يَشَاءْ لَمْ يَكُنْ

“সুবহানাল্লাহি ওয়াল-হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুভ ওয়াতা ইলিয়া বিল্লাহিল ‘আলি-ইল-‘আয ইম। মাশাআল্লাহু কায়ানা ওয়া মা লাম ইয়াশা লাম ইয়াকুন।”

অর্থ: « আল্লাহ অবিশ্বাসীদের দ্বারা তাঁর প্রতি আরোপিত ত্রুটিগুলি থেকে পবিত্র, আল্লাহর প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবার উপরে, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও সুরক্ষা নেই। আল্লাহ যা চান তাই হবে আর আল্লাহ যা চাননি তা হবে না।

এরপর "আয়াতুল কুরসি" পড়ুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হবে না।"

"আউযু বিল্লাহি মিনাশ-শাইত আনির-রাজিম বিসমিল্লাহির-রহমানির-রহীম"

"আল্লাহু লা ইলাহা ক ইলিয়া হুয়াল হাইয়্যুল থেকে আইয়ুম, লা তা এক্স উযুহু সিনাতু-ওয়ালা নাউম, লিয়াহু মা ফিস সামাউতি উয়া মা ফিল আরদ, মান জাল্ল্যাযী ইয়াশফাউ 'ইন্দাহু ইলিয়া বি তাদের মধ্যে, ইয়া'লিয়ামু মা বায়না আইদিহিম উয়া মা এক্স আলফাখুম ওয়া লা বি শাইম-মিন 'ইলমিহি ইল্যা বিমা শা, ওয়াসিয়া কুরসিয়ুহু সামা-উতি ওয়াল আরদ, ওয়া লা ইয়াউদুখু হিফজ উখুমা ওয়া হুয়াল 'আলিয়ুল 'আয-ইম।'

আউজু এর অর্থ: “আমি শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই, যে তার রহমত থেকে অনেক দূরে। আল্লাহর নামে, যিনি এই জগতের সকলের জন্য করুণাময় এবং বিশ্বের শেষ প্রান্তে শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য করুণাময়।"

আয়াতুল কুরসির অর্থ : "আল্লাহ - তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরজীবী, বিদ্যমান। তন্দ্রা বা নিদ্রা কোনটাই তাঁর উপর ক্ষমতা রাখে না। আসমানে যা কিছু আছে এবং যা পৃথিবীতে আছে সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া কে তাঁর সামনে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন মানুষের আগে কী ঘটেছিল এবং তাদের পরে কী ঘটবে। মানুষ তার জ্ঞান থেকে শুধু যা ইচ্ছা বুঝে। আকাশ ও পৃথিবী তাঁর অধীন। তাদের রক্ষা করা তাঁর জন্য বোঝা নয়; তিনি সর্বোত্তম।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যিনি প্রত্যেক নামাযের পর 33 বার “সুবহানা-আল্লাহ”, 33 বার “আলহামদুলিল্লাহ”, 33 বার “আল্লাহু আকবার” এবং একশত বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়া” বলে। লাহুউল হামদু ওয়া" হুয়া'কলা কুল্লি শায়ীন কাদির, "আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন, যদিও সমুদ্রের ফেনার পরিমাণও হয়।".

তারপরে নিম্নলিখিত 246 ধিকারগুলি পর্যায়ক্রমে পড়া হয়:

এর পরে তারা পড়ে:

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ.لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লিয়া, লাহুল মুলকু ওয়া লাহালুল হামদু ওয়া হুয়া" ক লা কুল্লি শায়িন কাদির।"

তারপর তারা তাদের হাত বুকের সমতল পর্যন্ত তুলবে, তালু আপ করবে এবং নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দুআ পড়েছেন বা অন্য কোন দুআ পড়ে যা শরিয়তের পরিপন্থী নয়।

দুআ হল সেবাআল্লাহর কাছে

দুআ মহান আল্লাহর ইবাদতের অন্যতম রূপ। যখন একজন ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে অনুরোধ করে, তখন এই ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সে তার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে যে একমাত্র আল্লাহই একজন ব্যক্তিকে তার যা প্রয়োজন তা দিতে পারেন; তিনিই একমাত্র যার উপর নির্ভর করা উচিত এবং যার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা বিভিন্ন (শরিয়াহ অনুসারে অনুমোদিত) অনুরোধের সাথে যতবার সম্ভব তাঁর দিকে ফিরে যায়।

দু'আ হল একজন মুসলমানের অস্ত্র যা তাকে আল্লাহ প্রদত্ত। একবার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ "আপনি কি চান যে আমি আপনাকে এমন একটি প্রতিকার শেখাতে পারি যা আপনাকে দুর্ভাগ্য এবং সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে যা আপনার উপর পতিত হয়েছে?". "আমরা চাই," সঙ্গীরা উত্তর দিল। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেনঃ "লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাক্য ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন" দু'আ পড়লে 247 "এবং আপনি যদি সেই মুহুর্তে অনুপস্থিত বিশ্বাসী ভাইয়ের জন্য একটি দু'আ পড়েন, তবে সেই দু'টি সর্বশক্তিমান দ্বারা কবুল হবে।" ফেরেশতারা দু'আ পাঠকারী ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে বলেন: "আমিন। আপনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটুক।"

দুআ হল আল্লাহ কর্তৃক পুরস্কৃত একটি ইবাদত এবং এর বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে:

দুআ আল্লাহর প্রশংসার শব্দ দিয়ে শুরু করা উচিত: "আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন", তারপর আপনাকে নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাওয়াত পড়তে হবে: "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা আলি মুহাম্মাদিন ওয়া সাল্লাম", তাহলে আপনাকে আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে: "আস্তাগফিরুল্লাহ".

বর্ণিত আছে যে ফাদাল বিন উবায়দ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন: “(একবার) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনেছিলেন যে কিভাবে এক ব্যক্তি তার নামাযের সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করে, আল্লাহর তাসবীহ না করে এবং তাঁর দিকে মুখ না করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য প্রার্থনা করে। ওয়া সাল্লাম ), এবং আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “এই (লোকটি) তাড়াহুড়ো করেছে!”, তারপর তিনি তাকে নিজের কাছে ডেকে বললেন/অথবা...অন্য কাউকে/:

“তোমাদের কেউ যখন প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে চায়, তখন সে যেন তার মহিমান্বিত প্রভুর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারপর সে যেন নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করে”, (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারপর সে যা চায় তা জিজ্ঞাসা করে।"

খলিফা উমর (রা.) বলেন: "আমাদের প্রার্থনা "সামা" এবং "আরশা" নামক স্বর্গীয় গোলকগুলিতে পৌঁছে এবং সেখানেই থাকে যতক্ষণ না আমরা মুহাম্মদকে সালাওয়াত বলি।(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং এর পরেই তারা ঐশ্বরিক সিংহাসনে পৌঁছাবে।"

2. যদি দু'আতে গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ থাকে, তবে এটি শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই অযু করতে হবে এবং যদি এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনাকে অবশ্যই পুরো শরীরের অযু করতে হবে।

3. দু'আ পড়ার সময়, কিবলার দিকে মুখ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

4. হাত মুখের সামনে রাখা উচিত, তালু উপরে। দু'আ শেষ করার পর, আপনাকে আপনার মুখের উপর আপনার হাত চালাতে হবে যাতে প্রসারিত হাতগুলি আপনার মুখমণ্ডলকে স্পর্শ করে যাতে বারাকাহটি আপনার মুখকে স্পর্শ করে। নিঃসন্দেহে আপনার প্রতিপালক, জীবিত, দয়াময়, তাঁর বান্দা যদি দু'হাত তুলে প্রার্থনা করে তবে তাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।"

আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, দুআ করার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত এত বেশি উঠাতেন যে তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেত।"

5. অনুরোধটি অবশ্যই শ্রদ্ধার সুরে করা উচিত, শান্তভাবে, যাতে অন্যরা শুনতে না পায় এবং কেউ যেন স্বর্গের দিকে দৃষ্টি না ফেরায়।

6. দু'আ শেষে, আপনাকে অবশ্যই শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালায়াতের শব্দ উচ্চারণ করতে হবে তারপর বলুন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ .

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ .وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

"সুবহানা রাব্বিক্যা রাব্বিল ইজাত্তি আম্মা ইয়াসিফুনা ওয়া সালামুন আলাল মুরসালিনা ওয়াল-হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন" .

কখন আল্লাহ কবুল করেন সবার আগে দুআ?

নির্দিষ্ট সময়ে:রমজান মাস, লায়লাতুল কদরের রাত, 15 শাবানের রাত, ছুটির উভয় রাত (ঈদ-উল-আযহা এবং কুরবান বায়রাম), রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, শুক্রবারের রাত ও দিন , ফজরের শুরু থেকে সূর্যের আবির্ভাব পর্যন্ত সময়, সূর্যাস্তের শুরু থেকে এবং তার সমাপ্তি পর্যন্ত, আযান ও ইকামার মধ্যবর্তী সময়, ইমাম জুমার সালাত শুরু করার সময় এবং এর শেষ পর্যন্ত।

নির্দিষ্ট কর্মের জন্য:কোরান পড়ার পর, জমজমের পানি পান করার সময়, বৃষ্টির সময়, সাজদের সময়, যিকিরের সময়।

নির্দিষ্ট জায়গায়:হজ্জের স্থানগুলিতে (আরাফাত পর্বত, মিনা ও মুজদালিফ উপত্যকা, কাবার কাছে, ইত্যাদি), জমজম বসন্তের পাশে, নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরের পাশে।

নামাজের পর দুআ

"সাইদুল-ইস্তিগফার" (তাওবার প্রার্থনার প্রভু )

اَللَّهُمَّ أنْتَ رَبِّي لاَاِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ خَلَقْتَنِي وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلىَ عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ أعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَاَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْليِ فَاِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوبَ اِلاَّ اَنْتَ

“আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা ইলাহা ইলিয়া আনতা, হালিয়াকতানি ওয়া আনা আবদুক, ওয়া আনা আ’লা আ’খদিক ওয়া ওয়াদিকে মাস্তাতা’তু। আউযু বিক্যা মিন শাররি মা সানাতু, আবু লাক্য বি-নি’মেতিক্যা ‘আলেইয়া ওয়া আবু বিজানবি ফাগফির লি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ-জুনুবা ইলিয়া আন্তে।”

অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রভু। তুমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার চাকর. এবং আমি আপনার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার শপথ রাখার জন্য আমার ক্ষমতার সর্বোত্তম চেষ্টা করি। আমি যে ভুল এবং পাপ করেছি তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি। আমি আপনার দেওয়া সমস্ত আশীর্বাদের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি আপনাকে আমার পাপ ক্ষমা করতে বলি। আমাকে ক্ষমা করে দাও, কারণ তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী কেউ নেই।"

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا صَلاَتَنَا وَصِيَامَنَا وَقِيَامَنَا وَقِرَاءتَنَا وَرُكُو عَنَا وَسُجُودَنَا وَقُعُودَنَا وَتَسْبِيحَنَا وَتَهْلِيلَنَا وَتَخَشُعَنَا وَتَضَرَّعَنَا.

أللَّهُمَّ تَمِّمْ تَقْصِيرَنَا وَتَقَبَّلْ تَمَامَنَا وَ اسْتَجِبْ دُعَاءَنَا وَغْفِرْ أحْيَاءَنَا وَرْحَمْ مَوْ تَانَا يَا مَولاَنَا. أللَّهُمَّ احْفَظْنَا يَافَيَّاضْ مِنْ جَمِيعِ الْبَلاَيَا وَالأمْرَاضِ.

أللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنَّا هَذِهِ الصَّلاَةَ الْفَرْضِ مَعَ السَّنَّةِ مَعَ جَمِيعِ نُقْصَانَاتِهَا, بِفَضْلِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَتَضْرِبْ بِهَا وُجُو هَنَا يَا الَهَ العَالَمِينَ وَيَا خَيْرَ النَّاصِرِينَ. تَوَقَّنَا مُسْلِمِينَ وَألْحِقْنَا بِالصَّالِحِينَ. وَصَلَّى اللهُ تَعَالَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَعَلَى الِهِ وَأصْحَابِهِ أجْمَعِين .

“আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না সালিয়াতানা ওয়া সায়মানা ওয়া ক্যমানা ওয়া কিরাতানা ওয়া রুকুয়ানা ওয়া সুজুদানা ওয়া কুউদানা ওয়া তাসবিহানা ওয়াতাহলিলিয়ানা ওয়া তাহাশশুআনা ওয়া তাদাররুআনা। আল্লাহুম্মা, তাম্মিম তাকসিরানা ওয়া তাকাব্বাল তামামানা ওয়াস্তাজিব দুআনা ওয়া গফির আইয়ানা ওয়া রাহাম মাওতানা ইয়া মাওলানা। আল্লাহুম্মা, হাফাজনা ইয়া ফাইয়াদ মিন জামি‘ই ল-বালায়া ওয়াল-আমরাদ।

আল্লাহুম্মা, তাকাব্বাল মিন্না হাযিহি সালাতা আল-ফরদ মাআ সুন্নাতি মাআ জামিয়ি নুকসানাতিহা, বিফাদলিক্যা ওয়াক্যারামিক্যা ওয়া লা তাদরিব বিহা ভুজুহানা, ইয়া ইলাহা ল-আলামিনা ওয়া ইয়া খাইরা নাসিরিন। তাওয়াফ্ফানা মুসলিমিনা ওয়া আলখিকনা বিসালিহিন। ওয়াসাল্লাহু তা’আলা ‘আলা খাইরি খালকিহি মুখাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসখাবিহি আজমাইন’।

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমাদের কাছ থেকে আমাদের প্রার্থনা, আমাদের রোজা, আপনার সামনে আমাদের দাঁড়ানো এবং কোরান পাঠ কবুল করুন এবং কোমর থেকে নম, এবং মাটিতে নত হওয়া, এবং আপনার সামনে বসে থাকা, এবং আপনার প্রশংসা করা, এবং আপনাকে একমাত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া, এবং আমাদের নম্রতা এবং আমাদের সম্মান! হে আল্লাহ, আমাদের নামাজের ফাঁক পূরণ করুন, আমাদের কবুল করুন সঠিক কর্ম, আমাদের প্রার্থনার উত্তর দিন, জীবিতদের পাপ ক্ষমা করুন এবং মৃতের প্রতি রহম করুন, হে আমাদের প্রভু! হে আল্লাহ, হে পরম দয়ালু, আমাদেরকে সকল সমস্যা ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা করুন।
হে আল্লাহ, আপনার করুণা ও উদারতা অনুসারে আমাদের ফরজ ও সুন্নাহ, আমাদের সকল বাদ দিয়ে দোয়া কবুল করুন, কিন্তু আমাদের প্রার্থনা আমাদের মুখে নিক্ষেপ করবেন না, হে বিশ্বজগতের পালনকর্তা, হে সর্বোত্তম সাহায্যকারী! আমরা যেন মুসলিম হিসেবে বিশ্রাম নিতে পারি এবং আমাদেরকে ধার্মিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ, তাঁর আত্মীয়স্বজন এবং তাঁর সমস্ত সাহাবীদের প্রতি তাঁর সৃষ্টির সর্বোত্তম বরকত দান করুন।”

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-ক্যা মিন আল-বুখলি, ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন আল-জুবনি, ওয়া আউজু বি-ক্যা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরজালি-ল-দি ওয়া আউজু বি- কেয়া মিন ফিতনাতি-দ-দুনিয়া ওয়া আযাবি-ল-কবরী।"

অর্থ: "হে আল্লাহ, আমি কৃপণতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, কাপুরুষতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি, এবং অসহায় বার্ধক্য থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি এবং দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় নিচ্ছি।"

اللهُمَّ اغْفِرْ ليِ ذَنْبِي كُلَّهُ, دِقَّهُ و جِلَّهُ, وَأَوَّلَهُ وَاَخِرَهُ وَعَلاَ نِيَتَهُ وَسِرَّهُ

"আল্লাহুম্মা-গফির লি জানবি কুল্লা-হু, দিক্কা-হু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আভালিয়া-হু ওয়া আহিরা-হু, ওয়া 'আলানিয়াতা-হু ওয়া সিরা-হু!"

অর্থহে আল্লাহ, আমার ছোট-বড়, প্রথম ও শেষ, প্রকাশ্য ও গোপন সব গুনাহ মাফ করে দাও!

اللهُمَّ اِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ, وَبِمُعَا فَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَاُحْصِي ثَنَا ءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِك

“আল্লাহুম্মা, ইন্নি আউজু বি-রিদা-ক্যা মিন সাহাতি-ক্যা ওয়া বি-মুআফাতি-ক্যা মিন 'উকুবাতি-ক্যা ওয়া আউজু বি-কেয়া মিন-কেয়া, লা উহসি সানান আলাই-কেয়া আনতা কেয়া- মা আসনাইতা আলা নফসি-ক্যা।

অর্থহে আল্লাহ, আমি তোমার ক্রোধ থেকে তোমার অনুগ্রহে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাইছি! আপনি যে সমস্ত প্রশংসার যোগ্য তা আমি গণনা করতে পারি না, কারণ শুধুমাত্র আপনিই যথেষ্ট পরিমাণে আপনার নিজের কাছেই দিয়েছেন।

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْلَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

"হাদীতান ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকারখমানান ইন্নাকা ইন্তেল-ওয়াহাব থেকে রাব্বানা লা তুজিগ কুলুবানা বাদা।"যিনা মিন কাবলিনা, রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মাল্যা তাকাতালিয়ানা বিখি ওয়া'ফু'আন্না উগফিরিলিয়ানা ওয়ারহামনা, আন্তে মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাউমিল কাফিরিন।"

অর্থ: "আমাদের প্রভু! আমরা ভুলে গেলে বা ভুল করলে আমাদের শাস্তি দিও না। আমাদের প্রভু! আমাদের উপর সেই ভার অর্পণ করো না, যা তুমি পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর অর্পণ করেছিলে। আমাদের প্রভু! আমরা যা করতে পারি না তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না। দয়া করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন, আপনি আমাদের শাসক। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।"

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ প্রিয় পাঠকআমার ব্লগ. আজ আমি সুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরতে চাই। আমি আপনাকে বলতে চাই কি কি দুআ করতে হবে যাতে সবকিছু ঠিক থাকে।

সাধারণভাবে, "ভাল" ধারণাটি একটি খুব নমনীয় ধারণা এবং প্রত্যেকের জন্য এই "ভাল" আলাদা। তবে আসুন আমাদের জীবনের প্রধান ক্ষেত্র এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি গ্রহণ করি যা আমাদের জীবনের মানকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে, যেমন:

• আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন
• নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে বেহেশতে যাও
• প্রিয়জন ও আত্মীয়-স্বজনদের ইসলামের সফল দাওয়াত
• পরিবার, বিয়ে এবং সন্তান
• স্বাস্থ্য এবং অসুস্থতা থেকে নিরাময়
• আর্থিক সম্পদ
• বিভিন্ন সমস্যার সমাধান
• উত্তম চরিত্র এবং বিশুদ্ধ হৃদয়

1. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন

তাহলে কেন আমি এটি প্রথম স্থানে রাখলাম? এবং এখানে কেন, এখানে কোরানের একটি অনুচ্ছেদ যা স্পষ্টভাবে এটি নির্দেশ করে:

এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর সন্তুষ্টিই হচ্ছে মহান সমৃদ্ধি।

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কি দোয়া করতে হবে? এখানে একটি উদাহরণ:

"হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ, সত্যিই আপনার জন্য সবকিছু সহজ! সরল পথে আমার পা মজবুত কর এবং আমার সাথে তোমাকে খুশি কর।"

2. নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন এবং স্বর্গে যান। জান্নাত সম্পর্কে দুআ।

নিজেকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করা এবং জান্নাতে যাওয়া প্রতিটি মুসলমানের অবিচ্ছেদ্য আকাঙ্ক্ষা, তবে একটি ইচ্ছাই যথেষ্ট নয়, আপনাকে যতটা সম্ভব ভাল কাজ করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে জান্নাত এবং জাহান্নাম থেকে সুরক্ষা চাইতে হবে। শুধু স্বর্গে যাওয়ার জন্য নয়, গণনা ছাড়াই জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া মূল্যবান। আপনি নিম্নলিখিত দুআ করতে পারেন:

“হে আল্লাহ, পরম করুণাময় ও করুণাময়। আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং বিনা হিসেব জান্নাতে নিয়ে যান।

হিসেব ছাড়াই স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

3. ইসলামে প্রিয়জন এবং আত্মীয়দের সফল আহ্বান। পিতামাতার জন্য দুআ

আমরা মানুষ এবং আমরা একটি সমাজে বাস করি, যখন একটি সমাজে অনেক পর্যবেক্ষক মুসলমান থাকে, তখন এটি আমাদের জন্য আরও আনন্দদায়ক হয়। আমরা আপনার নিজের বাড়ির সম্পর্কে কি বলতে পারি? অবশ্যই, আমরা সকলেই চাই যে আমাদের আত্মীয়স্বজন এবং প্রিয়জনরা বিশ্বাস করে এবং নিজেদেরকে সরল পথে শক্তিশালী করে। আমরা এর জন্য কারণ তৈরি করতে পারি: আমাদের ইতিবাচক উদাহরণ, একটি মৃদু আহ্বান, দয়া, এবং অবশ্যই আমাদের পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য দোয়া।

এখানে পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য একটি দোয়ার উদাহরণ রয়েছে:

4. পরিবার, বিয়ে এবং সন্তান

পরিবার এবং বিয়েও আমাদের সুস্থতার একটি উপাদান। অতএব, যাদের ইতিমধ্যেই একটি বীজ আছে, তাদের উচিত তাদের পরিবারকে শক্তিশালী করার জন্য, কল্যাণের জন্য এবং সরল পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত। আর যাদের এখনো স্ত্রী বা স্বামী নেই তারা আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন ভাল মানুষএবং তাদের বিবাহকে শক্তিশালী করেছে। আপনি একটি দুআ করবেন যে আল্লাহ আপনাকে অসংখ্য, ধার্মিক, সুস্থ এবং খোদাভীরু সন্তান দান করবেন।

এখানে একটি উদাহরণ: হে আল্লাহ, আমাদের অসংখ্য, ধার্মিক, সুস্থ ও খোদাভীরু সন্তান দান করুন। এবং আমাদের বংশধরদের মধ্যে আমাদের চোখের আনন্দ দান করুন।

5. স্বাস্থ্য এবং অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের জন্য দুআ

এখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরোগ্যের জন্য যে দুআ করেছেন:

6. সমৃদ্ধি এবং ঋণ পরিত্রাণ সম্পর্কে দুআ

7. সমস্যা সমাধানের জন্য দুআ

8. উত্তম চরিত্র এবং বিশুদ্ধ হৃদয়

আজ যে জন্য সব. সবকিছু ঠিকঠাক থাকার জন্য এই দোয়ার সংগ্রহ। যাইহোক, আপনি নিম্নলিখিত দুআ করতে পারেন:

"হে আল্লাহ, আমি তোমার বান্দা এবং তুমি আমার প্রভু। সত্যি তুমি জানো, কিন্তু আমি জানি না। সত্যি তুমি পারবে, কিন্তু আমি পারব না। হে আল্লাহ, নিশ্চিত করুন যে সবকিছু এই জীবনে এবং অনন্ত জীবনে সর্বোত্তম উপায়ে হয়!”

ইসলামে একটি ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা (দু'আ)

কোরানে প্রচুর আয়াত রয়েছে যা দু'আ (প্রার্থনা) পড়ার বিষয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল এবং আপনি যদি ইচ্ছা পূরণের জন্য সূরাগুলি পড়েন তবে আপনি যা চান তা শীঘ্রই পেতে পারেন।একটি ইচ্ছা পূরণের জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে একটি প্রার্থনা - দুআ হল উপাসনা, এবং আল্লাহ পছন্দ করেন যে আপনি তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করেন এবং তিনি আপনার প্রার্থনার উত্তর দেবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “দুআ হল ইবাদত” অর্থাৎ মস্তিষ্ক ছাড়া যেমন দেহের অস্তিত্ব নেই, তেমনি দুআ ছাড়া ইবাদতও নেই। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলমানদের বলেছেন: “রজব মাসের জুমার প্রথম রাত সম্পর্কে গাফিলতি করো না। ফেরেশতারা এই রাতটিকে রাগাইবের রাত বলে, বা সকলের পূর্ণতার রাত বলে। ইচ্ছা এই সময়ে ইচ্ছা পূরণের জন্য কোরানের সূরা এবং আয়াত পাঠ করা সর্বোত্তম।

রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রোজা রাখা
- সন্ধ্যায় বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার মধ্যবর্তী সময়ে মাগরিবের নামাজএবং ইশার সালাত নিম্নোক্তভাবে আদায় করুন:
12 রাকাত (2 রাকাত 6 বার) নিয়াত রিজা (ট্রান্স. আশা) সহ। প্রতিটি রাকাতে, ইচ্ছা পূরণের জন্য এই সূরাগুলি পড়ুন:

সূরা আল ফাতিহা ১ বার
সূরা কদর ৩ বার
সূরা আল ইখলাস ১২ বার।

ইসলামে একটি ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা - সালাওয়াত 70 বার পড়ুন:
আল্লাহুম্মা সুল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন-নাবিয়িল-উম্মিয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম

তারপর নিজেকে সুজুদে (সেজদা) অবনত করুন এবং নিচের শব্দগুলো ৭০ বার উচ্চারণ কর (সাজদুদে):

তারপর মাথা তুলে ৭০ বার বলুন:
রাব্বি গফির ওয়া রহাম ওয়া তাজাওয়াজ মা তা "লাম ফাইন্নাক্য আন্তা-ল-আজিজুল-আ" জাম

এবং পরিশেষে, ২য় সুজুদে নেমে ৭০ বার দুআ পড়ুন:
সুববুখুন কুদ্দুসুন রাব্বিল-মালয়্যাকাতি ওয়া-র-রুহ।

এবং এর পরে, সুজুদায় থাকা অবস্থায়, আপনি যা চান তা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন (অর্থাৎ ব্যক্তিগত দুআ) এবং ইনশাআল্লাহ, এই দুআ সর্বশক্তিমান দ্বারা কবুল হবে এবং আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে।

এটি “আলখিআমদুলিল্লাগ্যা রাব্বিল আলা মিনা”, “আস্তাগফিরুল্লাহ” এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাওয়াত পড়ার পর বিশুদ্ধ নিয়তে দুই রাকাত নামায পড়ার পর পড়া হয়:

"আল্লাগ্যুম্মা ইয়া জামিগিআ শাতিয়াতি ভা আমি মুখরিজা নাবাতি ভা আমি মুখইয়্যাল গিজামি রাফাতি ওয়া আমি মুজিবা দাগিবাতি ভা আমি কাজিয়াল খিয়াজহাতি ওয়া আমি মুফরিজাল কুরুবাতি ওয়া আমি সামিগিআল আসওয়াতি মিন ফাভকি ইসাবাতি ইসামাভাতি মিন ফাওয়াকি সাবজিন am malika xIavaizhi zhamigIil mahlukati va আমি মান মালা নুরুগু আলরজা ওয়া সামাবতি ওয়া ইয়া মান আখিয়াতিয়া বিকুল্লি শায়িন গিলমান ওয়া আখিসা কুল্লা শায়িন গিআদাদান ওয়া গিআলিমান বিমা মাজা ওয়া মা গিউভা আতিন, আসালুকা আল্লাগ্যুম্মা বিকুদ্রতিকা গিয়ালা কুল্লিগইগভাইকামবিহামবিস্তান ডিকা ওয়া বিমাজ্ডিকা ইয়া ইলাগ্যা কুল্লি শায়িন আন তাজহুদা গিয়ালয়া বিকাজাই ইজহাতি ইন্নাকা কাদিরুন গিয়ালা কুল্লি শায়ীন, আমি রাব্বাল গিআলামিনা।"

অতঃপর তারা তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং নম্রতার সাথে দুয়াটি সম্পন্ন করে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সালাওয়াত পাঠ করে এবং তা পূরণের আশায়। এই ইচ্ছা, ইনশাআল্লাহ, পূরণ হবে। যদি তা হয়। পূর্ণ না হলে দুআটি তিনবার পুনরাবৃত্তি হয়। আপনি পাপ কাজ এবং আল্লাহর অবাধ্যতার কাজে ইচ্ছা পূরণের জন্য এই দুআটি পড়তে পারবেন না।

• তাতার যাদু তাতার যাদু এবং আচার-অনুষ্ঠান যাদুবিদ্যার অন্তর্গত নয়। তাতারদের মুসলিম ঐতিহ্য, আজ অবধি সংরক্ষিত, পারিবারিক শৃঙ্খল বরাবর মুখে মুখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শব্দ (শব্দের গতি এবং তাদের সংমিশ্রণ), এক বা অন্যভাবে, শক্তিশালী জাদু শক্তি বহন করে এবং বাস্তবায়িত হয়। তাতারদের মধ্যে, যাদুকে যাদু এবং জাদুবিদ্যা হিসাবে বিবেচনা করা হয় না; তাদের বিশ্বাসে, যাদুকর ফলাফল

• নুসা দুয়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং "জাদুকর" স্থানগুলির মধ্যে একটিকে নুসা দুয়া অঞ্চল বলা যেতে পারে, যা বালি দ্বীপে অবস্থিত এবং নুসা দুয়া - নুসা দুয়া সুন্দর নাম বহন করে, কেন আমরা এটিকে জাদুকরী বলি? সবকিছু খুব সহজ, দুআ শব্দটি মুসলিম প্রার্থনার একটি উপাসনা এবং ইতিমধ্যে একটি ইতিবাচক মনোভাব বহন করে এবং এটি রাজধানী থেকে 25 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত

• কুনুত দুআ প্রার্থনাট্রান্সক্রিপশন সহ মুসলিম কুনুত (القنوت) মুসলিম থেকে অনুবাদ করা দুয়ার নাম যা নামাজের নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করা হয়। মুসলিম কুনুত দুই প্রকার: বিতরের নামাযে কুনুত - ফজরের আগে বিজোড় শেষ অতিরিক্ত নামায। মুসলমানদের উপর কোন দুর্ভাগ্য বা দুঃখের ঘটনা ঘটলে তাকে কুনুত বলে।

• প্রতিলিপি সহ মন্দ চোখের বিরুদ্ধে মুসলিম প্রার্থনা যদি মুসলিম বিশ্বাসের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে মন্দ চোখ এবং ক্ষতি অপসারণের প্রয়োজন হয়, তবে মন্দ চোখের বিরুদ্ধে মুসলিম প্রার্থনা সাহায্য করবে। এটি করার জন্য, ব্যক্তিটিকে পূর্ব দিকে মুখ করে একটি চেয়ারে বসুন। তার পিছনে দাঁড়ান এবং তার মাথার উপর নিম্নলিখিত প্রার্থনা পড়ুন: প্রতিলিপি

• একজন মানুষকে জাদু করার জন্য মুসলিম জাদু এখন অনেক জাদুকর মুসলিম জাদুর আচার-অনুষ্ঠান অবলম্বন করে, যেমন তারা বলে, স্বাদ এবং রঙ... আমরা আপনাকে মুসলিম জাদুর মাধ্যমে একজন মানুষকে কীভাবে জাদু করতে হয় তা শিখিয়ে দেব, কিন্তু আপনি প্রেমের বানান অনুষ্ঠান শুরু করার আগে ভবিষ্যতের স্বামী, আপনাকে মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে আরবি-মুসলিম তাবিজ পড়তে হবে যারা আচারের সময় আপনাকে রক্ষা করবে

• মুসলিম ব্যবহারিক যাদুকীভাবে একজন লোককে জাদু করা যায় এই নিবন্ধে আমরা আরব জাদুটি দেখব; মুসলিম ব্যবহারিক যাদু খুব বৈচিত্র্যময় এবং এর সাহায্যে একজন প্রিয় মানুষ বা যুবককে জাদু করা সম্ভব। জাদুবিদ্যার কোন শিক্ষা বা অনুশীলন নেই, আপনি যদি প্রেমের মন্ত্র নিক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এমন একজন লোককে জাদু করার সিদ্ধান্ত নেন যে প্রতিদান দেয় না, আমরা আপনাকে শিখাবো কিভাবে একজন মুসলিম প্রেমিক হতে হয়

• মুসলিম প্রেমের বানান এবং অর্থ জাদু মুসলিম অর্থ জাদুতে সবচেয়ে সহজ জিনিস হল সম্পদের জন্য আপনার নিজের তাবিজ তৈরি করা, যার উপর আপনাকে আর্থিক জাদু এবং অর্থের আচারের সাথে সম্পর্কিত নিম্নলিখিত মুসলিম প্রেমের বানানটি পড়তে হবে। অর্থের জাদু খুবই শক্তিশালী এবং এই মুসলিম আচার বহুকাল ধরে মুসলিম ধর্মের সব দেশেই প্রচলিত আছে। মাসকট টেবিল

• একটি হারিয়ে যাওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে বের করার মুসলিম ষড়যন্ত্র কর্মক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া জিনিস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খুঁজে পেতে কতবার ষড়যন্ত্র সাহায্য করেছে (যদি আপনি এটি ভুল ফোল্ডারে রাখেন এবং পরে এটি খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন)। আপনি যদি কিছু হারিয়ে থাকেন এবং মনে করতে না পারেন যে এটি কোথায় ঘটেছে, একটি সহজ, কিন্তু খুব ভাল সাহায্য মুসলিম ষড়যন্ত্রঅনুপস্থিত জিনিস খুঁজুন: AP-YAP! পেরি, ট্যাপ! তাপত্যন ইস্যা মিনা আত!

• মুসলিম নামাজএবং ইসলামে আপনার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার একটি প্রেমের মন্ত্র রয়েছে ভাল প্রার্থনা- পরিবারে স্বামীর প্রত্যাবর্তনের জন্য দুআ, যা যে কোনও ধর্মের মহিলারা ব্যবহার করেন যারা একজন মুসলিমকে বিয়ে করেন। যখন একটি পরিবার ভেঙ্গে যায় তখন এটি কঠিন, বিশেষত যখন পরিবারে সন্তান থাকে এবং স্বামী চলে যায়, সম্ভবত ভালর জন্য, স্বামীকে বাড়ি ফেরানোর উপায়গুলির জন্য কোনও সময় নেই। আমরা আপনাকে সেরা কিছু সম্পর্কে বলব এবং

• আপনার নিজের থেকে একটি দূরত্বে মুসলিম প্রেমের বানান আপনি যদি বিয়ে করতে অক্ষম হন, কিন্তু ইতিমধ্যেই একজন প্রেমিকা থাকে, তাহলে রাস্তা খোলার এবং দ্রুত বিয়ে করার জন্য নিম্নলিখিত আরব-মুসলিম বানানটি সাহায্য করবে, যেকোনো দূরত্বে বৈধ। এটি করার জন্য, নিম্নলিখিত মুসলিম প্রেমের বানানটি পড়ুন যা দূরত্বে কাজ করে: বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। মিন আবদিখি আল্লাযী লীলা ইলা

• ভালবাসার জন্য মুসলিম জাদু মুসলিম ইসলামী ষড়যন্ত্র একটি দুআ ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রেমের জন্য মুসলিম জাদুতে স্লাভিক এবং ল্যাটিন ভাষায় যাদু বানান থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে, তবে সেগুলিকে একই শক্তি এবং আবেগের সাথে পড়তে হবে, আপনি ভুল করতে পারবেন না এবং ষড়যন্ত্রের চিঠিগুলি "গিলে" যাবেন না। মুসলমানদের মধ্যে ইসলামিক প্রেমের মন্ত্র একটি ধর্মীয় আচার অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়: সূর্যাস্তের সময় আপনার প্রয়োজন

Cassandra196 দ্বারা মূল পোস্ট
দুয়ার প্রার্থনা "তাজনামা"

بســــــــــــــم الله الرحمان الرحيم
اللهُم يا صانع كل مصنوع و ياجابركل كسيرويامؤنس كل فقيروياصاحب كل غريب وياشافي كل مريض وياحاضركل خلائق ويارازق كل مرزوق وياخالق كل مخلوق ويا حافظ كل محفوظ ويافاتح كل مفتوح وياغالب كل مغلوب ويامالك كل مملوك وياشاهدكل مشهودوياكاشف كل كرب اجعل لى من امرى فرجا ومخرجااقذف قلبى لاارجو احدا سواك برحمتك ياارحم الرحمين

"বিসমিল্লাহির-রহমানির রাহীম। আল্লাহুমা ইয়া সানি উ কুল্লি মাসনু ইয়া জাবিরু কুল্লি কিয়াসিরিন ইয়া মুচনিসু কুল্লি ফাক্‌রিন ইয়া সাহিবু কুল্লি গারিবিন ইয়া শাফি কুল্লি মারিদিন ইয়া হাদিরু কুল্লি হাল্লিকিন ইয়া রাজিকু কুল্লি মারজিয়ুকিন হাকুলি মাজুক্লি হাকুফ্‌লি মারিদিন হু কুল্লি মাফতুখিন ইয়া গালিবু কুল্লি মাগলুবিন ইয়া মালিক কুল্লি মামলুকিন ইয়া শাখিদু কুল্লি মাশখুদিন ইয়া কাশিফু কুল্লি কারবিন ইজাল-লি মিনানরি, ফারজান ওয়া মাহরাজান ইকজিফ কালবি লার্জু আহাদান সিউয়াক। বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার-রাহিমিন।

অনুবাদ:
হে আল্লাহ, সকল সৃষ্টির স্রষ্টা, হে সকল গরীবদের সান্ত্বনাদাতা, হে সকল বিচরণকারীর সঙ্গী, হে সকল রুগ্নকে আরোগ্যকারী, হে অভাবগ্রস্তকে আশীর্বাদদাতা, হে সকল কিছুর প্রকাশক, হে সকল কিছুর বিজয়ী। জয়ী, হে দৃশ্যমান সবকিছুর সাক্ষী, হে সকল দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তিদাতা! হে আল্লাহ, আমাকে প্রতিটি বিষয়ে সফল ফলাফল দান করুন, আমার হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করুন! আমি আপনার ছাড়া কারো উপর নির্ভর করি না এবং আপনার রহমতের উপর ভরসা করি, হে করুণাময়দের মধ্যে পরম করুণাময়! !
এই নামাজের 30টি ফজিলত রয়েছে:
1. কেউ যদি নিজেকে শত্রুদের মধ্যে দেখতে পায় এবং তাদের ক্ষতির আশঙ্কা করে, তবে তাকে অযু অবস্থায় আন্তরিকভাবে এটি 7 বার পাঠ করা উচিত। প্রার্থনা এবং আল্লাহতাকে রক্ষা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
2. কেউ যদি নিজেকে দারিদ্র্য ও দুর্দশার মধ্যে দেখতে পায়, তবে তাকে অবশ্যই সন্ধ্যায় 2 রাকাত পড়তে হবে, প্রতিটি রাকাতে "ফাতিহার" পরে সূরা "ইখলাস" পাঠ করতে হবে। নামাজের পরে, এই দোয়াটি পড়ুন এবং বলুন: "হে আল্লাহ! "তাজনাম" এর সম্মানের খাতিরে আমাকে দারিদ্র্য থেকে বাঁচাও! এবং তারপর আপনি যা চান তা জিজ্ঞাসা করুন এবং আপনার মুখের উপর আপনার হাতের তালু চালান ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ শীঘ্রই আপনার অনুরোধটি কবুল করবেন।
3. যে ব্যক্তি শিখরের (দুর্নীতি) দ্বারা পরাজিত হয় সে অবশ্যই এই দোয়াটি পানির উপর 7 বার পাঠ করবে, তারপর এই জলটি তার উপর ঢেলে দেবে এবং কিছুটা পান করবে, ইনশাআল্লাহ, শিখর থেকে মুক্তি পাবেন।
4. যদি কেউ এত বেশি খাওয়া হয় যে হৃদয়ে ব্যথা দেখা দেয়, তবে আপনাকে সাদা প্লেটে জাফরান দিয়ে এই প্রার্থনাটি লিখতে হবে, জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, পান করতে হবে, আপনার মুখ এবং চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
5. যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকে এবং কোন কিছুই তাকে সাহায্য করে না, তবে তাকে এই দোয়াটি 70 বার পড়তে হবে এবং বৃষ্টির পানিতে ফুঁ দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করাতে হবে, ইনশাআল্লাহ, সে শীঘ্রই উপশম পাবে।
6. যদি কেউ নিজেকে বড় দুর্ভাগ্য ও কষ্টের মধ্যে দেখতে পায়, তবে একজনকে অবশ্যই অযু অবস্থায় এই দোয়াটি 1000 বার পড়তে হবে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ সাহায্য করবেন।
7. যে কেউ তাদের বসের কাছ থেকে তাদের সমস্যার ইতিবাচক সমাধান পেতে চায় তার কাছে এই প্রার্থনাটি 7 বার পাঠ করা উচিত এবং, ইনশাআল্লাহ, তিনি যা চান তা অর্জন করবেন।
8. শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভুগলে এই দোয়াটি কানে ৩ বার পড়লে ইনশাআল্লাহ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
9. যে ব্যক্তি শুক্রবার সকালে 48 বার একটি দোয়া পড়বে, সবাই সেই ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব করবে।
10. যদি একজন ব্যক্তি অন্যায়ের কারণে সমস্যায় পড়ে, তবে তার উচিত, প্রতিটি পরে সকালের প্রার্থনাএই দোয়াটি 40 বার পড়ুন এবং নিজের উপর ফুঁ দিন ইনশাআল্লাহ, আপনি কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
11. যদি কোন ব্যক্তি অলস থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমাতে পছন্দ করে, তাহলে তাকে শুক্রবারে জুমার নামাজের পর এই দোয়াটি 25 বার পড়তে হবে।
12.যার সন্তান নেই সে যেন শুক্রবার রাতে মোমের উপর ৭০ বার এই দোয়াটি পড়ে পানিতে ভিজিয়ে পান করে, ইনশাআল্লাহ সন্তান হবে।
13. যে কেউ ধনী হতে চায় তাকে প্রতিদিন 15 বার এই দোয়াটি পড়তে হবে।
14. যে তার শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়, সে যেন এই দোয়াটি 70 বার পাঠ করে।
15. যে কেউ একটি সফল ব্যবসা (বাণিজ্য) করতে চান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে একবার এই দোয়াটি পাঠ করুন এবং এটি তার সাথে বহন করুন।
16. সফল দুনিয়া ও আখিরিতের জন্য, আপনাকে প্রতিদিন 3 বার পড়তে হবে এবং আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।
17. যদি আপনি একটি প্লেটে লিখে একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করতে দেন তবে সে সুস্থ হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
18. শত্রুদের অপবাদ বন্ধ করার জন্য, আপনাকে এটি 11 বার পড়তে হবে।
19.ভ্রমণ থেকে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য, আপনাকে এই দোয়াটি 10 ​​বার পড়তে হবে।
20. যদি আপনি বীজ বপনের সময় 10 বার দুআটি পাঠ করেন তবে আল্লাহ আপনাকে সমস্ত ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।
21. যে ব্যক্তি নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফাআত পেতে চায়, তাকে প্রতিদিন 100 বার এই দোয়াটি পড়তে হবে।
22. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম ও বন্ধুত্ব না থাকলে, তারা যেন সাদা কাগজে জাফরানে এই দোয়াটি লিখে বিছানায় শোয়, তাদের সম্পর্কের উন্নতি হবে, ইনশাআল্লাহ, কোন সিহর তাদের নেবে না।
23. আল্লাহ একজন ব্যক্তির জন্য সুখের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য, একজনকে এই দোয়াটি 15 বার পড়তে হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
24. যদি এই প্রার্থনাটি একটি শিশুর সাথে সংযুক্ত থাকে তবে সে জিনদের ভয় এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
25. একটি কঠিন জন্মের সময়, আপনাকে এই প্রার্থনাটি 11 বার পড়তে হবে এবং প্রসবকালীন মহিলার উপর পিঠ থেকে আঘাত করতে হবে, ইনশাআল্লাহ, তিনি শীঘ্রই এবং সহজে জন্ম দেবেন।
26. যদি একটি মেয়ে তার সাথে এই প্রার্থনা বহন করে, সবাই তাকে পছন্দ করবে।
27. যদি আপনি এই দোয়াটি 5 বার পড়ে একটি পশুর উপর ফুঁ দেন তবে এটি তাদের অসুস্থতা থেকে রক্ষা করবে।
28. সকালের নামাজের পরে দরকারী জ্ঞান অর্জনের জন্য, আপনাকে এই প্রার্থনাটি 70 বার পড়তে হবে।
29. যার অনেক বড় ঋণ আছে, ঋণ পরিশোধের নিয়তে এই দোয়াটি ৩০ বার পড়বে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ সাহায্য করবেন।
30. যে কাউকে সাপে বা বিচ্ছু কামড়ালে এই দোয়াটি পড়ে কানে ফুঁ দিতে হবে, শীঘ্রই রোগী উপশম পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

দুআ সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইবাদতের অন্যতম রূপ হিসাবে বিবেচিত হয়। একজন ব্যক্তি যিনি একটি অনুরোধের সাথে স্রষ্টার দিকে ফিরে যান তিনি তার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করেন যে শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহই একজন ব্যক্তিকে তার প্রয়োজনীয় সবকিছু দিতে পারেন, তিনিই একমাত্র যার উপর নির্ভর করা উচিত এবং যার কাছে প্রার্থনা করা উচিত।

আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা প্রায়শই বিভিন্ন (শরিয়া অনুযায়ী অনুমোদিত, হালাল) অনুরোধ নিয়ে তাঁর দিকে ফিরে আসে।

দুআ একজন মুসলমানের একটি অস্ত্র, যা তাকে আল্লাহ প্রদত্ত।

একবার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞাসা করলেন: "আপনি কি চান যে আমি আপনাকে এমন একটি প্রতিকার শিখিয়ে দিই যা আপনাকে দুর্ভাগ্য এবং সমস্যাগুলিকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে যা আপনাকে পরাস্ত করেছে?" "আমরা চাই," সঙ্গীরা উত্তর দিল। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: “যদি আপনি “লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাক্য ইন্নি কুনতু মিনাজ-জালিমিন” এই দুআটি পড়েন এবং আপনি যদি সেই মুহুর্তে অনুপস্থিত সহ-মুমিনের জন্য দুআটি পড়েন, তবে দুআটি হবে। আল্লাহর কাছে কবুল হবে।" তার পাশে ফেরেশতা রয়েছে যারা দুআটি পড়ে এবং পুনরাবৃত্তি করে: "আমেন। এটা আপনার জন্য একই হতে পারে"

দুআ হল ইবাদত যার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পুরস্কার রয়েছে এবং দুআ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে:

2. দোয়াটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রশংসার শব্দ দিয়ে শুরু করা উচিত: "আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন", তারপরে আপনাকে নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালাওয়াত পড়তে হবে: "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদীন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন ওয়া সালিম। ", তাহলে আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে: " আস্তাগফিরুল্লাহ।"

3. যদি দুআতে গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ থাকে, তবে এটি শুরু হওয়ার আগে, আপনাকে অযু করতে হবে এবং যদি এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনাকে সম্পূর্ণরূপে গোসল করতে হবে (একটি গোসল করুন)

4. কখন দুআ পড়াকিবলার দিকে মুখ করা বাঞ্ছনীয়।

5. হাত আপনার মুখের সামনে রাখা উচিত, তালু আপ করুন। দুআ শেষ করার পর, আপনাকে আপনার মুখের উপর আপনার হাত চালাতে হবে যাতে আপনার হাতের তালুতে পূর্ণ বারাকাত আপনার মুখ স্পর্শ করে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সত্যিই, আপনার রব, জীবিত, দয়াময়, তাঁর বান্দাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না যদি সে দু’হাত তুলে নেয়।

6. আপনার অনুরোধ কমপক্ষে তিনবার পুনরাবৃত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অনুরোধটি অবশ্যই শ্রদ্ধার সুরে করা উচিত, শান্তভাবে, যাতে অন্যরা শুনতে না পায় এবং কেউ যেন স্বর্গের দিকে তাকাতে না পারে।

দুআ শেষে, আপনাকে অবশ্যই শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সালায়াতের শব্দ বলতে হবে তারপর বলুন:

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ .

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ .وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

“সুবহানা রাব্বিক্যা রাব্বিল ইজাত্তি আম্মা ইয়াসিফুন।

ওয়া সালামুন ‘আলাল মুরসালিন।

ওয়াল-হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।"

ফাদালা ইবনে উবায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে: “একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনলেন যে, এক ব্যক্তি তার নামাযের সময় প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা না করে আল্লাহর কাছে দুআ করতে শুরু করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য প্রার্থনা করে তাঁর দিকে ফিরে না গিয়ে এবং তিনি বললেন: “এই লোকটি তাড়াতাড়ি করেছে!”, তারপর তিনি তাকে তার কাছে ডেকে বললেন:

“যখন তোমাদের মধ্যে কেউ প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে চায়, তখন সে যেন তার মহিমান্বিত প্রভুর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারপর সে যেন নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করে।” (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তারপর। সে যা চায় তাই চায়।"