সাহুর ও ইফতারের জন্য দুআ
নিয়ত (নিয়ত), যা সুহুরের সময় উচ্চারিত হয় (পরে সকালের অ্যাপয়েন্টমেন্টখাদ্য).
"নাভাইতু আন-আসুমা সাওমা শাখরি রমাদান মিনাল-ফজরি ইলাল-মাগ্রিবি হালিসান লিল্লাহি তায়াআলা"
অনুবাদ: "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজান মাসের ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সিয়াম পালন করার ইচ্ছা করছি।"
দু'আ, যা রোযা (ইফতার) ভাঙ্গার পরে পড়া হয়।
"আল্লাহুম্মা লাক্যা সুমতু, ওয়া বিক্যা আমানতু, ওয়া আলাইক্যা তাওয়াক্কিয়ালতু, ওয়া 'আলা রিজকিক্যা আফতারতু, ফাগফিরলি ইয়া গাফ্ফারু মা কদ্দামতু ওয়া মা আখহার্তু।"
অনুবাদ: “হে আল্লাহ, তোমার জন্যই আমি রোজা রেখেছি, তোমার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি, তোমার খাবার দিয়ে রোজা ভঙ্গ করেছি।
হে ক্ষমাশীল, আমি যে পাপ করেছি বা করব সেগুলি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"
ইফতারের জন্য খোলা দোয়া
সুহুর (সকালের খাবার) পরে নিয়ত (নিয়ত) উচ্চারণ
"আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজান মাসের ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম পালন করার ইচ্ছা করছি।"
অনুবাদ:নাওয়াইতু আন-আসুমা সাওমা শাহরি রামাদান মিনাল-ফজরি ইলাল-মাগ্রিবি হালিসান লিল্লায়ি তায়াআলা
রোজা ভাঙ্গার পরের দোয়া (ইফতার)
ذهب الظمأ وابتلت العروق وثبت الاجر إن شاء الله
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযা ভাঙ্গার পর বললেনঃ “তৃষ্ণা দূর হয়ে গেছে, শিরা-উপশিরাগুলো আর্দ্রতায় পূর্ণ হয়ে গেছে এবং আল্লাহ ইচ্ছা করলে সওয়াব ইতিমধ্যেই অপেক্ষা করছে” (আবু দাউদ 2357, আল-বায়হাকী 4) /239)।
অনুবাদ:জাহাবা জামা-উ উয়াবতালাতিল-‘উরুক, উয়া সাবাতাল-আজরু ইনশা-আল্লাহ
রোজা ভাঙ্গার পরের দোয়া (ইফতার)
“হে আল্লাহ, তোমার জন্যই আমি রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার ওপর ভরসা করেছি, তোমার খাবার দিয়েই রোজা ভঙ্গ করেছি। হে ক্ষমাশীল, আমি যে পাপ করেছি বা করব সেগুলি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"
অনুবাদ:আল্লাহুম্মা লাক্য সুমতু, ওয়া বিক্যা আমানতু, ওয়া ‘আলাইক্যা তাওয়াক্কিয়ালতু, ওয়া ‘আলা রিজকিক্যা আফতারতু, ফাগফিরলি ইয়া গাফ্ফারু মা কদ্দামতু ওয়া মা আখহার্তু
রোজা ভাঙ্গার পরের দোয়া (ইফতার)
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ وَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَ بِكَ آمَنتُ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَ ابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَلَى يَا وَاسِعَ الْفَضْلِ اغْفِرْ لِي اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِي أَعَانَنِي فَصُمْتُ وَ رَزَقَنِي فَأَفْطَرْتُ
অনুবাদ:হে সর্বশক্তিমান, আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছিলাম [যাতে তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হও]। আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তা দিয়ে আমি আমার রোজা শেষ করেছি। আমি আপনার উপর নির্ভর করেছি এবং আপনার উপর বিশ্বাস করেছি। তৃষ্ণা মিটে গেছে, শিরা-উপশিরা আর্দ্রতায় ভরে গেছে, আর পুরষ্কার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যদি তুমি চাও। হে অসীম করুণার অধিকারী, আমার গুনাহ মাফ করে দাও। প্রভুর প্রশংসা, যিনি আমাকে উপবাস করতে সাহায্য করেছেন এবং আমি যা দিয়ে আমার উপবাস ভঙ্গ করেছি তা আমাকে সরবরাহ করেছেন
অনুবাদ:আল্লাহুম্মা লাক্য সুমতু ওয়া ‘আলায়া রিজকিক্যা আফতারতু ওয়া ‘আলাইক্যা তাওয়াক্কিয়ালতু ওয়া বিক্যা আমন্ত। জেহেবে জ্জমেউ ওয়াবতেল্লাতিল-'উরুকু ওয়া সেবেতাল-আজরু ইন শে'আল্লাহু তা'আলা। ইয়া ওয়াসিয়াল-ফাদলিগফির লি। আলহামদু লিল্লাহিল-লিয়াযী ই‘আনানী ফা সুমতু ওয়া রাজাকানি ফা আফতার
মুসলিম ক্যালেন্ডার
সবচেয়ে জনপ্রিয়
হালাল রেসিপি
আমাদের প্রকল্প
সাইটের উপকরণ ব্যবহার করার সময়, উৎসের একটি সক্রিয় লিঙ্ক প্রয়োজন
সাইটে পবিত্র কুরআন ই. কুলিয়েভ (2013) অনলাইন কুরআনের অনুবাদ থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে
ইফতারের জন্য খোলা দোয়া
রোজা ভাঙ্গার দোয়া
"জাহাবা-য-জামা"উ, ওয়া-বতালিয়াতি-ল-"উরুকু ওয়া সাবাতা-ল-আজরু, ইন শা'আ-লাহু।"
অনুবাদ: তৃষ্ণা চলে গেছে, এবং শিরা আর্দ্রতায় ভরা, এবং পুরস্কার ইতিমধ্যেই অপেক্ষা করছে, যদি আল্লাহ চান।(এখানে এবং অন্য সব ক্ষেত্রে, "ইন শা-আল্লাহ" সূত্রটি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে, অন্য কথায়, এতে সুসংবাদ রয়েছে।)
"আল্লাহুম্মা, ইন্নি আস" আলু-কায়া বি-রহমাতি-কেয়া-ল্লাতি ওয়াসি "এত ক্রয় শায়ীন আন তাগফিরা লি!"
অনুবাদ: হে আল্লাহ, সত্যই, আমি আপনার রহমতের দ্বারা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, যা সবকিছুকে আলিঙ্গন করে, আমাকে ক্ষমা করুন!
খাওয়ার আগে বলতে শব্দ.
বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আল্লাহর কাছে আবেদনের বাণী যা খাওয়ার পর বলা উচিত।
"আল-হামদু লি-লিয়াহি ল্লাযী আত" আমা-নি হাজা ওয়া রাজাকা-নি-হি মিন গাইরি হাউলিন মিন-নি ওয়া লা কুওয়াতিন।
অনুবাদ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এটি দিয়েছিলেন এবং আমাকে এটি দিয়েছিলেন, অথচ আমার নিজেরও শক্তি বা ক্ষমতা নেই।
"আল-হামদু লি-লাহি হামদান কিয়াসিরান, তাইয়বান, মুবারকিয়ান ফি-হি, গায়রা মাকফিয়ীন, ওয়া লা মুওয়াদ্দা" ইন ওয়া লা মুস-তাগনান "আন-হু! রাব্বা-না!"
অনুবাদ: আল্লাহর প্রশংসা, প্রশংসা প্রচুর, ভাল এবং বরকতময়, প্রশংসা যে আরও প্রায়ই বলা উচিত, প্রশংসা যে ক্রমাগত, প্রশংসা যে আমাদের ক্রমাগত প্রয়োজন! আমাদের প্রভু!
প্রার্থনার শব্দ যা অতিথি তার সাথে আচরণ করেছেন তার জন্য বলা উচিত।
"আল্লাহুম্মা, বারিক লা-হুম ফি-মা রাজাকতা-হুম, ওয়া-গফির লা-হুম ওয়া-রহাম-হুম!"
অনুবাদ: হে আল্লাহ, আপনি তাদের যা দিয়েছেন তা দিয়ে তাদের আশীর্বাদ করুন এবং তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।
এমন একজনের জন্য প্রার্থনার শব্দ যিনি পান করতে পান বা তা করতে চান৷
অনুবাদ: হে আল্লাহ, যে আমাকে খাওয়ালো তাকে খাওয়াও এবং যে আমাকে কিছু পান করালো তাকে পান দাও!
যারা পরিবারের সাথে বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে তাদের দ্বারা বলা প্রার্থনার শব্দ।
"আফতারা "ইন্দা-কুমু-স-সাইমুনা, ওয়া আখ্যাল্যা তা" আমা-কুমু-ল-আবরারু ওয়া সাল্লাত "আলে-কুমু-ল-মালয়িকাতু!"
অনুবাদ: যারা উপবাস করেন তারা যেন আপনার সাথে তাদের উপবাস ভঙ্গ করেন, ধার্মিকরা আপনার খাবার খান এবং ফেরেশতারা আপনাকে আশীর্বাদ করুন!
রোজাদারের নামায, যা দিয়ে তিনি রোজা ভঙ্গ করার ইচ্ছা না করলে রোজাদারের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হবে।
বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
রোজাদারকে কেউ গালি দিলে তাকে কী বলা উচিত।
অনুবাদ: সত্যই, আমি রোজা রাখি, সত্যই, আমি রোজা রাখি!
প্রার্থনার শব্দ যা দিয়ে আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তির কাছে ফিরে যেতে হবে যে প্রথম ফলটি দেখে।
"আল্লাহুম্মা, বারিক লা-না ফী সা-মারিনা, ওয়া বারিক লা-না ফী মাদিনাতি-না, ওয়া বারিক লা-না ফি সা" এবং-না ওয়া বারিক লা-না ফী মুদ্দি-না!
অনুবাদ: "হে আল্লাহ, আমাদের জন্য আমাদের ফল বরকত দান করুন, এবং আমাদের শহরকে আমাদের জন্য বরকত দিন, এবং আমাদের সাসকে আমাদের জন্য বরকত দিন" এবং আমাদের জন্য আমাদের মাটিতে বরকত দিন!(সা" মুদ - আয়তনের পরিমাপ)
সাহুর ও ইফতার (সকাল ও সন্ধ্যার খাবার)
আলো পেতে শুরু করার আগে, ভোর হওয়ার প্রথম সুস্পষ্ট লক্ষণগুলির আগে খাওয়া বন্ধ করা উচিত:
“...খাও এবং পান করুন যতক্ষণ না আপনি একটি কালো থেকে একটি সাদা সুতার পার্থক্য করতে পারেন [আসন্ন দিন এবং বিদায়ী রাতের মধ্যে বিভাজন রেখা যতক্ষণ না দিগন্তে দেখা যায়] ভোরবেলা। অতঃপর রাত পর্যন্ত [সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস, খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকা অন্তরঙ্গ সম্পর্কতার স্ত্রীর সাথে (স্বামী)]..." (পবিত্র কুরআন, 2:187)।
যদি কোনও নির্দিষ্ট শহরে কোনও মসজিদ না থাকে এবং কোনও ব্যক্তি স্থানীয় উপবাসের সময়সূচী খুঁজে না পান, তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য, সূর্যোদয়ের দেড় ঘন্টা আগে সুহুর শেষ করা ভাল। সূর্যোদয়ের সময়টি যে কোনও টিয়ার-অফ ক্যালেন্ডারে পাওয়া যাবে।
সকালের খাবারের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়, উদাহরণস্বরূপ, নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিম্নোক্ত বাণী দ্বারা: “[রোজার দিনে] ভোরের আগে খাবার গ্রহণ কর! সত্যিই, সুহুরে আল্লাহর রহমত (বারকত)!” . এছাড়াও মধ্যে সহীহ হাদীসবলা হয়েছে: “তিনটি অভ্যাস আছে, যেগুলোর ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে রোজা রাখার শক্তি দেবে (অবশেষে সে রোজা রাখার জন্য যথেষ্ট শক্তি ও শক্তি পাবে): (১) খাও, তারপর পান কর [অর্থাৎ কর। খাওয়ার সময় প্রচুর পান করবেন না, গ্যাস্ট্রিক জুস পাতলা করবেন না, এবং খাওয়ার 40-60 মিনিট পরে তৃষ্ণা অনুভব করার পরে পান করুন], (2) খান [শুধু সন্ধ্যায়, উপবাস ভঙ্গের সময় নয়] ভোরবেলা [আযানের আগে সকালের প্রার্থনা], (৩) দিনের বেলা ঘুমান [আনুমানিক 20-40 মিনিট বা তার বেশি দুপুর 1:00 থেকে বিকাল 4:00 এর মধ্যে]।"
যে ব্যক্তি রোজা রাখার নিয়ত করেছে সে যদি ফজরের আগে না খেয়ে থাকে, তাহলে এটা কোনোভাবেই তার রোজার বৈধতাকে প্রভাবিত করবে না, তবে সে সাওয়াবের কিছু অংশ হারাবে, কারণ সে আমলের অন্তর্ভুক্ত কোনো কাজ করবে না। নবী মুহাম্মদের সুন্নাতে।
ইফতার (সন্ধ্যার খাবার)সূর্যাস্তের পরপরই শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় পর্যন্ত এটি স্থগিত করা যুক্তিযুক্ত নয়।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আমার উম্মত উন্নতির মধ্যে থাকবে যতক্ষণ না তারা পরবর্তী সময় পর্যন্ত ইফতার করা স্থগিত করা শুরু করবে এবং রাতে সেহরী করবে [এবং সকালে নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুম থেকে উঠবে। সকালের নামাজের সময়]"।
পানি এবং বিজোড় পরিমাণ তাজা বা শুকনো খেজুর দিয়ে রোজা ভঙ্গ করা বাঞ্ছনীয়। আপনার যদি খেজুর না থাকে তবে আপনি মিষ্টি কিছু দিয়ে বা পানি পান করে ইফতার শুরু করতে পারেন। একটি নির্ভরযোগ্য হাদিস অনুসারে, নবী মুহাম্মদ, সন্ধ্যার নামায পড়ার আগে, তাজা বা শুকনো খেজুর দিয়ে তার রোজা ভাঙতে শুরু করেছিলেন এবং যদি সেগুলি পাওয়া না যায় তবে সাধারণ জল দিয়ে।
“আল্লাহুম্মা লাক্য সুমতু ওয়া ‘আলায়া রিজকিক্যা আফতারতু ওয়া ‘আলাইক্যা তাওয়াক্কিয়ালতু ওয়া বিক্যা আমন্ত। ইয়া ওয়াসিআল-ফাদলি-গফির লি। আল-হামদু লিল-লিয়াহিল-লিয়াযী ই’আনানি ফা সুমতু ওয়া রাজাকানি ফা আফতার।”
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ وَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَ بِكَ آمَنْتُ. يَا وَاسِعَ الْفَضْلِ اغْفِرْ لِي. اَلْحَمْدُ ِللهِ الَّذِي أَعَانَنِي فَصُمْتُ وَ رَزَقَنِي فَأَفْطَرْتُ
“হে প্রভু, আমি আপনার জন্য (আমার সাথে আপনার সন্তুষ্টির জন্য) রোজা রেখেছিলাম এবং আপনার আশীর্বাদ ব্যবহার করে আমি আমার রোজা ভঙ্গ করেছি। আমি আপনার উপর আশা করি এবং আপনার উপর বিশ্বাস করি। আমাকে ক্ষমা করুন, হে যার করুণা অসীম। সর্বশক্তিমানের প্রশংসা, যিনি আমাকে উপবাস করতে সাহায্য করেছেন এবং যখন আমি আমার উপবাস ভঙ্গ করেছি তখন আমাকে খাওয়ানো হয়েছে" ;
“আল্লাহুম্মা লাক্য সুমতু ওয়া বিক্যা আমানতু ওয়া আলেক্যা তাওয়াক্কিয়ালতু ওয়া আলা রিজকিয়া আফতারতু। ফাগফিরলি ইয়া গাফফারু মা কদ্দামতু ওয়া মা আখহার্তু।”
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ بِكَ آمَنْتُ وَ عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ. فَاغْفِرْ لِي يَا غَفَّارُ مَا قَدَّمْتُ وَ مَا أَخَّرْتُ
“হে প্রভু, আমি আপনার জন্য উপবাস করেছি (আমার সাথে আপনার সন্তুষ্টির জন্য), আপনার উপর বিশ্বাস রেখেছি, আপনার উপর নির্ভর করেছি এবং আপনার উপহার ব্যবহার করে আমার উপবাস ভঙ্গ করেছি। আমার অতীত এবং ভবিষ্যতের পাপের জন্য ক্ষমা করুন, হে সর্ব-ক্ষমাকারী!
উপবাস ভাঙ্গার সময়, একজন বিশ্বাসীর জন্য যে কোনও প্রার্থনা বা অনুরোধের সাথে ঈশ্বরের দিকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তিনি যে কোনও ভাষায় স্রষ্টার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। একটি সহীহ হাদীস তিনটি দোয়া-দুআ (দোয়া) সম্পর্কে বলে, যা প্রভু অবশ্যই কবুল করেন। তাদের মধ্যে একটি হল উপবাস ভঙ্গের সময় প্রার্থনা, যখন একজন ব্যক্তি উপবাসের দিন শেষ করে।
দয়া করে আমাকে বলুন কিভাবে সঠিকভাবে খাওয়া শুরু করবেন পবিত্র মাসরমজান? ইন্দিরা।
জল, খেজুর, ফল।
আমি যে মসজিদে সম্মিলিত নামায পড়ি সেই মসজিদের ইমাম বলেছেন যে সকালের নামাযের আযানের পর খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং আযানের সময় মুখে থাকা অবশিষ্ট খাবার থুতু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আমি যে জায়গায় থাকি, সেখানে 1 থেকে 5 মিনিটের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে একযোগে ডাক শোনা যায়। প্রথম ডাক শোনার মুহূর্ত থেকে খাওয়া বন্ধ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? আর এরূপ বাদ পড়লে কি রোযার কাযা হবে? গাদঝি।
পোস্টটি সম্পূর্ণ করার দরকার নেই। গণনাটি যে কোনও ক্ষেত্রেই আনুমানিক, এবং আয়াতটি এই বিষয়ে বলে: “...খাও, পান কর যতক্ষণ না আপনি একটি কালো থেকে একটি সাদা সুতার পার্থক্য করতে শুরু করেন [যতক্ষণ না আসন্ন দিন এবং বিদায়ী রাতের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রদর্শিত হয়। দিগন্ত] ভোরে। এবং তারপর রাত পর্যন্ত [সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত, আপনার স্ত্রীর সাথে খাওয়া, পান এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন]” (পবিত্র কুরআন দেখুন, 2:187)।
রোজার দিনে, স্থানীয় মসজিদ থেকে আযানের শুরুতে খাওয়া বন্ধ করুন, যার মধ্যে 1 থেকে 5 মিনিট পরে।
রোজার সময়, আমার বন্ধু সন্ধ্যায় খেয়েছিল এবং সেহরির জন্য উঠল না। তার পোস্ট কি কাননের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক? সর্বোপরি, আমি যতদূর জানি, আপনাকে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে, আপনার উদ্দেশ্য বলুন এবং খাবার খেতে হবে। ওয়াইল্ডান।
একটি সকালের খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়ত হল, সর্বপ্রথম, অন্তরে নিয়ত, একটি মানসিক মনোভাব, এবং সন্ধ্যায় তা উপলব্ধি করা যায়।
সকালে কতটা পর্যন্ত খেতে পারবেন? সময়সূচীতে ফজর ও শুরুক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কি ফোকাস? আরিনা।
ভোর হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। আপনি ফজরের সময় দ্বারা পরিচালিত হন, অর্থাৎ সকালের নামাজের সময় শুরু করে।
রমজানের সময়, এটি এমন হয়েছিল যে আমি হয় ঘড়ির অ্যালার্ম শুনতে পাইনি, বা এটি বন্ধ হয়নি এবং সুহুর দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। কিন্তু যখন আমি কাজের জন্য জেগে উঠলাম, আমি আমার উদ্দেশ্য বলেছিলাম। বলুন তো, এভাবে রোজা রাখা কি গণনা হয়? আরসলান।
সন্ধ্যায় আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে উপবাসের নিয়ত করেছিলেন, যার মানে আপনার আন্তরিক নিয়ত ছিল। এই থাকাই যথেষ্ট। মৌখিক অভিপ্রায় হৃদয়ে, চিন্তায় অভিপ্রায়ের একটি সংযোজন মাত্র।
সকালের আযানের আগে কেন রোজা শুরু হয়? ইমসাকের পর ও আযানের আগে খেয়ে নিলে রোজা কি বৈধ? তা না হলে কেন নয়? লবস্টার।
পোস্টটি বৈধ, এবং সময়ের রিজার্ভ (কিছু সময়সূচীতে নির্ধারিত) নিরাপত্তা জালের জন্য, তবে এটির জন্য কোন প্রামাণিক প্রয়োজন নেই।
কেন তারা সমস্ত সাইটে "ইমসাক" সময় লেখে, এবং এটি সর্বদা আলাদা, যদিও সবাই হাদিসটি উল্লেখ করে যে এমনকি আজানের সময়ও সকালের প্রার্থনানবী কি আপনাকে চিবানো শেষ করার অনুমতি দিয়েছেন? গুলনারা।
ইমসাক একটি আকাঙ্খিত সীমানা, কিছু ক্ষেত্রে খুব কাম্য। সাধারণ টিয়ার-অফ ক্যালেন্ডারে নির্দেশিত সূর্যোদয়ের এক ঘন্টা বিশ মিনিট বা দেড় ঘন্টা আগে উপবাস বন্ধ করা ভাল। যে সীমানা অতিক্রম করা উচিত নয় তা হল সকালের নামাযের আযান, যার সময় স্থানীয় প্রার্থনার সময়সূচীতে নির্দেশিত হয়।
আমি 16 বছর বয়সী. এই প্রথম আমি আমার সম্পর্কে আমার বুদ্ধি রাখছি এবং আমি এখনও অনেক কিছু জানি না, যদিও প্রতিদিন আমি ইসলাম সম্পর্কে নিজের জন্য নতুন কিছু খুঁজে পাই। আজ সকালে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমিয়েছিলাম, সকাল 7 টায় জেগেছিলাম, আমার উদ্দেশ্য প্রকাশ করিনি এবং অনুশোচনায় যন্ত্রণা পেয়েছিল। এবং আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম যে আমি উপবাস করছি এবং সময়ের আগে খাবার খেয়েছি। হয়তো এই কিছু লক্ষণ? আমি এখন সারা দিন আমার জ্ঞানে আসতে পারিনি, আমার আত্মা একরকম ভারী। আমি কি আমার রোজা ভঙ্গ করেছি?
রোজা ভেঙ্গে যায়নি, কেননা আপনি সেদিন রোজা রাখার ইচ্ছা করেছিলেন এবং সন্ধ্যায় তা জানতেন। নিয়ত উচ্চারণ করাই বাঞ্ছনীয়। আপনার হৃদয় ভারী বা সহজ কিনা তা মূলত আপনার উপর নির্ভর করে: কী ঘটে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে আমরা এটি সম্পর্কে কীভাবে অনুভব করি। একজন বিশ্বাসী সমস্ত কিছুর কাছে ইতিবাচকভাবে, উত্সাহের সাথে, অন্যদেরকে শক্তি, আশাবাদের সাথে অভিযুক্ত করে এবং ঈশ্বরের করুণা এবং ক্ষমাতে আশা হারায় না।
আমার এক বন্ধুর সাথে ঝগড়া হয়েছিল। তিনি সকালের নামাযের পর সুহুর গ্রহণ করেন এবং বলেন যে এটি জায়েজ। আমি তাকে প্রমাণ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু আমি তার কাছ থেকে বোধগম্য কিছু শুনিনি। বুঝিয়ে বলুন, যদি কিছু মনে না করেন, সকালের নামাযের ওয়াক্তের পর খাওয়া যাবে কি? এবং যদি তাই হয়, কোন মেয়াদ পর্যন্ত? মুহাম্মদ সা.
মুসলিম ধর্মতত্ত্বে এমন কোন মতামত নেই এবং কখনও ছিল না। যদি একজন ব্যক্তি রোজা রাখার ইচ্ছা করে, তবে খাওয়ার সময়সীমা হল ফজরের সকালের নামাযের আযান।
আমি একটি পবিত্র উপবাস ধারণ করছি। যখন চতুর্থ নামাজের সময় হয়, আমি প্রথমে পানি পান করি, খাই, তারপর নামাজে যাই... আমি খুব লজ্জিত যে আমি প্রথমে নামাজ পড়ি না, কিন্তু ক্ষুধা লেগে যায়। আমি কি বড় পাপ করছি? লুইস।
নামাযের সময় শেষ না হলে কোন গুনাহ নেই। আর তা বের হয় পঞ্চম নামায শুরু হওয়ার সাথে সাথে।
সকালের নামাযের আযানের পর ১০ মিনিটের মধ্যে খেয়ে নিলে কি রোজা বৈধ? ম্যাগোমেড।
রমজান মাসের পর একদিন রোজা রেখে এর কাযা আদায় করতে হবে।
আমাদের প্রার্থনা রোজা ভাঙার আগে পড়া হয়, যদিও আপনার ওয়েবসাইটে লেখা আছে যে এটি ইফতারের পরে পড়া হয়। আমার কি করা উচিৎ? ফারঙ্গিস।
যদি আপনি নামাজ-নামাজ বলতে চান, তবে আপনার প্রথমে যা করতে হবে তা হল পানি পান করুন, তারপর নামাজ পড়ুন এবং তারপর খেতে বসুন। আপনি যদি একটি প্রার্থনা-দু'আ সম্পর্কে কথা বলেন, তবে এটি যে কোনও সময় এবং যে কোনও ভাষায় পড়া যেতে পারে।
সকালের নামাযের আযানের আগে (ইমসাক) আগে থেকে খাবার খাওয়া বন্ধ করার প্রামাণিক প্রয়োজনীয়তার অনুপস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, যা আজ কিছু জায়গায় অনুশীলন করা হয়, দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-কারাদাউই ওয়াই ফাতাওয়া মুআসাইরা। 2 খণ্ডে টি. 1. পৃ. 312, 313।
আনাস, আবু হুরায়রা ও অন্যান্যদের থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমাদ, আল-বুখারী, মুসলিম, আন-নাসায়ী, আত-তিরমিযী ইত্যাদি দেখুন: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগীর। পৃ. 197, হাদীস নং 3291, “সহীহ”; আল-কারাদাউই ওয়াই। আল-মুনতাকা মিন কিতাব “আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব” লিল-মুনজিরি। টি. 1. পৃ. 312, হাদিস নং 557; আল-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ। 8 খণ্ডে। T. 2. P. 631।
মোদ্দা কথা হল, সুন্নাহ অনুসারে, একজন ব্যক্তি, উদাহরণস্বরূপ, সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার সময়, প্রথমে পানি পান করে এবং কয়েকটি খেজুর খেতে পারে। অতঃপর তিনি সন্ধ্যার নামাজ আদায় করেন এবং পরে আহার করেন। এক দিনের উপবাসের পরে প্রথম জল পানীয় ধুয়ে ফেলুন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট. যাইহোক, খালি পেটে মধু মিশ্রিত গরম জল পান করা খুব উপকারী। হাদিস সুপারিশ করে যে খাবার (সন্ধ্যার নামাজের পরে খাওয়া) বিশেষভাবে পানিতে পাতলা না করা। একই সাথে পান করা এবং খাবার খাওয়ার ফলে হজমে অসুবিধা হয় (ঘনত্ব কমে যায়)। পাচকরস) বদহজম, এবং কখনও কখনও অম্বল। উপবাসের সময়কালে, এটি অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে সন্ধ্যার খাবার হজম হওয়ার সময় নেই, এবং এর পরে ব্যক্তি হয় ভোরে খায় না, যেহেতু সে ক্ষুধার্ত হয় না, বা খায়, কিন্তু এটি পরিণত হয় "খাবারের জন্য খাদ্য", যা অন্যভাবে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে এবং প্রত্যাশিত সুবিধা নিয়ে আসে না।
আনাস থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আল-বাররাজা। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগির। পৃ. 206, হাদীস নং 3429, "হাসান"।
আবু যার থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমদ। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগির। পৃ. 579, হাদীস নং 9771, "সহীহ"।
আনাস থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আবু দাউদ, তিরমিযী। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগির। পৃ. 437, হাদীস নং 7120, "হাসান"; আল-কারাদাউই ওয়াই। আল-মুনতাকা মিন কিতাব “আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব” লিল-মুনজিরি। টি. 1. পৃ. 314, হাদিস নং 565, 566; আল-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ। 8টি খণ্ডে। T. 2. P. 632।
দেখুন, যেমন: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিলাতুহ। 8টি খণ্ডে। T. 2. P. 632।
আমি হাদিসটির সম্পূর্ণ পাঠ্য দেব: “তিন শ্রেণীর লোক রয়েছে যাদের প্রার্থনা আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করবেন না: (1) যে রোজা রাখে যখন সে তার রোজা ভাঙ্গে, (2) ন্যায়পরায়ণ ইমাম (নামাজে নেতা) , আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক; নেতা, রাষ্ট্রনায়ক) এবং (3) নির্যাতিত [অযাচিতভাবে বিক্ষুব্ধ, অপমানিত]।" আবু হুরায়রা থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমদ, আত-তিমিযী ও ইবনে মাজাহ। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-কারাদাউই ওয়াই. আল-মুনতাকা মিন কিতাব “আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব” লিল-মুনজিরি: 2 খণ্ডে। কায়রো: আত-তাওজি' ভ্যান-নাশর আল-ইসলামিয়া, 2001। খণ্ড 1। পৃষ্ঠা 296, হাদীস নং 513; আস-সুয়ুতি জে. আল-জামি ‘আস-সাগির [ছোট সংগ্রহ]। বৈরুত: আল-কুতুব আল-ইলমিয়া, 1990. পৃ. 213, হাদীস নং 3520, "হাসান।"
রেটিং 4.6 ভোট: 71পরম করুণাময় ও করুণাময় আল্লাহর নামে... সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য... সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল মুহাম্মদের উপর...
وَيُحِقُّ اللّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, যদিও তা পাপীদের কাছে ঘৃণাজনক হয়” (ইউনুস, 10/82)।
প্রিয় ও সম্মানিত পৌরবাসী!
এই খুতবায় আমি মহান আল্লাহর তিনটি অপরিবর্তনীয় নিয়ম সম্পর্কে কথা বলতে চাই। আমরা কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে এই নিয়মগুলি বোঝানোর চেষ্টা করব:
সর্বশক্তিমানের প্রথম নিয়ম:
إِنَّ اللّهَ لاَ يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ
“আল্লাহ পাপাচারকারীদের কাজ সংশোধন করেন না” (ইউনুস, 10/81)।
দ্বিতীয় নিয়ম:
إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنْفُسِهِمْ
"নিশ্চয়ই, আল্লাহ মানুষের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে" (রাদ, 13/11)।
তৃতীয় নিয়ম:
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
“যদি গ্রামের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হয়, তবে আমি তাদের প্রতি আসমান ও জমিন থেকে অনুগ্রহ প্রকাশ করব। কিন্তু তারা এটাকে মিথ্যা মনে করত এবং তারা যা অর্জন করত তার জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম” (আরাফ, ৭/৯৬)।
প্রিয় প্যারিশিয়ানরা!
এখানে সর্বশক্তিমানের তিনটি নিয়ম রয়েছে... এই নিয়মগুলি কখনই পরিবর্তন হবে না।
মুসলমানদের উচিৎ সেগুলো খুব মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করা এবং তাদের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। সুতরাং, আসুন দেখি আমাদের চরিত্র যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কী প্রয়োজন:
সমাধান শারীরিক শরীর এবং আধ্যাত্মিক উপলব্ধি উভয়ের মধ্যেই রয়েছে, এই দুটি প্যারামিটারকে অবশ্যই ইসলামের নীতির আলোকে শিক্ষিত ও গড়ে তুলতে হবে।
প্রথমত, একজন ব্যক্তির অবশ্যই সুন্দর আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তু থাকতে হবে। আপনি যখন সর্বশক্তিমান আল্লাহর আদেশ, অর্থাৎ কোরানকে অনুসরণ করেন এবং এর আইন মেনে চলেন তখনও এটি অর্জন করা যেতে পারে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
"বিবাদ হবে, কলহ হবে..." - আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করলেন:
"হে আল্লাহর রাসুল, মানুষ কিভাবে এই বিবাদ থেকে মুক্তি পাবে?"
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তর দিলেনঃ
"সর্বশক্তিমানের বই-কুরআনকে আঁকড়ে ধরো..."
প্রিয় প্যারিশিয়ানরা!
এখন দেখা যাক আজকের মুসলমানদের, বিশেষ করে তরুণদের দিকে।
12-15 বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে শুরু করা যাক, যাদের মাথায় এখনও বাতাস আছে। আসুন চিন্তা করি সিগারেট, ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসে, যার আকার ছোট দেশগুলির বাজেটের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
তথাকথিত মুসলমানরা যাদের ঈমান সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কিতাব ধুলোবালিতে ফেলে রেখেছে এবং একই মুসলিমরা তাদের বইয়ের তাক আমেরিকান বার দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেছে। আর এখন কুরআন পাঠ ও শিক্ষার ভার থাকে একটি নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের বিবেকের ওপর।
এখন, এই যুবকরা যারা ধূমপান করে এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে, যার ক্ষতি তাদের চুলের আগা থেকে তাদের একেবারে গোড়ালি পর্যন্ত বিস্তৃত, তারা এই একই বিষ এবং ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
কেউ এই যুবকদের সাথে কাজ করে না, এমনকি রাস্তায় পড়ে থাকা আবর্জনাও নয় এবং এটি আরও মনোযোগ দেয়।
"আমি এই অভ্যাসগুলিতে আসক্ত হয়ে গেছি, আমি চাইলেও ছাড়তে পারি না" - এই জাতীয় কথাগুলি মিথ্যা অজুহাত ছাড়া আর কী হতে পারে?
পূর্ণাঙ্গ অর্থে বিচার দিবস ঘনিয়ে এসেছে। কবে ঘটবে তা সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
মুসলমানদের!আসুন আমরা মহান আল্লাহর সাথে শান্তিতে থাকি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের আত্মাকে শিক্ষিত করি, তাহলে সমগ্র বিশ্ব তাদের কাছে মাথা নত করবে। আপনি কি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীদেরকে জানেন, কিভাবে তারা তাদের ঈমানের দৃষ্টান্ত দিয়ে সমগ্র বিশ্বকে নতজানু করে দিয়েছিলেন...
এবার একটু পিছনে যাওয়া যাক, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় সম্পর্কে বলা লাইনগুলো একবার দেখুন, তারপর কী হয়েছিল:
একদিন ইয়েমেনের এক ব্যক্তি যার চোখ রক্তাক্ত, তলোয়ার হাতে সজ্জিত হয়ে সোজা মদিনায় চলে গেল। উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একজন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিজ্ঞ সাহাবী ছিলেন এবং তিনি যখন তাকে দেখেছিলেন, তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই লোকটির উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। ইয়েমেন থেকে বেরিয়ে আসা এই ব্যক্তির নাম সুমামা। উমর (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
“তোমরা পৌত্তলিক যে এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। আপনি মদিনায় কেন এসেছেন, বলুন তো?
জবাবে সুমামা বললেন,
"ওহ, উমর, আমার কিছু লাগবে না, আমি শুধু মুহাম্মদকে হত্যা করতে এসেছি।" উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এই কথাগুলো শোনার সাথে সাথে তাকে কলার দিয়ে চেপে ধরলেন, একটি তলোয়ার বের করে মসজিদের একটি দেয়ালের সাথে বেঁধে দিলেন। আমি গোপনে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গেলাম এবং যা আছে সব খুলে বললাম। নবী বলতে পারেন: "এখন যাও এবং তার মাথা কেটে দাও।" কিন্তু তা ঘটেনি, কিছুক্ষণ পর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদের দেয়ালের সাথে শক্তভাবে বাঁধা এক ব্যক্তির কাছে গেলেন। উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এবং অন্যান্য সাহাবীরা সেই মুহুর্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করবেন:
"তাকে মেরে ফেল".
সর্বশক্তিমানের রসূল তার দিকে মনোযোগ সহকারে তাকালেন, তাকে অধ্যয়ন করলেন, তারপর চিন্তিত সঙ্গীদের দিকে তাকালেন এবং বললেন:
"আপনি কি এই ব্যক্তির জন্য খাবার এবং পানীয় প্রস্তুত করেছেন?"
উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কিছু বলতে পারলেন না। খাদ্য? “এই লোকটা তোমাকে মারতে এসেছে, তোমাকে দেখতে নয়। যে ব্যক্তি আপনাকে হত্যা করতে এসেছে সে কীভাবে খাবারের যোগ্য হতে পারে? সে এটা বলতে পারেনি। আল্লাহর রসূল যে কথাটি শুরু করেছিলেন তা শেষ করলেন:
"আমার বাসায় গিয়ে একটু দুধ নিয়ে আয়।"
তারা সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে কিছু তাজা দুধ নিয়ে এল। এর পর তিনি আদেশ করলেন:
"দড়ি খুলে দাও, সে নিজেকে মুক্ত করুক!"
হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধ আনতে এবং দড়ি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন যাতে তিনি শান্তিতে পান করতে পারেন।
এই লোকটি তার কাছে আনা দুধ পান করল। এর পরে, আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সম্বোধন করে বললেন:
"বলুন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)"
"না, আমি কথা বলব না," তিনি জবাবে বললেন।
সর্বশক্তিমান রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম):
“আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসুলুল্লাহ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রসূল),” তিনি আবার তাকে ডাকলেন।
তিনি আবার অস্বীকার করলেন।
এত কিছুর পরও আল্লাহর রসূল তার মুক্তির নির্দেশ দেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সোজা বাড়িতে চলে যান। উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাগে ফেটে পড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
ওই ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেনঃ
“হে আল্লাহর রাসূল! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আপনি তাঁর প্রেরিত রাসূল।”
মহান আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম):
"ঠিক আছে, আমি যখন তোমাকে বলেছিলাম তখন কেন তুমি এই কথাগুলো বলনি?"
“কারণ সেই মুহুর্তে আমি আপনার বাহুতে ছিলাম। আমি যদি সাক্ষ্য দিই, "দেখুন, তিনি ভয় পেয়েছিলেন বলে মুসলমান হয়েছিলেন," তারা বলবে। কিন্তু আপনি আমাকে ছেড়ে দেওয়ার পর, শুধুমাত্র বিশ্বজগতের প্রভুর রহমত অর্জনের জন্য, আমি মুসলমান হয়েছি,” তিনি উত্তর দিলেন।
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
তখন এই লোকটি বললো:
“যখন আমি ইয়েমেন ছেড়ে মদিনায় গিয়েছিলাম, তখন আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তি ছিলেন মুহাম্মদ। কিন্তু আমি যখন জানতে পেরেছিলাম এবং এক মুহূর্তের মধ্যে তাকে ছেড়ে চলে যাই, সে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠে।
এভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মানুষ শাসিত হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাগের কোনো স্থান থাকা উচিত নয়।
ইসলাম তার ধর্মকে চাপিয়ে দেবে না, তবে মানুষকে ঈমান গ্রহণে বাধা দেওয়ার জন্য যে বাধা সৃষ্টি করা হয়, তারা যেখানেই থাকুক না কেন এবং তাদের যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন, তার সাথে একমত হবে না। এবং তিনি এটি ঘটতে দেবেন না।
তিনি তাদের বাধা দেওয়ার সুযোগ দেবেন না যারা বলে: "আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।"
আসুন এখন ইয়েমেন রাজ্য ছেড়ে সবাই একসাথে বাইজেন্টিয়ামে যাই এবং সেখানে কী ঘটছে তা দেখি:
উমর বিন খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর শাসনামলে সম্রাট হেরাক্লিয়াস একেশ্বরবাদের প্রসারে বাধা দিয়েছিলেন এবং এটিই তার বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণের কারণ ছিল। যুদ্ধের সময়, বাইজেন্টাইন সম্রাট মহান আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে বন্দী করেন।
তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে খুজাফা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর মতো একজন বিখ্যাত সাহাবীও ছিলেন। এই অত্যাচারী শাসক তাদেরকে অবিশ্বাসে বাধ্য করেছিল। দেখা যাক সম্রাট ও সম্মানিত সহযোগীর মধ্যে কী ধরনের সংলাপ হয়েছে। চলুন দেখি এবং সেই সময়ের মুসলমানদের স্তর তুলনা করি।
ইরাকলির প্রস্তাব:
"ওহ, আবদুল্লাহ, তোমার ধর্ম ত্যাগ করো, তাহলে আমি তোমাকে আমার সম্পত্তির অর্ধেক দেব।"
বন্ধুদের অফার দেখুন! আমি ভাবছি আবদুল্লাহ তাকে কি উত্তর দিলেন? আপনি জানেন যে, মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা একটি সিগারেটের জন্য নিজেকে মিথ্যা প্রমাণ করতে প্রস্তুত। এক বোতল বিয়ারের জন্য তারা অন্যের অধিকার কোরবানি করবে, এ জন্য তারা কত কাগজপত্র ও চেকে স্বাক্ষর করবে! বিবেক হারিয়ে মানুষ...
তাহলে মহান সাহাবী হেরাক্লিয়াসকে কি উত্তর দিলেন?
“ওহ, ইরাকলি! আপনি যদি আমাকে পুরো পৃথিবী দিয়ে দেন তবুও আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ধর্ম ত্যাগ করব না!
তাই বলা হলো, সমগ্র পৃথিবী এক ব্যক্তির হয়ে গেলেও তার কোনো উপকার হবে না। কারণ মানুষ এবং এই জগৎ উভয়ই ধ্বংসশীল। দুজনেই কোথাও যাবে না।
হেরাক্লিয়াস তারপর হুমকি দিয়ে শুরু করলেন:
"তাহলে আমি তোমাকে অসহনীয় নির্যাতন করব!"
"যা ইচ্ছে কর. কারণ তুমি শুধু নশ্বর দেহের উপর অত্যাচার করবে। আর আল্লাহ ছাড়া কেউ আমার আত্মার মালিক হতে পারে না।"
এর পর হেরাক্লিয়াস তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার উপর অগ্নিগর্ভ তীর বর্ষণ করার নির্দেশ দেন। যখন তীর তাকে বিদ্ধ করল, তখন সে বলল “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই)। হেরাক্লিয়াস এতে কোন লাভ হচ্ছে না দেখে আদেশ দিলেন: "তার কাপড় খুলে ফেল।" তারা একটি বড় কড়াইতে জল ফুটিয়েছিল, এবং ইরাকলি তাকে আবার জিজ্ঞাসা করেছিল:
"হয় তুমি তোমার ধর্ম থেকে দূরে সরে যাও, নতুবা আমরা তোমাকে এই কলসিতে নিক্ষেপ করব!"
আবদুল্লাহ বিন খুজাফা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ধীরে ধীরে নির্দেশিত কড়াইটির দিকে ধীরে ধীরে হাঁটলেন। এ সময় তিনি কাঁদছিলেন। ইরাকলি তাকে জিজ্ঞেস করল:
"ওহ আবদুল্লাহ, তুমি কাঁদছ কেন?"
আবদুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর উত্তরটি দেখুন:
“আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি আমি ভয়ে কাঁদছি না! যাই হোক, আমি আমার সর্বশক্তিমানের কাছে যাব। আমি কাঁদি কারণ আমার একটাই শরীর আছে। আমি চাই তাদের মধ্যে একশত লোক থাকবে এবং তারা সকলেই আল্লাহর পথে পরীক্ষা পাবে!..."
ইরাকলি খুব অবাক হয়ে সাথে সাথে আদেশ দিলেন:
"ওকে ফিরিয়ে দাও!"
তারা আমাকে ফিরিয়ে এনেছে, আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। এবার তাকে মগজ ধোলাই করতে চাইল। তার মেজাজ নষ্ট করুন এবং তাকে একজন গায়কের সাথে সেট আপ করুন।
তারা অবিলম্বে গায়ককে নিয়ে আসে এবং তাকে এবং তার সহযোগীকে একই ঘরে তালাবদ্ধ করে। মহিলাটি তার সাথে ফ্লার্ট করতে শুরু করে... কিন্তু সবই বৃথা। এই মহান ব্যক্তির এমনকি উদ্দেশ্য ছিল না যে তিনি তাকে আকৃষ্ট করতে পারেন। অনেক সময় কেটে গেছে:
"এই মহিলাকে ডাকুন, আসুন তাকে জিজ্ঞাসা করি সেখানে কি ছিল?" - ইরাকলি বলল এবং এই মহিলাকে ডাকল। যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কি হয়েছে, তিনি উত্তর দিলেন:
“স্যার, আমি বুঝতে পারছি না আপনি আমাকে কার কাছে পাঠিয়েছেন, একজনের কাছে নাকি গতিহীন পাথরের কাছে? আমি যখন তার কাছে গেলাম এবং কোনভাবে তাকে আকৃষ্ট করতে চাইলাম, তখন তিনি বলতে থাকলেন: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)।
একেশ্বরবাদের শব্দ... একেশ্বরবাদের মহান শব্দ, যা নিয়ে আমরা বেঁচে থাকি, মৃত্যুবরণ করি এবং সর্বশক্তিমানের সামনে হাজির হই।
ইরাকলি আবার অবাক হলো... এবার সে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“ওকে ঘরে একা লক করে দাও। এবং খাবার হিসাবে কেবল শুকরের মাংস এবং ওয়াইন থাকুক, দেখা যাক সে কী করে?" - সে বলেছিল.
তাকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। শুয়োরের মাংস এবং ওয়াইন এর পাশে রাখা হয়েছিল। এবং তারা তাকে একা ছেড়ে দিল।
তিন দিন কেটে যাওয়ার পর ওরা ঘরে ঢুকল। এবং তারা দেখতে পেল যে খাবার ও পানীয় দুটোই এখনও আছে, অস্পৃশ্য। আবদুল্লাহ ইবনে খুজাফা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নামাজ পড়েন এবং যিকির (আল্লাহর স্মরণ) করেন। তারা খুবই বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল:
“তিন দিন ক্ষুধার্ত ছিলাম, কেন কিছু খাইনি বা পান করিনি। কিসে তোমাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখল?"
আব্দুল্লাহ বিন হুজাফা (রাদিয়াল্লাহু আনহু):
"আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আমার শত্রুদের খুশি করতে চাইনি, আমি তাদের কাছে নতি স্বীকার করতে চাইনি..." তিনি উত্তর দিলেন।
কি একটি অস্বাভাবিক উত্তর, তাই না?
সে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মরছে, কিন্তু এটা তাকে ধর্ম নিয়ে হাসাহাসি করতে দেবে না।
ইরাকলি, ইতিমধ্যে আশা হারিয়ে ফেলেছে, বলল:
"আমার মাথায় চুমু দাও এবং আমি তোমাকে মুক্ত করব!"
আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু):
"তুমি আমার বন্ধুদের মুক্ত করলে আমি তোমার মাথায় চুমু দেব!" - সে বলেছিল.
হেরাক্লিয়াস যখন তার প্রস্তাব গ্রহণ করলেন, তখন তিনি তার মাথায় চুম্বন করতে গেলেন এবং সেই মুহুর্তে তিনি দুআ করলেন:
“হে আল্লাহ! আপনি জানেন এটি একটি নোংরা মুশরিক। এখন আমি তার মাথায় চুম্বন করি না, তবে তার উপর থুতু দিই। বিচার দিবসে আপনি যদি আমাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, আমি উত্তর দেব:
"আমি এটা করেছি শুধুমাত্র আমার বন্ধুদের মুক্ত করার জন্য, হে আল্লাহ!"
সুতরাং, তিনি এবং তার বন্ধুরা বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
তারা দীপ্তিময় মদিনায় গেল এবং যখন তারা উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে তাদের সাথে কী ঘটেছে তা বলল, তিনি বললেন:
“ওহ আবদুল্লাহ! সবার মাথায় চুমু দেওয়া উচিত। আপনি এটা প্রাপ্য"
প্রথমে তিনি নিজেই তাকে চুমু খেতে লাগলেন। তারপর উপস্থিত সবাই একে একে উঠে এসে তার মাথায় চুমু খেতে লাগলো। এটা তার সাথে ঘটেছে কারণ সে তার বিশ্বাসে দৃঢ় ও শক্তিশালী ছিল। তারা এই মত ছিল.
আমাদের মহান প্রভু, সর্বশ্রেষ্ঠ, আমাদের সকলকে তাদের পথে পরিচালিত করুন। মাহশারে এবং জান্নাতে তিনি তাদের সাথে থাকার সুযোগ দেবেন। আমীন…
তাতারস্তানের মুফতি কামিল হযরত সামিগুলিন রহ
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
سَوَاء مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلاَ مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
“আপনি আপনার বক্তৃতা গোপন করুন বা উচ্চস্বরে উচ্চারণ করুন, আপনি রাতে লুকিয়ে থাকুন বা দিনের বেলা প্রকাশ্যে চলাফেরা করুন, আল্লাহর কাছে সবাই সমান। তার (মানুষের) ফেরেশতা রয়েছে যারা তার সামনে এবং পিছনে অনুসরণ করে এবং আল্লাহর নির্দেশে তাকে রক্ষা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে। আল্লাহ যদি মানুষের অমঙ্গল চান, তবে কিছুই তা বাধা দিতে পারে না। তিনি ছাড়া তাদের কোন শাসক নেই।" (সূরা রাদ, আয়াত 10-11)
এই আয়াতগুলি আমাদের বলে যে মানুষ ক্রমাগত ঐশ্বরিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমরা যা কিছু প্রকাশ্যে বলি বা আমাদের আত্মার মধ্যে লুকিয়ে থাকি, দিনের আলোতে যা করি বা মোড়ানো রাতের অন্ধকার, তত্ত্বাবধান এবং নিবন্ধিত হয়. অর্থাৎ আল্লাহর জ্ঞানের বাইরে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আমাদের অবশ্যই এটি বিশ্বাস করতে হবে এবং এই বিশ্বাসকে নিজেদের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। যাইহোক, এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এবং আমাদের দরকারী দিতে ইতিবাচক ফলাফল, আমাদের এক মুহুর্তের জন্যও ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি কাজ এমনকি আমাদের সমস্ত উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। ব্যক্তিগত ও জনজীবনে আমাদের ভুলগুলোকে অবিলম্বে চিনতে এবং দ্রুত ইতিবাচক দিকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা নির্ভর করে এই প্রক্রিয়াটির উপস্থিতি সম্পর্কে আমাদের চেতনায় আমাদের স্থির অনুভূতির উপর।
উপরের আয়াতগুলো আমাদের প্রভুর চিরন্তন আইনের কথাও মনে করিয়ে দেয়: “যতক্ষণ না কোনো মানুষ নিজেদের পরিবর্তন না করে, আল্লাহ তাদের অবস্থা পরিবর্তন করবেন না।” এই ঐশ্বরিক আইন, সর্বপ্রথম, আমাদের নিজেদের কর্মের উপর আল্লাহর পুরস্কার বা শাস্তির সরাসরি নির্ভরতা বোঝায়। এবং এটি আমাদের উপর একটি মহান দায়িত্ব অর্পণ করে: আমাদের প্রায়শই নিজেদের নিরীক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং ক্রিয়াকলাপে কিছু সমন্বয় করতে হবে। কিন্তু আমরা যদি এই দায়িত্ব ভুলে গিয়ে একই অবস্থায় থাকতে থাকি, তাহলে এর অর্থ হল আমরা এর পরিণতির সাথে একমত।
এই নির্ভরতা যে আমরা কথা বলছি বিপরীত অর্থে বোঝা যায়। অর্থাৎ, যতক্ষণ না একজন ব্যক্তি তার ভাল নৈতিক গুণাবলী এবং আত্মার বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যগুলি হারায়, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে পরিবর্তন ছাড়াই উপকারের সাথে পুরস্কৃত করতে থাকবেন (দেখুন আনফাল, 8:53)।
পরিবর্তন ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ভাবেই ঘটতে পারে। নেতিবাচক দিক. আমরা যে দিকেই পরিবর্তন করি না কেন, আমাদের প্রতি আল্লাহর ইচ্ছা সেই দিকেই প্রকাশ পাবে। অতএব, আমাদের ইতিবাচক গুণাবলী বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং শুধুমাত্র উন্নতির জন্য পরিবর্তন করতে হবে।
আয়াতে উল্লিখিত পরিবর্তনগুলি কেবল আমাদের আখিরাতের ভবিষ্যত শান্ত জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। তারা সব দিক থেকে জীবন উন্নত করার জন্য আমাদের সমস্ত কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত. আমরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তি থেকে সংস্কৃতি এবং শিল্প পর্যন্ত জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি। ইসলামী সমাজ অন্যান্য বিশ্ব সংস্কৃতির চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণ হল আমাদের উম্মাহ এখনও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের চারপাশে সংঘটিত পরিবর্তনের দর্শক মাত্র। যদিও আমাদের যে পবিত্র মূল্যবোধ রয়েছে তা অগ্রগতির পথে বাধা নয়। বরং ইসলাম আমাদের নিজেদের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সতর্ক করে। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের নবী (সাঃ) অবসর সময়কে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হিসাবে বলেছিলেন, যার মূল্য মানুষ বুঝতে পারে না। (বুখারি, “দাসত্ব থেকে মুক্তির বই”, 1)। তিনি আরও সতর্ক করেছিলেন যে আমাদের অবশ্যই প্রতিদিন পরিবর্তন এবং বিকাশ করতে হবে: “যার পরস্পরের মতো দুটি দিন থাকবে তার ক্ষতি হবে” (খতিব বাগদাদী “ইকতিদাই-ইলমি-আমেলে”, 122)।
ইসলাম-আজ
আপনি এটি সম্পর্কে কি মনে করেন? আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন.
লুকানো দুষ্কর্মগুলি, তদুপরি, ব্যাপকভাবে, সেই ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত যখন আল্লাহর একজন বান্দা সেই কল্যাণে থাকে যা আল্লাহ তাকে দিয়েছেন এবং যা তিনি তার জন্য বেছে নিয়েছেন, কিন্তু বান্দা এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং সে এই ভাল থেকে কোন দিকে যেতে চায়। , অজ্ঞতা থেকে, তিনি নিজের জন্য সেরা বিশ্বাস করেন. এবং তার রব, তার রহমতে, তাকে এই ভাল থেকে বের করে নেন না, তার অজ্ঞতা এবং খারাপ পছন্দের প্রতি অবজ্ঞা করে। আর যখন এই কল্যাণ তাকে বিব্রত করতে শুরু করে এবং তার অসন্তুষ্টির কারণ হয় এবং সে এতে বকাবকি শুরু করে এবং এতে খুব বিরক্ত হয়, তখন আল্লাহ তাকে এই কল্যাণ থেকে বঞ্চিত করেন। এবং তারপরে, সে যা করার জন্য চেষ্টা করছিল তার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরে, সে তার আগের অবস্থান এবং বর্তমানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে এবং সে যা হারিয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও অনুশোচনা করতে শুরু করে এবং সে যা হারিয়েছে তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে। আর আল্লাহ যদি তাঁর বান্দার মঙ্গল ও বিচক্ষণতা চান তবে তিনি তাকে যে আশীর্বাদ ও করুণা দেন তা দেখতে, তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হতে এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করেন। এবং যদি তার আত্মা তাকে এই ভাল থেকে অন্য কিছুতে যাওয়ার জন্য ধাক্কা দিতে শুরু করে, তবে সে তার প্রভুর কাছে পরামর্শের জন্য ফিরে যায়, তার জন্য ভাল কী তা না জেনে এবং সেরাটি বেছে নিতে তার অক্ষমতা উপলব্ধি করে। সে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে, তাকে তার জন্য সেরাটি বেছে নিতে বলে।
আল্লাহর একজন বান্দার জন্য এর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু নেই যে আল্লাহ তাকে যে নেয়ামত দিয়েছেন তার প্রশংসা করা বন্ধ করে দেওয়া এবং সেগুলির জন্য তাকে ধন্যবাদ না দেওয়া এবং সেগুলিতে আনন্দ না করা, বরং অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা, তাদের সম্পর্কে অভিযোগ করা এবং এই নেয়ামতগুলি বিবেচনা করা। একটি দুর্ভাগ্য, যদিও বাস্তবে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে দেখানো সবচেয়ে বড় অনুগ্রহের একটি।
বেশীরভাগ মানুষই আল্লাহ তাদেরকে যে অনুগ্রহ দান করেন তার শত্রু এবং তারা অনুভব করে না যে কিভাবে আল্লাহ তাদের এই অনুগ্রহ দান করেন।
তারা উদ্যোগীভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের দূরে ঠেলে দেয়, অজ্ঞতাপূর্ণ এবং অন্যায়ভাবে কাজ করে। একজন ব্যক্তির কত সুবিধা আসে, কিন্তু সে একগুঁয়েভাবে তাদের নিজের থেকে দূরে ঠেলে দেয়! এবং তাদের মধ্যে কতজন তার কাছে এসেছিল, যখন তিনি তাদের পরিত্রাণের জন্য উদ্যোগী ছিলেন এবং তার অজ্ঞতা ও অবিচারের কারণে তাদের অন্তর্ধানের জন্য প্রচেষ্টা করেছিলেন।
মহান আল্লাহ বলেন: "এটি ঘটেছে কারণ আল্লাহ মানুষের প্রতি যে করুণা দেখিয়েছেন তা বাতিল করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে যা আছে তা পরিবর্তন করে।" (সুরা 8 "লুণ্ঠিত", আয়াত 53)।
এবং মহান আল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।" (সূরা 13 "থান্ডার", আয়াত 11)।
আল্লাহর বান্দার আত্মার চেয়ে রহমতের কোন খারাপ শত্রু নেই।
একজন মানুষ তার শত্রুকে নিজের বিরুদ্ধে সাহায্য করে, এবং তার শত্রু মানুষের প্রতি প্রদত্ত করুণার মধ্যে আগুন জ্বালায়। এবং তিনি এই আগুন ভক্ত. তিনি নিজেই তাকে এই আগুন শুরু করার অনুমতি দেন এবং নিজেই এটি ভক্ত করেন। এবং যখন আগুনের শিখা জ্বলে ওঠে, তখন সে আগুনের কারণে সাহায্যের জন্য ডাকতে শুরু করে এবং পূর্বনির্ধারণকে দোষারোপ করতে শুরু করে:
অক্ষম মতামতের মালিক তার সুযোগ মিস করেন,
সূরা রাদ [অর্থের ব্যাখ্যা]-এ আল্লাহর বাণীর অর্থ কী, বরকতময় তিনি এবং পরম মহান: "নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে" [রাদ 13:11] ?
সকল প্রশংসার মালিক আল্লাহ
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা নির্দেশ করে যে আল্লাহ, পরম বরকতময় তিনি এবং সর্বোত্তম, তাঁর নিখুঁত ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞার সাথে মানুষের অবস্থা ভাল থেকে খারাপ, বা খারাপ থেকে ভাল, সহজ থেকে কঠিন বা কঠিন থেকে পরিবর্তন করেন না। ফুসফুসে যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
অর্থাৎ, যদি তারা ধার্মিকতা ও ধার্মিকতার অবস্থায় থাকে এবং তারপর [বিপরীত, খারাপ দিকে] পরিবর্তন করে, তবে আল্লাহ তা শাস্তি, দুর্যোগ, অসুবিধা (কষ্ট), খরা, দুর্ভিক্ষ, অনৈক্য এবং অন্যান্য ধরণের শাস্তি দিয়ে প্রতিস্থাপন করবেন। , প্রয়োজনীয় হিসাবে.
আল্লাহ বলেন [অর্থের ব্যাখ্যা]: "তোমার পালনকর্তা তার বান্দাদের সাথে অন্যায় করেন না" [ফুসসিলাত 41:46]।
এবং তিনি তাদের (তাঁর বান্দাদের) একটি অবকাশ দিতে পারেন যাতে তারা সরল পথ অবলম্বন করতে পারে, কিন্তু যদি তারা এটি কামনা না করে, তবে তারা হঠাৎ ধরা পড়বে, যেমন তিনি বলেন [অর্থের ব্যাখ্যা]:
যখন তারা ভুলে গেল যা তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি তাদের সামনে সব কিছুর দরজা খুলে দিলাম। তাদেরকে যা দেয়া হয়েছিল তাতে তারা যখন আনন্দ করছিল, তখন আমি তাদের আকস্মিক পাকড়াও করলাম এবং তারা হতাশ হয়ে পড়ল। [আনম, 6:44]।, যার অর্থ সমস্ত ভাল জিনিসে হতাশা - এবং আমরা আল্লাহর শাস্তি ও ক্রোধ থেকে আশ্রয় চাই।
অথবা তাদের বিচারের দিন পর্যন্ত অবকাশ দেওয়া হতে পারে, যখন তাদের শাস্তি আরও কঠোর হবে, যেমন আল্লাহ বলেন [অর্থের ব্যাখ্যা]: “যালেমরা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহকে অজ্ঞ মনে করো না। তিনি কেবল তাদের অবকাশ দেন সেই দিন পর্যন্ত যেদিন তাদের চোখ সরে যায়।” [ইব্রাহিম 14:42], যার অর্থ তাদের মৃত্যুর পর তাদের অবকাশ দেওয়া হয় এবং তারা যে শাস্তি ভোগ করবে তা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং সবচেয়ে কঠিন।
অথবা তারা পাপ ও মন্দ অবস্থার মধ্যে থাকতে পারে, তারপর তারা অনুতপ্ত হবে এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসবে, তাদের পাপের জন্য অনুশোচনা করবে এবং তাঁর আনুগত্যের প্রতি আনুগত্য করবে এবং আল্লাহ তাদের (এখনও পর্যন্ত) দুঃখজনক পরিস্থিতি পরিবর্তন করবেন, বঞ্চনা ও দারিদ্রকে স্বাচ্ছন্দ্যে, ঐক্যে পরিবর্তন করবেন। এবং ধার্মিকতা তাদের ধার্মিক কাজের কারণে এবং তাঁর সামনে তাদের অনুতাপের কারণে, তিনি মহিমান্বিত ও মহিমান্বিত হন।
অন্য আয়াতে, আল্লাহ বলেন [অর্থের ব্যাখ্যা]: "এটি ঘটেছে কারণ আল্লাহ মানুষের প্রতি যে করুণা দেখিয়েছেন তা প্রত্যাহার করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরা তাদের আত্মার মধ্যে যা আছে তা পরিবর্তন করে" [আনফাল 8:53]।
এই আয়াতটি আমাদের বলে যে তারা (মানুষ) যদি স্বাচ্ছন্দ্য (অযত্নে), শান্ত এবং পুণ্যের অবস্থায় থাকে এবং তারপর পরিবর্তন করে এবং গুনাহের দিকে ফিরে যায়, তবে তাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে - আল্লাহ ব্যতীত কারো মধ্যে শক্তি ও ক্ষমতা নেই - অথবা উপরে বর্ণিত হিসাবে তাদের (বিচারের দিন পর্যন্ত) অবকাশ দেওয়া হতে পারে।
বিপরীত সত্য:
যদি তারা মন্দ ও পাপ, অথবা কুফরী ও ভ্রান্তিতে পড়ে থাকে এবং তারপর অনুতপ্ত হয়, তারা যে পাপ করেছে তার জন্য অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর আনুগত্য মেনে চলে, তবে আল্লাহ তাদের অবস্থা খারাপ থেকে ভালতে পরিবর্তন করবেন; তিনি তাদের অনৈক্যকে ঐক্য ও সম্প্রীতিতে পরিবর্তন করবেন (পরস্পরের সাথে); তিনি তাদের অসুবিধাকে স্বস্তি, সমৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে পরিবর্তন করবেন; তিনি বঞ্চনা, ক্ষুধা, পানির অভাব ইত্যাদি থেকে তাদের অবস্থা পরিবর্তন করবেন। প্রচুর বৃষ্টিপাত, উর্বর জমি এবং তাঁর উদারতার অন্যান্য প্রকাশের জন্য।
