নবী মুহাম্মদের সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা। নবী মুহাম্মদের সুন্নাত: ভুলে যাওয়া বিধান

সবাই জানে না যে ইসলামী সেবা করা যেতে পারে বিভিন্ন রূপ. এটা সব কি সময় এটি সঞ্চালিত উপর নির্ভর করে. এছাড়াও, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রার্থনা পরিষেবা পরিবর্তন করা যেতে পারে। মুসলমানরা রাতের নামাজকে "ইশার" বলে।

ইশা

এটি একটি প্রার্থনা যা চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। পরিস্থিতি নির্বিশেষে এর পড়া বাধ্যতামূলক। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর রাত এশার নামাজের সময় হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নামাজ পড়া শেষ হয়। যদিও অনেক অজ্ঞ লোক বিশ্বাস করে যে এই দোয়াটি পড়ে মধ্যরাতে শেষ করা যায়।

এশা অন্যতম ফরজ দৈনিক প্রার্থনা.

প্রধানগুলি ছাড়াও, রাতের প্রার্থনা পরিষেবাতে সহায়ক প্রার্থনা রয়েছে।

রাতের নামাজ। কিভাবে এটা কোনদিকে

এই প্রার্থনাটি পড়ার সময়, ক্ষুদ্রতম বিবরণগুলি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

রাতের নামাজের পদ্ধতিটি কীভাবে কাজ করে এবং কত রাকাত বলতে হবে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, রাতের নামায পড়ার সময়, চার রাকাত পড়তে হবে, তথাকথিত সুন্নাহ। এর পর ফরদা করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে, উপাসক আরও দুই রাকাত সুন্নাত করে, যা সকালে পড়া হয়।

এই রাকাতের মধ্যে পার্থক্য হল একমাত্র নিয়ত।

অতঃপর তিন রাকাত বিতর আদায় করা হয়। সেগুলো মধ্যরাতে পড়া হয়।

পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য রাকাত পড়ার ধরণ কিছুটা আলাদা।

তাই কি সময় রাতের প্রার্থনাপড়ুন, আমরা এটি বের করেছি, এখন প্রার্থনা পড়ার সময় যে নিয়মগুলি অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত তার বিষয়টি আরও বিশদে বিবেচনা করার চেষ্টা করা যাক।

নামাজের নিয়ম

প্রথম নিয়ম হল, নামাজরত ব্যক্তিকে মসজিদে আসতে হবে শুধু শুদ্ধ ও উজ্জ্বল চিন্তা নিয়েই নয়, শারীরিকভাবেও পবিত্র। তার জামাকাপড় এবং শরীর সম্পূর্ণরূপে ধুতে হবে।

পোশাকটি যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখে। পুরুষদের জন্য ন্যূনতম যেটি আবৃত করা উচিত তা হল নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীর। মহিলাদের জন্য, তাদের মসজিদে প্রবেশের অধিকার শুধুমাত্র এই শর্তে যে শুধুমাত্র তাদের মুখ, হাত ও পা উন্মুক্ত থাকবে। শরীরের বাকি অংশ পোশাকের নিচে লুকিয়ে রাখতে হবে।

পরবর্তী এবং সম্ভবত এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়মনামাযের শুরুতে কিবলার দিকে সেজদা করতে হবে। মুসলমানরা কিবলাকে পৃথিবীর প্রথম পবিত্র ভবন বলে মনে করে, যা বিশেষভাবে আল্লাহর ইবাদতের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

রাতের নামাজ অন্য সকলের মতো যথাসময়ে আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সূচনা এবং শেষ অবশ্যই সময়মত কঠোরভাবে সম্পন্ন করা উচিত।

নামাজ পড়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবশ্যই নামাজকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। তার অভিপ্রায় হৃদয়ে গঠিত হতে হবে এবং আত্মা থেকে আসতে হবে।

মুসলিম মহিলাদের দ্বারা প্রার্থনা পড়ার বৈশিষ্ট্য

প্রথমত, একজন মহিলার, একজন পুরুষের মতো, প্রার্থনা করার সমস্ত সূক্ষ্ম বিষয়গুলি বিশদভাবে অধ্যয়ন করা উচিত।

এই প্রার্থনার মাধ্যমেও আল্লাহর ইবাদত প্রকাশ করা হয়। নামাজ হল একজন ব্যক্তি এবং সর্বশক্তিমানের মধ্যে এক ধরনের যোগাযোগ। কোনো নারী যদি কোনো কারণে নামাজ প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে সে দোয়া, পারিবারিক মঙ্গল এবং মানসিক শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়।

একজন মহিলার জন্য একটি সফল রাতের নামাযের জন্য, তার প্রথম জিনিসটি মনে রাখা দরকার কতগুলি নামাজ শেষ করতে হবে। একজন মুসলিম মহিলার জন্য প্রতিটি নামায কত রাকাত রয়েছে তা মনে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে কিভাবে সঠিকভাবে ওজু এবং গোসল করতে হবে, তিনটি প্রধান সূরা এবং বেশ কয়েকটি দুআ জানতে হবে।

একজন মহিলার জন্য ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করার জন্য, তার সাহায্যের জন্য কোনও পুরুষ আত্মীয় বা স্বামীর কাছে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাকে বই থেকে অধ্যয়ন করার এবং প্রাসঙ্গিক ভিডিও দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে একজন মহিলা তার শুরু এবং শেষ দেখেন মাসিক চক্র. একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, একজন মুসলিম মহিলার মসজিদে প্রবেশের অধিকার নেই। সমস্ত ধর্মে, একজন মহিলাকে তার মাসিকের সময় "নোংরা" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি তাকে মন্দির ও মসজিদে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে, একজন মুসলিম মহিলা নামাজ বন্ধ করতে এবং "এমন দিন" পরে এটি সম্পূর্ণ করতে বাধ্য। এটা গুনাহ বলে গণ্য হবে না। একজন পুরুষের মতো একজন মহিলারও কিছু সময়ের জন্য প্রার্থনা স্থগিত করার অধিকার রয়েছে।

শেষ করার পর" সমালোচনামূলক দিন"একজন মহিলাকে অবশ্যই ওযু করতে হবে। এটি করার জন্য, তার মাসিক শেষ হওয়ার মুহূর্তটি খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যদি এটি রাতের নামাজের ঠিক আগে ঘটে তবে তাকে অবিলম্বে নিজেকে পরিষ্কার করতে হবে এবং তার নামাজ পড়তে যেতে হবে।

প্রার্থনা পড়ার সময় লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয় কি?

রাতের নামাজের সময় কথা বলা, পান করা বা খাওয়া নিষিদ্ধ। হাসি শুধু নামাযই নয়, অযুরও লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়। কাবলা থেকে শরীরকে যে কোন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, মাথার সামান্য ন্যাড়া দিয়েও অভিবাদন করা বা জবাব দেওয়া। আপনার প্রসারিত করা, হাই তোলা বা অন্য কোন ছোট আন্দোলন করা উচিত নয়। এটিও লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হয় যদি একজন মুসলিম প্রার্থনা পদ্ধতির সময় কিছুক্ষণের জন্য তার চোখ বন্ধ করে, চারপাশে বা আকাশের দিকে তাকায়।

বেদনাদায়ক ছাড়া অন্য কোনো কারণে কাশি অনুমোদিত নয়। ভুল সহ কোরান পড়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

মসজিদে নারী-পুরুষকে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে বিভিন্ন অংশ, একটি বেড়া দ্বারা পৃথক করার সময়.

আপনার বেল্টে আপনার হাত রাখা, আপনার হাতা গুটিয়ে নেওয়া, নিজেকে আঁচড়ানো, আপনার মুখ থেকে ধুলো মুছে ফেলা, ক্রস-পায়ে বসে বা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে প্রার্থনা করা - এই সমস্ত এবং আরও অনেক কিছু লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হয়।

এ বিষয়ে হাদিস

"ফেরেশতা জিব্রাইল (জিব্রাইল) নবীর কাছে [একদিন] এসে চিৎকার করে বললেন: "ওঠো এবং নামায পড়ো!" নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সূর্য যখন তার শীর্ষস্থান অতিক্রম করে তখন এটি সম্পাদন করেছিলেন। তারপর বিকেলে ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে আবার ডাকলেন: "উঠো এবং প্রার্থনা কর!" বস্তুর ছায়া সমান হয়ে গেলে মহান আল্লাহর রাসূল আরেকটি সালাত আদায় করলেন। তারপর সন্ধ্যায় জাবরাইল (জিব্রাইল) আবির্ভূত হলেন, নামাজের জন্য তার আযানের পুনরাবৃত্তি করলেন। সূর্যাস্তের পরপরই নবীজি সালাত আদায় করেন। ফেরেশতা সন্ধ্যায় দেরীতে এসে আবার অনুরোধ করলেন: "উঠো এবং প্রার্থনা কর!" রাসুল (সাঃ) সন্ধ্যা উদিত হওয়ার সাথে সাথে তা সম্পাদন করলেন। তারপর ঈশ্বরের ফেরেশতা ভোরবেলা একই অনুস্মারক নিয়ে এসেছিলেন এবং নবী ভোর হওয়ার সাথে সাথে প্রার্থনা করেছিলেন।

পরের দিন দুপুরে ফেরেশতা আবার এলেন এবং নবীজি সালাত আদায় করলেন যখন বস্তুটির ছায়া তার সমান হয়ে গেল। তারপর তিনি বিকেলে হাজির হলেন, এবং নবী মুহাম্মদ প্রার্থনা করলেন যখন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ দৈর্ঘ্য ছিল। সন্ধ্যায় ফেরেশতা আগের দিনের মতো একই সময়ে এসেছিলেন। ফেরেশতা রাতের অর্ধেক (বা প্রথম তৃতীয়াংশ) পরে হাজির হন এবং রাতের নামায আদায় করেন। শেষ সময় তিনি ভোরে এসেছিলেন, যখন এটি ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলো হয়ে গিয়েছিল (সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে), নবীকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন সকালের প্রার্থনা.

এরপর ফেরেশতা জাবরাইল (জিব্রাইল) বললেন: “এই দুই (সময়ের সীমার) মাঝখানে রয়েছে [পূরণের সময়। ফরজ নামাজ]» .

এই সমস্ত প্রার্থনা এবং প্রার্থনায়, নবী মুহাম্মদের জন্য ইমাম ছিলেন দেবদূত জিব্রাইল (গ্যাব্রিয়েল), যিনি নবীকে নামাজ শেখাতে এসেছিলেন। প্রথম মধ্যাহ্নের নামায এবং পরবর্তী সমস্তগুলো ঊর্ধ্বারোহণের রাতের (আল-মি'রাজ) পরে সম্পাদিত হয়েছিল, যার সময় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পাঁচটি দৈনিক নামাজ বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে।

ধর্মতাত্ত্বিক কাজ এবং কোডগুলিতে যেখানে এই হাদিসটি উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেখানে এটি জোর দেওয়া হয়েছে যে, অন্যান্য নির্ভরযোগ্য বর্ণনার সাথে এটির সত্যতা সর্বোচ্চ মাত্রায় রয়েছে। এটাই ছিল ইমাম বুখারীর অভিমত।

নামাজের সময়সীমা

মুসলিম পণ্ডিতদের অভিমত সর্বসম্মত যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ওয়াক্তে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তাদের প্রত্যেকের সময়কালের শুরুতে। নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সর্বোত্তম আমল হল সালাত (নামাজ) সময়ের শুরুতে আদায় করা”। যাইহোক, এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে নামাজটি সময়কালের একেবারে শেষ মিনিট পর্যন্ত সময়মত সম্পাদিত বলে বিবেচিত হয়।

1. সকালের নামায (ফজর)- ভোরের মুহূর্ত থেকে সূর্যোদয়ের শুরু পর্যন্ত।

নামাজের সময় হয়ে এসেছে। সকালের নামাযের শুরুর সময় নির্ধারণ করার সময়, ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ঐতিহ্যের মধ্যে থাকা মূল্যবান সংশোধনকে বিবেচনায় নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ: “দুই ধরনের ভোরকে আলাদা করা উচিত: সত্য ভোর, যা [রোজার সময়] খাওয়া নিষিদ্ধ করে এবং অনুমতি দেয়। প্রার্থনা [যা দিয়ে সকালের নামাযের সময় শুরু হয়]; এবং একটি মিথ্যা ভোর, যে সময়ে [রোযার দিনে] খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় এবং সকালের নামায নিষিদ্ধ [কারণ নামাযের সময় এখনও আসেনি], "হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন।

নবীর এই শব্দগুলি দিন এবং রাতের পরিবর্তনের রহস্যের সাথে জড়িত প্রাকৃতিক ঘটনার কথা বলে - "সত্য" এবং "মিথ্যা" ভোর। একটি "মিথ্যা" ভোর, আকাশে আলোর একটি উল্লম্ব ধারা হিসাবে প্রদর্শিত হয় কিন্তু আবার অন্ধকারের সাথে দেখা যায়, প্রকৃত ভোরের কিছুক্ষণ আগে ঘটে, যখন সকালের আলো দিগন্ত জুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সঠিক সংজ্ঞাশরিয়া দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রোজা, সকাল ও রাতের নামাজ পালনের জন্য ফজরের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নামাজের সময় শেষসূর্যোদয়ের শুরুতে ঘটে। একটি সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে: "সকালের সালাত (ফজরের) সময় সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।" সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকালের নামাযের যথাসময়ে (আদা') সময় শেষ হয়ে যায় এবং যদি এটি এই বিরতিতে না করা হয় তবে তা ওয়াজিব (কাদা, কাজা-নামাজ) হয়ে যায়। নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে এক রাকাআত সকালের নামায আদায় করে নিল, সে তা অতিক্রম করল।”

ধর্মতত্ত্ববিদরা বলেছেন: এই এবং অন্যান্য সহীহ হাদীসএই বিষয়ে ইঙ্গিত দেয় যে যদি একজন ব্যক্তি সিজদা সহ এর সমস্ত উপাদান সহ এক রাকাত আদায় করতে পরিচালনা করে, তবে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত হওয়া সত্ত্বেও সে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে নামাজ শেষ করে। হাদীসের প্রেক্ষাপট থেকে বোঝা যায় যে, এক্ষেত্রে নামায যথাসময়ে আদায় করা বলে গণ্য হয়। এই মতামতটি সমস্ত মুসলিম পণ্ডিতদের দ্বারা ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু হাদীসের পাঠ্যটি স্পষ্ট এবং নির্ভরযোগ্য।

গত শতাব্দীর শুরুতে রচিত তাঁর "গাইবাদাতে ইসলামিয়া" বইতে, বিখ্যাত তাতার বিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদ আহমদহাদি মাকসুদি (1868-1941), এই বিষয়টিকে স্পর্শ করে লিখেছেন যে "সূর্য উঠতে শুরু করলে সকালের নামাজ ভেঙ্গে যায়। এর পারফরম্যান্সের সময়।" এই কথাগুলো অবশ্যই উপরের হাদিস এবং এর ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বুঝতে হবে: সকালের নামাযের সময় সূর্যোদয় কেবল তখনই তা ভেঙে দেয় যখন উপাসকের প্রথম রাকয়াত শেষ করার (বা শুরু করার) সময় না থাকে।

উপসংহারে, আমরা যে যেমন নোট বিস্তারিত বিশ্লেষণএই প্রশ্নটি এত দেরিতে নামায ত্যাগ করার বৈধতাকে মোটেই নির্দেশ করে না।

পছন্দসমূহ. সূর্যোদয়ের সাথে সাথে এটি সম্পাদন করার সময়কাল শেষ হওয়ার জন্য সকালের প্রার্থনা ছেড়ে দেওয়া অত্যন্ত অবাঞ্ছিত।

2. মধ্যাহ্নের নামায (যোহর)- সূর্য তার শীর্ষস্থান অতিক্রম করার মুহূর্ত থেকে একটি বস্তুর ছায়া নিজের থেকে দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত।

নামাজের সময় হয়ে গেছে. সূর্য শীর্ষস্থান অতিক্রম করার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য আকাশে তার সর্বোচ্চ অবস্থানের বিন্দু।

নামাজের সময় শেষএকটি বস্তুর ছায়া নিজের থেকে দীর্ঘ হওয়ার সাথে সাথে ঘটে। এটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার যে সূর্য যখন শীর্ষে ছিল তখন যে ছায়া উপস্থিত ছিল তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

পছন্দসমূহ. তার সময়কালের শুরু থেকে "বিকালের সময় না আসা পর্যন্ত"।

3. দুপুরের নামায ('আসর)- সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয় যখন একটি বস্তুর ছায়া নিজের থেকে দীর্ঘ হয়। এটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার যে সূর্য যখন শীর্ষে ছিল তখন যে ছায়া উপস্থিত ছিল তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এই নামাজের সময় সূর্যাস্তের সাথে শেষ হয়।

নামাজের সময় হয়ে এসেছে। মধ্যাহ্নের সময় (যোহর) শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিকেলের সালাতের (‘আসর) সময় শুরু হয়।

সূর্যাস্তের সময় নামাজের সময় শেষ হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে এক রাকাত নামায আদায় করে নিল সে দুপুরের নামায পড়ল।"

পছন্দসমূহ সূর্য "হলুদ হতে শুরু করে" এবং এর উজ্জ্বলতা হারানোর আগে এটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শেষের জন্য এই প্রার্থনাটি ছেড়ে দেওয়া, যখন সূর্য দিগন্তের কাছে আসছে এবং ইতিমধ্যে লাল হয়ে যাচ্ছে, এটি অত্যন্ত অবাঞ্ছিত। মহান আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সময়ের একেবারে শেষের দিকে রেখে যাওয়া দুপুরের নামায সম্পর্কে বলেছেন: “এটি একজন মুনাফিকের নামায বিলম্ব] তিনি বসে বসে শয়তানের শিংগুলির মধ্যে সূর্যাস্তের জন্য অপেক্ষা করেন। তারপরে তিনি উঠে যান এবং নগণ্যভাবে ছাড়া, প্রভুর উল্লেখ না করে দ্রুত চার রাকায়াত করতে শুরু করেন।"

4. সন্ধ্যার নামায (মাগরেব)- সূর্যাস্তের পরপরই শুরু হয় এবং সন্ধ্যার ভোরের অদৃশ্য হয়ে শেষ হয়।

নামাজের সময় হয়ে এসেছে।সূর্যাস্তের পরপরই, যখন সূর্যের ডিস্ক সম্পূর্ণরূপে দিগন্তের নীচে অদৃশ্য হয়ে যায়।

প্রার্থনার সময় শেষ হয় "সন্ধ্যা ভোরের অন্তর্ধানের সাথে।"

পছন্দসমূহ. অন্যদের তুলনায় এই নামাজের সময়কাল সবচেয়ে কম। অতএব, এর বাস্তবায়নের সময়োপযোগীতার প্রতি আপনার বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া উচিত। হাদিস, যা দু'দিন ধরে ফেরেশতা গ্যাব্রিয়েল (গ্যাব্রিয়েল) এর আগমন সম্পর্কে বিশদভাবে বলে, এটি স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব করে যে এই প্রার্থনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এর সময়কালের একেবারে শুরুতে।

নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন: “মঙ্গল ও সমৃদ্ধি আমার অনুসারীদের ছেড়ে যাবে না যতক্ষণ না তারা চলে যেতে শুরু করবে সন্ধ্যার প্রার্থনাযতক্ষণ না তারা উপস্থিত হয়।"

5. রাতের সালাত ('ইশা')।এর সংঘটনের সময়টি সন্ধ্যা ফজরের অদৃশ্য হওয়ার পরে (সন্ধ্যার নামাযের সময় শেষে) এবং ফজরের শুরুর আগে (সকালের প্রার্থনা শুরুর আগে) সময়কালের উপর পড়ে।

নামাজের সময় হয়ে গেছে- সন্ধ্যার আভা হারিয়ে যাওয়ার সাথে।

নামাজের সময় শেষ- ভোর ভোরের লক্ষণগুলির উপস্থিতি সহ।

পছন্দসমূহ. এই প্রার্থনাটি "রাতের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে" রাতের প্রথম তৃতীয় বা অর্ধেক করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একটি হাদিস উল্লেখ করেছে: "এটি ('ইশার' সালাত) আলোর অদৃশ্য হওয়া এবং রাতের এক তৃতীয়াংশের শেষের মধ্যে আদায় করুন।" এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যখন নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উল্লেখযোগ্য বিলম্বে পঞ্চম সালাত আদায় করেছিলেন।

এর আকাঙ্খিত কিছু হাদিস:

- "নবী [মাঝে মাঝে] পঞ্চম সালাত পরবর্তী সময়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন";

- "পঞ্চম নামায ফজরের অন্তর্ধান এবং রাতের এক তৃতীয়াংশের শেষের মধ্যে সময়ের ব্যবধানে সম্পাদিত হয়েছিল";

“নবী মুহাম্মদ কখনও কখনও তার সময়ের শুরুতে পঞ্চম নামায আদায় করেছিলেন এবং কখনও কখনও তিনি তা স্থগিত করেছিলেন। যদি তিনি দেখতেন যে লোকেরা ইতিমধ্যেই সালাতের জন্য জড়ো হয়েছে, তবে তিনি তা অবিলম্বে আদায় করতেন। যখন লোকেরা বিলম্বিত হয়েছিল, তখন তিনি এটি পরবর্তী সময় পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন।

ইমাম আন-নওয়াবী বলেছেন: “পঞ্চম সালাত স্থগিত করার সমস্ত উল্লেখের অর্থ কেবল রাতের প্রথম তৃতীয় বা অর্ধেক। পণ্ডিতদের মধ্যে কেউই পঞ্চম ফরয সালাতকে অর্ধেক রাতের পরে ছেড়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দেননি।"

কোন কোন আলেম পঞ্চম নামাযের ওয়াক্তের শুরু থেকে একটু পরে আদায় করা বাঞ্ছনীয় (মুস্তাহাব) বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন: "কোনটি ভাল: সময় এলে অবিলম্বে এটি করা বা পরে?", তবে এই বিষয়ে দুটি প্রধান মতামত রয়েছে:

1. এটি একটু পরে করা ভাল। যারা এই যুক্তি দিয়েছিলেন তারা বেশ কয়েকটি হাদিস দিয়ে তাদের মতামতকে সমর্থন করেছিলেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে নবী বহুবার পঞ্চম নামাজটি তার সময়ের শুরুর চেয়ে অনেক পরে করেছিলেন। কতিপয় সাহাবী তার জন্য অপেক্ষা করলেন এবং তারপর নবীর সাথে সালাত আদায় করলেন। কিছু হাদিস এর কাম্যতার উপর জোর দিয়েছে;

2. সম্ভব হলে, তার সময়ের শুরুতে নামায পড়াই উত্তম, কারণ মহান আল্লাহর রাসুল যে প্রধান নিয়মটি মেনে চলেছিলেন তা ছিল তাদের সময়ের ব্যবধানের শুরুতে ফরয সালাত আদায় করা। একই ঘটনা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরে সালাত আদায় করেছিলেন তা কেবল একটি ইঙ্গিত ছিল যে এটি সম্ভব ছিল।

সাধারণভাবে, পরে পঞ্চম সালাত আদায় করার আকাঙ্খিত হওয়ার বিষয়ে হাদিস রয়েছে, তবে তারা রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ এবং এর অর্ধেক সম্পর্কে কথা বলে, অর্থাৎ, পঞ্চম সালাত বিনা কারণে ছেড়ে দেওয়া যতক্ষণ না পরবর্তী সময় অবাঞ্ছিত হয় (মাকরূহ) .

পঞ্চম ফরজ সালাতের সাধারণ সময়কাল সন্ধ্যার ভোরের অদৃশ্য হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় এবং ফজরের আবির্ভাবের সাথে শেষ হয়, অর্থাৎ সকালের ফজরের নামাযের শুরু, যেমনটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। এশার নামায তার সময়ের শুরুতে, পাশাপাশি রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে বা অর্ধ রাতের শেষ পর্যন্ত পড়া উত্তম।

মসজিদে, ইমামদের অবশ্যই সময়সূচী অনুযায়ী সবকিছু করতে হবে, যারা দেরী করছেন তাদের জন্য কিছু সম্ভাব্য প্রত্যাশার সাথে। ব্যক্তিগত অবস্থার জন্য, বিশ্বাসী পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে এবং উপরোক্ত হাদিস ও ব্যাখ্যাগুলিকে বিবেচনা করে।

নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময়

নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ বেশ কিছু সময় নির্ধারণ করে যে সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ।

উকবা ইবনে আমির (রাঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃতদের দাফন করতে নিষেধ করেছেন। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:

- সূর্যোদয়ের সময় এবং এটি উঠা পর্যন্ত (এক বা দুটি বর্শা উচ্চতায়);

- এমন সময়ে যখন সূর্য তার শীর্ষে থাকে;

নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: "সকালের নামাযের পরে এবং সূর্য ওঠার আগে এবং বিকেলের নামাযের পরেও সূর্য দিগন্তের নীচে অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত নামায পড়া হয় না।"

সূর্যাস্তের সময় এবং সূর্যোদয়ের সময় ঘুমের অবাঞ্ছিততা সম্পর্কেও সুন্নাতে বর্ণনা রয়েছে। যাইহোক, এটি বিবেচনায় নিয়ে একজন ব্যক্তিকে তার বায়োরিদম নিয়ন্ত্রণে বিভ্রান্ত করা উচিত নয় বিভিন্ন কারণজীবন উদ্দেশ্যমূলক প্রয়োজনীয়তার উপস্থিতিতে ক্যানোনিকাল অবাঞ্ছিততা বাতিল করা হয়, এবং আরও বেশি - বাধ্যতামূলক।

নামাজের সময় নির্ধারণে অসুবিধা

উত্তর অক্ষাংশে আচার অনুশীলনের জন্য, যেখানে একটি মেরু রাত্রি থাকে, এমন একটি অঞ্চলে প্রার্থনার সময় নিকটতম শহর বা অঞ্চলের প্রার্থনার সময়সূচী অনুসারে সেট করা হয়, যেখানে দিন এবং রাতের মধ্যে একটি বিভাজন রেখা রয়েছে বা মক্কার নামাজের সময়সূচী অনুসারে।

কঠিন ক্ষেত্রে (বর্তমান সময়ে কোন তথ্য নেই; কঠিন আবহাওয়া, সূর্যের অভাব), যখন এটি সম্ভব নয় সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞানামাজের সময়, তারা প্রায় সঞ্চালিত হয়, প্রায়. এমতাবস্থায় মধ্যাহ্ন (যোহর) ও সন্ধ্যার (মাগরিব) নামায কিছুটা দেরী করে আদায় করা বাঞ্ছনীয়, অতঃপর তৎক্ষণাৎ বিকাল (‘আসর) ও রাতের (‘ইশার) সালাত আদায় করা। সুতরাং, পঞ্চম নামাজের সাথে তৃতীয় এবং চতুর্থের সাথে দ্বিতীয়টির এক ধরণের মিলন-একীকরণ ঘটে, যা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে অনুমোদিত।

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য রাত্রি সিংহাসন (আল-মি'রাজ) এর পরের দিন এটি ঘটেছিল।

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমাদ, আত-তিরমিযী, আন-নাসায়ী, আদ-দারা কুতনী, আল-বায়হাকী, ইত্যাদি দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-বেন্না আ. (আল-সা'তি নামে পরিচিত)। আল-ফাতহ আর-রব্বানী লি তারতিব মুসনাদ আল-ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আশ-শায়বানী [আহমাদ ইবনে হাম্বল আশ-শায়বানীর হাদীসের সংগ্রহকে সুবিন্যস্ত করার জন্য ঈশ্বরের আবিষ্কার (সাহায্য)]। 12টা., 24 হি. বৈরুত: ইহইয়া আত-তুরাস আল-আরাবি, [খ. ছ.]। টি. 1. পার্ট 2. পৃ. 241, হাদিস নং 90, "হাসান, সহীহ"; আত-তিরমিযী এম. সুনান আত-তিরমিযী [ইমাম আত-তিরমিযীর হাদীসের সংগ্রহ]। বৈরুত: ইবনে হাজম, 2002। পৃ. 68, হাদীস নং 150, “হাসান, সহীহ”; আল-আমির ‘আলায়ুদ-দ্বীন আল-ফারসি। আল-ইহসান ফী তাকরীব সহীহ ইবনে হাব্বান [ইবনে হাব্বানের হাদীসের সংকলনকে (পাঠকদের কাছে) আনার একটি মহৎ কাজ]। 18 খন্ডে। বৈরুত: আর-রিসালা, 1997. টি. 4. পৃ. 335, হাদীস নং 1472, "হাসান, সহীহ," "সহীহ"; আল-শাভকিয়ানি এম. নীল আল-আবতার [লক্ষ্য অর্জন]। 8 খণ্ডে। বৈরুত: আল-কুতুব আল-‘ইলমিয়া, 1995। খণ্ড 1। পৃ. 322, হাদীস নং 418।

আরও বিশদ বিবরণের জন্য, দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-বেন্না এ. (আল-সা'তি নামে পরিচিত)। আল-ফাতহ আল-রব্বানী লি তারতীব মুসনাদ আল-ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আল-শায়বানী। T. 1. পার্ট 2. P. 239, হাদিস নং 88 (ইবনে আব্বাস থেকে), "হাসান", কারো মতে - "সহীহ"; ibid হাদিস নম্বর 89 (আবু সাঈদ আল-খুদরি থেকে); আল-কারী ‘আ. মিরকাত আল-মাফাতিহ শার্খ মিসকিয়াত আল-মাসাবিহ। 11 খণ্ডে। বৈরুত: আল-ফিকর, 1992। খণ্ড 2। পৃষ্ঠা 516-521, হাদীস নং 581-583।

দেখুন, যেমন: আল-কারী ‘আ. মিরকাত আল-মাফাতিহ শার্খ মিসকিয়াত আল-মাসাবিহ। টি. 2. পৃ. 522, হাদিস নং 584; আল-শাভকিয়ানি এম. নীল আল-আবতার। টি. 1. পৃ. 324।

দেখুন, যেমন: আত-তিরমিযী এম. সুনান আত-তিরমিযী। পৃ. 68; আল-বেন্না এ. (আল-সাআতি নামে পরিচিত)। আল-ফাতহ আল-রব্বানী লি তারতীব মুসনাদ আল-ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আল-শায়বানী। T. 1. পার্ট 2. P. 241; আল-আমির ‘আলায়ুদ-দ্বীন আল-ফারসি। আল-ইহসান ফী তাকরীব সহীহ ইবনে হাব্বান। টি. 4. পৃ. 337; আল-শাভকিয়ানি এম. নীল আল-আবতার। T. 1. P. 322; আল-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামি ওয়া আদিলাতুহ [ইসলামী আইন এবং এর যুক্তিসমূহ]। 11 খণ্ডে। দামেস্ক: আল-ফিকর, 1997। টি. 1. পৃ. 663।

দেখুন, যেমন: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিলাতুহ। T. 1. P. 673; আল-খতিব আশ-শিরবিনি শ. মুগনি আল-মুখতাজ [দরিদ্রদের সমৃদ্ধ করা]। 6 খণ্ডে। মিশর: আল-মাকতাবা আত-তৌফিকিয়া [খ. ছ.]। টি. 1. পৃ. 256।

ইবনে মাসউদ থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আত-তিরমিযী ও আল-হাকিম। ইমাম আল-বুখারী এবং মুসলিমের হাদীসের সংগ্রহে, "তার সময়ের শুরুতে" এর পরিবর্তে এটি "সময়ে" বলা হয়েছে। দেখুন, যেমন: আল-আমির ‘আলায়ুদ-দ্বীন আল-ফারসি। আল-ইহসান ফী তাকরীব সহীহ ইবনে হাব্বান। টি. 4. পৃ. 338, 339, হাদীস নং 1474, 1475, উভয়ই "সহীহ"; আস-সান'আনী এম. সুবুল আস-সালাম (তাবআতুন মুহাক্কাকা, মুহাররাজা)। টি. 1. পৃ. 265, হাদিস নং 158; আল-কুরতুবী এ. তালকিস সহীহ আল-ইমাম মুসলিম। T. 1. P. 75, বিভাগ "বিশ্বাস" (কিতাব আল-ইমান), হাদিস নং 59।

এই বিষয়ে আরও বিশদ বিবরণের জন্য, দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: মাজদুদ্দিন এ. আল-ইখতিয়ার লি তা'লিল আল-মুখতার। টি. 1. পি. 38-40; আল-খতিব আশ-শিরবিনি শ. মুগনি আল-মুখতাজ। T. 1. P. 247-254; আত-তিরমিযী এম. সুনান আত-তিরমিযী। পৃষ্ঠা 69-75, হাদীস নং 151-173।

আরও বিশদ বিবরণের জন্য, দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-খতিব আল-শিরবিনি শ. মুগনি আল-মুখতাজ। টি. 1. পৃ. 257।

ইবনে আব্বাস থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. ইবনে খুজাইমাহ এবং আল-হাকিম, যাদের মতে হাদীসটি সহীহ। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সান'আনি এম. সুবুল আস-সালাম (তাব'আতুন মুহাক্কাকা, মুহাররাজা) [বিশ্বের উপায় (পুনঃচেক করা সংস্করণ, হাদীসের সত্যতা স্পষ্ট করে)]। 4 খণ্ডে। বৈরুত: আল-ফিকর, 1998। খণ্ড 1। পৃষ্ঠা 263, 264, হাদীস নং 156/19।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে হাদীস দেখুন; সেন্ট এক্স. আহমদ, মুসলিম, আন-নাসায়ী ও আবু দাউদ। উদাহরণ স্বরূপ দেখুন: আন-নওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শার্খ আন-নওয়াবী [ইমাম আন-নওয়াবীর মন্তব্য সহ ইমাম মুসলিমের হাদীসের সংগ্রহ]। রাত 10 টা, 18 pm বৈরুত: আল-কুতুব আল-ইলমিয়া, [খ. ছ.]। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 109-113, হাদিস নং (612) 171-174; আল-আমির ‘আলায়ুদ-দ্বীন আল-ফারসি। আল-ইহসান ফী তাকরীব সহীহ ইবনে হাব্বান। টি. 4. পৃ. 337, হাদীস নং 1473, "সহীহ"।

সাধারণত "ফজর" কলামের পরে প্রার্থনার সময়সূচীতে একটি কলাম "শুরুক" থাকে, অর্থাৎ সূর্যোদয়ের সময়, যাতে একজন ব্যক্তি জানতে পারে কখন সকালের প্রার্থনার সময়কাল (ফজর) শেষ হয়।

আবু হুরায়রা থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আল-বুখারী, মুসলিমা, আত-তিরমিযী, ইত্যাদি দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আল-আসকালানী এ. ফাতহুল বারী বি শারহ সহীহ আল-বুখারী। টি. 3. পৃ. 71, হাদিস নং 579; আল-আমির ‘আলায়ুদ-দ্বীন আল-ফারসি। আল-ইহসান ফী তাকরীব সহীহ ইবনে হাব্বান। টি. 4. পৃ. 350, হাদীস নং 1484, "সহীহ"; আত-তিরমিযী এম. সুনান আত-তিরমিযী [ইমাম আত-তিরমিযীর হাদীসের সংগ্রহ]। রিয়াদ: আল-আফকার আদ-দাউলিয়া, 1999. পৃ. 51, হাদিস নং 186, "সহীহ"।

এছাড়াও দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সান'আনী এম. সুবুল আস-সালাম। টি. 1. পৃ. 164, 165; আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগীর। পৃ. 510, হাদিস নং 8365, "সহীহ"; আল-খতিব আশ-শিরবিনি শ. মুগনি আল-মুখতাজ। টি. 1. পৃ. 257।

হানাফী ও হাম্বলী মাযহাবের তাত্ত্বিকগণ তা বিশ্বাস করেন পর্যাপ্ত ন্যূনতমএই অবস্থায় নামাযের শুরুতে (তাকবিরাতুল ইহরাম) "তাকবীর" আছে। তারা "কে এক রাকিয়াত করবে" শব্দের ব্যাখ্যা করে যার অর্থ হল "কে এক রাকিয়াত করা শুরু করবে।" দেখুন, যেমন: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিলাতুহ। টি. 1. পৃ. 674।

দেখুন, যেমন: আল-‘আসকালানী আ. ফাতহুল বারী বি শারহ সহীহ আল-বুখারী। টি. 3. পৃ. 71, 72; আল-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ। T. 1. P. 517; আমিন এম. (ইবনে আবিদীন নামে পরিচিত)। রাদ্দুল মুখতার। 8 খন্ডে। বৈরুত: আল-ফিকর, 1966। টি. 2. পৃ. 62, 63।

মাকসুদী এ. গিবদাতে ইসলামিয়া [ইসলামিক আচার অনুশীলন]। কাজান: তাতারস্তান কিতাপ নাশরিয়াতি, 1990. পৃ. 58 (তাতার ভাষায়)।

উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আন-নওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। T. 3. পার্ট 5. P. 124, হাদীস নং (622) 195 এর ব্যাখ্যা।

এই অভিমত যে, মধ্যাহ্নের নামায (যোহর) শেষ হওয়ার এবং বিকেলের নামাযের (‘আসর) সূচনা তখন ঘটে যখন কোনো বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং তা যথেষ্ট সঠিক নয়। হানাফী ধর্মতাত্ত্বিকদের মধ্যে, শুধুমাত্র আবু হানিফা এই বিষয়ে কথা বলেছেন এবং এই বিষয়ে তার দুটি রায়ের মধ্যে একটিতে বলেছেন। হানাফী মাযহাবের পণ্ডিতদের সম্মত মতামত (ইমাম আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মাদ আল-শায়বানীর মতামত, সেইসাথে আবু হানিফার একটি মতামত) অন্যান্য মাযহাবের আলেমদের মতামতের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়। যা মধ্যাহ্নের নামাযের সময় শেষ হয় এবং বিকেলের নামায শুরু হয় যখন বস্তুর ছায়া দীর্ঘ হয়ে যায়। দেখুন, যেমন: মাজদুদ্দিন এ. আল-ইখতিয়ার লি তা'লীল আল-মুখতার। টি. 1. পৃ. 38, 39; আল-মারগিনানি বি. আল-হিদায়া [ম্যানুয়াল]। 2 খণ্ডে, 4 ঘন্টা। বৈরুত: আল-কুতুব আল-‘ইলমিয়া, 1990। খণ্ড 1। পার্ট 1। পৃষ্ঠা 41; আল-আইনী বি. ‘উমদা আল-কারী শরহ সহীহ আল-বুখারী [পাঠকের সমর্থন। আল-বুখারী কর্তৃক হাদীস সংগ্রহের টীকা]। 25 খণ্ডে। বৈরুত: আল-কুতুব আল-‘ইলমিয়া, 2001। টি. 5. পৃ. 42; আল-‘আসকলিয়ানী এ. ফাতহুল-বারী বি শারহ সহীহ আল-বুখারি [আল-বুখারির হাদিসের সেটে মন্তব্যের মাধ্যমে স্রষ্টার (একজন নতুন কিছু বোঝার জন্য) খোলার]। 18 খণ্ডে। বৈরুত: আল-কুতুব আল-‘ইলমিয়া, 2000। খণ্ড 3। পৃ. 32, 33।

দেখুন, আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমদ, মুসলিম, আন-নাসায়ী ও আবু দাউদ। দেখুন: আন-নাওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 109-113, হাদিস নং (612) 171-174।

মধ্যাহ্নের নামাযের শুরু এবং সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধানকে সাতটি ভাগে ভাগ করেও সালাতের সময় (‘আসর) গণিতভাবে গণনা করা যেতে পারে। তার মধ্যে প্রথম চারটি হবে মধ্যাহ্নের (যোহর) সময় এবং শেষ তিনটি হবে বিকেলের (‘আসর) সালাতের সময়। গণনার এই ফর্মটি আনুমানিক।

আবু হুরায়রা থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আল-বুখারী ও মুসলিম। দেখুন, যেমন: আল-‘আসকালানী আ. ফাতহুল বারী বি শারহ সহীহ আল-বুখারী। টি. 3. পৃ. 71, হাদিস নং 579।

ঠিক আছে. পৃষ্ঠা 121, 122, হাদীস নং (621) 192 এবং এর ব্যাখ্যা।

দেখুন: আন-নাওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 124; আল-শাভক্যানি এম. নেইল আল-আবতার। টি. 1. পৃ. 329।

আনাস থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. মুসলিম, আন-নাসায়ী, আত-তিরমিযী। উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আন-নওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 123, হাদিস নং (622) 195; আল-শাভক্যানি এম. নেইল আল-আবতার। টি. 1. পৃ. 329, হাদিস নং 426।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে হাদীস দেখুন; সেন্ট এক্স. আহমদ, মুসলিম, আন-নাসায়ী ও আবু দাউদ। দেখুন: আন-নাওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 109-113, হাদিস নং (612) 171-174।

আরও বিশদ বিবরণের জন্য, দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামি ওয়া আদিলাতুহ। টি. 1. পৃ. 667, 668।

আইয়ুব থেকে হাদিস, 'উকবা ইবনে 'আমির এবং আল-আব্বাস; সেন্ট এক্স. আহমাদ, আবু দাউদ, আল-হাকিম ও ইবনে মাজাহ। দেখুন: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি ‘আস-সাগির [ছোট সংগ্রহ]। বৈরুত: আল-কুতুব আল-‘ইলমিয়া, 1990. পৃ. 579, হাদীস নং 9772, "সহীহ"; আবু দাউদ এস. সুনান আবি দাউদ [আবু দাউদের হাদীসের সংকলন]। রিয়াদ: আল-আফকার আদ-দাউলিয়া, 1999। পৃ. 70, হাদিস নং 418।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে হাদীস দেখুন; সেন্ট এক্স. আহমদ, মুসলিম, আন-নাসায়ী ও আবু দাউদ। দেখুন: আন-নাওয়াবী ইয়া। সহীহ মুসলিম বি শারহ আন-নাওয়াবী। টি. 3. পার্ট 5. পৃ. 109-113, হাদিস নং (612) 171-174।

আবু হুরায়রার হাদীস দেখুন; সেন্ট এক্স. আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ। দেখুন: আল-কারী ‘আ. মিরকাত আল-মাফাতিহ শার্খ মিসকিয়াত আল-মাসাবিহ। 11 খণ্ডে। বৈরুত: আল-ফিকর, 1992। টি. 2. পৃ. 535, হাদিস নং 611; আত-তিরমিযী এম. সুনান আত-তিরমিযী [ইমাম আত-তিরমিযীর হাদীসের সংগ্রহ]। রিয়াদ: আল-আফকার আদ-দাউলিয়া, 1999. পৃ. 47, হাদিস নং 167, "হাসান, সহীহ।"

জাবির ইবনে সামর থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমদ, মুসলিম, আন-নাসায়ী। দেখুন: আল-শাভকিয়ানি এম. নীল আল-আবতার। ৮ খন্ডে টি. ২. পৃ. ১২, হাদিস নং ৪৫৪। একই হাদিস সেন্ট। এক্স. আবু বারজ থেকে আল-বুখারী। দেখুনঃ আল-বুখারী এম. সহীহ আল-বুখারী। 5 খণ্ডে. টি. 1. পৃ. 187, ch. নং 9, সেকশন নং 20; আল-আইনী বি. ‘উমদা আল-কারী শরহ সহীহ আল-বুখারী। 20 খণ্ডে টি 4. এস 211, 213, 214; আল-‘আসকলিয়ানী এ. ফাতহুল বারী বি শরহ সহীহ আল-বুখারী। 15 খণ্ডে. টি. 2. পি. 235, সেইসাথে পি. 239, হাদীস নং 567।

এটি প্রায় 2.5 মিটার বা, যখন সূর্য নিজেই দৃশ্যমান হয় না, সূর্যোদয় শুরু হওয়ার প্রায় 20-40 মিনিট পরে। দেখুন: আয-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ। টি. 1. পৃ. 519।

সেন্ট এক্স ইমাম মুসলিম রহ. দেখুন, যেমন: আস-সান'আনী এম. সুবুল আস-সালাম। টি. 1. পৃ. 167, হাদিস নং 151।

আবু সাঈদ আল খুদরী থেকে হাদীস; সেন্ট এক্স. আল-বুখারী, মুসলিম, আন-নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ; এবং উমর থেকে একটি হাদীস; সেন্ট এক্স. আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ। দেখুন, উদাহরণস্বরূপ: আস-সুয়ূতি জে. আল-জামি' আস-সাগির। পৃ. 584, হাদীস নং 9893, "সহীহ"।

দেখুন, যেমন: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিলাতুহ। টি. 1. পৃ. 664।

দেখুন, যেমন: আজ-জুহাইলি ভি. আল-ফিকহ আল-ইসলামী ওয়া আদিলাতুহ। টি. 1. পৃ. 673।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য চল্লিশটি হাদিস সংরক্ষণ করবে তাকে বিচারের দিন বলা হবে: তুমি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ কর।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর সমর্থন হল নামায" (আহমদ, আত-তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আত-তায়ালিসি)। তিনি আরও বলেছেন: "জেনে রাখো, তোমাদের সর্বোত্তম আমল হল নামায!" (আহমদ, ইবনে মাজাহ)

“মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আর যে ব্যক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওযু করল এবং নামাজের জন্য নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়ল এবং মাটিতে পূর্ণ রুকু ও রুকু করল এবং নামাজে নম্রতা অবলম্বন করল, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ওয়াদা রয়েছে যে তিনি তাকে ক্ষমা করবেন! আর যে এটা করবে না তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই এবং আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করবেন এবং তিনি চাইলে তাকে শাস্তি দেবেন!” (আবু দাউদ, আহমাদ, ইবনে মাজাহ, আন-নাসায়ী)

"একজন বান্দা সিজদার সময় তার প্রভুর সর্বাধিক নৈকট্য অর্জন করে" (মুসলিম)

“কিয়ামতের দিন আল্লাহর বান্দাকে সর্বপ্রথম যে জিনিসটির মূল্য পরিশোধ করা হবে তা হল নামায। আর যদি তার নামায ভালো হয়, তবে তার অন্য সব আমল ভালো হবে, আর যদি তার সালাত নিষ্ফল হয়ে যায়, তবে তার বাকি আমলগুলো মূল্যহীন হয়ে যাবে।” (আত-তাবারানী)

হানযালা আল-কাতিব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের হেফাজত করে, তাদের রুকু ও সিজদা যথাযথভাবে পালন করে, তাদের জন্য নির্ধারিত সময়গুলো পালন করে এবং জানত যে এটাই সত্য। আল্লাহর কসম, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে," অথবা: "তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব," অথবা "তার জন্য আগুন হারাম করা হবে!" (আহমদ)

নওফাল ইবনে মুয়াবিয়া (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করে সে তার পরিবার ও সম্পদ হারিয়ে ফেলার মতো।" (ইবনে হিব্বান)

"যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে গেল বা বেশি ঘুমিয়ে পড়ল, তার কাফফারা হল এই নামাযটি স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আদায় করবে" (মুসলিম)

আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার সালাতে সতর্কতা অবলম্বন করে, তার জন্য এটি একটি নূর, স্পষ্ট প্রমাণ এবং নাজাতের দিনে পরিণত হবে। কেয়ামতের, এবং যে তার সাথে সতর্ক থাকবে না তার জন্য কোন আলো, কোন স্পষ্ট প্রমাণ, কোন পরিত্রাণ থাকবে না। আর কিয়ামতের দিন সে কারুন, ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালাফের সাথে থাকবে" (আহমদ, ইবনে হিব্বান)

নামাযের সময়সীমা সম্পর্কে হাদিস

ফেরেশতা জিব্রাইল (জিব্রাইল) (একদিন) নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে চিৎকার করে বললেন: "ওঠো এবং নামায পড়ো!" নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য যখন তার শীর্ষস্থান অতিক্রম করে তখন এটি করেছিলেন। তারপর বিকেলে ফেরেশতা তাঁর কাছে এসে আবার ডাকলেন: "উঠো এবং প্রার্থনা কর!" বস্তুর ছায়া সমান হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরেকটি সালাত আদায় করলেন। অতঃপর জবরাইল (জিব্রাইল) (আঃ) সন্ধ্যায় আবির্ভূত হলেন, তাঁর আযানের পুনরাবৃত্তি করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যাস্তের সাথে সাথে সালাত আদায় করলেন। ফেরেশতা সন্ধ্যায় দেরীতে এসে আবার অনুরোধ করলেন: "উঠো এবং প্রার্থনা কর!" রাসুল (সাঃ) সন্ধ্যা উদিত হওয়ার সাথে সাথে তা সম্পাদন করলেন। অতঃপর আল্লাহর ফেরেশতা ফজরের সময় একই অনুস্মারক নিয়ে আসেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের আবির্ভাবের সাথে সালাত আদায় করেন। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য রাত্রি সিংহাসন (আল-মি'রাজ) এর পরের দিন এটি ঘটেছিল।

পরের দিন দুপুরে ফেরেশতা জিব্রাইল (জিব্রাইল) আবার এলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রার্থনা করলেন যখন বস্তুটির ছায়া তাঁর সমান হয়ে গেল। তারপর তিনি বিকেলে হাজির হলেন, এবং নবী মুহাম্মদ প্রার্থনা করলেন যখন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ দৈর্ঘ্য ছিল। সন্ধ্যায় ফেরেশতা আগের দিনের মতো একই সময়ে এসেছিলেন। ফেরেশতা রাতের অর্ধেক (বা প্রথম তৃতীয়াংশ) পরে হাজির হন এবং রাতের নামায আদায় করেন। শেষ সময় তিনি ভোরে এসেছিলেন, যখন এটি ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলো হয়ে গিয়েছিল (সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে), নবীকে সকালের নামায পড়তে প্ররোচিত করেছিলেন। এর পরে ফেরেশতা জাবরাইল (জিব্রাইল) বললেন: “এই দুটি (সময়ের সীমার) মধ্যে [ফরজ নামাজ পড়ার] সময়।” এই সমস্ত নামাজ-নামাজে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইমামতি করেন। ছিলেন ফেরেশতা জাবরাইল (জিব্রাইল), যিনি নবীকে নামাজ শেখানোর জন্য এসেছিলেন। প্রথম মধ্যাহ্নের নামায এবং পরবর্তী সমস্তগুলো ঊর্ধ্বারোহণের রাতের (আল-মি'রাজ) পরে সম্পাদিত হয়েছিল, যার সময় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পাঁচটি দৈনিক নামাজ বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। ধর্মতাত্ত্বিক কাজ এবং কোডগুলিতে যেখানে এই হাদিসটি উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেখানে এটি জোর দেওয়া হয়েছে যে, অন্যান্য নির্ভরযোগ্য বর্ণনার সাথে এটির সত্যতা সর্বোচ্চ মাত্রায় রয়েছে। এটাই ছিল ইমাম বুখারীর অভিমত।

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "সকালের নামাযের পরে এবং সূর্য ওঠার আগে এবং বিকেলের নামাযের পরেও সূর্য দিগন্তের নীচে অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করা হয় না" (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি এক রাকাত নামায পেল, সে নিজেই সালাত পেল” (আল বুখারী, মুসলিম)

উম্মে ফারুয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: “কোন কাজটি সর্বোত্তম?” তিনি উত্তর দিলেন: "নামাজ তার সময়ের শুরুতে আদায় করেছে!" (আবু দাউদ, তিরমিযী)

"যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের আগে বিকেলের (আসর) নামাযের সেজদা (সেজদা) করতে পেরেছিল এবং যে সূর্য ওঠার আগে সকালের নামাযের সেজদা করতে পেরেছিল, সে সালাতকে পেয়েছিল" (মুসলিম)

সকালের সালাত (ফজর) সম্পর্কে হাদিস

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ভোর দুই প্রকার। যে ভোরে খাওয়া হারাম এবং নামায পড়া জায়েয, এবং যে ফজরের নামায পড়া হারাম, তবে তা খাওয়া জায়েজ" (আল-হাকিম, আল-বায়হাকি) এর আরেকটি সংস্করণ হাদিস বলে: "মিথ্যা ভোরের জন্য, এটি একই রকম নেকড়ের লেজ, এবং এই সময়ে প্রার্থনা অনুমোদিত নয় এবং খাবার নিষিদ্ধ নয়। এবং ভোরের জন্য, যা দিগন্ত বরাবর প্রসারিত, এটি সালাতের জন্য বৈধ এবং খাবারের জন্য নিষিদ্ধ সময়!

আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের নামায পড়া শুরু করলেন যখন ভোর হলো এবং লোকেরা একে অপরকে চিনতে পারল না (অন্ধকারের কারণে)” (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "সকালের সালাত (ফজরের) সময় সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।" নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে সকালের এক রাকাত নামায আদায় করে নিল, সে তাকে অতিক্রম করল। ধর্মতাত্ত্বিকরা বলেছেন: এটি এবং এই বিষয়ে অন্যান্য নির্ভরযোগ্য হাদিসগুলি নির্দেশ করে যে যদি একজন ব্যক্তি সিজদা সহ এর সমস্ত উপাদান সহ এক রাকাত আদায় করতে পরিচালনা করেন তবে তিনি সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত হওয়া সত্ত্বেও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে নামাজ শেষ করেন। যাইহোক, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে এটি সম্পাদন করে সময়কাল শেষ হওয়ার জন্য সকালের প্রার্থনা ছেড়ে দেওয়া অত্যন্ত অবাঞ্ছিত।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রাতের সালাত আদায় করেছে সে মধ্যরাতকে পুনরুজ্জীবিত করা ব্যক্তির মত! এবং যিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সকালের প্রার্থনাসম্মিলিতভাবে একজনের মতো যে সারা রাত জীবনে এসেছে! (মুসলিম)

"যে ব্যক্তি সকালের সালাত আদায় করে সে আল্লাহর হেফাজতে থাকে!" (মুসলিম)

"যারা অন্ধকারে নামাজে যায় তাদের চামড়া মহান বিচারের দিন পূর্ণ নূরে উজ্জ্বল হবে!" (আবু দাউদ)

“যে ব্যক্তি আল-বারদাইনী নামাজ আদায় করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে! আল-বারদাইনি নামাজ হল সকাল ও সন্ধ্যার নামাজ" (আল বুখারি, মুসলিম)

"যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার আগে ও অস্ত যাওয়ার আগে নামাজ আদায় করে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না" (মুসলিম)

"দুই রাকাত সকালের নামায সারা দুনিয়ার চেয়ে উত্তম এবং এতে যা আছে!" (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতারা পর্যায়ক্রমে একে অপরকে প্রতিস্থাপন করে, কেউ রাতে এবং অন্যরা দিনে। সকালের নামাযের সময় এবং বিকেলের নামাযের সময় তারা মিলিত হয়, তারপর যারা রাত জেগে দেখেছিল। আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ তোমরা আমার বান্দাদেরকে কিভাবে পরিত্যাগ করলে? এবং ফেরেশতারা উত্তর দেয়: "আমরা তাদের নামাজ পড়তে ছেড়ে দিয়েছিলাম, এবং যখন আমরা এসেছি, তখন আমরা তাদেরকেও নামাজ পড়তে দেখেছি!"

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপস্থিতিতে কেউ একজন লোকের কথা উল্লেখ করে বললেন, “সে নামাযের জন্য না উঠে সকালে ঘুম থেকে উঠা পর্যন্ত ঘুমাতে থাকল।” যার উত্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “শয়তান তার কানে প্রস্রাব করেছে” (আল-বুখারী)। হাফিজ ইবনে হাজার ইমাম আল-কুরতুবির কথা বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন যে "শয়তানের প্রস্রাব আসল, যেহেতু এটা জানা যায় যে শয়তান খায়, পান করে এবং বিয়ে করে" ("ফাতহুল-বারী" 3/28)

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "হে আল্লাহ, আমার উম্মতকে তার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় অনুগ্রহ দান করুন!"

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ ঘুমিয়ে পড়ে, তখন শয়তান তার মাথার পিছনে তিনটি গিঁট বেঁধে দেয় এবং তাদের প্রত্যেককে আঘাত করে এবং বলে: "তোমার রাত দীর্ঘ হবে, ঘুমাও!" যদি একজন ব্যক্তি জেগে ওঠে এবং সর্বশক্তিমান এবং মহান আল্লাহকে স্মরণ করে, তাহলে একটি গিঁট খুলে যাবে; যদি সে অযু করে তবে তার দুটি গিঁট খুলে দেওয়া হবে, এবং যদি সে নামায পড়ে তবে [সমস্ত] গিঁট খুলে দেওয়া হবে, এবং ব্যক্তি সকালে প্রফুল্ল ও খুশি হয়ে জেগে উঠবে, অন্যথায় সে খারাপ মেজাজে ঘুম থেকে উঠবে। এবং [সারা দিন] অলস থাকবে" (মুসলিম)

মধ্যাহ্নের নামায সম্পর্কে হাদিস (যোহর)

"সময় মধ্যাহ্ন প্রার্থনা(যোহর) সূর্য তার শীর্ষস্থান অতিক্রম করার মুহূর্ত থেকে শুরু হয় এবং এমন সময় পর্যন্ত চলতে থাকে যখন একজন ব্যক্তির ছায়ার দৈর্ঘ্য তার উচ্চতার সমান হয়" (মুসলিম)

আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াজ্জিনকে বললেন, যখন তিনি নামাযের জন্য আযান দিতে চাইলেন: “তাপ প্রশমিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর।” অতঃপর তিনি বললেন: “তীব্র তাপ জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে, এবং যদি তা খুব শক্তিশালী হয়ে যায়, তাহলে নামায বিলম্বিত কর যতক্ষণ না তা প্রশমিত হয়” (আল-বুখারি, মুসলিম)

বিকেলের সালাত (আসর) সম্পর্কে হাদীস

জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা বিকালের সালাত (আসর) আদায় কর যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার দৈর্ঘ্যের সমান হয়।” (আন-নাসায়ী, আত-তিরমিযী) )

"যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের আগে আসরের নামাযের সিজদা (সাজদা) করতে পেরেছিল, সে 'আসর' পেল" (আল-বুখারি, মুসলিম)

এক মেঘলা দিনে, বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “বিকালের ('আসর) সালাত তাড়াতাড়ি আদায় কর (তার সময়ের সাথে সাথে), কারণ, সত্যই, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “একজনের আমল যে বিকালের নামায ত্যাগ করবে সে বৃথা যাবে!” (আল-বুখারী)

সূর্য "হলুদ হতে শুরু করে" এবং তার উজ্জ্বলতা হারানোর আগে দুপুরের প্রার্থনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শেষের জন্য এই প্রার্থনাটি ছেড়ে দেওয়া, যখন সূর্য দিগন্তের কাছে আসছে এবং ইতিমধ্যে লাল হয়ে যাচ্ছে, এটি অত্যন্ত অবাঞ্ছিত। সর্বশক্তিমান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুপুরের নামায সম্পর্কে, যার শেষ সময়ের জন্য বাকি ছিল, বলেছেন: "এটি একজন মুনাফিকের নামায [যেক্ষেত্রে এত উল্লেখযোগ্য বিলম্বের জন্য কোন বাধ্যতামূলক কারণ নেই]। তিনি বসে বসে শয়তানের শিংগুলির মধ্যে সূর্যাস্তের জন্য অপেক্ষা করেন। এর পরে তিনি উঠে যান এবং অল্প (একটু) ব্যতীত প্রভুর উল্লেখ না করে দ্রুত চার রাকাত পড়তে শুরু করেন "(মুসলিম)

সন্ধ্যার নামায সম্পর্কে হাদিস (মাগরেব)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য ডোবার সাথে সাথে সন্ধ্যার (মাগরিবের) সালাত আদায় কর।

"সন্ধ্যার (মাগরিব) নামাযের সময় সন্ধ্যার ভোরের অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়" (মুসলিম)

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মঙ্গল ও মঙ্গল আমার অনুসারীদের ছেড়ে যাবে না যতক্ষণ না তারা তারার দেখা না হওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যার সালাত ত্যাগ করতে শুরু করবে না” (আহমদ, আবু দাউদ)। রাফি ইবনে খাদিজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন: “আমাদের মধ্যে কেউ যখন সন্ধ্যার (মাগরিব) সালাত শেষ করলো, যেটি আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে একত্রে আদায় করেছি, তখনও সে তার তীরগুলো যেখানে পড়েছিল তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিল”। (আল-বুখারী, মুসলিম)

রাতের সালাত (ইশার) সম্পর্কে হাদিস

"ইশার নামাযের সময় মধ্যরাত পর্যন্ত থাকে!" (মুসলিম)

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের উল্লেখযোগ্য অংশ অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত ইশার সালাত বিলম্বিত করলেন। তারপর তিনি বেরিয়ে গেলেন, নামাজ পড়লেন এবং বললেন: "এটাই এই সালাতের আসল সময়, যদি আমি আমার অনুসারীদের বোঝার ভয় না করতাম।" (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো, তবে আমি তাদেরকে ইশার সালাত রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ বা মধ্যরাত পর্যন্ত স্থগিত করার নির্দেশ দিতাম।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “কখনও কখনও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাড়াহুড়ো করতেন। রাতের প্রার্থনা, এবং কখনও কখনও তার সাথে দ্বিধা. যখন তিনি দেখলেন যে লোকেরা ইতিমধ্যে জড়ো হয়ে গেছে, তখন তিনি তাড়াতাড়ি সালাত আদায় করলেন। যখন লোকেরা দেরী করত, তখন তিনি নামায স্থগিত করলেন" (আল-বুখারি, মুসলিম)

আমরা নতুনদের জন্য প্রার্থনা করার গল্পটি চালিয়ে যাচ্ছি। এই প্রবন্ধে, আল্লাহর অনুমতি নিয়ে, আমরা কীভাবে একজন শিক্ষানবিশের জন্য প্রার্থনা করতে হয়, কী প্রার্থনা লঙ্ঘন করে সে সম্পর্কে কথা বলব এবং আমরা প্রার্থনা সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেব।

প্রতিটি প্রার্থনা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়ে গঠিত রাকাত- একটি ক্রিয়াকলাপের একটি সেট যার মধ্যে রয়েছে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কোরানের কিছু সূরা পড়া, কোমর থেকে একটি ধনুক (রুকু) এবং দুটি ধনুক মাটিতে (সাজদা)।

সকালের প্রার্থনা ( ফজর) গঠিত দুই রাকাত,

মধ্যাহ্নভোজ ( জুহর) - থেকে চার,

বিকেল ( asr) থেকেও চার,

সন্ধ্যার প্রার্থনা মাগরেব- থেকে তিন,

এবং রাতের প্রার্থনা ইশা- থেকে চার

যাইহোক, ফরজ অংশ (ফরদ) ছাড়াও, প্রতিটি নামাযের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কাঙ্খিত প্রার্থনা (সুন্নাত) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা পালন করা আবশ্যক নয়, তবে তাদের সম্পাদনের জন্য একটি পুরষ্কারেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিক্ষানবিসদের অবশ্যই প্রথমে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ অংশ নিয়মিতভাবে পালনে অভ্যস্ত হওয়া উচিত, তবে তারপরে তাদের মূল নামাজের পাশাপাশি সুন্নাত নামাজ পড়ার চেষ্টা করা উচিত।

এছাড়াও, হানাফী মাযহাবের আলেমগণ এটিকে ওয়াজিব মনে করেন ( ওয়াজিব) নামাজ পড়া vitr, এর মধ্যে রয়েছে তিন রাকাতযা রাতে এশার নামাজের পর করা হয়।

আপনি ওযু করার পরে এবং আওরাহ বন্ধ করার পরে, নামাজের মাদুরের উপর দাঁড়ান (যদি আপনার কাছে এখনও এটি না থাকে তবে আপনি এই উদ্দেশ্যে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা চাদর ব্যবহার করতে পারেন), কিবলার দিকে মুখ করে আপনার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করুন ( নিয়ত) নামায পড়া। নিয়তের সময়, আপনি যে নামায পড়তে যাচ্ছেন তার নাম রাখতে হবে (ফরজ বা কাম্য এবং এর নাম ফজর, যোহর, আসর)।

অভিপ্রায় উচ্চারিত হয় মানসিকভাবে, প্রায় নিম্নলিখিত শব্দগুলিতে: “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আজ সকালের ফরজ (ফরজ অংশ) করার ইচ্ছা করছি।(উদাহরণ স্বরূপ) ফজরের নামাজ(বা আপনি যে প্রার্থনা করতে যাচ্ছেন তার নাম দিন)।

বিঃদ্রঃ:নামাজের নিয়ত অবশ্যই মানসিকভাবে উচ্চারণ করতে হবে, কিন্তু প্রাথমিক তাকবীর, কোরানের সূরা এবং প্রয়োজনীয় দুআ উচ্চস্বরে উচ্চারণ করা হয়(অগত্যা জোরে জোরে নয়, আপনি ফিসফিস করতে পারেন, কিন্তু যাতে আপনি নিজেকে শুনতে পারেন, আপনার ঠোঁট এবং জিহ্বা নাড়তে পারেন)।

1. আপনার অভিপ্রায় ব্যক্ত করার পর, আপনার কাঁধের দিকে বাইরের দিকে মুখ করে আপনার হাত তুলুন এবং "আল্লাহু আকবার!" বাক্যাংশটি (জোরে!) বলুন। (এটি তথাকথিত প্রাথমিক তাকবীর) (ছবিতে দেখানো হয়েছে)। আপনার হাত তোলার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনার হাতা নিচে না পড়ে এবং আপনার আভা খোলে না - এটি আপনার প্রার্থনাকে নষ্ট করতে পারে!

2. তারপর আপনার বুকের উপর আপনার হাত ভাঁজ করুন (ডানদিকে বাম দিকে) এবং সূরা আল ফাতিহা পড়ুন

সূরা ফাতিহা।(আনুমানিক প্রতিবর্ণীকরণ এবং অনুবাদ):

بسم الله الرحمن الرحيم

[বিসমিল্লাহি আর-রহমানি আর-রহিম]

পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে

الحمد لله رب العالمين
[আল-হামদু লিল্লাহিরাব্বিল-আলামিন]

সমস্ত জগতের প্রতিপালক আল্লাহর মহিমা

الرحمن الرحيم
[আর-রহমানির-রহিম]

করুণাময়, করুণাময়

مالك يوم الدين
[মালেকি ইয়াউমিদ-দিন]

বিচার দিবসের পালনকর্তা

إياك نعبد
[ইয়্যাক্যা নবুদু]

আমরা তোমারই ইবাদত করি

و إياك نستعين

[উআ ইয়্যাক্যা নাস্তায়্যিন]

এবং একমাত্র আপনার কাছেই আমরা সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করি

اهدنى الصراط المستقيم

[ইখদিনাস-সিরাতাল-মুস্তাক্বিয়াম]

আমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করুন

صراط الذين أنعمت عليهم
[সাইপাতাল্লাযিনা আন'আমতা আলেখিম]

তাদের পথ যাদেরকে তুমি তোমার নেয়ামত দিয়েছ

غير المغضوب عليهم
[গাইরিল-মাগদুবি আলিহিম]

যারা তোমার অনাগ্রহ ভোগ করেনি

و لا الضآلين
[ওয়া ইয়াদ-দুল্লীন (আমিন)]

এবং যারা বিভ্রান্তিতে পড়েনি। (আমিন)

(উপরে উল্লিখিত হিসাবে, প্রথমবারের মতো আপনি নিজেকে "বিসমিল্লাহ", আলহামদুলিল্লাহ" "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বাক্যাংশগুলি উচ্চারণে সীমাবদ্ধ করতে পারেন)।

সূরা তিলাওয়াত করার সময়, দৃষ্টি সেজদার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানের দিকে পরিচালিত হয়।

3. "আল্লাহু আকবার" শব্দটি বলা রুকু করা. নারীরা পুরুষের মতো গভীরভাবে মাথা নত করে না। দৃষ্টি আঙ্গুলের দিকে পরিচালিত হয়; হাত তাদের আলিঙ্গন ছাড়া হাঁটু উপর শুয়ে.

4. হাত সঞ্চালন করার পরে, একটি দাঁড়ানো অবস্থানে আবার সোজা.

5. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে মাটিতে নত হওয়া (সাজদা)। এটি সম্পাদন করার জন্য, তারা প্রথমে হাঁটু গেড়ে, তারপর তাদের হাতের উপর হেলান দেয় এবং তারপরে তাদের নাক এবং কপাল দিয়ে পৃথিবীর পৃষ্ঠ স্পর্শ করে। পায়ের আঙ্গুলগুলি (অন্তত দুটি আঙ্গুল) মাটিতে স্পর্শ করতে হবে, কনুই মেঝে স্পর্শ করে শরীরের বিরুদ্ধে চাপ দিতে হবে এবং পেট উরুর সাথে চাপতে হবে।

6. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে অল্প সময়ের জন্য বসা অবস্থানে উঠুন, যা "সুবহানাল্লাহ" বাক্যাংশটি উচ্চারণ করার জন্য যথেষ্ট। তারপর আবার "আল্লাহু আকবার" বলুন এবং দ্বিতীয় সিজদা করুন।

এখানে নামাজের প্রথম রাকাত শেষ হয়.

7. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে উঠুন উল্লম্ব অবস্থাননামাজের দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে এবং উপরে বর্ণিত হিসাবে আপনার বুকে হাত ভাঁজ।

২য় রাকাতঃ

8. প্রথমে, প্রথম রাকাতের মতো, সূরা আল-ফাতিহা পড়ুন (বা যিকিরের শব্দগুলি বলুন - আল্লাহর স্মরণ)। সাধারণত দ্বিতীয় রাকাতেও তারা একরকম বলে থাকে ছোট সূরা, কিন্তু একজন শিক্ষানবিশ নিজেকে শুধুমাত্র একটি সূরা আল-ফাতিহার মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারে। অতঃপর উপরে বর্ণিত রুকু ও সাজদাহ আদায় করুন।

9. দুটি সেজদা করার পরে, আপনার পায়ের উপর বসুন (ছবিতে দেখানো হয়েছে), আপনার হাত আপনার হাঁটুর উপর, উভয় পা অতিক্রম করা হয়েছে ডান পাশ. আপনার বসতে হবে না বাম পা, এবং মেঝেতে। এই অবস্থানে, দুআ আত্তাহিয়্যাত উচ্চারিত হয়।

আনুমানিক প্রতিবর্ণীকরণ এবং অনুবাদ:

التحيات لله و الصلوات و الطيبات
[আত-তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালায়াতু উত-তাইয়্যিবাত]

আল্লাহর প্রতি সালাম, দোয়া ও নেক আমল।

السلام عليك أيها النبي و رحمة الله و بركاته
[আস-সালামু আলাইক্যা আইয়্যুহান-নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুখ]

হে নবী আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর রহমত ও বরকত।

السلام علينا و على عباد الله الصالحين
[আস-সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস-সালিহিন]

আমাদের এবং আল্লাহর প্রকৃত বান্দাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

أشهد أن لا إله إلا الله و أشهد أن محمدا عبده و رسوله
[আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলিউখ]

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই
এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।

মনোযোগ! "লা ইলাহা" শব্দগুলি উচ্চারণ করার সময় আপনাকে উচ্চারণ করতে হবে তর্জনীডান হাত, এবং "ইল্লাল্লাহ" শব্দগুলি উচ্চারণ করার সময়, এটি নামিয়ে দিন।

11. যদি তুমি সকালের নামায পড়ো (ফজর)দুআ আত-তাহিয়্যাত উচ্চারণের পরে, সালাতের শেষে সালাম (তসলিম) উচ্চারণ করা হয়। "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" শব্দের সাথে আপনার মাথা আপনার ডান কাঁধের দিকে ঘুরান, এবং তারপর - একই শব্দের সাথে - আপনার বাম দিকে।

যদি আপনি দুই রাকাতের বেশি নামায পড়েন, তারপর দুআ আত-তাহিয়্যাত উচ্চারণের পরে (নামাজ শেষে অভিবাদন না বলে!) আপনাকে দাঁড়াতে হবে এবং অন্যটি করতে হবে (যদি আপনি করছেন মাগরিবের নামাজ) অথবা আরও দুই রাকাত (যদি আপনি যোহর, আসর, ইশার নামাজ পড়েন)। শেষ (তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাত) শেষ করার পরে, আবার বসুন এবং দুআ আত-তাহিয়াত আবার বলুন, তারপর সালাম বলুন "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!", আপনার মাথা প্রথমে ডান কাঁধে, তারপর বাম দিকে ঘুরিয়ে দিন। .

সালাত আদায় করার পর, আপনি আপনার ব্যক্তিগত অনুরোধের সাথে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারেন (যে কোনো ভাষায়, অগত্যা আরবি নয়)।

বিঃদ্রঃ:

তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে ফরজ নামাজসূরা ফাতিহা পড়ার পর দ্বিতীয় সূরা পড়তে হবে না। আপনি যদি চার রাকাত বিশিষ্ট একটি সুন্নাত নামায পড়েন, তাহলে দ্বিতীয় সূরাটি তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাতে উচ্চারিত হয়।

বিতরের নামায

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, হানাফী আলেমগণ বিশ্বাস করেন বাধ্যতামূলকবিতরের নামায: এশার রাতের নামাযের পরে এবং ফজরের নামাযের আগে পড়া। বিতরের নামায তিন রাকাত নিয়ে গঠিত। এটি করার আগে, উদ্দেশ্যটি প্রায় নিম্নরূপ উচ্চারিত হয়: "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিতরের নামায পড়ার ইচ্ছা করছি"- এটি সুন্নাত না ফরজ নামায কিনা তা নির্দেশিত নয়, কারণ এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এই নামাজের তৃতীয় রাকাতে, সূরা আল ফাতিহা পড়ার পরে, আপনাকে একটি ছোট সূরা পড়তে হবে, তারপর "আল্লাহু আকবার" বলতে হবে, শুরুর তাকবীরের মতো আপনার হাত উঠাতে হবে, তারপর সেগুলিকে আপনার উপর ভাঁজ করতে হবে। বুকে নিয়ে দুআ কুনুত বল:

আনুমানিক প্রতিবর্ণীকরণ:

“আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা ওয়া নাস্তাখদিকা ওয়া নাস্তাগফিরুক, ওয়া নাতুউবু ইলিয়াক, ওয়া নুমিনু বিক্যা ওয়া নাতাভাক্ক্যালু আলাইক, ওয়া নুসনি আলাইকাল-হায়রা কুল্ল্যাহু, ওয়া নাশকুরুক্যা ওয়া লায়াউরউকউরুয়া নাক্‌উক্‌ওয়াউকুয়া। আল্লাহুম্মা ইয়্যাক্যা না'বুদু ওয়া লিক্যা নুসাল্লি ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইক্যা নাসআ ওয়া নাখফিদ, ওয়া নারজুউ রাহমাতাক্যা ওয়া নাখশা 'আজাবাক, ইন্না 'আজাবাক্যা বিল-কুফফারি মুলহিক।'

“হে আল্লাহ! আমরা আপনার সাহায্যের জন্য আবেদন করি, আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বলি, আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং অনুতপ্ত হই। আমরা বিশ্বাস করি এবং আপনার উপর নির্ভর করি। আমরা সর্বোত্তম উপায়ে আপনার প্রশংসা করি। আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আপনাকে অস্বীকার করি না। যারা অনাচার করে তাদের আমরা প্রত্যাখ্যান করি এবং ছেড়ে দিই। হে ভগবান! আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, আমরা প্রার্থনা করি এবং তোমার সামনে মাটিতে মাথা নত করি। আমরা চেষ্টা করি এবং আপনার দিকে নিজেদেরকে পরিচালিত করি। আমরা আপনার রহমতের আশা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয়ই তোমার শাস্তি নাস্তিকদের উপর বর্তায়!”

যদি কোনো ব্যক্তি এখনো কুনুত না শিখে থাকেন, তাহলে আপনি নিম্নোক্ত দোয়াটি বলতে পারেন:

"রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতন, ওয়া ফিল-আখীরাতি হাসানাতান ওয়া কিনা 'আজাবান-নার।"

"আমাদের প্রভু! আমাদের এই জীবনে এবং ভবিষ্যতে ভাল জিনিস দান করুন, আমাদের জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।"

কি কাজ প্রার্থনা লঙ্ঘন?

1. প্রার্থনার সময়, আপনি কথা বলতে বা হাসতে পারবেন না - অধিকন্তু, উচ্চস্বরে হাসি (যা কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা এটি শুনতে পারে) কেবল প্রার্থনাই নয়, অযুও লঙ্ঘন করে। তবে (শব্দ ছাড়া) হাসলে নামায ভঙ্গ হয় না।

2. আপনি কোন শব্দ বা দীর্ঘশ্বাস করতে পারবেন না. হাঁচি বা কাশি দিলে নামায ভঙ্গ হয় না।

3. আপনি জাগতিক কারণে কাঁদতে পারবেন না (আল্লাহর ভয়ে কান্না করা অনুমোদিত)।

4. আপনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে একাধিক ছোট ক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন না (কাপড় সামঞ্জস্য করা, স্ক্র্যাচিং)। একটি সঙ্গত কারণে করা ছোটখাটো ক্রিয়াগুলি ক্ষমা করা হয়, তবে সেগুলিকে ন্যূনতম রাখতে যত্ন নেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত কর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয় শক্তিশালী মতামত, কর্ম হিসাবে যা, যদি একজন পর্যবেক্ষকের দ্বারা দূর থেকে দেখা যায় যে আপনি নামায পড়ছেন তা জানেন না, তাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করবে যে আপনি প্রার্থনা করছেন না। আপনার যদি সন্দেহ থাকে তবে এটি একটি অপ্রয়োজনীয় ক্রিয়া নয় - এবং এটি প্রার্থনা লঙ্ঘন করে না। সাধারণত, তিনটি ক্রমাগত প্রধান ক্রিয়াকে অতিরিক্ত বলে মনে করা হয় (ইবনে আবিদিনের রাদ্দ আল-মুখতারের উপর ভিত্তি করে)।

5. একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা একই সারিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারবেন না (কিছু দূরত্ব বা বাধা থাকতে হবে)।

প্রার্থনা সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী:

কাগজ বা বই ব্যবহার করে নামায পড়া কি সম্ভব?নতুনরা প্রায়ই ইঙ্গিত সহ একটি বই বা কাগজের টুকরো দেখে নামাজ আদায় করে। এটি এড়ানো উচিত, কারণ এই ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে আপনি অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজ করছেন যা আপনার প্রার্থনাকে অবৈধ করে তোলে।

হাইদা বা নিফাসের সময় নামায পড়া যাবে কি? - না, একজন মহিলা ঋতুস্রাবের সময় (হায়দ) নামাজ পড়ে না এবং প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণ(নিফাস). এ সময় নামায পড়লে সে গুনাহের মধ্যে পড়ে। ইবাদতের বৈধতার জন্য, হাইদার শুরু এবং শেষ কীভাবে সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হয় তা শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - কারণ আপনি যদি আপনার মাসিক শেষ হওয়ার আগে নামায পড়া শুরু করেন তবে এই জাতীয় প্রার্থনা বৈধ হবে না এবং বিপরীতভাবে, যদি আপনি না করেন। আপনার পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে নামাজ পড়ুন, তাহলে দেখা যাবে আপনি কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই নামাজ মিস করবেন। উভয় ক্ষেত্রেই পরে নামায ছুটে গেলে কাযা আদায় করতে হবে। আপনি এখানে Haida সম্পর্কে পড়তে পারেন এ সময় ছুটে যাওয়া নামাজ (হায়দা ও নিফাসা) কাযা করার দরকার নেই।

নামায ছুটে গেলে আমার কি কাযা আদায় করতে হবে?- যে কোন কারণে (মাসিক ও প্রসবোত্তর রক্তপাতের কারণে ছুটে যাওয়া নামাজ ব্যতীত) - অবশ্যই কাযা করতে হবে! তাই আপনি যদি সকালের নামায অতিরিক্ত ঘুমিয়ে পড়েন বা কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে প্রার্থনা করতে অক্ষম হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পরে এই প্রার্থনাগুলির জন্য পূরন করতে হবে।

যদি কোন ব্যক্তি বয়সে এসে নামায পড়া শুরু না করে(বিশেষত, একজন মহিলা - তার মাসিক শুরু হওয়ার মুহুর্ত থেকে নয়), তবে আরও বেশি পরিণত বয়স, এই নামাযের জন্য কি কাযা আবশ্যক? -হ্যাঁ, এই ধরনের নামায অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে কীভাবে প্রার্থনা করবেন?- লোকেরা প্রায়শই বলে যে তারা কর্মক্ষেত্রে বা ভিতরে প্রার্থনা করতে অক্ষম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান. এই কারণগুলি বৈধ বলে বিবেচিত হয় না - আপনার প্রার্থনার জন্য একটি সময় এবং স্থান খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত।

যদি আমার বাবা-মা আমাকে নামাজ পড়তে না দেন?- যদি না আপনার বিরুদ্ধে সরাসরি সহিংসতা না হয় (উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের হুমকি দেওয়া হয় না - এবং আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে হুমকিটি বাস্তবে কার্যকর হবে!), এবং প্রিয়জনের ক্ষেত্রে এটি অসম্ভাব্য, আপনি তাদের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও প্রার্থনা করা শুরু করা উচিত। আপনার পরিবার সারাদিন বাড়িতে থাকে না, তারা আপনার প্রতিটি গতিবিধি দেখছে না - তাই এমন একটি সময় বেছে নিন যেখানে আপনাকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না, বাড়িতে একটি শান্ত জায়গা খুঁজুন এবং প্রার্থনা করুন। ধৈর্য ধরুন এবং আপনার সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকুন - ইনশাআল্লাহ, সময়ের সাথে সাথে, আপনার পরিবার আপনার পছন্দের সাথে মিলিত হবে এবং এমনকি আপনার চরিত্রের শক্তির জন্য আপনাকে সম্মান করবে।

মহিলাদের জন্য আলাদা মহিলা জামাতে নামাজ পড়া কি সম্ভব?(একজন পুরুষ ইমামের পিছনে নয়, তবে কিছু জ্ঞানী বোন বেছে নিন এবং তার পিছনে নামাজ পড়ুন)। হানাফী পন্ডিতগণ এ ধরনের কাজকে মাকরূহ তাহরিমি (নিষিদ্ধের কাছাকাছি) বলে মনে করেন, তাই এ থেকে বিরত থাকা উচিত (যদিও শাফেয়ী মাযহাবের আলেমগণ এর অনুমতি দেন)।

মহিলারা মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করে: আপনার কোলে একটি শিশুর সঙ্গে প্রার্থনা করা সম্ভব?বা কি করতে হবে, যদি, প্রার্থনার সময়, একটি শিশু মায়ের পিঠে বা তার বাহুতে ওঠে (বা তাকে স্পর্শ করে): এই নিবন্ধে আপনি এই সমস্যাটির একটি বিশদ ব্যাখ্যা পড়তে পারেন "আপনার বাহুতে একটি শিশুর সাথে প্রার্থনা"
মুসলিমা (আনিয়া) কোবুলোভা

দারুল-ফিকর ওয়েবসাইট থেকে উপকরণের উপর ভিত্তি করে

"ইশার (ইয়াস্তু) নামাজ

“ইশার নামায 4টি ক্যান্সার” ফরজ এবং 2টি সুন্নতের ক্যান্সার।

ফরজ "এশার নামাজ"

এশার নামাযের ফরজ যোহরের নামাযের ফরযের মতোই করা হয়। শুধুমাত্র নিয়তের মধ্যে পার্থক্য: "আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আজকের এশার নামাযের ফরজের মধ্যে আমি ৪টি ক্যান্সার করতে চাই।"

এশার সালাতের সুন্নত

এশার নামাযের সুন্নাত ফজর, যোহরের নামাযের সুন্নাতের মতোই করা হয়। শুধুমাত্র উদ্দেশ্য ভিন্ন: আজকের ইশার নামাযের সুন্নাতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য "আমি 2টি ক্যান্সার করার ইচ্ছা করেছি"।

বিতরের নামায

বিতরের নামায ৩টি ক্যান্সার নিয়ে গঠিত।এটি এশার নামাজের পর করা হয়। বিতরের নামায অন্যান্য নামাজ থেকে আলাদা যে 3য় ক্যান্সারে, সূরা "ফাতিহা" এবং কোরানের আরেকটি সূরা পড়ার পরে, "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে রুকু (ধনুক) করার আগে, হাত উঠানো হয় (তাকবীর খোলার সময়), এবং তারপর আবার ভাঁজ. এরপর তারা দু'আ' আল-কুনুত পড়ে এবং "আল্লাহু আকবার" বলে রুকু করে।

বিতরের নামায পড়ার পদ্ধতি

1ম ক্যান্সার"এ:

1. কিবলার দিকে দাঁড়ান যাতে আপনার পায়ের মধ্যে দূরত্ব 4 আঙ্গুল চওড়া হয়।

2. নিয়ত: "আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আজকের বিতরের নামাযের ফরযার ৩টি ক্যান্সার করার ইচ্ছা করছি।"

3. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে শুরুর তাকবীর দাও। পুরুষরা তাদের হাত বাড়ায়, তাদের হাতের তালু কিবলার দিকে নির্দেশ করে - যাতে তাদের থাম্বসের প্যাড তাদের কানের লতিতে স্পর্শ করে। মহিলারা তাদের হাত তুলে, হাতের তালু কিবলার দিকে মুখ করে আঙ্গুল বন্ধ করে যাতে আঙ্গুলের ডগা কাঁধের স্তরে থাকে।

4. কিয়াম - তাকবিরের পরে দাঁড়ানো। হাত বন্ধ, সাজদার স্থানের দিকে তাকানো বাঞ্ছনীয়। পুরুষদের লাগাতে হবে ডান হাতবাম দিকে, ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল এবং বুড়ো আঙুল দিয়ে বাম হাতটি আঁকড়ে ধরুন। এই অবস্থানে, আপনার হাত আপনার পেটে নাভির ঠিক নীচে রাখতে হবে। মহিলারা তাদের ডান হাত তাদের বাম দিকে রাখে এবং তাদের বুকের স্তরে ধরে রাখে।

5. কিয়াম (দাঁড়িয়ে) অবস্থানে, ক্রমানুসারে পড়ুন: দু'আ "সুবহানাকা", "আ"উজু-বিসমিল্লাহ", সূরা "আল-ফাতিহা" এবং কোরানের সূরা।

6. রুকু" - কোমর থেকে রুকু। "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে কোমর থেকে একটি ধনুক তৈরি করুন এবং এই অবস্থানে পড়ুন:

রুকূর সময় পুরুষরা তাদের হাতের আঙ্গুলগুলিকে হাঁটুর উপর আলাদা করে রাখে এবং তাদের পা এবং পিঠ সোজা রাখে; মহিলাদের জন্য, তাদের হাঁটু এবং পিঠ সম্পূর্ণ বাঁকানো থাকে না, তবে তাদের আঙ্গুলগুলি একত্রিত হয়।

7. আপনার হাত দিয়ে সোজা করে উচ্চারণ করুন:

"সামি"আল্লাহু লিমান হামিদাহ"

সম্পূর্ণ সোজা, উচ্চারণ করুন:

"রাব্বানা লাকাল হামদ"

8. সুজুদ - সেজদা। “আল্লাহু আকবার” বলে প্রথমে আপনার হাঁটু দিয়ে, তারপর আপনার হাত দিয়ে, তারপর আপনার কপাল এবং নাক দিয়ে মেঝে স্পর্শ করুন; এই ক্ষেত্রে, মাথা হাতের মধ্যে থাকে, পা মাটি ছেড়ে যায় না, চোখ নাকের ডগায় তাকায়। এই অবস্থানে, 3 বার পুনরাবৃত্তি করুন:

"সুবহানা রাব্বি আল আ'লা"

সাজদার সময় পুরুষদের কনুই মাটিতে স্পর্শ করে না এবং পাশ থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। পা একে অপরের সমান্তরাল, পায়ের আঙ্গুলগুলি কিবলার দিকে পরিচালিত হয়। মহিলাদের মধ্যে, কনুইগুলি পাশে চাপা হয়, পা পুরুষদের মতো একই অবস্থানে থাকে।

9. কুউদ - দুটি সুজুদের মাঝখানে বসা: "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, মাটি থেকে আপনার কপাল তুলে হাঁটুতে বসুন, আপনার হাঁটুতে আপনার হাত রাখুন, আপনার নিতম্বের দিকে তাকান।

পুরুষরা তাদের বাম পায়ে পায়ের আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকে ডান পা, নমন, কিবলার দিকে নির্দেশিত; মহিলারা তাদের বাম উরুর উপর বসে, উভয় পা নিজেদের নীচে আটকে রাখে এবং তাদের পা ডান দিকে, তাদের পায়ের আঙ্গুলগুলি দিয়ে কিবলার দিকে নির্দেশ করে।

10. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে দ্বিতীয় সুজুদ করা হয় এবং এই অবস্থানে এটি পাঠ করা হয়:

"সুবহানা রাব্বি আল আ'লা" - 3 বার

11. সুজুদ থেকে বের হওয়া। প্রথমে আপনার মাথা তুলুন, তারপর আপনার হাত মাটি থেকে তুলে নিন, আপনার পোঁদের উপর রাখুন এবং আপনার হাঁটু থেকে উঠুন। "আল্লাহু আকবার" (দ্বিতীয় রাকাত পড়তে) শব্দের সাথে উঠে দাঁড়ান এবং কিয়াম (দাঁড়িয়ে) অবস্থানে, আপনার পেটে (পুরুষদের) বা আপনার বুকে (মহিলাদের) হাত ভাঁজ করুন।

২য় ক্যান্সার"এ:

2. যেমন প্রথম ক্যান্সারে, "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে একটি ধনুক করুন এবং বলুন:

"সুবহানা রাব্বি আল "আযিম" - 3 বার

3. সোজা করার সময়, উচ্চারণ করুন: "সামি" আল্লাহু লিমান হামিদাহ।" সম্পূর্ণ সোজা হয়ে উচ্চারণ করুন।

"রাব্বানা লাকাল হামদ।"

4. "আল্লাহু আকবার" শব্দ দিয়ে সাজদা করুন। এই অবস্থানে "সুবহানা রাব্বি আল আ'লা" 3 বার পড়া হয়।

5. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, সুজুদের মাঝে বসুন

6. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, দ্বিতীয় সুজূদ করুন এবং "সুবহানা রাব্বি আল আ'লা" 3 বার বলুন।

7. বসা। "আল্লাহু আকবার" বলে সেজদা থেকে উঠে হাঁটু গেড়ে বসুন। হাত হাঁটুর উপর, চোখ নিতম্বের দিকে তাকিয়ে আছে। পুরুষরা তাদের বাম পায়ের উপর বসে, তাদের ডান পায়ের আঙ্গুলগুলি বাঁকানো এবং কিবলার দিকে নির্দেশ করে। মহিলারা তাদের বাম উরুর উপর বসে, উভয় পা তাদের নীচে টেনে ধরে এবং তাদের পা ডান দিকে, তাদের পায়ের আঙ্গুল দিয়ে কিবলার দিকে নির্দেশ করে।

8. বসা অবস্থায়, "তাশাহহুদ" পড়ুন (এটি প্রথম বসা হিসাবে বিবেচিত হয়)।

তারপর “আল্লাহু আকবার” (তৃতীয় ক্যানসার পড়তে) বলে উঠে দাঁড়ান।

3য় ক্যান্সার"এ:

1. দাঁড়িয়ে বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতিহা এবং ক্রমানুসারে আরেকটি সূরা পড়ুন।

2. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, হাতগুলি কানের সমতলে উঠানো হয় (যেমন শুরুর তাকবীরের সময়), তারপর আবার হাত বন্ধ করা হয়।

3. ডু "ক "কুনুত" পড়া হয়

4. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে একটি ধনুক তৈরি করা হয় এবং নিম্নলিখিতটি বলা হয়:

"সুবহানা রাব্বি আল "আযিম" - 3 বার

5. সোজা করার সময়, "সামি"আল্লাহু লিমান হামিদাহ" শব্দগুলি উচ্চারণ করুন এবং সম্পূর্ণ সোজা বলুন:

"রাব্বানা লাকাল হামদ।"

6. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে সিজদা করুন। এই অবস্থানে "সুবহানা রাব্বি আল আ'লা" 3 বার পড়া হয়।

7. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, সুজুদের মাঝে বসুন।

8. "আল্লাহু আকবার" শব্দের সাথে, দ্বিতীয় সুজুদ করুন এবং "সুবহানা রাব্বি আল আ'লা" 3 বার বলুন।

9. শেষ আসন। "আল্লাহু আকবার" বলে সেজদা থেকে উঠে হাঁটু গেড়ে বসুন। হাত হাঁটুর উপর, চোখ নিতম্বের দিকে তাকিয়ে আছে। পুরুষরা তাদের বাম পায়ের উপর বসে, তাদের ডান পায়ের আঙ্গুলগুলি বাঁকানো এবং কিবলার দিকে নির্দেশ করে। মহিলারা তাদের বাম উরুর উপর বসে, উভয় পা তাদের নীচে টেনে ধরে এবং তাদের পা ডান দিকে, তাদের পায়ের আঙ্গুল দিয়ে কিবলার দিকে নির্দেশ করে।

11. সালাম - প্রথমে আপনার মাথা ডান দিকে ঘুরিয়ে (আপনার কাঁধের দিকে তাকিয়ে) এবং "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলুন।

12. এছাড়াও, আপনার মাথা বাম দিকে ঘুরিয়ে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" উচ্চারণ করুন।

13. আপনার হাত কাঁধের সমতলে তুলে, আপনার হাতের তালু উপরের দিকে রেখে, সালামের পরে দু'আ পড়ুন: "আল্লাহুম্মা আন্তসসালামু ওয়া মিনকাসসালামু তাবারাকতা ইয়া জাল জালায়লি ওয়াল ইকরাম।" এর পরে, আমরা আমাদের হাতের তালু দিয়ে আমাদের মুখ মুছব।

ইলদুস হযরত ফায়জভ, বিশেষ করে সাইটের জন্য

আপনি এটি সম্পর্কে কি মনে করেন? আপনার মন্তব্য ছেড়ে দিন.